text
stringlengths 25
106k
|
---|
অধিনায়কত্ব হারানো ইকার্দির ইন্টারের হয়ে খেলতে না খেলা ক্রিকেট ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ২০৩৫ দীর্ঘ দিন ইন্টার মিলানের অধিনায়কের আর্মব্যান্ড পরে মাঠে নেমে মাউরো ইকার্দি বুধবার আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারকে এই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে ইতালিয়ান ক্লাবটি তার কাছ থেকে নেতৃত্ব কেড়ে নিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সামির হান্দানোভিচকে হতাশায় ইন্টারের জার্সিতে খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ইকার্দিইউরোপা লির রুত্বপূর্ণ ম্যাচে র্যাপিড ভিয়েনার মাঠে খেলতে ছে ইন্টার এই সফরের স্কোয়াডে জায়গা হয়নি ইকার্দির যদিও কোচ লুসিয়ানো স্পালেত্তি জানিয়ে ইকার্দিকে ডাকা হলেও তিনি আসতে রাজি হননি দলের সঙ্গেচুক্তি নবায়ন নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কে অধিনায়কত্ব হারিয়ে ইকার্দি ইন্টারের সঙ্গে ২০২১ সাল পর্যন্ত চুক্তি থাকলেও আলোচনা চলছে নবায়নের আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারের পক্ষে চুক্তির বিষয়টি দেখছেন তার স্ত্রী ওয়ান্দা নারা যিনি আবার তার এজেন্টওইতালিয়ান ক্লাবটি নতুন চুক্তিতে দেরি করায় ক্ষোভ ঝরেছে নারার কণ্ঠে ইন্টারের দিকে আঙুল তুলে তিনি এই বলে আমাদের কোনও তাড়াহুড়ো নেই তাকে ইকার্দি নিয়ে অনেক ঞ্জনই শোনা যাচ্ছে যেটা আসলে হওয়া উচিত নয় ক্লাব থেকে তার আরও নিরাপত্তা প্রত্যাশা করি বুঝতে পারছি না এই সব খারাপ কথা ভেতর নাকি বাইরে থেকে আসছেকথালো যে ক্লাবকে উদ্দেশ্য করেই বলে ইকার্দির স্ত্রী তাতে সন্দেহ সামান্যই ইন্টার তাই ইকার্দির কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে অধিনায়কত্ব বিষয়টি মানতে পারেননি আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার ওই ঘটনার পর ভিয়েনায় দলের সঙ্গে যেতে অস্বীকৃতি জানান তিনি কোচ স্পালেত্তি বলে তাকে ইকার্দি ডাকা হয়েছে কিন্তু দলের অন্য খেলোয়াড়দের সঙ্গে ভিয়েনায় আসতে রাজি হয়নি সে মার্কা |
অধিনায়কত্ব হারানোর ভয় নেই ম্যাথুসের খেলা ক্রিকেট ২৫ জানুয়ারি ২০১৭ ১১১২ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে শোচনীয়ভাবে টেস্ট সিরিজে হারের পর অধিনায়কত্ব থেকে বরখাস্ত হলে কোনও প্রতিবাদ করতেন না অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস যদিও ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার নেতৃত্বে তাকেই রেখে দেওয়া হয়েছেপ্রোটিয়াদের কাছে তিন টেস্টের সবগুলো বিশাল ব্যবধানে হেরেছিল লঙ্কানরা শোনা ছে সিরিজ শেষে বোর্ডের কেউ কেউ তাকে পদত্যাগ করতে বলেছিল কিন্তু ম্যাথুস এ ধরনের কথাবার্তাকে জব বলে আমি এধরনের চিন্তা মাথাতেও আনিনি ২৫ বছর বয়সে দেশের সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া এ তারকা দক্ষিণ আফ্রিকায় দ্বিতীয় টিটোয়েন্টি খেলেই দেশে ফিরে তার গোড়ালিতে ট বাকি সফর শ্রীলঙ্কার নেতৃত্ব দেবেন উপুল থারাঙ্গাকোনও ধরনের চাপ আছে কি না প্রশ্নে ম্যাথুস বলে আমি চাপের মধ্যে কোনও কাজ করব না যে কেউ যা খুশি বলতে পারে যদি আমি মনে করি এখন সময় ফুরিয়ে ছে কিংবা যদি নির্বাচকরা বলে তাহলে আমি চলে যাব অন্য যে যাই বলুক আমার মাথাব্যথা নেই সূত্র ক্রিকইনফোএফএইচএম |
অধিনায়কত্বের হাফসেঞ্চুরির সামনে দাঁড়িয়ে মাশরাফি খেলা ক্রিকেট ২১ মার্চ ২০১৬ ১৫৪১ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বেঙ্গালুরুতে মাঠে নামার আগে দারুণ এক মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে মাশরাফি যে মাইলফলকের কাজে নাম হাফ সেঞ্চুরি অধিনায়কত্বের হাফ সেঞ্চুরি সোমবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মাশরাফি অধিনায়ক হিসেবে বাংলাদেশকে ৫০তম ম্যাচে নেতৃত্ব দেবেন নেতৃত্বগুণ সাফল্য গ্রহণযোগ্যতা সবমিলিয়ে বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক হিসেবে অনায়াসেই তার নাম চলে আসবে২০০৯ সালের ৯ জুলাই প্রথমবাররে মতো বাংলাদেশেকে নেতৃত্ব দেন মাশরাফি বিন মুর্তজা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেন্ট ভিনসেন্টে সাদা ষাকে শুরু হয় তার অধিনায়কত্বের পথ চলা তবে ওই টেস্টেই ইনজুরিতে পড়ে সেবার সংক্ষিপ্ত অধিনায়কত্বের যুগ সেখানেই শেষ হয় দেশে ফিরে আসেন তিনি২০১৪ সালের নভেম্বরে নরায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোম সিরিজে আবারও অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পান দায়িত্ব নিয়েই বদলে দিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে তার ছায়াতলে বাংলাদেশের ক্রিকেট বর্তমানে নিরাপদেই আছেউল্লেখ্য মাশরাফি এখনও পর্যন্ত একটি টেস্ট ২৮টি ওয়ানডে এবং ২০টি টিটোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়ে আরআইএফআইআর |
অধিনায়কদের বিশ্বাস এই বিশ্বকাপ হবে সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ খেলা ক্রিকেট ২৪ মে ২০১৯ ১০৪৪ বিশ্বকাপের উত্তেজনা শুরু হচ্ছে আর ৬ দিন পর ইংল্যান্ডে পা পড়েছে সব দলের ওয়ার্ম আপ ম্যাচে ঘাম ঝরিয়ে তারা নেমে পড়বেন আসল লড়াইয়ে এই বিশ্বকাপকে কিন্তু তাদের সবাই দেখছেন অন্য খে ১০ দলের অধিনায়কের বিশ্বাস এই টুর্নামেন্ট হবে সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ১৯৯২ সালের পর প্রথমবার রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে হচ্ছে বিশ্বকাপ ১০ দল প্রত্যেকে একে অপরের সঙ্গে লড়বে সেরা চার দল খেলবে সেমিফাইনাল আর এই বদলে যাওয়া ফরম্যাটের কারণেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়বে মনে করছেন অধিনায়করা লন্ডনের দ্য ওভালে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ দিয়ে ৩০ মে শুরু হবে বিশ্বকাপএউইন মরগান ও মাশরাফি মুর্তজা সহ ১০ দলের অধিনায়করা নেমে যেতে প্রস্তুত প্রত্যেকে সমীহ পাচ্ছে এই বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড অধিনায়ক মরগান বলে আমি মনে করি না কেউই একে অন্যর চেয়ে উপরে বিশ্বের সেরা দল দল এখানে এটা হবে অসাধারণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ মানসম্পন্ন ক্রিকেট হবে এবার তাই আমরা সত্যিই খেলতে উন্মুখ হয়ে আছিভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি ইংল্যান্ডকে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ মানছেন এই টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ড তাদের কন্ডিশনে সবচেয়ে শক্তিশালী দল কিন্তু সব দলেই অনেক শক্তিশালী এবং দারুণ ভারসাম্যপূর্ণ মূল কথা হচ্ছে আমাদের সবাইকে একবার করে প্রত্যেকের সঙ্গে খেলতে হবে আমি মনে করি এটাই হবে সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বিশ্বকাপ যা আগে কেউ কখনও দেখেনি বিশ্বকাপ শিরোপা ধরে রাখার মিশনে ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভ স্মিথকে ফিরে পেয়ে উচ্ছ্বসিত অ্যারন ফিঞ্চ দুই অভিজ্ঞ খেলোয়াড়কে অভিনন্দন জানিয়ে অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক বলে ওয়ার্নার ও স্মিথ দলে ফেরার পর থেকে তারা চমৎকার খেলছে এবং দারুণ অবদান রেখে চলেছে তাদের মানসিক দৃঢ়তা অবিশ্বাস্য চার সেমিফাইনালে বিদায় নেওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা এবার সবাইকে চমকে দিতে চায় প্রথম অধিনায়ক হিসেবে শিরোপা জেতার সুযোগ ফাফ দু প্লেসির প্রোটিয়া অধিনায়ক বললেন এই নতুন ফরম্যাটের টুর্নামেন্টে ভালো কিছুর চেষ্টা করতে আমরা সবাই উন্মুখ হয়ে আছি প্রত্যেককে একবার করে খেলা সত্যিই দারুণ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ী পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ বেশ আত্মবিশ্বাসী সব দল সত্যিই ভারসাম্যপূর্ণ আমার মনে হয় দর্শকরা সেরা ক্রিকেট ম্যাচগুলো দেখতে যাচ্ছে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান আরও বলে ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপ জেতার পর থেকে ইংল্যান্ডে ১৯৯৯ সালে ফাইনাল খেলেছি ২০১৭ সালে জিতলাম চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ইংল্যান্ডে আমাদের সব ভালো যায় তাই আমরা ভালো করতে এবং প্রতিপক্ষককে চ্যালেঞ্জ জানাতে আত্মবিশ্বাসী চার বছর আগে রানার্সআপ হয়েছিল নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের আশা এবার আরও ভালো কিছু হবে তিনি বলে গত বিশ্বকাপ খেলা বেশ কয়েকজন এবার আছে দলে যেটা দারুণ ব্যাপার কিন্তু চার বছরের মধ্যে অনেক নতুন খেলোয়াড়ও এসেছে র্যাংকিং ফেভারিট আন্ডারডগ নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে কিন্তু আসল কথা হচ্ছে কতটা ভারসাম্যপূর্ণ যে কোনও কিছু ঘটতে পারে এবার এটাই রোমাঞ্চ জাগাচ্ছেওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন ্ডার যোগ করে এটা খুবই উত্তেজনাকর ফরম্যাট অতীতে আমরা পাঁচটি বা ছয়টি ম্যাচ খেলেছি কিন্তু এবার অন্য ব্যাপার প্রত্যেক দলের বিপক্ষে খেলা আমাদের জন্য দারুণশ্রীলঙ্কার নতুন অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে বলে ইংল্যান্ডে আমাদের দারুণ অভিজ্ঞতা রয়েছে এই কন্ডিশনে মানিয়ে নিতে আমরা আগেভাগে এখানে এসেছি এবং আমরা দারুণ অবস্থায় আছি আশা করি সেরাটা দিতে পারবো একটি করে ম্যাচ ধরে ধরে এগোব আমরা বিশ্বের সেরা দলগুলোর প্রত্যেকের সঙ্গে খেলার সুযোগ পেয়ে রোমাঞ্চিত আফগানিস্তান অধিনায়ক লবাদিন নাইব এখানে এসে আমরা রোমাঞ্চিত ক্রিকেট বিশ্বের সামনে সেরা দলগুলোকে খেলতে পারা অসাধারণ ব্যাপার বিশ্বের সামনে আফগানিস্তানকে তুলে ধরা দারুণ এবং আমরা উন্মুখ হয়ে আছিসবার শেষে আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে নিজের দলের সম্ভাবনা নিয়ে কথা বললেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজা আমাদের দলে চমৎকার খেলোয়াড়রা আছে সিনিয়র ও জুনিয়রদের দারুণ মিশেল ক্রিকেট এমন খেলা যেখানে যে কেউ নিজেদের দিনে যে কাউকে হারাতে আমরা ভালো শুরুর ব্যাপারে আশাবাদী আমরা ভালো করতে আত্মবিশ্বাসী কিন্তু অনেক কিছু নির্ভর করছে শুরুর ওপর |
অধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বেই মনিরুলকে খুন করা হয়েছে দেশ ০৯ অক্টোবর ২০১৬ ০৯১৪ সিরাজগঞ্জে যমুনার চরে অধিপত্য বিস্তার ও আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে বেলকুচির রাজারের ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলামকে ২৬ খুন করা হয়েছ বলে অভিযোগ করে নিহতের বাবা আজিজুল শেখ তিনি বলেন আমার ছেলে বিল ভোটে রাজার ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নির্বাচিত হয় চরে এবং ইউনিয়ন পরিষদে আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্বে সর্বহারারা মনিরুলকে খুন করেছেগত শুক্রবার রাতে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে যমুনার চক বয়ড়ার চর থেকে মনিরুলের লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ সদর থানার লিশ এ সময় তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের কোপের আঘাত পাওয়া যায় পরে ময়না তদন্তের জন্য শনিবার দুরে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠায় লিশ এ ঘটনায় নিহতের বাবা বেলকুচি উপজেলার চকবয়ড়া গ্রামের বাসিন্দা আজিজল শেখ বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১৫২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেনঅপরদিকে নিহতের সঙ্গী ও প্রত্যক্ষদর্শী চাচাতো ভাতিজা রাসেলকে লিশ আহত অবস্থায় উদ্ধারের পর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে শনিবার সকালে লিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ সদর হাসপাতালে গিয়ে রাসেলের সঙ্গে কথা বলেন দুরে সদর থানা লিশ চরের ওই উল্লেখিত ঘটনাস্থলের পাশে গিয়ে একটি ই ক্ষেত থেকে িকবিহীন অবস্থায় একটি পিস্তল উদ্ধার করেসদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি হেলাল উদ্দিন জানান রাজার ইউপি সদস্য ও স্থানীয় সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মনিরুল ইসলাম শুক্রবার তার ভাতিজা রাসেলকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে শুক্রবার রাতে বাড়ি ফিরছিলেন রাত ১১টার দিকে যমুনার চরের চক বয়ড়ার চরে সর্বহারারা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় এ সময় রাসেলকে লক্ষ্য করে লি ছুড়লেও সে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়জানা যায় নিহত মনিরুল নিজেও একজন নৌডাকাত ছিল যমুনার চরে সর্বহারা ও অপরাধীদের সঙ্গে তার বেশ সখ্যতাও ছিল জেলা ও জেলার বাইরে বিভিন্ন থানায় তার নামে অস্ত্র নৌডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধের একাধিক মামলা রয়েছেবেলকুচি উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীর সাধারণ সম্পাদক কা আহম্মেদ জানান মনিরুল আমাদের দলের কোনও সদস্য নন সে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় গত দেড় বছর আগে কমিটি বাতিল করা হয় এবং মনিরুলকে বহিস্কার করা হয়এসএনএইচ |
অধিবিদ্যা সিরিজ থেকে সাহিত্য নতুন বইয়ের খবর ৩১ জানুয়ারি ২০১৭ ১৩৩৮ একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৭তে কুমার চক্রবর্তীর কাব্যগ্রন্থ অধিবিদ্যা সিরিজ প্রকাশ করছে চৈতন্য প্রচ্ছদ করে মোস্তাফিজ কারিগর মূল্য ১৬০ টাকা নিদ্রাহীনতাঘুম জীবিতেরমৃতরা তো নিদ্রাহীনতরঙ্রচোখ খুলি বুঝিদূরত্বের রয়েছে যে দায়মরুভূমি উটের আয়নাজিরাফ তো দাঁড়িয়ে ঘুমায় দ্বিত্ব নদীলো হলো রেখাযা রচনা করে বৃত্তসমুদ্রেরপাথর জানে এই ইতিহাস কেননা তাদের রয়েছে স্তব্ধতাযা একাকার করে হ্রস্ব আর দীর্ঘতারগূঢ়ৈষাআমরাআসলে দুটিইজীবন ও মৃত্যুর অঙ্কআমার মধ্যে যা নেইতা রয়েছে তোমার ভেতরেতোমার মধ্যে যা নেই তা রয়েছে বৃক্ষের ভেতরে স্তব্ধ আর স্তবকিত পরিবর্তনযা উঁকি দেয় শরীরে তোমার কঙ্কালপ্রস্তুতি নেয় রূপান্তরেঅনন্তের তৃষ্ণায় মদওক গাছের পিঁপের ভেতরছলকে ওঠা মদএখনমাতলামি করতে করতেঘুমিয়ে পড়েছেআমার করোটির পেয়ালায় ভাষাঅব্যক্তের ভাষা নিয়ে লিখে যাই একটি কবিতাতোমরা তা পড়ে নিয়ো সুখীজন ব্যক্ত মানুষেরা এই ঋতুকালসমুদ্রের পথগুলোকে খুঁজতে গিয়ে আমিডুবে গিয়েছিলামআকাশের পথগুলোকে ধরতে গিয়ে আমিহারিয়ে গিয়েছিলাম এই ঋতুকাল প্রচ্ছন্নতার যদি থাকে ডানা জীবনের মরফিউস সকালে গাইছো তুমি বিকালের গানদেখছো জোছনা চাঁদ আর কালপুরুষঘুম হলো অবশতা যে তোমাকে ছুটি দেয়নিয়ে যায় নিদ্রাশ্রিত দেশেতুমি একা অনেক হাঁটার পর বিশ্রাম চেয়েছো দেখেছো শব্দের জন্মঘুমের ভেতরে প্রতিটি মানুষ রাতের সৌন্দর্যে স্থির সে ভাবে গূঢ়ের কথা ভাবেদেহের গভীরে লুকানো অজন্তার কথা আর ভাবেঘুম এক নিদ্রাসত্যমরফিউস করেছে প্রতিজ্ঞাযে তোমাকে নগ্ন করে কবিতার কাছেতারপর নিয়ে যায় দূর স্বপ্নলোকে তুমি এলে ফিরে সম্পূরিত জীবনের ঘরেসঙ্গে করে আনলে যে মেঘবিষণ্নতাতোমার নন্দনদেহ ঘুমঘোর আজ খোঁজে অন্তিমতা ফোটোফোবিয়া হাঁটার আগেইতারা কেটে নিয়েছিল আমার পাজোড়াঘুমানোর আগেইফেলেছিল উপড়ে খ দুটিলেখার আগেইহস্তযুগল জীবন ফোটোফোবিয়া উঁকিবাজ অন্ধকার হাসে কুমার চক্রবর্তীকবি প্রাবন্ধিক অনুবাদক জন্ম ২ চৈত্র ১৩৭১ বঙ্গাব্দ কুমিল্লা বাংলাদেশ প্রকাশিত গ্রন্থ কবিতা লগপুস্তকের পাতা ১৯৯৮ আয়না ও প্রতিবিম্ব ২০০৩ সমুদ্র বিষণ্নতা ও অলীক বাতিঘর ২০০৭ পাখিদের নির্মিত সাঁকো ২০১০ হারানো ফোনোগ্রাফের গান ২০১২ তবে এসো হে হাওয়া হে হর্ষনাদ ২০১৪ প্রবন্ধ ভাবনাবিন্দু ২০০২ ভাবনা ও নির্মিতি ২০০৪ মাত্রামানব ও ইচ্ছামৃত্যুর কথকতা ২০০৫২০০৬ অস্তিত্ব ও আত্মহত্যা ২০১২ শূন্যপ্রতীক্ষার ওতপ্রোতে আছি আমি আছে ইউলিসিস ২০০৯ মৃতদের সমান অভিজ্ঞ ২০০৯ কবিতার অন্ধনন্দন ২০১০ নির্বাচিত প্রবন্ধ ২০১৫ অনুবাদ আমি শূন্য নই আমি উন্মুক্ত টোমাস ট্রান্সট্যোর কবিতা ১৯৯৬২০০২২০১২ নির্বাচিত কবিতা ইহুদা আমিচাই ২০০৫২০১৩ মেঘ বৃক্ষ আর নৈঃশব্দ্যের কবিতা চেসোয়াভ মিউশ ২০১৪ |
অধিবেশন চলবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত জাতীয় ২৫ এপ্রিল ২০১৯ ১৯৩২ একাদশ জাতীয় সংসদের চলমান দ্বিতীয় অধিবেশন আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে সেই হিসেবে এই অধিবেশনের মেয়াদ ৫ দিন প্রতিদিন বিকাল ৫টায় বৈঠক শুরু হবে তবে স্পিকার চাইলে এক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে পারবেনবৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়কমিটির সভাপতি ও জাতীয় সংসদের স্পিকার ড শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রওশন এরশাদ আমির হোসেন আমু তোফায়েল আহমেদ রাশেদ খান মেনন হাসানুল হক ইনু মো ফজলে রাব্বী মিয়া আনিসুল হক আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং নূরইআলম চৌধুরীবৃহস্পতিবার বৈঠকের শুরুতে শ্রীলঙ্কার গির্জা ও হোটেলে সিরিজ বোমা হামলায় নিহতদের স্মরণে গভীর শোক প্রকাশ করা হয় সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীর সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের নাতি শিশু জায়ান চৌধুরীর নির্মম মৃত্যুতেও শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে কমিটিএই অধিবেশনে ১৪৭ বিধিতে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সাধারণ আলোচনার সিদ্ধান্ত হয়বৈঠকে জানানো হয় একাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনে সংসদে উত্থাপণের জন্য এ পর্যন্ত একটি সরকারি বিলের নোটিশ পাওয়া ছে এছাড়া গত অধিবেশনের পাঁচটি বিলসহ মোট ছয়টি সরকারি বিল রয়েছে পাসের অপেক্ষায় তিনটি কমিটিতে পরীক্ষাধীন দুইটি ও উত্থাপনের অপেক্ষায় একটি সরকারি বিল রয়েছে বেসরকারি সদস্যদের নিকট হতে কোনও বিলের নোটিশ পাওয়া যায়নি পূর্বে প্রাপ্ত ও অসমাপ্ত একটি বেসরকারি বিল রয়েছেজানা ছে আজ ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর জন্য ৪৪টি ও সাধারণ এক হাজার ৪০টি প্রশ্নসহ মোট এক হাজার ৮৪টি প্রশ্ন পাওয়া ছে এছাড়া সিদ্ধান্ত প্রস্তাব ১০৪টি বিশেষ অধিকার প্রশ্নের নোটিশের সংখ্যা একটি মনোযোগ আকর্ষণের নোটিশ ৮৮টি ও সংক্ষিপ্ত আলোচনার দুটি নোটিশ পাওয়া ছে |
অধিবেশনে যোগ দিলেন সুলতান মনসুর জাতীয় ০৭ মার্চ ২০১৯ ২০১৩ শপথ নিয়েই জাতীয় সংসদের অধিবেশনে যোগ দেন ধানের শীষ প্রতীকে গণফোরাম থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর তিনি ৭ মার্চের ভাষণের ওপর সংসদের অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নেন বৃহস্পতিবার ৭ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হয় জাতীয় সংসদের বৈঠক স্পিকারের আসনের বাম পাশে বিরোধী দলের আসনের দ্বিতীয় সারিতে তাকে আসন দেওয়া হয়৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার২ আসন থেকে নির্বাচিত হন সুলতান মনসুর গত ৩ জানুয়ারি নব নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠিত হয় সেসময় সুলতান মনসুরসহ বিএনপি ও গণফোরামের নির্বাচিত আট সদস্যের কেউই শপথ নেননি তারা ভোট ডাকাতির অভিযোগ তুলে শপথ না নেওয়ার ঘোষণা দেন তবে জাতীয় ঐক্যজোটভুক্ত দল ড কা হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরাম থেকে নির্বাচিত সুলতান মনসুর দলের সিদ্ধান্তের বিপরীতে শপথ নেওয়ার ইচ্ছে ষণ করেন তিনি শপথ নেওয়ার জন্য স্পিকারকে চিঠিও দেন এরপর বৃহস্পতিবার সকালে শপথ নেন তিনি এর কয়েকঘণ্টা পর এদিন বিকালেই তাকে দল থেকে বহিস্কার করে গণফোরাম |
অধিভুক্ত ৭টি কলেজে ঢাবির লোগো ব্যবহারের সুযোগ নেই উপাচার্য জাতীয় ১৩ মার্চ ২০১৭ ১৩৪৩ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত নতুন ৭টি কলেজে ঢাবির লোগো ব্যবহারের কোনও সুযোগ নেই বলে জানিয়ে উপাচার্য ড আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক তিনি বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তির ঘটনা তো এটা প্রথম নয় অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন কলেজ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত তারা স্বাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং তাদের নিজস্ব লোগো আছে তারা সেটা ব্যবহার করবেনসোমবার সকালে বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন লোগো ব্যবহার নিয়ে অস্পষ্টতা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন একটি শ্রেণি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অপপ্রচার চালিয়ে সমস্যা সৃষ্টি করছেনতুন অধিভুক্ত সাতটি কলেজ ও আগে অধিভুক্ত অন্যান্য কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান লোর মতো সু্যোগসুবিধা পাবে এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে বা কোনও ইউনিট হিসেবে অধিভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলাধুলায় অংশগ্রহণের কোনও সুযোগ থাকছে না বলেও বাংলা ট্রিবিউনকে জানান ঢাবি উপাচার্যএসটি |
অধীনস্থ ইউনিটের কমিটি গঠনে ছাত্রদলের নিষেধাজ্ঞা রাজনীতি ০৮ জুন ২০১৮ ১৮৫০ দেশের সব সাংগঠনিক ইউনিটগুলোকে তাদের অধীনস্থ ইউনিট গঠন ও নর্গঠন স্থগিত রাখতে নির্দেশ দিয়েছে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদ শুক্রবার ৮ জুন বিকালে সংগঠনের দফতর সম্পাদক মো আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়এতে আরও বলা হয় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবেদফতর সম্পাদক জানান ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুনুর রশীদ মামুন ও সাধারণ সম্পাদক মো আকরামুল হাসান শুক্রবার এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে একই সঙ্গে মানিকগঞ্জ ও সিলেট জেলা ছাত্রদলের ঘোষিত বিভিন্ন ইউনিটের কমিটি বাতিল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছেআবদুস সাত্তার পাটোয়ারী জানান ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাংগঠনিক নিয়ম লঙ্ঘন করে গত ৬ জুন মানিকগঞ্জের শিবালয় থানা হরিরামপুর থানা দৌলতপুর থানা সিঙ্গাইর থানা সরকারি দেবেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মানিকগঞ্জ পৌর সিঙ্গাইর পৌরসভা ঘিওর থানা শাখা এবং সিলেটের জৈন্তার উপজেলা কানাইঘাট উপজেলা গোলাপগঞ্জ উপজেলা গোলাপগঞ্জ পৌরসভা গোয়াইনঘাট উপজেলা কমিটি ঘোষণা করায় ঘোষিত কমিটি বাতিল করা হল |
অধূমপায়ীকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী করার পরামর্শ মোহাম্মদ নাসিমের জাতীয় ২৩ নভেম্বর ২০১৬ ০২৩৫ বিশ্বের সব দেশেই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে অধূমপায়ীকে বেছে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে মোহাম্মদ নাসিম সব দেশের রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দেওয়ার জন্যও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রতি অনুরোধ জানান তিনি চীনের সাংহাইয়ে চলমান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সম্মেলনের সাইড ইভেন্ট জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে তামাক ব্যবহার বন্ধ বিষয়ক আলোচনা সভায় তিনি এই পরামর্শ দেন মঙ্গলবার ২২ নভেম্বর সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছেআলোচনা সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন দেশের মানুষের স্বাস্থ্য মান উন্নয়নের দায়িত্ব নিয়ে কোনও মন্ত্রীর ধূমপানের অভ্যাস থাকা অনৈতিক এক্ষেত্রে সব দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ধূমপান থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানাতে পারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থামোহাম্মদ নাসিমের এ প্রস্তাব উত্থাপনের পর সভার মডারেটর উপস্থিত মন্ত্রীদের সম্মতি চাইলে সবাই করতালি দিয়ে তাকে স্বাগত জানানএসএমএএমএনএইচ |
অধ্যক্ষ নিয়োগ দ্বন্দ্বে ২ সপ্তাহ ধরে কলেজে ঝুলছে তালা দেশ রাজশাহী ০৪ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৫০৭ সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার একটি কলেজে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীর নেতাদের বিরুদ্ধে ২১ থেকে ২৬ নভেম্বর সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নে অবস্থিত কুড়িপাড়া কলেজের সব কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার এ ঘটনা ঘটে ননএমপিওভুক্ত কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বের জের ধরে এ অবস্থার সৃষ্টি হয় বলে শনিবার ৩ ডিসেম্বর সকালে সরেজমিনে লে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানান দুই সপ্তাহ ধরে পরিস্থিতির কোনও অগ্রগতি না থাকলেও আজ রবিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় কলেজের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও আওয়ামী লীর নেতাদের উপস্থিতিতে বিষয়টির সমাধানকল্পে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে কলেজ সূত্রে জানা ছে কলেজের সব কক্ষে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতারা তালা ঝুলিয়ে দেওয়ায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়ে বলে জানা যায় এ ঘটনায় শিক্ষাজীবন নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছে এইচএসসি পরীক্ষার আগে টেস্ট পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৫২ শিক্ষার্থীকলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রবিউল করিম বাংলা ট্রিবিউনকে জানান ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতারা নিজেদের পছন্দের ব্যক্তিকে অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য পাঁয়তারা করছে ম্যানেজিং কমিটি ও কলেজের স্টাফরা বিষয়টির বিরোধিতা করার কারণে কলেজে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে এ অবস্থায় ২৮জন ননএমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারী এবং ৩৬০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে বিপাকে পড়েছিএ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা খোকন মোবাইল ফোনে বাংলা ট্রিবিউনকে জানান ওই কলেজের আমার কোন পদপদবি নেই যা কিছু হয়েছে সবই ইউনিয়ন আওয়ামী লীর সভাপতির নেতৃত্বে হয়েছে আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে তাকে জিজ্ঞেস করুনইউনিয়ন আওয়ামী লীর সভাপতি আব্দুল মুক্তাদির বকুল বাংলা ট্রিবিউনকে জানান কলেজটি এমপিওভুক্তির তালিকায় রয়েছে এ অবস্থায় অধ্যক্ষ নিয়োগ জরুরি পত্রিকায় নিয়োগ দেওয়ার পরও একাধিকবার তারিখ নির্ধারণ করেও শিক্ষক ও স্টাফরা মিলে অধ্যক্ষ নিয়োগ করতে দেননি সৃষ্ট ঝামেলা সমাধানে স্থানীয় নেতারা উদ্যোগী হলেও কলেজের শিক্ষকরা এগিয়ে আসেননি যে কারণে কলেজে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে আশাকরছি শিগগিরই বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধা হয়ে যাবে কলেজের ইতিহাস বিভার প্রভাষক জহুরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে জানান কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট ঝামেলার কারণে ২১ নভেম্বর সকালে কলেজ চলাকালে স্থানীয় রতনকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা খোকন ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীর সভাপতি আব্দুল মুক্তাদির বকুল লোকজন নিয়ে কলেজে এসে অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন এরপর ২৬ নভেম্বর কলেজে এইচএসসির শিক্ষার্থীদের টেস্ট পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষার্থীদের কক্ষ থেকে বের করে দিয়ে কলেজের সব কক্ষে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয় এ অবস্থায় এইচএসসির শিক্ষার্থীদের সাতটি পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছেএ বিষয়ে এইচএসসির টেস্ট পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী বাণিজ্য বিভার মাসুদ রানা তন্নি তালুকদার বিজ্ঞান বিভার সাগর আহম্মেদ মানবিক বিভার সুজন মাহমুদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন ৬টি বিষয়ে টেস্ট পরীক্ষা দেওয়ার পর আমাদের পরীক্ষার কক্ষ থেকে বের দিয়ে তালা দেওয়া হয়েছে এ অবস্থায় শিক্ষাজীবন নিয়ে আমরা অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছি পাশাপাশি কলেজের অন্য শিক্ষার্থীরাও লেখাপড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেকলেজে স্বাভাবিক অবস্থা দ্রুত ফিরিয়ে আনার দাবি করে এ শিক্ষার্থীরা১৯৯৯ সালে ১১৫ শতক জায়গা নিয়ে কুড়িপাড়া কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় বর্তমানে এর শিক্ষার্থী সংখ্যা ৩৬০টিএনএইচকে |
অধ্যক্ষ পরিবর্তন ঘিরে ঢাকা ডেণ্টাল কলেজে অচলাবস্থা স্বাস্থ্য ০৩ অক্টোবর ২০১৮ ০৩৪৪ অধ্যক্ষ পরিবর্তন ঘিরে ঢাকা ডেন্টাল কলেজে চলছে অচলাবস্থা সংশ্লিস্টরা জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোও এ অচলাবস্থা সম্পূর্ণ নিরসনে হয়নিঢাকা ডেন্টাল কলেজ সূত্র জানায় সম্প্রতি কলেজের অধ্যক্ষ পরিবর্তন হয় এনিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুটি গ্রুপ তৈরি হয় গত সোমবার নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা হুমায়ুন কবির বুলবুলের কক্ষে তালা লাগিয়ে দেয় শিক্ষার্থীদের একটি অংশ রাতে ঘটনাস্থলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় একজন উপসচিব ও একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে পাঠানো হয় স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সহায়তায় তারা তালা ভেঙ্গে অধ্যক্ষকে তার কক্ষ বুঝিয়ে দেয় কক্ষ বুঝে পাওয়ার পর নতুন অধ্যক্ষ তার কক্ষে বসে দুই ঘন্টা অফিস করেন এসময় একজন সেচ্ছসেবকলীগ নেতা তাকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান মঙ্গলবার সকালে নিজ কক্ষে প্রবেশ করতে লে আবারও তালা দেখতে পান অধ্যক্ষএ প্রসঙ্গে নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা হুমায়ুন কবির বলেন আমাকে রাতে অফিস কক্ষ বুঝিয়ে দেয়া হলেও সকালে গিয়ে সেখানে তালা দেখতে পাই কয়েকজন চিকিৎসকরে নেতৃত্বে কিছু শিক্ষার্থীকে ওই কক্ষের সামনে অবস্থান করতে দেখি কক্ষে প্রবেশ করতে চাইলে তারা আমাকে বাধা দেয় একারণে আমি আজও অফিস করতে পারিনিতিনি বলেন আগামী ৫ অক্টোবর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা ঢাকা ডেন্টাল কলেজ ভর্তি পরীক্ষার একটি কেন্দ্র কিন্তু অফিস কক্ষ অবরুদ্ধ থাকায় ভর্তি পরীক্ষার কাজ করা সম্ভব হচ্ছে নাএ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক মেডিকেল শিক্ষা অধ্যাপক ডা মো আব্দুর রশিদ বলেন সমস্যাটা আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের চেষ্টা করছি আশা করছি দ্রুত সমাধান হবে |
অধ্যক্ষ পালিয়ে বেড়াচ্ছেন দেশ রাজশাহী ২৪ অক্টোবর ২০১৬ ০১৫৭ স্থানীয় প্রভাবশালীদের ভয়ে বগুড়ার ধুনট ডিগ্রি কলেজএর অধ্যক্ষ আবু মারজান মো শাহজাহান সপরিবারে পালিয়ে বেড়াচ্ বলে অভিযোগ পাওয়া ছে অভিযোগ অনুযায়ী প্রভাবশালী ওই ব্যক্তিরা বগুড়া৫ শেরপুরধুনটে আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য হাবিবর রহমানের লোক এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে ওই অধ্যক্ষ রবিবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ করে এ ব্যাপারে হাবিবর রহমানের বক্তব্য পাওয়া যায়নি তবে তার ব্যক্তিগত সহকারী পিএস কোরবান আলী মিলন অভিযোগ অস্বীকার করেঅধ্যক্ষ অভিযোগে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ধুনট ডিগ্রি কলেজ জাতীয়করণের জন্য তালিকাভুক্ত হয় গত ২৮ সেপ্টেম্বর কলেজ পরিদর্শনের দিন ছিল রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক ড আবদুল মান্নান সরকারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি দল ২৭ সেপ্টেম্বর বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমির আরডিএ রেস্ট হাউজে উঠেন তিনি অধ্যক্ষ সহকর্মীদের নিয়ে ওই দলের সঙ্গে দেখা করতে আরডিএতে যান রাত ১০টার দিকে এমপির পিএস কোরবান আলী মিলনের নেতৃত্বে একদল যুবক সেখানে গিয়ে পরিদর্শক দলের সদস্যদের গালিগালাজ করে ও প্রাণনাশের হুমকি দেয় এ অবস্থায় সবাই একটি কক্ষে আশ্রয় নিয়ে নিজেদের রক্ষা করেন নিরাপত্তার অভাবে পরিদর্শক দল পরদিন কলেজে না গিয়ে ফিরে যান জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ধুনট ও শেরপুর থানায় জিডি করতে লেও সন্ত্রাসীদের ভয়ে ব্যর্থ হন বাধ্য হয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর ডাকযোগে দুই থানায় সাধারণ ডায়েরি পাঠিয়ে দেনঅধ্যক্ষ আরও জানান বিষয়টি সুরাহা করতে পরবর্তী সময়ে তিনি সংসদ সদস্য হাবিবর রহমানের বাসায় যান সেখানে সংসদ সদস্য আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে তার আস্থাভাজন সিরাজুল ইসলাম লিটনকে পেছনের তারিখে উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দিতে চাপ দেন উল্লেখ্য ধুনট ডিগ্রি কলেজ জাতীয়করণে যে চিঠি এসেছে তাতে নিয়োর ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আছে এ কারণে পেছনের তারিখে নিয়োগ দেওয়ার কথা ওঠেঅধ্যক্ষ জানান তিনি নিষেধাজ্ঞার কারণে সংসদ সদস্যের প্রস্তাবে অস্বীকৃতি জানান এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেন এবং কলেজ জাতীয়করণের জন্য পরিদর্শন না করতে মাউশির মহাপরিচালককে নিষেধ করেন এতে কলেজ জাতীয়করণে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে হতাশা তৈরি হয়েছে শিক্ষক শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মধ্যেবর্তমানে এমপির লোকজনের ভয়ে অধ্যক্ষ পরিবার নিয়ে আত্মগোপনে আছেন অধ্যক্ষ তার অভিযোর বিষয়টি বিবেচনা করে ধুনট ডিগ্রি কলেজ জাতীয়করণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানিয়েএমপির পিএস কোরবান আলী মিলন বলেন অধ্যক্ষের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা কলেজের ১৯ লাখ টাকা আত্মসাতের বিষয়টি ধরে ফেলায় তিনি উপাধ্যক্ষ প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম লিটনকে নিয়োগ দিচ্ না অধ্যক্ষ সুবিধাবাদী তিনি নিজের দুর্নীতি ঢাকতে এমপি স্যারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছেনআওয়ামী লীর সম্মেলনে বগুড়ার বাইরে থাকায় এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য হাবিবর রহমানের বক্তব্য পাওয়া যায়নিএআরএল |
অধ্যক্ষ ফেন্সি হত্যাকাণ্ড ন্যায় বিচার নিয়ে শঙ্কায় স্বজনরা দেশ চট্টগ্রাম ১১ জুন ২০১৮ ১৬৪৭ চাঁদপুরে অধ্যক্ষ শাহীন সুলতানা ফেন্সি হত্যাকাণ্ডের ন্যায় বিচার নিয়ে শঙ্কায় আছেন তার মেয়ে ও স্বজনরা হত্যাকাণ্ডের জন্য অ্যাডভোকেট জহির তার দ্বিতীয় স্ত্রী জুলেখা বেগমকে অভিযুক্ত করে রবিবার চাঁদপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন নিহতের ছোট মেয়ে ও স্বজনরা এসময় তারা দোষিদের শাস্তির দাবি জানানসংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন নিহতের ছোট মেয়ে ডা ফাতিমা শাহীন ষ্প তিনি বলেন গত ৪ জুন সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে আমার মা অধ্যক্ষ শাহীন সুলতানা ফেন্সি তার নিজ বাসায় নির্মমভাবে খুন হন আমার বাবা অ্যাডভোকেট জহির তার দ্বিতীয় স্ত্রী জুলেখা বেগমের সহযোগিতায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েতিনি বলেনআমার বাবা অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম অনুমানিক চার বছর আগে দুই সন্তানের জননী জুলেখা বেগমের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন শেষ পর্যন্ত তিনি সকলের অগোচরে ওই নারীকে বিয়ে করেন শুনেছি ওই নারী তখন অন্তঃস্বত্ত্বা ছিল আমার বাবার এই অনৈতিক সম্পর্ক ও বিয়ে আমারা বোনেরাসহ আমার মা কখনোই মেনে নেইনি যা নিয়ে আমার মায়ের সঙ্গে আমার বাবার প্রায়ই ঝগড়াবিবাদ হতো এবং বাবা আমার মাকে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করতেন আমার বাবা প্রকাশ্যেই আমার মাকে জীবননাশের হুমকি দিতেন তার দ্বিতীয় স্ত্রীও মোবাইলে আমার মাকে হত্যার হুমকি দিতো যা আমার বোনেরা শুনেছি এবং দেখেছিতিনি আরও বলেন এ ব্যাপারে মাকে সাবধান করা হয় মায়ের নিরাপত্তার জন্য বোনেরা তাকে ইউরোপে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে কিন্তু মা বাবাকে ফেলে বোনদের সঙ্গে যাননি গত ৪ জুন সন্ধ্যায় আমার বাবা তার দ্বিতীয় স্ত্রীর প্ররোচনায় ও পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার মাকে খুন করে পরে দুজনে মিলে খুনের আলামত নষ্ট করে এটাকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে খুনের আলামত নষ্টসহ আগেপরের নানা ঘটনাই প্রমাণ করে আমার বাবা অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলামই আমার মায়ের খুনি তাছাড়া আমার মা জীবদ্দশায় আমাদের বলতেন আমার যদি অস্বাভাবিক মৃত্যুও হয় তবে তোমরা তোমাদের বাবাকে ছাড় দিও নানিহতের মেয়ে ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে শংকাবোধ করে বলেন মানুষ যখন চরম বিপদের সম্মুখীন হয় এবং যে কোনো বিষয়ে ন্যায় বিচার প্রাপ্তি নিয়ে শঙ্কাবোধ করে তখন মিডিয়ার শরণাপন্ন হয় আমরা আজ আপনাদের দ্বারস্থ হয়েছি এ হত্যাকাণ্ডের বিচার যেন কোনভাবেই প্ররোচিত না হয়তিনি দুঃখ করে বলেন আমার মা একজন অধ্যক্ষ ও সরকার দলীয় নেত্রী কিন্তু কোনও অজ্ঞাত কারণে চাঁদপুরের লোকজন চুপ করে আছেননিহতের বড় ভাই মামলার বাদী ফোরকান খান বলেন এখন পর্যন্ত কোনও দিকের চাপ দেখিনি লিশ আমাদের যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে তদন্ত কাজও ভালোভাবেই চলছে বলে মনে হচ্ছে তবে আইনজীবীরা যেভাবে আসামির পক্ষে অবস্থান নিয়ে সেটি খুবই লজ্জাজনকচাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মির্জা জাকির নিহতের বড় ভাই মো নঈমুদ্দিন খান মো নাছির উদ্দিন খান ছোট ভাই মো ফোরকান উদ্দিন খান বড় া আরিফুর খান বড় মেয়ে ফারজানা শাহীন পদ্ম ছোট মেয়ে ফাতেমা শাহীন ষ্প চাচাতো ভাই মানিক খান ছোট ভাইয়ের স্ত্রী খাদিজা আক্তার বেবি বড় ভাইয়ের স্ত্রী শামসুন্নাহার আক্তার বড় ভাইয়ের ছেলে ইফতেখার আহমেদ বড় ভাইয়ের মেয়ে রোবেনা সুলতানাউল্লেখ্য গত ৪ জুন চাঁদপুর শহরের পাকা মসজিদ এলাকার নিজ বাস ভবনের একটি কক্ষ থেকে গল্লাক ডিগ্রি আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ ও কেন্দ্রীয় মহিলা লীর সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীর যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলামের স্ত্রী শাহীন সুলতানা ফেন্সির রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে লিশ এ ঘটনায় নিহতের ভাই ফোরকান খান ফেন্সির স্বামী অ্যাডভোকেট জহির ও তার দ্বিতীয় স্ত্রীসহ চার জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন এরপর অ্যাডভোকেট জহির ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী জুলেখাকে লিশ গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায় পরে আদালত অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলামের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে এবং জুলেখাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেনলিশের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে অ্যাড জহিরের প্রেসার বেশি হওয়ার কারণে তাকে রিমাণ্ডে নেওয়া যাচ্ছে না |
অধ্যক্ষ ফেন্সি হত্যার ঘটনায় স্বামী ২ দিনের রিমান্ডে দেশ ০৬ জুন ২০১৮ ২২৩৯ চাঁদপুরে কলেজ অধ্যক্ষ ও মহিলা আওয়ামী লীর নেত্রী শাহিন সুলাতানা ফেন্সি হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার স্বামী জহিরুল ইসলামের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত একইসঙ্গে জহিরুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী জুলেখা বেগমকে কারাগারে পাঠিয়ে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছেবুধবার ৬ জুন আসামিদের আদালতে হাজির করা হলে চাঁদপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোশারফ কায়সার ইউসুফ এ আদেশ দেনআদালত সূত্র জানায় আজ আইনজীবী জহিরুল ইসলাম ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী জুলেখা বেগমকে আদালতে হাজির করা হয় এর পর মামলার প্রধান আসামি জহিরুল ইসলামকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির এসআই মহিউদ্দিন আর জহিরুল ইসলামের আইনজীবীরা তার জামিনের জন্য আবেদন করেন কিন্তু আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন এ ছাড়া এসময় মামলার দ্বিতীয় আসামি জুলেখা বেগমকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেোয়া হয়রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন কোর্ট ইন্সপেক্টর ইব্রাহিম খলিল তিনি আদালতকে বলেন বাদীপক্ষ জহিরুল ইসলামকে প্রধান আসামি করেছে লিশ তদন্ত চালাচ্ছে এক্ষেত্রে জহিরুল ইসলামকে রিমান্ডে নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছেআসামিপক্ষের আইনজীবী চাঁদপুর বারের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লা আল মামুন আদালতকে জানান জহিরুল ইসলাম বারের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি একজন রাজনীতিকও তাকে ফাঁসানোর জন্য তৃতীয় কোনও পক্ষ এ ঘটনা ঘটাতে পারে এরপর তার জামিনের জন্য আবেদন করেন আব্দুল্লা আল মামুনবুধবার ওয়াপদা ইট এলাকায় বাদ আসর নিহত শাহীন সুলতানা ফেন্সির প্রথম জানাজা হয় রাতে তার দাফন হবে বলে স্বজনরা জানিয়েগত ৪ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে চাঁদপুর শহরের পাকা মসজিদ এলাকার নিজ বাসা থেকে ফরিদগঞ্জ উপজেলার গল্লাক ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শাহীন সুলতানা ফেন্সির ৫০ রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয় এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তার স্বামী জেলা আওয়ামী লীর যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জহিরুল ইসলাম ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী জুলেখাকে আটক করা হয় পরদিন ৫ জুন ৪ জনের নাম উল্লেখ করে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন ফেন্সির ভাই ফোরকান খান |
অধ্যক্ষ ফেন্সি হত্যায় জহির ও জুলেখার সম্পৃক্ততা পেয়েছে পুলিশ দেশ চট্টগ্রাম ২৮ জুন ২০১৮ ১০৪৬ চাঁদপুরের কলেজ অধ্যক্ষ ও মহিলা আওয়ামী লীর নেত্রী শাহিন সুলতানা ফেন্সি হত্যাকাণ্ডে তার স্বামী জেলা আওয়ামী লীর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড জহিরুল ইসলাম ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী জুলেখা বেগমের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে লিশ হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নকারী হিসেবে এ দুজনের বিষয়ে যথেষ্ট তথ্যউপাত্ত রয়েছে বুধবার ২৭ জুন বিকালে জেলা লিশ সুপার শামসুন্নাহার তার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েপ্রেস ব্রিফিংয়ে লিশ সুপার শামসুন্নাহার বলেন এ হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নকারী হিসেবে অ্যাড জহিরুল ইসলাম এবং তার দ্বিতীয় স্ত্রী জুলেখা বেগমের সম্পৃক্ততার বিষয়ে আমাদের কাছে তথ্যউপাত্ত রয়েছে সেলো আমরা যাচাইবাছাই করে দেখছি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এখন এর বেশি কিছু বলা যাচ্ছে নাতিনি আরও বলেন এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত একজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে এ হত্যাকাণ্ডটি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আপনাদের সহযোগিতা চাই কেউ বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিবেন না আমরা চাই এমন নিষ্ঠুরনির্মম হত্যাকাণ্ডের সঠিক তদন্ত এবং প্রকৃত খুনির বিচার হোক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত লিশ সুপার অপরাধ ও প্রশাসন মো মিজানুর রহমান ডিবির ওসি আল মামুন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী সাধারণ সম্পাদক মির্জা জাকিরসহ চাঁদপুরে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা এদিকে এই মামলার প্রধান আসামি অ্যাড জহির খুনের কথা স্বীকার না করলেও পরিকল্পিত এ হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া ময়মনসিহং মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র ও জহিরে দ্বিতীয় স্ত্রীর চাচাতো ভাই রাকিবুল হাসান ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেউল্লেখ্য গত ৪ জুন সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার গল্লাক ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শাহীন সুলতানা ফেন্সির ৫০ রক্তাক্ত লাশ চাঁদপুর শহরের পাকা মসজিদ এলাকায় তার নিজ বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তার স্বামী জেলা আওয়ামী লীর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড জহিরুল ইসলাম ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী জুলেখাকে আটক করা হয় পরদিন ৫ জুন ৪ জনের নাম উল্লেখ করে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন ফেন্সির ভাই ফোরকান উদ্দিন খান পরে তাদের ওই মামলার আসামি হিসেবে গ্রেফতার দিয়ে রিমান্ডে নেয় লিশপরে লিশ তদন্তের মাধ্যমে গ্রেফতার করে জুলেখার চাচাতো ভাই ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র রাকিবুলকে এরপর মঙ্গলবার চাঁদপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের একজন বিচারকের উপস্থিতিতে রাকিব জবানবন্দিতে জানিয়েছে সে এবং আরেক চাচাতো ভাই লিমন টাকার বিনিময়ে ফেন্সিকে হত্যা করে হত্যাকাণ্ডের সময় রাকিব ফেন্সির পা চেপে ধরে আর অন্যরা মাথায় আঘাত করে |
অধ্যক্ষ মাহফুজা চৌধুরী হত্যা ২ গৃহকর্মীর সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে পুলিশ অন্যান্য ০২ আগস্ট ২০১৯ ১৯৫৬ রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মাহফুজা চৌধুরী পারভীন হত্যা মামলায় দুই গৃহকর্মী স্বপ্না ও রেশমার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে একই সঙ্গে ওই দুজনের জোগানদাতা রুনু বেগম ওরফে রাকিবের মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ার তার অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে শুক্রবার ২ আগস্ট সংশ্লিষ্ট শাখার সাধারণ নিবন্ কর্মকর্তা জিআরও সাফায়েত শরীফ বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানানজিআরও সাফায়েত শরীফ বলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক এসআই আলমগীর হোসেন গত ১৮ জুলাই অভিযোগপত্রটি আদালতে সংশ্লিষ্ট থানার জিআর শাখায় জমা দেন মামলাটির আগামী ২৫ আগস্ট ধার্য তারিখ ওই দিনেই অভিযোগপত্রটি আদালতে উপস্থাপন করা হবেতদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় গৃহকর্মী রেশমা ও স্বপ্নার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ময়নাতদন্ত ও জব্দকৃত আলামতের ভিত্তিতে ভিকটিম মাহফুজা চৌধুরী পারভীনকে হত্যার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে মামলার আসামি রেশমা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ভিকটিম মাহফুজা চৌধুরী পারভীনকে নাকমুখে ওড়না পেঁচিয়ে িশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এসময় তারা ২০ ভরি সোনা দুটি মোবাইল ফোন এবং নগদ ৫০ হাজার টাকা চুরি করে অপর আসামি রুনু বেগমের বিরুদ্ধে ঘটনায় জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট কোনও সাক্ষ্য প্রমাণ না পাওয়ায় অব্যাহতির আবেদন করেন ওই তদন্ত কর্মকর্তাগত ১০ জুলাই মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল তবে তদন্ত কর্মকর্তা লিশের এসআই আলমগীর হোসেন প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম সাইদুজ্জামান শরীফ নতুন তারিখ ধার্য করেনপ্রসঙ্গত গত ১০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের নিজ বাসায় খুন হন মাহফুজা চৌধুরী তিনি ওই রোডের সুকন্যা টাওয়ারের একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের স্বামী ইসমাত কাদির গামা বাদী হয়ে নিউ মার্কেট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন মামলায় দুই গৃহকর্মী স্বপ্না ৩৬ ও রেশমাসহ ৩০ তিনজনকে আসামি করা হয় দুই গৃহকর্মীর সহযোগী রুনু বেগম ওরফে রাকিবের মাকে গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নেয় লিশ রুনুর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে স্বপ্না ও রেশমাকেও গ্রেফতার করা হয় পরে তারা আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেনমাহফুজা চৌধুরী পারভীন ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ইডেন কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন তার স্বামী ইসমাত কাদির গামা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান তিনি ডাকসুর সাবেক জিএস ও ছাত্রলীর সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন |
অধ্যক্ষ মাহফুজা চৌধুরী হত্যায় দুজন রিমান্ডে অন্যান্য ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৯০৬ ইডেন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মাহফুজা চৌধুরী পারভীনকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত দুইজনের চারদিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করে আদালত শনিবার ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমান রিমান্ড শুনানি শেষে এ আদেশ দেন রিমান্ডে নেওয়া অভিযুক্তরা হলেন গৃহকর্মী রিতা আক্তার ওরফে স্বপনা এবং রুনু বেগমমামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানার উপ পরিদর্শক আলমগীর হোসেন মজুমদার তাদের আদালতে হাজির করে হত্যার মূল রহস্য বের করতে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন মামলাটি একটি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা অভিযুক্তরা তাদের নামঠিকানা গোপন করে মিথ্যা নামঠিকানায় রাজধানী বিভিন্ন বাসায় কাজের বুয়া হিসেবে কাজ করছে তারা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত আবেদনে আরও বলা হয় গত ১০ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজসে মাহফুজা চৌধুরী পারভীনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ২০ ভরি সোনা একটি মোবাইল ফোনসহ নগদ ৫০ হাজার টাকা চুরি করে পালিয়ে যায় গত শুক্রবার ১৫ ফেব্রুয়ারি তাদের গ্রেফতার করা হয়উল্লেখ্য গত রবিবার ১০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবের সুকন্যা টাওয়ারের একটি ফ্ল্যাট থেকে মাহফুজা চৌধুরী পারভীনের লাশ উদ্ধার করে লিশ ওই ঘটনা নিহতের স্বামী ইসমত কাদির গামা নিউ মার্কেট থানায় বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেনআরও পড়ুন সোনার গহনা ও টাকার জন্যই খুন করা হয় মাহফুজা চৌধুরীকে |
অধ্যক্ষ মাহফুজা হত্যা ১০ জুলাই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ অন্যান্য ১৩ জুন ২০১৯ ১০৪৫ ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মাহফুজা চৌধুরী পারভীন খুনের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ১০ জুলাই ধার্য করে আদালত বৃহস্পতিবার ১৩ জুন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের ধার্য ছিল কিন্ত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানা লিশের উপপরিদর্শক আলমগীর মজুমদার প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম সাইদুজ্জামান শরীফ এ দিন ধার্য করেন আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার জিআর শাখা লিশের কনস্টেবল মজিবুর রহমান এ তথ্য জানান উল্লেখ্য ১০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের সুকন্যা টাওয়ারে নিজ বাসায় খুন হন মাহফুজা চৌধুরী ওই ঘটনায় নিহতের স্বামী ইসমাত কাদির গামা বাদী হয়ে নিউ মার্কেট থানায় একটি হত্যা মামলা করেন মামলায় দুই গৃহকর্মী স্বপ্না ৩৬ ও রেশমাসহ ৩০ তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয় পরবর্তীতে ওই দুই গৃহকর্মীর যোগানদাতা রুনু বেগমকে গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নেয় লিশ স্বপ্না ও রেশমা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে বর্তমানে তিনজনই কারাগারে রয়েছেমাহফুজা চৌধুরী পারভীন ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন তার স্বামী ইসমাত কাদির গামা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান তিনি ডাকসুর সাবেক জিএস ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীর সাবেক সাধারণ সম্পাদকআরও পড়ুন ইডেনের সাবেক অধ্যক্ষ হত্যা ১৩ জুন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় ইডেন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষকে |
অধ্যক্ষ যজ্ঞেশ্বর হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু দেশ রাজশাহী ১৭ জানুয়ারি ২০১৮ ১৮১১ পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার আলোচিত সন্ত গৌড়ীয় মঠের অধ্যক্ষ যজ্ঞেশ্বর হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে বুধবার ১৭ জানুয়ারি জেলা ও দায়রা জজ ও স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক আবু মনসুর মো জিয়াউল হকের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় বিকেল সাড়ে ৩টায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয় বুধবার মামলার ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয় সাক্ষ্যগ্রহণের সময় মামলার অন্যতম আসামি জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজিব ওরফে আন্ধী আলমগীর হোসেন রমজান আলী খলিলুর রহমান ও হারেস আলীকে আদালতে হাজির করা হয় কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে পাঁচ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয় এবং সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর পিপি অ্যাডভোকেট আমিনুর রহমান জানান সাক্ষ্যগ্রহণের সময় এক সাক্ষি জানান হত্যাকাণ্ডের আগে তিনি আসামি আলমগীরকে ওই এলাকায় মোটরসাইকেল নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আরেক সাক্ষি জানিয়ে হত্যাকাণ্ডের পর আসামিরা তাদের ব্যবহৃত অস্ত্রগুলো রমজান আলীর বাড়িতে রেখে চলে যান তিনি আরও জানান যজ্ঞেশ্বর হত্যা মামলায় ৪৫ জন সাক্ষীর মধ্যে আজ ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে আদালত আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেউল্লেখ্য ২০১৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি দেবীগঞ্জের শ্রী শ্রী সন্ত গৌড়ীয় মঠের অধ্যক্ষ যজ্ঞেশ্বরকে গলাকেটে হত্যা করে জেএমবি সদস্যরা এ ঘটনায় ১০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বড় ভাই রবীন্দ্রনাথ রায় দেবীগঞ্জ থানা লিশ ১০ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৬ সালের ১৬ জুন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন ১০ আসামির মধ্যে চার জন বিভিন্ন স্থানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হনআরও পড়ুন হিলিতে এক সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৮ টাকা |
অধ্যক্ষ যেভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী অন্যান্য ২৮ মার্চ ২০১৭ ১৭৫১ যার কাছে প্রশ্নপত্র সবচেয়ে নিরাপদ থাকার কথা সেই অধ্যক্ষই প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত এমনই একজন অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করা হয়েছে জানা ছে কিভাবে তার মাধ্যমে গড়ে উঠেছিল প্রশ্নপত্র ফাঁসের চক্র সোমবার রাজধানীর তেজগাঁও এলাকার সাতরাস্তা থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও বিক্রির অভিযোগে একজন অধ্যক্ষ তিনজন শিক্ষক এক অফিস সহকারী ও চার ছাত্র সহ মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা ডিবি লিশতারা হলেন আশুলিয়ার গাজীরচট এএম উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মো মোজাফফর হোসেন টঙ্গীর কোনিয়া কোচিং সেন্টারের শিক্ষক মো হামিদুর রহমান ওরফে তুহিন সৃষ্টি সেন্ট্রাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গণিত শিক্ষক মো জাহাঙ্গীর আলম এএম উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষক মো আতিকুল ইসলাম অফিস সহকারী মো আব্দুল মজিদ এবং ছাত্র মো আরিফ হোসেন আকাশ ওরফে আদু ভাই মো সাইদুর রহমান মো রাকিব হোসেন ও তানভীর হোসেন তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছেএ বিষয়ে ডিবি লিশের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন আশুলিয়ার গাজীরচট এএম উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই সাধারণত প্রশ্নপত্র কেন্দ্রে চলে যায় এই সুযোগটা নিতো কলেজের অধ্যক্ষ প্রশ্নপত্র পরীক্ষা কেন্দ্রের কক্ষে পাঠানোর এক ঘণ্টা আগে তা খুলে দ্রুত ছবি নিতো মোবাইলে সাধারণত এমসিকিউ ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের ছবি তুলে তা সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের দিয়ে সমাধান করানো হতো ফেসবুকে তাদের একটি ক্লোজ গ্রুপে দুই হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে উত্তর লেখা হলে তা ওই গ্রুপে দিয়ে দেওয়া হতো উত্তর দেখেই শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতোতিনি আরও বলেন শিক্ষক ও ছাত্র উভয়ই এই ক্লোজ গ্রুপটির অ্যাডমিন গ্রুপটি থেকে ২০১৬ সালের জেএসসির বাংলা দ্বিতীয় পত্র গণিত ইংরেজি কৃষিশিক্ষা চারু ও কারু কলা একই বছরের এইচএসসির উচ্চতর গণিত প্রথম পত্র রসায়ন জীববিজ্ঞান এবং ২০১৭ সালের এসএসসির বাংলা দ্বিতীয় পত্র ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র গণিত ও পদার্থবিজ্ঞান সহ বিভিন্ন বিষয়ের ভুয়া প্রশ্নপত্র প্রশ্নপত্র ফাঁসের জবের স্ক্রিনশট উদ্ধার করা হয়েছেগ্রুপটিতে থাকা শিক্ষার্থীরা প্রশ্নপত্র ও উত্তর পাওয়ার পর প্রত্যেকে পাঁচ হাজার টাকা করে বিকাশ করতো বলে জানান ডিবি লিশের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন তিনি বলেন এই টাকা শিক্ষক ও ফাঁসচক্রের অন্যদের মধ্যে ভাগ করা হতো একইভাবে সৃষ্টি সেন্ট্রাল স্কুল ও কলেজের গণিত শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমও তার স্কুল থেকে এভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে আসছিলতিনি আরও বলেন আমরা প্রশ্নপত্র ফাঁসের সোর্সকে চিহ্নিত করার জন্য তিনটা জায়গায় নজরদারি করেছি প্রথমত প্রশ্নপত্র প্রণয়ন কমিটি বা ম্যানেজমেন্ট কমিটি দ্বিতীয়ত যেখান থেকে প্রশ্ন ছাপানো হয় তৃতীয়ত প্রশ্নপত্র জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও যেসব সেন্টার থেকে বিতরণ হয় এর মধ্যে আমরা তৃতীয় জায়গা থেকে দুটি চক্রকে গ্রেফতার করেছি তারা প্রাথমিকভাবে এই অপরাধে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেআব্দুল বাতেন বলেন প্রিন্সিপাল মোজাফফর হোসেনের নেতৃত্বে অন্যান্য আসামীরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন নামে ফেসবুক গ্রুপ ইমো হোয়াটস অ্যাপ এর মাধ্যমে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ আদায় করছিলশুধু মোজাফফর হোসেন নয় এর আগে রাজধানীর কমলার শেরইবাংলা রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আব্দুল আলিমকেও প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল ডিবি লিশ আব্দুল আলিমও একই পদ্ধতিতে প্রশ্ন ফাঁস করতো একই স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক রফিকুল ইসলাম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানিয়েছে সে অধ্যক্ষের নির্দেশেই এই কাজ করতো দুজনেই বর্তমানে কারাগারে রয়েছেএআরআরএএআর |
অধ্যক্ষ সিরাজসহ মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ৪ আসামি চট্টগ্রাম ও কুমিল্লার কারাগারে দেশ চট্টগ্রাম ১৩ নভেম্বর ২০১৯ ২৩৩০ ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে ড়িয়ে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া চারজনকে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে এর মধ্যে মূল আসামি সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার বরখাস্ত হওয়া অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাও রয়ে ফেনী জেলা কারাগারে পৃথক কনডেম সেল না থাকায় এখান থেকে বুধবার ১৩ নভেম্বর কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে তাদের চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয় এর আগে গতকাল মঙ্গলবার এ মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ১২ আসামিকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয় ফেনী কারাগারের জেলার দিদারুল আলম বাংলা ট্রিবিউনকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেনজেলার দিদারুল আলম জানান মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কামরুন্নাহার মণি ও উম্মে সুলতানা ওরফে পপিকে বুধবার সকালে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয় আর বিকালে সিরাজ উদ দৌলা ও আওয়ামী লীগ নেতা মো রুহুল আমিনকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ১৬ জনের মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার ১২ জনকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয় কারা মহাপরিদর্শকের নির্দেশে তাদের চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছেএর আগে গত ২৪ অক্টোবর ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো মামুনুর রশিদ নুসরাত হত্যা মামলার রায়ে ১৬ আসামির মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেনউল্লেখ্য সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী ছিলেন নুসরাত জাহান রাফি তাকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে এ ঘটনায় নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী থানায় মামলা দায়ের করেন এরপর অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে লিশ পরে মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে নুসরাতের পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয় গত ৬ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে আলিম পর্যায়ের আরবি প্রথম পত্রের পরীক্ষা দিতে ওই মাদ্রাসা কেন্দ্রে যান নুসরাত এসময় তাকে পাশের বহুতল ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়া হয় ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুসরাত মারা যান এ ঘটনায় নুসরাতের বড় ভাই বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন |
অধ্যক্ষ সিরাজের অনেক অপকর্মের কথা আগে থেকে জানতাম সাক্ষী নুরুল আমিন দেশ চট্টগ্রাম ০৩ জুলাই ২০১৯ ২০৫১ ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে ড়িয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি অধ্যক্ষ সিরাজ উদৌল্লাহর অনেক অপকর্মের কথা আগে থেকে জানতেন বলে আদালতকে জানিয়ে চার নম্বর সাক্ষী নুরুল আমিন বুধবার ৩ জুলাই ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে আইনজীবীদের জেরাকালে তিনি এ কথা বলেনআদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর হাফেজ আহাম্মদ এবং বাদীর আইনজীবী শাহজাহান সাজু বলেন চার নম্বর সাক্ষী মাদ্রাসার অফিস সহকারী নুরুল আমিনের ও আসামি পক্ষের জেরা সম্পন্ন হয়েছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় এই মামলার ৫ নম্বর সাক্ষী মাদ্রাসার দারোয়ান মো মোস্তফার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য তারিখ ধার্য রাখা হয়েছে সকাল ১০টা থেকে দুর ১টা পর্যন্ত চার নুরুল আমিন দ্বিতীয় দিনের মতো সাক্ষ্য দেন পরে তাকে দুর আড়াইটা পর্যন্ত মামলার প্রধান আসামি সিরাজ উদদৌল্লাহর আইনজীবী ফরিদ উদ্দিন খান নয়ন ও আহসান কবির বেঙ্গলসহ আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জেরা করেনবাদীর আইনজীবী শাহজাহান সাজু বলেন এক প্রশ্নের জবাবে সাক্ষী নুরুল আমিন জানান তিনি অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌল্লার নির্দেশে ২৭ মার্চ সকালে নুসরাতকে ক্লাস থেকে অধ্যক্ষের কক্ষে ডেকে নেন এর কয়েক মিনিট পর অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে নুসরাতকে কাঁদতেকাঁদতে বের হয়ে বাড়ি চলে যেতে দেখেন এছাড়া তিনি অধ্যক্ষ সিরাজের বহু অপকর্মের নীরব সাক্ষী ছিলেন বলে আদালতে সাক্ষ্য দেন ও জেরাকালে স্বীকার করেন আদালত সূত্র জানায় ২৭ ও ৩০ জুন নুসরাত হত্যা মামলার বাদী ও নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমানকে জেরার মধ্য দিয়ে বহুল আলোচিত এ মামলার বিচার কাজ শুরু হয় এরপর নুসরাতের সহপাঠী নিশাত সুলতানা ও নাসরিন সুলতানা ফূর্তি সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন করে২৯ মে আদালতে লিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিশন পিবিআই ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে ৮০৮ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র দাখিল করে ৩০ মে মামলাটি ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে স্থানান্তর হয় ১০ জুন মামলাটি আমলে নিয়ে শুনানি শুরু হয় ২০ জুন অভিযুক্ত ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন বিচারিক আদালতএ মামলায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা নুর উদ্দিন শাহাদাত হোসেন শামীম উম্মে সুলতানা পপি কামরুন নাহার মনি জাবেদ হোসেন আবদুর রহিম ওরফে শরীফ হাফেজ আবদুল কাদের ও জোবায়ের আহমেদ এমরান হোসেন মামুন ইফতেখার হোসেন রানা ও মহিউদ্দিন শাকিল আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেনপ্রসঙ্গত সোনাগাজীর ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান ওরফে রাফিকে ৬ এপ্রিল গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা ১০ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে মারা যান তিনি এ ঘটনায় নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে আটজনকে আসামি করে সোনাগাজী থানায় মামলা করেন পরে মামলাটি পিবিআইতে স্থানান্তর করা হয় লিশ ও পিবিআই এই মামলায় ২১ জনকে গ্রেফতার করে তাদের মধ্যে ১২ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন ২৭ মার্চ নিজ কক্ষে ডেকে নুসরাতকে যৌন হয়রানি করেন অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা এ ঘটনায় নুসরাতের মা বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করলে লিশ সিরাজ উদদৌলাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায় ওই মামলা তুলে না নেওয়ার কারণে আগুনে ড়িয়ে হত্যা করা হয় নুসরাতকে |
অধ্যক্ষ সিরাজের কক্ষ থেকে নুসরাতকে কাঁদতে কাঁদতে বের হতে দেখি অফিস সহকারী দেশ ০৩ জুলাই ২০১৯ ০১৫৭ ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে ড়িয়ে হত্যা মামলায় মঙ্গলবার ২ জুলাই বিকালে চতুর্থ দিন বিচারিক আদালতে আংশিক সাক্ষ্য দিয়ে চার নম্বর সাক্ষী মাদ্রাসার অফিস সহকারী নুরুল আমিন ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে এই সাক্ষ্য দেন তিনি আদালত বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত তার সাক্ষ্য নিয়ে শুনানি মুলতবি করেন বুধবার ৩ জুলাই বেলা ১১ টায় তার অবশিষ্ট সাক্ষ্য ও জেরা গ্রহণের জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করেন বিচারক বিচারিক আদালতের সরকারি কৌঁসুলি পিপি হাফেজ আহাম্মদ এসব তথ্য জানিয়েবাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহজাহান সাজু বলেন নুরুল আমিন সাক্ষ্য দেওয়ার সময় আদালতকে বলেন অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার নির্দেশে ২৭ মার্চ সকালে নুসরাতকে ক্লাস থেকে অধ্যক্ষের কক্ষে যেতে বলেছিলাম তিনি সে সময় ক্লাশে বসে সহপাঠীদের সঙ্গে গল্প করছিলেন নুসরাত তার বান্ধবী নিশাত সুলতানা ও নাসরিন সুলতানা ফূর্তিকে নিয়ে অধ্যক্ষের কক্ষে যান অধ্যক্ষ সিরাজ নিশাত ও ফূর্তিকে কক্ষের বাইরে বের করে দেন এর কয়েক মিনিট পর অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে নুসরাতকে কাঁদতে কাঁদতে বের হয়ে বাড়ি চলে যেতে দেখি পরে দেখি নুসরাতকে সঙ্গে নিয়ে তার মা ভাই রাশেদুল হাসান রায়হান ও স্থানীয় কাউন্সিলর ইয়াসিন অধ্যক্ষের কক্ষে যান এ সময় অধ্যক্ষ সিরাজ উল্টো তাকে গালমন্দ করেন এবং নুসরাতের চরিত্র হননের অপচেষ্টা করেন তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে অধ্যক্ষ ফোন করলে লিশ মাদ্রাসায় যায় এর আগে একই আদালতে বেলা ১১টা থেকে তিনটা পর্যন্ত সাক্ষী নাসরিন সুলতানা ফূর্তিকে জেরা করে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা আদালত সূত্র জানায় ২৭ ও ৩০ জুন নুসরাত হত্যা মামলার বাদী ও নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমানকে জেরার মধ্য দিয়ে বহুল আলোচিত এ মামলার বিচার কাজ শুরু হয় ১ জুলাই নুসরাতের সহপাঠী নিশাত সুলতানার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয় ২৯ মে আদালতে লিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিশন পিবিআই ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে ৮০৮ পৃষ্ঠার চার্জশিট দাখিল করে ৩০ মে মামলাটি ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে স্থানান্তর করা হয় ১০ জুন মামলাটি আমলে নিয়ে শুনানি শুরু হয় ২০ জুন অভিযুক্ত ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন বিচারিক আদালতএ মামলায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা নুর উদ্দিন শাহাদাত হোসেন শামীম উম্মে সুলতানা পপি কামরুন নাহার মনি জাবেদ হোসেন আবদুর রহিম ওরফে শরীফ হাফেজ আবদুল কাদের জোবায়ের আহমেদ এমরান হোসেন মামুন ইফতেখার হোসেন রানা ও মহিউদ্দিন শাকিল আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেনপ্রসঙ্গত সোনাগাজীর ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান ওরফে রাফিকে গত ৬ এপ্রিল গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা ১০ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে মারা যান তিনি এ ঘটনায় নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে আটজনকে আসামি করে সোনাগাজী থানায় মামলা করেন পরে মামলাটি পিবিআইতে স্থানান্তর করা হয় লিশ ও পিবিআই এই মামলায় ২১ জনকে গ্রেফতার করে তাদের মধ্যে ১২ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেনএর আগে গত ২৭ মার্চ নিজ কক্ষে ডেকে নুসরাতকে যৌন হয়রানি করেন অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা এ অভিযোগে নুসরাতের মা বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করলে লিশ সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায় ওই মামলা তুলে না নেওয়ায় আগুনে ড়িয়ে হত্যা করা হয় নুসরাতকে |
অধ্যক্ষ সিরাজের যৌন হয়রানির শিকার আরেক ছাত্রীর জবানবন্দি দেশ চট্টগ্রাম ০৭ মে ২০১৯ ১০৫৬ নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার প্রধান আসামি অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা মাস ছয় আগে আরেক ছাত্রীকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে যৌন হয়রানি করেছিল মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছে এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দিয়েও বিচার পায়নি ওই ছাত্রী নুসরাত হত্যা মামলার সাক্ষী ওই ছাত্রী রবিবার ৫ মে আদালতে ওই ছাত্রীর জবানবন্দি থেকে এসব তথ্য জানা ছেফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম জাকির হোসাইনের আদালতে ওই ছাত্রীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয় জবানবন্দিতে তিনি বলেনছয় মাস আগে ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর সোনাগাজী সিনিয়র ফাজিল মাদ্রসার অধ্যক্ষ সিরাজ তার কক্ষে ডেকে মাদ্রাসায় ও পরীক্ষায় নানা ধরনের সুযোগসুবিধা দেওয়ার লোভ দেখায় তাকে এরপর তাকে যৌন হয়রানি করেন পরে সে বিষয়টি তার বাবাকে জানায় তার বাবা প্রতিকার চেয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি বরাবর লিখিত আবেদন করেন কিন্তু মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি অভিযোগটি ধামাচাপা দেয়এই প্রসঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক শাহ আলম বলেন চারজন সাক্ষীর আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে অধ্যক্ষ সিরাজের এই ধরনের বহু অপকর্মের তথ্য রয়েছেপ্রসঙ্গত ৬ এপ্রিল নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সে মারা যায় পরে নুসরাতের ভাই বাদী হয়ে সোনাগাজী থানায় মামলা করেন এর আগে ২৭ মার্চ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা করেন নুসরাতের মা মামলা তুলে নিতে রাজি না হওয়ায় নুসরাতের গায়ের আগুন দেওয়া হয় নুসরাত হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ১২ আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে |
অধ্যক্ষউপাধ্যক্ষকে পেটালেন ছাত্রলীগ নেতারা দেশ ২৯ জুন ২০১৮ ১৯৩৫ ছাত্রছাত্রীদের কাছে নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্রস্পেক্টাস ও পাঠ পরিকল্পনা বিক্রি করে দিতে রাজি না হওয়ায় পাবনার ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড মো আব্দুস সবুর খান ও উপাধ্যক্ষ আব্দুল জলিলকে ছাত্রলীর নেতারা পিটিয়ে বলে অভিযোগ পাওয়া ছে এসময় তারা অধ্যক্ষের কক্ষের টেবিল সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্কসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর ও কাগজপত্র তছনছ করে একাদশ শ্রেণির ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার ২৮ জুন বিকালে এ ঘটনা ঘটেপ্রত্যক্ষদর্শীরা জানান ঈশ্বরদী উপজেলা ছাত্রলীর সভাপতি রাকিবুল হাসান রনি কলেজ ছাত্রলীর সভাপতি খন্দকার আরমান সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হাসানসহ প্রায় ৪০ জন নেতাকর্মীরা কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে এসে তার ওপর চড়াও হন প্রথমে অকথ্য ভাষায় গালি পরে আসবাবপত্র ভাঙচুর ও একপর্যায়ে অধ্যক্ষের কক্ষে থাকা উপাধ্যাক্ষ এবং অন্য শিক্ষকদের টেনেহিঁচড়ে ঘর থেকে বের করে দিয়ে অধ্যক্ষকে তারা লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন এসময় কয়েকজন শিক্ষক তাকে রক্ষা করতে লে ছাত্রলীগ নেতারা তাদেরও বেধড়ক মারধর করেনপ্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান মারধরের পর কলেজের অধ্যক্ষকে প্রায় একঘণ্টা তার কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন ছাত্রলীগ নেতারা খবর পেয়ে ঈশ্বরদী থানার ওসিসহ লিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করেকয়েকজন শিক্ষক জানান বৃহস্পতিবার ২৮ জুন বিকালে এ ঘটনা ঘটলেও একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম চলার কারণে ঘটনাটি কাউকে জানাতে চায়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ কিন্তু ছাত্রলীগ নেতারা ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দিলে রাতেই অধ্যক্ষ প্রফেসর ড মো আব্দুস সবুর খান বাদী হয়ে ছাত্রলীর সভাপতি রাকিবুল হাসান রনি কলেজ ছাত্রলীর সভাপতি খন্দকার আরমান সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হাসানসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ৪০ জনের বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী থানায় মামলা দায়ের করেন মামলা নং৭৯ ২৮০৬২০১৮ মামলাটি রেকর্ড হয় রাত ১টার পরে শুক্রবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হয় ড মো আব্দুস সবুর খান বলেন নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্রস্পেক্টাস ও পাঠ পরিকল্পনা বিক্রি করে দিতে তারা আমাকে নানাভাবে চাপ দিচ্ছিল আমি তাদের অন্যায় আবদার রাখতে পারিনি বলে ছাত্রলীগ নেতারা আমাকে উপাধ্যাক্ষ আব্দুল জলিলসহ কয়েকজন শিক্ষককে বেধড়ক মারধর করেছেএ ব্যাপারে বক্তব্য নেওয়ার জন্য ছাত্রলীর সভাপতি রাকিবুল হাসান রনিসহ অন্যদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায় তবে কয়েক জনের ফোনে কল ঢুকলে তারা তা ধরেননি বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানিয়েছে গ্রেফতার এড়াতে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা আত্মগোপনে রয়েএ ব্যাপারে পাবনা লিশ সুপার জিহাদুল কবির পিপিএম বলেন যারাই এ ঘটনা ঘটাক না কেন তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে ইতোমধ্যে মামলা গ্রহণ করে আসামিদের গ্রেফতার করতে ঈশ্বরদী থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছেঈশ্বরদী থানার ওসি আজিম উদ্দীন বলেন যারা কলেজের অধ্যক্ষকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে তাদের গ্রেফতার করতে ইতোমধ্যে লিশ অভিযানে নেমেছে |
অধ্যক্ষকে পানিতে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার ৫ দেশ রাজশাহী ১৯ নভেম্বর ২০১৯ ১৫৫৬ রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে কুরের পানিতে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় প্রধান আসামিসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে লিশ সোমবার ১৮ নভেম্বর দিবাগত রাতে রাজশাহী নগরীর উপকণ্ঠ বেলপুকুর এবং সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়রাজশাহী মহানগর লিশের আরএমপি গোয়েন্দা শাখা ডিবি ও চন্দ্রিমা থানা লিশ এ অভিযান চালায় আরএমপির মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপলিশ কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস মঙ্গলবার দুরে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান গ্রেফতার পাঁচ জন অধ্যক্ষের দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত প্রথম সারির আসামিগ্রেফতাররা হলোনাটোরের রুদাসপুর উপজেলার চাঁচকোড় বাজারের কা হোসেন সৌরভ ২৪ পাবনা সদর উপজেলার দানিয়া গ্রামের সাব্বির আহম্মেদ ওরফে শান্ত ২২ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা সদরের সালমান টনি ২২ রাজশাহী নগরীর ভদ্রা এলাকার রায়হানুল ইসলাম ওরফে হাসিব ২১ ও চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর গ্রামের মুরাদ হোসেন ১৯ এরা রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন বিভার শিক্ষার্থী এদের মধ্যে সৌরভ মামলার এক নম্বর আসামি এছাড়া মুরাদ দুই শান্ত তিন টনি ছয় এবং হাসিব সাত নম্বর আসামি তারা সবাই ছাত্রলীর নেতাকর্মীআরএমপি মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন ঘটনার পর থেকেই মূল হোতারা আত্মগোপনে ছিল বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েও তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না অবশেষে প্রধান আসামিসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে এদের মঙ্গলবার দুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছেপ্রসঙ্গত মিডটার্মে ফেল এবং ক্লাসে অনুপস্থিত থাকা পলিটেকনিক শাখা ছাত্রলীর সদ্য বহিষ্কৃত যুগ্ম সম্পাদক কা হোসেন সৌরভকে ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে ২ নভেম্বর সকালে অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিনের কার্যালয়ে গিয়ে চাপ দেয় ছাত্রলীর নেতাকর্মীরা এ নিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয় এর জের ধরে সেদিন দুরে অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার পর টেনেহিঁচড়ে ক্যাম্পাসের ভেতরের একটি কুরের পানিতে ফেলে দেওয়া হয় এ ঘটনায় ২ নভেম্বর রাতে সাত জনের নাম উল্লেখসহ ৫০ জনকে আসামি করে নগরীর চন্দ্রিমা থানায় মামলা করেন অধ্যক্ষ এরপর লিশ ১৩ জনকে গ্রেফতার করে এ নিয়ে মোট ১৮ জন গ্রেফতার হলো |
অধ্যক্ষকে পুকুরে ফেলার ঘটনায় পাঁচ শিক্ষার্থী গ্রেফতার দেশ রাজশাহী ০৩ নভেম্বর ২০১৯ ১৫২৭ রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে ধাক্কা দিয়ে কুরে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় পাঁচ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে নগরীর বিভিন্ন ছাত্রাবাস থেকে তাদের আটক করা হয়ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রবিবার সকাল থেকে শিক্ষকশিক্ষার্থীরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে বিক্ষোভ করছেনগ্রেফতার ছাত্ররা হলেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী শাফি শাহরিয়ার ২৩ সোহেল রানা ২২ বাঁ রায় ২০ আরিফুল ইসলাম ২৩ ও মেহেদী হাসান রাব্বি ২১বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজশাহী মহানগর লিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ লিশ কমিশনার সদর গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন শনিবার রাত থেকে রবিবার ভোর পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে পলিটেকনিকের ২৫ ছাত্রকে আটক করা হয় ক্লোজ সার্কিট সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাদের মধ্যে পাঁচ জনকে সনাক্ত করে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে তাদের রবিবার দুরে আদালতে সোপর্দ করা হবে অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছেউল্লেখ শনিবার ২ নভেম্বর দুরে রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ক্যাম্পাসে অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে কুরে ফেলে দেয় শাখা ছাত্রলীর নেতাকর্মীরা এই ঘটনায় শনিবার রাতে অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদ ৫০ জনের বিরুদ্ধে নগরীর চন্দ্রিমা থানায় মামলা দায়ের করেন |
অধ্যক্ষকে পুকুরে ফেলায় ছাত্রলীগের এক নেতাকে স্থায়ী বহিষ্কার কমিটি স্থগিত দেশ ০৩ নভেম্বর ২০১৯ ২২০১ রাজশাহী সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিতের পর কুরে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা কা হোসেন সৌরভকে সংগঠন থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে সে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শাখা ছাত্রলীর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এছাড়াও রাজশাহী পলিটেকনিক শাখা ছাত্রলীর সব সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে রবিবার ২ নভেম্বর বাংলাদেশ ছাত্রলীর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছেরাত ৯টার দিকে ছাত্রলীর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বাংলা ট্রিবিউনকে বলে ঘটনার সঙ্গে একজন ছাত্রলীগ নেতার সম্পৃক্ততা পাওয়া ছে তাকে সংগঠন থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে জড়িত অন্যরা ছাত্রলীর কেউ না তাদের কোনও পদও নেই এর আগে রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীর সভাপতি রকি কুমার ঘোষ বলে ঘটনার সঙ্গে কাের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া ছে তাকে বহিষ্কারের জন্য ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ করা হয়েছেতিনি আরও জানান এই ঘটনায় মহানগর ছাত্রলীর সহসভাপতি কল্যাণ কুমার জয়ের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে তদন্তে আরও কারও বিরুদ্ধে ঘটনায় সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া লে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবেক্যাম্পাস ও মহাসড়কে বিক্ষোভপ্রতিবাদশিক্ষককে কুরে ফেলার প্রতিবাদে রবিবার সকাল থেকে শিক্ষককর্মচারীশিক্ষার্থীরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন ক্যাম্পাসে স্থায়ীভাবে রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানান তারা এছাড়াও অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করা স্থায়ীভাবে তাদের ছাত্রত্ব বাতিল কলেজে বহিরাগত শিক্ষার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ এবং ক্যাম্পাসে সবার নিরাপত্তাসহ শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয় বেলা ১১টায় রাজশাহীনওগাঁ মহাসড়কে মানববন্ করে শিক্ষার্থীরা মানববন্ে শেষে প্রশাসন ভবনের সামনে ছাত্রলীর বিরুদ্ধে স্লোগান দেন তারা এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের ভেতরে থাকা ছাত্রলীর নেতাকর্মীদের ব্যানারগুলো ছিঁড়ে ফেলেন পলিটেকনিক ছাত্রলীর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ অনেকরবিবার শিক্ষকশিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের পর থেকে রাজশাহী সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে চাঁদা দাবি ছাত্রীদের প্রেম প্রস্তাব প্রস্তাব না মানলে প্রকাশ্যে অপমান পলিটেকনিকের ১১১৯ নম্বর কক্ষকে টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহার করা শিক্ষকদের হুমকি ও লাঞ্ছিত করা নিয়মিত ক্লাস না করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠে এসেছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একাধিক শিক্ষকশিক্ষার্থী জানান প্রতিষ্ঠার ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান রিমেল রিগান ও সাধারণ সম্পাদক রাসেদ রহমান ২০১৮ সালের নবীনবরণের নামে শিক্ষার্থীদের থেকে চাঁদা তুলে তারা প্রায় চার হাজার শিক্ষার্থীর থেকে ৩০০ টাকা করে চাঁদা নেন কিন্তু আজও হয়নি নবীনবরণ চাঁদার ব্যাপারে অধ্যক্ষ বাধা দিলেও ছাত্রলীর নেতারা হুমকি ধামকি দিয়ে বলেও অভিযোগ তাদের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা জানান শিক্ষককে কুরে ফেলার ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতা কা হোসেন সৌরভ সভাপতি মেহেদী হাসান রিগানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী দীর্ঘদিন ধরেই তারা ক্যাম্পাসে ত্রাস কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলার সাহস পাচ্ না১১১৯ নম্বর কক্ষটি ছাত্রলীর দখলে স্বীকার করলেন অধ্যক্ষঅধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন ওই কক্ষটি জোর করে নিয়ে ছাত্রলীর ছেলেরা ব্যবহার করতো সেখানে বসে তারা বিভিন্ন সময় আড্ডা বা মিটিং করতো তবে শুনেছি তারা ওই কক্ষটি টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহার করতো তবে এ নিয়ে কেউ কোনদিন অভিযোগ জমা দেয়নি ছাত্রলীর ছেলেদের বিরুদ্ধে শিক্ষক বা ছাত্র সবাই অভিযোগ দিতে ভয় পায়চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার পলিটেকনিক ছাত্রলীগ সভাপতিরশিক্ষকশিক্ষার্থীদের অভিযোগ অস্বীকার করে রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীর সভাপতি মেহেদী হাসান রিমেল রিগান তিনি বলেন প্রত্যেকটা বিভার প্রধানের কাছে নবীনবরণের টাকা রয়েছে তারা সব টাকা খরচ করেননি শিক্ষকশিক্ষার্থীরা সব মিথ্যা বনোয়াট বক্তব্য পেশ করছেন তিনি আরও বলেন আমরা সিসিটিভির ফুটেজে দেখেছি সেইখানে শুধুমাত্র ছাত্রলীর যুগ্মসাধারণ সম্পাদক কা হোসেন সৌরভ ছিল এর বাইরে ছাত্রলীর কোনও নেতাকর্মী ছিল না আমরা বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখছি যারাই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের তদন্ত কমিটি গঠনবাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকের সঙ্গে রবিবার দুরে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষশিক্ষকরা এসময় মহাপরিচালক বলেন আপনাদের সঙ্গে আমি আছি তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছেএরপর বিকালে কমিটির তিন সদস্য রাজশাহী পৌঁছে তদন্ত শুরু করেন তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ অধ্যক্ষ শিক্ষক ও ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলেন এবং সিসিটিভির ফুটেজ দেখেন এসময় কুরের পশ্চিম পাশের ভবনের ১১১৯ নম্বর কক্ষ থেকে থেকে লোহার রড পাত ও পাইপ পাওয়া যায় পরে সেলো লিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় এ সময় তদন্ত কমিটির কাছে কয়েকজন শিক্ষক ও ছাত্র জানান ওই কক্ষটি ছাত্রলীর টর্চার সেল ছাত্রলীর নেতাদের কথা না শুনলে সেখানে নিয়ে টর্চার করা হতোকারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের যুগ্ম সচিব ও পরিচালক প্রশাসন স্বাক্ষরিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের যুগ্ম সচিব ও পরিচালাক পিআইডব্লিউ এসএম ফেরদৌস আলমকে এছাড়াও কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক কারিকুলাম ড মো নুরুল ইসলামকে কমিটির সদস্য এবং রাজশাহী মহিলা পলিটেকটক ইনিস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ওমর ফারুককে সদস্য সচিব করা হয়েছেতদন্ত কমিটির আহ্বায়ক এসএম ফেরদৌস আলম বলেন রবিবার সকালে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে বিকেলে তারা দুজন ঢাকা থেকে বিমানে রাজশাহী আসেন আর কমিটির অপর সদস্য রাজশাহীতে ছিলেন রাজশাহী পৌঁছেই তারা তদন্ত শুরু করা হয়েছে তারা তদন্ত করে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবেনসিসিটিভি ফুটেজ থেকে কয়েকজনকে শনাক্তঅধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদের ওপর হামলার ঘটনায় মহানগরীর চন্দ্রিমা থানায় ৮ জন আসামির নাম উল্লেখ করে এবং ৫০ জন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয় তবে এই মামলায় নাম উল্লেখ করা আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি লিশ তবে প্রতিষ্ঠার সিসিটিভির ফুটেজ দেখে কয়েকজনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করে শিক্ষকরাতারা হলো ঘটনার নেতৃত্বদানকারী কম্পিউটার বিভার শেষ বর্ষের ছাত্র ও পলিটেকনিক ছাত্রলীর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কা হোসেন সৌরভ ইলেকট্রনিক্স পঞ্চম পর্বের শিক্ষার্থী মুরাদ পাওয়ার বিভার সাবেক ছাত্র শান্ত ইলেকট্রনিক্স বিভার সাবেক ছাত্র বনি মেকাটনিক্স বিভার সাবেক ছাত্র হাসিবুল ইসলাম শান্ত ইলেক্টোমেডিক্যাল বিভার সাবেক ছাত্র সালমান টনি একই বিভার সপ্তম পর্বের ছাত্র হাবিবুল ও কম্পিউটার বিভার সাবেক ছাত্র মারুফপাঁচ আসামি কারাগারেএই ঘটনায় গ্রেফতার পাঁচ আসামিকে রবিবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে তারা হলো সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী থানার আব্দুল েকের ছেলে সোহেল রানা ২০ নড়াইল জেলার নড়াগাছী থানার ফরিদ আলীর ছেলে আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ নওগাঁর থানার আফসার আলীর ছেলে সাফি শাহারিয়ার ২৪ নীলফামারী জেলার ধোপাডাঙ্গা এলাকার গোপাল রায়ের ছেলে বাঁ রায় ১৯ ও রাজশাহী নগরীর চন্দ্রিমা থানার আসাম কলোনি এলাকার রেজাউল করিমের ছেলে রিপন আলী ২০অভিযুক্তদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানের ঘোষণা লিশেরএব্যাপারে রাজশাহী মহানগর লিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ লিশ কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন ঘটনার পর থেকে তারা আত্মগোপনে রয়েছে আমাদের গোয়েন্দা তৎপর বৃদ্ধি করা হয়েছে কেউ ছাড়া পাবে না সবাইকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসার চেষ্টা করছি উল্লেখ শনিবার ২ নভেম্বর দুরে রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে কুরে ফেলে দেয় শাখা ছাত্রলীর নেতাকর্মীরা এই ঘটনায় শনিবার রাতে অধ্যক্ষ ৫০ জনের বিরুদ্ধে নগরীর চন্দ্রিমা থানায় মামলা দায়ের করেনআরও খবরঅধ্যক্ষকে রাস্তা থেকে তুলে কুরে ফেলে দিলেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ভিডিও |
অধ্যক্ষকে রাস্তা থেকে তুলে পুকুরে ফেলে দিলেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ভিডিও দেশ রাজশাহী ০২ নভেম্বর ২০১৯ ২০৪২ রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে কুরে ফেলে দিয়ে শাখা ছাত্রলীর নেতাকর্মীরা শনিবার ২ নভেম্বর দুরে পলিটেকনিক ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে অভিযোগ স্বীকার করে পলিটেকনিক শাখা ছাত্রলীর সভাপতি মেহেদী হাসান রিমেল বলেন ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবেঅধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদ অভিযোগ করেন বিভিন্ন সময় ছাত্রলীর নেতারা অন্যায় দাবি নিয়ে আসতেন আমার কাছে ওইসব দাবি না মানায় তারা আমার ওপর ক্ষুদ্ধ ছিলেন তিনি আরও বলেন ইনস্টিটিউটে সপ্তম সেমিস্টারের ফরম পূরণ চলছিল ক্লাসে উপস্থিতি কম থাকায় দুই ছাত্রের সেমিস্টারের ফরম পূরণ হয়নি সেই দুই ছাত্রের ফরম পূরণ করানোর জন্য সকালে ছাত্রলীর নেতারা আমার কাছে এসেছিল কিন্তু আমি বিভাগীয় প্রধানের কাছে যেতে বলি এতে তারা আমার ওপর ক্ষুব্ধ হন দুরে নামাজ পড়ে অফিসে যাওয়ার সময় তারা আমাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে কুরে ফেলে দেন এরপর তারা পালিয়ে যান তাদের মধ্যে দুইতিন জনের মুখ বাঁধা ছিলএ ব্যাপারে ছাত্রলীর সভাপতি মেহেদী হাসান রিমেল বলেন অধ্যক্ষকে কুরের পানিতে ফেলে দেন কয়েকজন শিক্ষার্থী এ সময় ছাত্রলীর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কা হোসেন সৌরভ ছিলেন এ ছাড়া যদি ছাত্রলীর আরও কোনও নেতাকর্মী থাকেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবেএই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাজশাহী নগরীর চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শেখ মো গোলাম মোস্তফা বলেন মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ঘটনার পর আমি পলিটেকনিক ইনস্টিউটিউটে যাই দুই জন ছাত্রের পরীক্ষার ফরম পূরণ না করানোর কারণে কয়েকজন ছাত্র গিয়ে সকালে অধ্যক্ষকে পূরণ করিয়ে দেওয়ার কথা বলেন অধ্যক্ষ ফরম পূরণ না করায় দুরের দিকে নামাজ পড়ে আসার সময় ক্যাম্পাসের কুরের সামনে দাঁড় করিয়ে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয় এর মধ্যে একজনের নাম মেহেদি বলে শুনে বলেও তিনি জানানক্লোজড সার্কিট সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়া ফুটেজ |
অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন ছাত্রলীগ নেতা রনি দেশ ০৭ এপ্রিল ২০১৮ ১৭০৫ চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ ড জাহেদ খানকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়ে মহানগর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি শনিবার ৭ এপ্রিল সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে নিজের রাগ সংবরণ করতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করছিগত ৩১ মার্চ চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ ড জাহেদ খানকে লাঞ্ছিত করেন রনি এ ঘটনার ভিডিওচিত্রসহ সংবাদ প্রকাশ হয় গণমাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে এ ঘটনায় নিজের পক্ষে সাফাই গান তিনি অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার ঘটনাটি সাময়িক উত্তেজনার বশে ঘটে ছে বলে দাবি করেন রনি গত ২ এপ্রিল তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা বাড়তি ফি ফেরত না দিয়ে চলে যেতে চাইলে অধ্যক্ষকে অফিসে বসিয়ে রেখে টাকা আদায় করা হয় এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের চাপ ও ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় তিনি উত্তেজিত হয়ে অধ্যক্ষকে কিলঘুষি মেরে বসেন গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে নুরুল আজিম রনি বলেন উত্তেজনার বশে জাহেদ খানের সঙ্গে ঘটে যাওয়া আচরণের জন্য তিনি অনুতপ্ত বিবৃতিতে কলেজ কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন ৩১ মার্চ নেতাকর্মীদের নিয়ে বিজ্ঞান কলেজে লে সেখানে থাকা অছাত্র ও সন্ত্রাসীরা লিশের সামনেই বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় একপর্যায়ে অধ্যক্ষ জাহেদ খানের কাছে সন্ত্রাসী জড়ো করার বিষয়ে জানতে চাওয়ার জেরে উত্তেজনার একপর্যায়ে তাকে শারীরিকভাবে আঘাত করা হয় যার ভিডিও গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ্য মাধ্যমে দেখা যাচ্ছেতিনি সবাইকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ করে বলেনঅধ্যক্ষকে মারধরের অভিযোগ ওঠার পর তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে তার দাবি চাঁদাবাজির অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াটআরও পড়ুনচট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষকে ছাত্রলীগ নেতার কিলঘুষি ভিডিওছাত্রলীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজ অধ্যক্ষের অভিযোগ |
অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে কারমাইকেল কলেজে শিক্ষকদের আল্টিমেটাম দেশ রংপুর বিভাগ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৩২৮ দুর্নীতি ক্ষমতার অপব্যবহার ও শিক্ষকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে রংর কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ ড আব্দুল লতিফ মিয়ার অপসারণ দাবি করছেন শিক্ষকরা এই দাবিতে শনিবার ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে কর্মাবরতি শুরু করেছে কারমাইকেল কলেজ শিক্ষক পরিষদ শিক্ষকরা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে আজ শনিবারের মধ্যে অধ্যক্ষকে অপসারণ করা না হলে আগামীকাল রবিবার ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে লাগাতার ধর্মঘট শুরু করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে তারা এর আগে শনিবার সকালে শিক্ষকরা কলেজের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে সেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেন তারা ঘোষণা দেন দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষকে অপসারণ না করা পর্যন্ত তারা অবস্থান অব্যাহত রাখবেনএদিকে শিক্ষকরা কর্মবিরতি শুরু করায় কলেজের কোনও বিভাই ক্লাস ও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি শিক্ষকদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ কর্মসূচি পালন করছেন অধ্যক্ষের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত তারাও ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দিয়ে কলেজ শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আখতারুজ্জামান চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড আব্দুল লতিফ মিয়ার সীমাহীন দুর্নীতি আর ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রতিবাদ করায় শিক্ষকদের সঙ্গে চরম অশোভন আচরণ করেন তিনি কথায় কথায় শিক্ষকদের গালাগাল এমনকি বদলি করারও হুমকি দেন এমন অবস্থায় তাকে অপসারণ না করা পর্যন্ত শিক্ষকরা কর্মবিরতি অব্যাহত রাখবেনএ ব্যাপারে অধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুল লতিফের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন শিক্ষকরা প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা কোনও সরকারি কর্মকর্তা কর্মবিরতি পালন করতে পারেন না আমি ভীষণ ব্যস্ত আছি বলে মোবাইল ফোন কেটে দেন |
অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে রয়েল মিডিয়া কলেজের শিক্ষককর্মচারীদের কর্মবিরতি দেশ ১৪ জানুয়ারি ২০১৯ ১৩৫২ ময়মনসিংহ রয়েল মিডিয়া কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্নেহাশীষ চন্দ্র দের আপসারণসহ ৮ দফা দাবিতে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে কর্মবিরতি পালন করছেন শিক্ষক ও কর্মচারীরা সোমবার ১৪ জানুয়ারি সকাল ৯টা থেকে এই কর্মবিরতি পালন করছেন তারাআন্দোলনকারী শিক্ষক ও কর্মচারীদের দাবিলো হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্নেহাশীষ চন্দ্র দের অপসারণ ও নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগ কলেজের পাঠদানের অনুমতি ও স্বীকৃতি নবায়ন করা প্রতিষ্ঠানের নামে নিজস্ব জমি কেনা শিক্ষককর্মচারীদের সরকারি বিধি মোতাবেক বেতনভাতাদি প্রদান করা কলেজের পরিচালনা কমিটি গঠন করা প্রতারণা না করে বিধি মোতাবেক কলেজ পরিচালনা করা কলেজ পরিচালনার ক্ষেত্রে শিক্ষক মন্ডলীর মতামত উপেক্ষা না করা ও কলেজ পরিচালনায় পক্ষপাতমূলক আচরণ না করাআন্দোলনকারী শিক্ষক কর্মচারীরা জানান সার্টিফিকেট জালিয়াতি অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে গত এক বছর ধরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্নেহাশীষ চন্দ্র দের পদত্যার দাবিতে শিক্ষক কর্মচারীরা আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে আসছেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকসহ বিভাগীয় কমিশনার বরাবর আবেদন করেও কোনও কাজ না হওয়ায় আজ সোমবার নতুন করে কর্মবিরতির ডাক দিয়ে শিক্ষক কর্মচারীরাআন্দোলনকারী শিক্ষক বাংলা বিভার প্রভাষক ইমরুল হাসান সিদ্দিকী জানান ৮ দফা দাবিতে গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর শিক্ষক কর্মচারীরা কর্মবিরতিতে যান পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষের মৌখিক আশ্বাসে তারা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে ক্লাসে ফিরে আসেন পরবর্তীতে অধ্যক্ষ স্নেহাশীষের হুমকি ও অপতৎপরতার প্রেক্ষিতে ২৯ নভেম্বর শিক্ষককর্মচারীরা অধ্যক্ষের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলনে নামেন এরপরও দাবি পূরণ না হওয়ায় আন্দোলন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হয়ে শিক্ষককর্মচারীরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে বলেও জানান তিনিএকই কলেজের রসায়ন বিভার প্রভাষক শফিকুল ইসলাম জানান ২০০৬ সালে কলেজ প্রতিষ্ঠার সময় স্নেহাশীষ চন্দ্র দেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয় মাস্টার্স পাস না করেও কিছু দিন পর তিনি নিজে নিজেই অধ্যক্ষ বনে যানতিনি আরও জানান কলেজের আয়ব্যয়ের কোনও অডিট কার্যক্রম না করেই নিজের ইচ্ছেমতো অর্থ আত্মসাৎ করে তিনি অকারণে শিক্ষককর্মচারীদের সঙ্গে তিনি খারাপ ব্যবহার করে থাকেন নানা অনিয়মের কারণেই শিক্ষক কর্মচারীরা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হয়ে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবেঅভিযোগ অস্বীকার করে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্নেহাশীষ চন্দ্র দে বাংলা ট্রিবিউনকে জানান শিক্ষক কর্মচারীদের দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও অযৌক্তিক কলেজ ও তার ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার জন্য একটি চক্র শিক্ষককর্মচারীদের আন্দোলনেএ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক ড সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস জানান আন্দোলনকারীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে অনিয়ম তদন্তে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে |
অধ্যক্ষের অবহেলায় ১৩ শিক্ষার্থী আলিম পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারার অভিযোগ অন্যান্য ১৬ মে ২০১৮ ১৮২৩ অধ্যক্ষের অবহেলা ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে চলতি এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় বরিশালের হিজলা উপজেলা আলীগঞ্জ আলীম মাদ্রাসার ১৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নিতে পারেননি বলে অভিযোগ পাওয়া ছে শুধু তাই নয় নিবন্ ও পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য জমা দেওয়া লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে বরিশাল সদরে অবস্থান নিয়ে অধ্যক্ষ মোহাম্মদ গাফফার আনসারী সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা ছেবরিশালের হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু জাফর রাশেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন মাদ্রাসার ১৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে না পারার অভিযোগ পাওয়ার পর জানতে পারি তাদের নিবন্ধনই করেননি অধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের টাকা আত্মসাৎ করার এই বিষয়টি খুঁজতে গিয়ে তার বিরুদ্ধে অবহেলা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতাসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে আমি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মন্ত্রণালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়েছি মাদ্রাসাটি পরিচালনা করার জন্য নতুন করে একজন শিক্ষককে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছেএ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এটিএম মঞ্জুরুল কবির বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন শুনেছি উনি গাফফার আনসারী বরিশাল সদরে থাকছেন নিবন্ না হওয়া ও পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারা শিক্ষার্থীদের নিবন্ করা সম্ভব হয়েছে আগামী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে যে জন্য চেষ্টা চালাচ্ছিগত ২ এপ্রিল এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়েছে এই পরীক্ষায় অংশ নিতে মোশারফ আলামিন মিলন সাদেকুন নাহার ও জান্নাতসহ ১৩ জন শিক্ষার্থীর আলিম পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল কিন্তু দিবো দিচ্ছি করে হিজলা উপজেলার আলীগঞ্জ আলীম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পরীক্ষার আগের দিন সন্ধ্যাতেও প্রবেশপত্র দেননি উপায় না দেখে শিক্ষার্থীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে গিয়ে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীদের অভিযোর পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টির খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তাদের নিবন্ধনই হয়নি শিক্ষার্থীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগে জানান নিবন্ ও ফরম রণের জন্য অধ্যক্ষ ৮ থেকে ১০ হাজার করে টাকা নিয়ে বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন পর্যায়ে যোগাযোগ করার পর ওই শিক্ষার্থীরা যাতে পরের বছর পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন সে ব্যবস্থা নেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু জাফর রাশেদ এ ঘটনার পর অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয় কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে শিগগিরই নির্দেশ দেবে বলে জানা ছেএ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভার সহকারী সচিব মাদ্রসা২ আব্দুল খালেক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছেমন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা ছে শিক্ষার্থীদের নিবন্ না হওয়ার বিষয়টি জানার পরে তা সুরাহা করেনি অধ্যক্ষ এর আগে মাদ্রাসায় অনিয়ম করার কারণে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয় ২০০২ সালে দশ মাস বহিষ্কার থাকার সময় ওই বছর ১১ অক্টোবর তিনি বিধিবহির্ভূতভাবে প্রতিষ্ঠানের বেতন বিলে স্বাক্ষর করেন কর্তব্যে চরম অবহেলা ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার মন্ত্রণালয়কে পত্র দেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান |
অধ্যক্ষের কক্ষে হামলাভাঙচুর ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেশ রাজশাহী ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১৫২৭ বগুড়া সরকারি শাহ্ সুলতান কলেজে অধ্যক্ষের কক্ষে হামলা ভাঙচুর ও তাকে লাঞ্ছিত করায় ছাত্রলীগ কলেজ সভাপতিসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে ১০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর দুরের ওই ঘটনায় স্টাফ কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুসারে অধ্যক্ষ এজাজুল হক রাতে শাজাহানপুর থানায় এ মামলা করেনপরে লিশ রাতেই এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করে এ ঘটনায় জড়িত থাকায় জেলা ছাত্রলীগ মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর সকালে জেলা সহসভাপতিসহ তিন নেতাকর্মীকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছেমামলার আসামিরা হলেন ছাত্রলীগ সরকারি শাহ্ সুলতান কলেজ শাখার সভাপতি বিশ্বজিৎ কুমার সাহা জেলা সহসভাপতি আরিফুল আলম শাওন কলেজ শাখার কর্মী এসএম জোবায়ের সোহেল আসিফ সাব্বির মুক্তাদুর ইসলাম মিম ও শাহরিয়ার আলম অনিক লিশ এদের মধ্যে এসএম জোবায়ের সোহেল ও শাহরিয়ার আলম অনিককে গ্রেফতার করেছে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে জেলা ছাত্রলীর সহসভাপতি আরিফুল আলম শাওন কলেজ সভাপতি বিশ্বজিৎ কুমার সাহা ও কর্মী এসএম জোবায়ের সোহেলকেকলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এজাজুল হক অভিযোগ করেন ছাত্রলীগ সভাপতি বিশ্বজিৎ কুমার সাহা তার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী না হলেও মাঝে মধ্যেই তার কাছে চাঁদাবাজি করে থাকে কলেজে দ্বাদশ শ্রেণির প্রাকনির্বাচনি পরীক্ষা চলছে নকল ধরায় এসএম জোবায়ের সোহেল গত ২৬ আগস্ট এক শিক্ষিকার সঙ্গে অসদাচারণ করে সে ২৮ আগস্ট শিক্ষকদের প্রতিবাদ সভায় এসে ওই শিক্ষিকাকে মারধর করার চেষ্টা করেছিল সোমবার প্রাকটিক্যাল পরীক্ষায় নকলের সুযোগ না পেয়ে জোবায়ের সোহেল ও মুক্তাদুর ইসলাম মিম এক শিক্ষকের সঙ্গে অসদাচারণ করে তখন জোবায়ের সোহেলকে পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার করা হয় এর প্রতিবাদে বেলা ২টা ৫ মিনিটে ছাত্রলীগ সভাপতি বিশ্বজিৎ কুমার সাহার নেতৃত্বে ২০২৫ জন নেতাকর্মী তার অফিসে এসে হামলা চালিয়ে টেবিল চেয়ার টেলিফোন সেট ভাঙচুর করে বাধা দিলে তিনিসহ কয়েকজন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করা হয়অধ্যক্ষ আরও জানান কলেজের স্টাফ কাউন্সিলের জরুরি সভায় মামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সোমবার রাতে তিনি শাজাহানপুর থানায় ছাত্রলীর ৭ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে ১০ জনের বিরুদ্ধে কলেজে হামলাভাংচুর ও সরকারি সম্পদ নষ্টের অভিযোগে মামলা করেতিনি অভিযোগ করেন সোমবার রাত ১১টার পর কে বা কারা তার শহরের সবুজবার বাসার দরজায় ধাক্কাধাক্কি করেছে তাকে গালিগালাজ ও হুমকিও দেওয়া হয়বগুড়ার শাজাহানপুর থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে জানান সোমবার রাতে ১০ জনের নামে মামলা রেকর্ড করার পরপরই এজাহার নামীয় সোহেল ও অনিককে গ্রেফতার করা হয়েছে অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছেজেলা ছাত্রলীর সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাস কলেজে হামলা ভাঙচুর এবং অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে জানান এ ঘটনায় জড়িত থাকায় তিন নেতাকর্মীকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছেতবে ছাত্রলীগ সরকারি শাহ্ সুলতান কলেজ শাখার সদ্য বহিষ্কৃত সভাপতি বিশ্বজিৎ কুমার সাহা অধ্যক্ষের সব অভিযোগ দৃঢ়তার সঙ্গে অস্বীকার করে জানান তিনি এ কলেজের শিক্ষার্থী কোনও শিক্ষককে লাঞ্ছিত বা কক্ষে ভাঙচুর করা হয়নি সাধারণ শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার ফরম পূরণে আইসিটি খাতে রশিদ ছাড়া অতিরিক্ত ৩০০ টাকা আদায় এবং সহপাঠী জোবায়ের সোহেলের বহিষ্কারের প্রতিবাদ করছিলেন অধ্যক্ষ তাদের রুম থেকে বের করে দেওয়ার সময় চেয়ার উল্টে ও টেবিলের কাচ ভেঙে ছে |
অধ্যক্ষের কাছে চাঁদা দাবি ছাত্রলীগ নেতা কারাগারে দেশ ১৯ মার্চ ২০১৭ ১৭৫৯ অধ্যক্ষের কাছে চাঁদা দাবির মামলায় বরিশাল সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ ছাত্রলীর বহিস্কৃত সভাপতি রেজাউল ইসলাম বাপ্পী ও তার তিন সহযোগীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে আদালত রবিবার ১৯ মার্চ জামিন আবেদন নাকচ করে এ নির্দেশ দেন বরিশাল অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক অমিত কুমার দে বরিশাল কোতয়ালী থানার উপপরিদর্শক এসআই আরাফাত ইসলাম এ খবর নিশ্চিত করেলিশ জানায় শনিবার ১৮ মার্চ রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তিন সহযোগী আ ন ম হাফিজ এইচএম হাসিবুল ইসলাম ও রুবেল ব্যাপারীসহ রেজাউল ইসলাম বাপ্পীকে গ্রেফতার করা হয় এরপর তাদের আদালতে তোলা হয়কোতয়ালী থানার পরিদর্শক তদন্ত আতাউর রহমান জানান বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতির সময় অধ্যক্ষ প্রফেসর শচীন কুমার রায়ের কাছে চাঁদা দাবি করেন রেজাউল ইসলাম বাপ্পী ও কার সহযোগীরা এই অভিযোগে শনিবার রাতে কলেজ অধ্যক্ষের পক্ষে ইসলামের ইতিহাস বিভার প্রভাষক মো অলিউল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেনএমএ |
অধ্যক্ষের পকেটে ১৯ লাখ টাকা দুদকের মামলা অন্যান্য ২৫ জুন ২০১৮ ১৭৫৫ রাজশাহীর পবার দারুশা কলেজে শিক্ষক নিয়োর মাধ্যমে ১৯ লাখ ৯৭ হাজার ৬৯৪ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কলেজটির অধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকসোমবার ২৫ জুন রাজশাহীর কর্ণহার থানায় দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক আব্দুল করিম বাদী হয়ে এ মামলা করেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বিষয়টি নিশ্চিত করেমামলায় আসামিরা হলেন দারুশা কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান জীববিজ্ঞান বিভার প্রভাষক জাফরীন আলম ও উদ্ভিদবিদ্যা বিভার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এএসএম আলী আকবরঅভিযোগে বলা হয়েছে পরস্পরের যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ২০০২ থেকে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তারা ১৯ লাখ ৯৭ হাজার ৬৯৪ টাকা আত্মসাত করে |
অধ্যক্ষের বাড়ি তৈরিতে স্কুলের নির্মাণ সামগ্রী অন্যান্য ১৭ জুলাই ২০১৮ ০৬০১ স্কুলের ভবন নির্মাণের জন্য কেনা হয়েছিল ইট ু সিমেন্ট তবে সেসব নিজের বাড়ি তৈরিতে ব্যবহার করে অধ্যক্ষ ফাতেমা রশিদ ইতোমধ্যেই তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত কার্যক্রম শেষ করেছে ঢাকা জেলা শিক্ষা অফিস সূত্র জানিয়েছে অভিযোর সত্যতা মিলেছে খুব শিগগিরই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবেনিজের পদোন্নতি ও নিয়োগ প্রক্রিয়া নিজেই সম্পন্ন করে ফাতেমা রশিদ বিভিন্ন সময় স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ অস্তিত্বহীন ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়ে এমপিওভুক্ত করা স্কুলের তহবিলের টাকা দিয়ে নিজের ব্যবহারের জন্য গাড়ি কেনা এবং ছাত্রীদের ক্লাসে অনুপস্থিতির টাকা আত্মসাৎ করাসহ মোট ১৩টি রুতর অভিযোগ ওঠেছে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে অবস্থিত শহীদ জিয়া স্কুল অ্যাণ্ড কলেজের এই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধেস্কুলটির কয়েকজন শিক্ষক ও অভিভাবক ঢাকা শিক্ষা বোর্ড মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর মাউশিঢাকা এবং পরিচালক পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতর ঢাকা জেলা প্রশাসক জেলা শিক্ষা অফিস দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করে অভিযোর ভিত্তিতে হওয়া তদন্তের প্রতিবেদন শিগগিরই জমা দেওয়া হবে মাউশিতেগত বছরের শেষ দিকে করা অভিযোগে বলা হয়েছে ফাতেমা রশিদ ১৯৯৩ সালের ১ নভেম্বর মাসে স্কুল শাখায় ধর্ম বিষয়ের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন এর এক বছরের মাথায় তিনি ইসলাম শিক্ষা বিভার প্রভাষক পদে নিয়োগ পান কিন্তু তার এই পদোন্নতিতে সঠিক নিয়ম মানা হয়নি পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই তিনি প্রভাষক পদে যোগদান করেন এরপর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ থাকা অবস্থায় ফাতেমা রশিদ ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর নিজেই অধ্যক্ষ পদের জন্য পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেন একই বছরের ২৪ নভেম্বর তিনি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ থেকে অব্যহতি নিয়ে ২৫ নভেম্বর অধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন অর্থাৎ নিজের নিয়োগ প্রক্রিয়া তিনি নিজেই এককভাবে পরিচালনা করেন এরপর অধ্যক্ষ পদের এমপিও করার জন্য আবেদনের কাগজপত্রের সঙ্গে সহকারী অধ্যাপক বুলবুল মির্জাকে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেখান অথচ বুলবুল মির্জা একদিনের জন্যেও দায়িত্ব পাননি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে একজন শিক্ষককে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন এছাড়া ২০১৬ সালের নভেম্বরের বেতনের সঙ্গে ওই শিক্ষকের বকেয়া বেতন হিসেবে এক লাখ ৬২ হাজার ৫৮৬ টাকা পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেনঅভিযোগে বলা হয়েছে ফাতেমা রশিদ অধ্যক্ষ হওয়ার পর থেকে ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের কোনও ক্লাস নেননি অথচ প্রতি মাসে এ বিষয়ের প্রভাষক হিসেবে কলেজ থেকে টাকা উত্তোলন করেন তার বদলে ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে ক্লাস নেওয়ার জন্য একজন শিক্ষককে নিয়োগ দেন তিনি ওই শিক্ষককে এ বাবদ ৮ হাজার টাকা বেতন দেওয়া হয়অধ্যক্ষ ৫ লাখ টাকা দিয়ে কলেজের নামে একটি মাইক্রো কেনেন গাড়িটির দাম ১৬ লাখ টাকা দেখিয়ে তিনি প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা নিয়ে এর কোনও ভাউচার বা ক্যাশ মেমো কলেজ ফাইলে জমা দেননি অধ্যক্ষ হওয়ার পর কলেজের ছাত্রীদের কাছ থেকে একদিন গর হাজির থাকার কারণে ২০ থেকে ৫০ টাকা করে জরিমানা নিয়ে প্রায় ৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে একইসঙ্গে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া বেতন ও সেশন ফির টাকা ফান্ডে জমা না দিয়ে ২০০৯ সালের পর থেকে আরও ৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে বলে অভিযোগে বলা হয়েছেঅভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে স্কুলে নাছিমা নামের কোনও শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়া হয়নি কিন্তু মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ওই অস্তিত্বহীন শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে স্কুল ভবন সংলগ্ন চারটি দোকান নির্মাণ বাবদ ১৫ লাখ টাকা কলেজ তহবিল থেকে উত্তোলন করলেও তার কোনও ভাউচার কলেজে জমা দেননি স্কুলের ভবন নির্মাণের অবশিষ্ট ইট ু রড সিমেন্ট যাত্রাবাড়ীর পূর্ব ধলপুরে নিজ বাড়ি তৈরিতে ব্যবহার করেন এছাড়া অধ্যক্ষের রুমে এসি টাইলস হাই কমোড বাথরুম দামি পর্দা দিয়ে সজ্জিত করা হলেও শিক্ষার্থীরা বসে ভাঙা বেঞ্চে বেশ কিছু রুমের দরজা ও জানালা নেই সর্বশেষ অভিযোগে বলা হয়েছে ১৯৯৩ সালের স্কুল শিক্ষক ১৯৯৪ সালে ইসলাম শিক্ষা পদে প্রভাষক এবং ২০০৬ সাল থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে চাকরি করে তিনি পূর্ব ধলপুরে আলিশান বাড়ি নির্মাণ করে দয়াগঞ্জ ও বেইলী রোডে ফ্ল্যাট কিনে ট্রান্স সিলভা পরিবহনের শেয়ার নিয়ে লিস্তান আন্ডারগ্রাউন্ডে কয়েকটি দোকান নিয়ে ২৫ লাখ টাকা দামের ব্যক্তিগত গাড়ি এবং নামেবেনামে ব্যাংকে মোটা অংকের অর্থ রয়েছে তার অভিযোর সঙ্গে প্রমাণ হিসেবে কিছু নথি সংযুক্ত করা হয়েছে অভিযোগকারী কয়েকজন শিক্ষক বাংলা ট্রিবিউনকে জানান অধ্যক্ষ নিজের ইচ্ছামতো কলেজ পরিচালনা করছেন অনিয়মের প্রতিবাদ করায় তিনি কয়েকজন শিক্ষককের বেতন আটকে রেখে ফলে বাধ্য হয়ে তাদের অভিযোগ করতে হয়েছেঅভিযোর বিষয়ে জানতে চেয়ে কলেজটির অধ্যক্ষ ফাতেমা রশিদকে সোমবার সন্ধ্যায় ফোন করে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পর ব্যস্ত আছেন বলে তিনি ফোন রেখে দেন এরপর একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননিস্কুলটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন আমি এই স্কুলের কমিটির দায়িত্বে আছি গত প্রায় ১০ বছর ধরে কখনও কোনও অনিয়ম দুর্নীতি হতে দেইনি আমি দুর্নীতির বিরুদ্ধে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ করে তারা ষড়যন্ত্র করছেনএদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের নির্দেশে শহীদ জিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের অনিয়ম সম্প্রতি তদন্ত করে ঢাকা জেলা শিক্ষা অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তারা দুই দফায় প্রতিষ্ঠাতে সরেজমিনে গিয়ে অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখে শিক্ষা অফিস সূত্র বলছে তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু রুতর অভিযোর সত্যতা পাওয়া ছেঢাকা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গৌর চন্দ্র মন্ডল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন তদন্তকাজ শেষআমরা প্রতিবেদন তৈরি করছি এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন মাউশিতে পাঠানো হবে |
অধ্যক্ষের মুক্তি চেয়ে সেই মিছিলের নেপথ্যে ছিল কারা জাতীয় ১০ এপ্রিল ২০১৯ ২৩৪৮ ফেনীর সোনাগাজী ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজউদদৌলা যৌন হয়রানির অভিযোগে ২৭ মার্চ গ্রেফতার হন গ্রেফতার হওয়ার পর তাকে রক্ষা করতে তার মুক্তির দাবিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ইন্ে গত ২৮ মার্চ এলাকায় মিছিল বের করা হয়েছিল একই সময়ে গ্রেফতার অধ্যক্ষের বিচার চেয়ে অন্য বিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী মানববন্ করেছিলএরই মধ্যে গত ৬ এপ্রিল ওই মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি ১৮কে ড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয় পাঁচদিন জীবনমৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে বুধবার ১০ এপিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুসরাত মারা যান তাকে লাইফ সার্টে রাখা হয়েছিল এদিকে নুসরাতকে ড়িয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনাটি নিয়ে দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয় এ অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অধ্যক্ষের মুক্তি চেয়ে করা সেই মিছিলের ছবি ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি ফের সামনে আসে প্রশ্ন ওঠেছে অধ্যক্ষের পক্ষে এই মিছিলের আয়োজক ছিল কারা এবং মিছিলে অংশ নিয়েছিল কারা অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে অধ্যক্ষের পক্ষেবিপক্ষে এই কর্মসূচির নেপথ্যে ছিলেন বিভিন্ন সময়ে অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাকে সহায়তাদানকারী দুই ওয়ার্ড কাউন্সিলরজানা ছে গত ২৭ মার্চ নুসরাত মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন এরপর তার মা মামলা দায়ের করলে লিশ অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাকে গ্রেফতার করে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন ২৭ মার্চ সিরাজউদ্দৌলা গ্রেফতার হওয়ার পরদিন ২৮ মার্চ তার মুক্তি চেয়ে মিছিল করেছিল মাদ্রাসার সুবিধাপ্রাপ্ত বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা আর তাদেরকে উৎসাহিত করেছে পরিচালনা কমিটি ও কলেজের কিছু শুভাকাঙ্ক্ষী এদের মধ্যে অন্যতম হলেন পৗর কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম মাকসুদ যিনি নুসরাত হত্যাচেষ্টা মামলায় বর্তমানে তকআর অধ্যক্ষের বিপক্ষে মানববন্ের আয়োজন করেছিলেন আরেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ মামুন যিনি আগে অধ্যক্ষের কাছের লোক হিসেবে পরিচিত ছিলেন২৭ মার্চ থেকে যা ঘটেছেগত ২৭ মার্চ মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাতকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ ওঠে অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে ওই দিনই মামলা হলে অধ্যক্ষ গ্রেফতার হন গ্রেফতার হওয়ার পর তার পক্ষেবিপক্ষে দুটি গ্রুপ কর্মসূচি পালন করে অধ্যক্ষকে বাঁচানোর জন্য পৗর কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম মাকসুদ নেপথ্যে কাজ করছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে ২৮ মার্চের সেই মিছিলের নেতৃত্বে মোকসুদ ছিলেন কিনা প্রশ্নে মাদ্রাসার বর্তমান পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি রুহুল আমিন সরাসরি স্বীকার না করলেও ওই সময় এই অভিযুক্ত ব্যক্তি সেখানে উপস্থিত ছিলেন একথা স্বীকার করেনঘটনার বিবরণীতে রুহুল আমিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন ২৭ মার্চ ভিকটিম ছাত্রীর নুসরাত সঙ্গে যা ঘটেছে সেটা আমি রাস্তায় বসে শুনে মাদ্রাসায় যাই আমি সেখানে উপস্থিত হয়ে লিশ ডেকে এনে অধ্যক্ষকে থানায় পাঠিয়ে দিই অধ্যক্ষ প্রথমে থানায় যেতে রাজি হননি পরে আমি তাকে বলি আপনি যান আমিও আসছি সে সময় ভিকটিমের পরিবারকেও পাঠাই এবং বলি যা অভিযোগ সেটা থানায় গিয়ে জানাতে উল্লেখ্য গত ৬ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আলিম এইচএসসি পর্যায়ের আরবি প্রথমপত্র পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে যান নুসরাত এরপর কৌশলে তাকে পাশের ভবনের ছাদে ডেকে নেওয়া হয় সেখানে ৪৫ জন বোরকা পরা ব্যক্তি তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় সেদিনই নুসরাতকে প্রথমে ফেনী সদর হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এনে ভর্তি করানো হয় মৃত্যুর আগে নুসরাত ঢামেকের বার্ন ইউনিটে লাইফ সার্টে ছিলেনকারা করেছিল পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিমাদ্রাসার বর্তমান পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি রুহুল আমিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন ২৮ মার্চ দুটি মিছিল হয়েছে সেটি আমি ফেসবুকে দেখেছি সেখানে অধ্যক্ষের পক্ষে ও বিপক্ষে দুজন কাউন্সিলর ছিল তাদের মধ্যে একজন মাদ্রাসার আগের কমিটির সদস্য শেখ মামুন অন্য স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে অধ্যক্ষের ফাঁসি চেয়ে জিরো পয়েন্টে মানববন্ের আয়োজন করেন এর বিপরীতে অধ্যক্ষের পক্ষে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ওই জিরো পয়েন্টেই মিছিল নিয়ে যায় পরিস্থিতি দেখে আমি কাউন্সিলর মাকসুদকে ফোন দিই সেও তখন জিরো পয়েন্টেই ছিলএরপর সবাই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ব্যস্ত হয়ে যান উল্লেখ করে রুহুল আমিন বলেন পরে সেদিন ৬ এপ্রিল পরীক্ষাচলাকালীন আগুনের ঘটনাটি ঘটলো এই অধ্যক্ষ যে এত খারাপ এ বিষয়টা আগে কেন ফুটে উঠলো না বলে বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষের পক্ষ নেওয়ার অভিযোগ আছে বলে জানানো হলে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন এসব যারা বলে তারা আমাকে সরাসরি জিজ্ঞেস করতে পারে না কেন আমি অধ্যক্ষকে লিশের কাছে তুলে দিলাম২৮ মার্চ অধ্যক্ষের পক্ষের মিছিলের জন্য মাকসুদকে সরাসরি দায়ী করে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও উপজেলা আওয়ামী লীর সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মামুন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন অধ্যক্ষের পক্ষে মাদ্রাসার ছাত্ররা মিছিল বের করলেও এর পেছনে ছিলেন বর্তমানে তক মাকসুদুল আলম রো কর্মসূচি আয়োজনে অধ্যক্ষের সাবেক ও বর্তমান ছাত্র এবং মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি যুক্ত ছিল আমরা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যখন মানববন্ করি সেখানে মাকসুদ আমার ওপর চড়াও হয়েছিল আমি কিছু বলিনি সরে এসেছি আপনার সময়েও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে বলে অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এ তথ্য জানানো হলে শেখ মামুন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন সে সময় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অর্থলুণ্ঠনসহ নানা অভিযোগ উত্থাপনের চেষ্টা করেছি প্রতিকার পাইনিঅধ্যক্ষকে রক্ষা করে আসছিল যারাঅনুসন্ধানে বেরিয়ে আসেঅধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা সোনাগাজী উপজেলা জামায়াতের আমির ছিলেন তার বিরুদ্ধে আগেও অনৈতিক কাজের অভিযোগ এবং একাধিক মামলা আছে তিন বছর আগে তাকে জামায়াত থেকে বহিষ্কার করার পরেও তিনি এই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিসেবে টিকে ছিলেন স্থানীদের ভাষ্য সেসময় জামায়াত থেকে বের হয়ে এই অধ্যক্ষ ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মামুনের সহায়তায় টিকে যান যদিও কিছুদিনের মধ্যেই শেখ মামুনের সঙ্গে তার সখ্যতা কমতে থাকে এসময় তিনি আরেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীর সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুর রহমানের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন এই দুই ওয়ার্ড কাউন্সিলরই ২৮ মার্চ অধ্যক্ষের পক্ষেবিপক্ষে অবস্থান নেনএতদিন অধ্যক্ষের বিষয়ে অভিযোগগুলো আমলে না নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে মাদ্রাসার বর্তমান সভাপতি ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্বপি কে এনামুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন তার বিরুদ্ধে এখন বেশিরভাগ যে অভিযোগগুলো তোলা হচ্ছে সেলো আপনারদের মতোই আমিও এখন শুনছি তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও যৌন হয়রানির অভিযোগ আগেও ছিল সেটি তিনি জানেন কিনা প্রশ্নে এনামুল হক বলেন অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় অডিট কমিটি করা হয় পরে অধ্যক্ষকে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল সেটিতো নিষ্পত্তি হওয়া জিনিস পেছনের অনেক বিষয় এখন উঠে আসছে তবে যৌন হয়রানির অভিযোগে এ দফা মামলা এবং মামলার পরে যা যা এই অধ্যক্ষ ঘটিয়ে তাতে আমি তাকে মানুষ মনে করি না সে নরপশুআরও পড়ুনযে কারণে নুসরাতকে বাঁচানো লো নানুসরাতের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোকনুসরাতকে বাঁচাতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি মেডিক্যাল বোর্ড প্রধানদগ্ধ মাদ্রাসাছাত্রীকে সিঙ্গারে পাঠানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীরদগ্ধ মাদ্রাসাছাত্রীকে সিঙ্গারে পাঠানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীরফিডব্যাক এলে দগ্ধ মাদ্রাসাছাত্রীকে সিঙ্গার পাঠানো হবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীমাদ্রাসাছাত্রীকে ড়িয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মামলা দায়েরলাইফ সার্টে ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রীফেনীর সেই মাদ্রাসাছাত্রী শঙ্কামুক্ত নয়ফেনীর সেই মাদ্রাসাছাত্রীর চিকিৎসায় ৮ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডমাদ্রাসাছাত্রীকে ড়িয়ে হত্যাচেষ্টায় জড়িতদের গ্রেফতারের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীরআমি এই ঘটনার বিচার চাই সেই মাদ্রাসাছাত্রীর বাবা মাদ্রাসাছাত্রীকে ড়িয়ে হত্যার চেষ্টা অগ্নিসংযোগকারীদের পরনে ছিল বোরকা হাতমোজা ও কালো চশমাপরীক্ষার হল থেকে ডেকে নিয়ে মাদ্রাসাছাত্রীকে ড়িয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ |
অধ্যাদেশ ভঙ্গ করে পরীক্ষায় অংশ নিতে যাচ্ছেন রাবির সাবেক ছাত্রলীগ নেতা দেশ ২৮ অক্টোবর ২০১৯ ০৫২৮ ছাত্রত্ব শেষ হওয়ার পরও অধ্যাদেশ বহির্ভূতভাবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাবি সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতাকে মাস্টার্সের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিশেষ বিবেচনায় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তাকে পরীক্ষার সুযোগ করে দিয়েছে বলে জানা ছেঅভিযুক্ত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাকিম বিল্লাহ্ ২০১৫১৬ শিক্ষাবর্ষে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে ভর্তি হন তিনি ছাত্রলীর মিজানুর রহমান রানা ও খালিদ হাসান বিপ্লবের কমিটির পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেনবিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ অনুযায়ী একজন শিক্ষার্থীকে ভর্তি হওয়ার তিন একাডেমিক বছরের মধ্যে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করতে হয় সে হিসেবে মোস্তাকিম বিল্লাহর ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে ২০১৭১৮ শিক্ষাবর্ষে কিন্তু সম্প্রতি তিনি বিভাগে ২০১৮১৯ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স পরীক্ষার ফরম পূরণ করে আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে এ পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা রয়েছেবিভাগ সূত্রে জানা যায় মোস্তাকিম ২০১৫১৬ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেননি ২০১৭ সালের স্নাতকোত্তর পরীক্ষা শুরু হয় ২০১৮ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সেবার পরীক্ষায় অংশ নেন মোস্তাকিমসহ ৭৬ শিক্ষার্থী ২৬ ফেব্রুয়ারি ৫০৪ কোর্স পরীক্ষায় ওই হলের ডিউটিরত শিক্ষক সুলতান মাহমুদ রানার সঙ্গে বাজে আচরণ করেন মোস্তাকিম পরে ওইদিনই বিভাগ থেকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর অভিযোগ দেওয়া হয় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দফতর হয়ে অভিযোগটি ডিসিপ্লিনারি কমিটিতে যায় তাদের সুপারিশক্রমে ৪৮১তম সিন্ডিকেট সভায় মোস্তাকিমকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয় ফলে তিনি ২০১৭১৮ শিক্ষাবর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননিচলতি বছরের ১৫ এপ্রিল মোস্তাকিম বিভার সভাপতিকে মাধ্যম করে উপাচার্য বরাবর শাস্তি মওকুফের একটি আবেদন করেন বিভাগ কোনও প্রকার সুপারিশ না করে আবেদনের ওপর শুধু প্রেরিত হলো লিখে উপাচার্যের কাছে পাঠায় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান বিষয়টি ৪৯০তম সিন্ডিকেট সভায় তোলেন পরে মোস্তাকিমের শাস্তি মওকুফ করে ২০১৮১৯ শিক্ষাবর্ষে পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি দেয় সিন্ডিকেটএ বিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভার সভাপতি অধ্যাপক এক্রাম উল্লাহ বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নিজস্ব অধ্যাদেশ রয়েছে সে অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হয় সেখানে উল্লেখ আছে একজন শিক্ষার্থীকে সর্বোচ্চ তিন বছরের মধ্যে তার মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করতে হবে সে হিসেবে মোস্তাকিম বিল্লাহ্র ছাত্রত্ব শেষ হয়ে ছেতাহলে তার ব্যাপারে সুপারিশ করা হয়েছে কেন এমন প্রশ্নে এক্রাম উল্লাহ বলেন বিভার পক্ষ থেকে কোনও ধরনের সুপারিশ করা হয়নি মোস্তাকিম একটি আবেদন করেছিল বিষয়টি আমরা আমাদের একাডেমিক সভায় আলোচনা করি সেখানে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোনও প্রকার সুপারিশ না করে প্রেরিত হল মর্মে লিখিত দিয়ে আমরা প্রশাসনের কাছে পাঠাই বিভার সভাপতি এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননিবিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায় মোস্তাকিম বিল্লাহ তার রাজনৈতিক আধিপত্য দেখিয়ে বিভার অনেক শিক্ষকের সঙ্গে বিভিন্ন সময় অসৌজন্যমূলক আচরণ করে এছাড়া ২০১৪ সালে ১৩ মে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভার মাস্টার্সের পরীক্ষা কক্ষে শিক্ষকদের পিস্তল দেখিয়ে পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে ওইদিনই তাকে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট শাখা ছাত্রলীর সম্মেলনকে সামনে রেখে তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয় এছাড়াও ২০১৪ সালে ২ ফেব্রুয়ারি সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ছাত্রলীর হামলার সময় তাকে অস্ত্র নিয়ে ঘুরতে দেখার অভিযোগ রয়েছেবিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সিনিয়র শিক্ষক ও সাবেক সিন্ডিকেট সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা ছে সিন্ডিকেট চাইলে বিশেষ বিবেচনায় শাস্তি মওকুফ করতে পারে তবে সেক্ষেত্রে যুক্তিযুক্ত কোনও বিষয় থাকতে হয় যা বিবেচনা করে শাস্তি মওকুফ করা হয়এক্ষেত্রে কী বিবেচনায় সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতার শাস্তি সিন্ডিকেট মওকুফ করেছে তা জানতে চাইলে এ নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা আরেক উপউপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো জাকারিয়ার মন্তব্য জানতে একাধিকবার দফতরে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি পরে মুঠোফোনে যোগাযোর চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননিনাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিন্ডিকেট সদস্য বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন সিন্ডিকেটে এই শিক্ষার্থীর একাডেমিক সেশন কৌশলে উল্লেখ করা হয়নি সে শাস্তি মওকুফ চেয়ে আবেদন করেছে সেক্ষেত্রে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তাকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে সিন্ডিকেট কিন্তু একাডেমিকভাবে তিন বছর শেষ হয়েছে সেক্ষেত্রে তিনি পরীক্ষা দিতে পারেন না বিগত সময় অনেক শিক্ষার্থীর বেলায় এমনই ঘটেছেজানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রয়ক মো বাবুল ইসলাম বলেন কিসের বিবেচনায় তার শাস্তির মওকুফ করে পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে সেটি আমার জানা নেই আমি সিন্ডিকেট সদস্য নই তাই সিন্ডিকেটে অ্যাক্সেসের সুযোগ নেইএ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীর সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন মোস্তাকিম বিল্লাহ্ বর্তমানে ছাত্রলীর কেউ না তিনি সাবেক কমিটির সদস্য তাকে কী বিবেচনায় পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে আমি অবগত নই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনই ভালো বলতে পারবে জানতে চাইলে মোস্তাকিম বিল্লাহ বলেন আমি ২০১৬১৭ শিক্ষাবর্ষের সবগুলো পরীক্ষা দিয়েছিলাম ভাইভা দেওয়ার পর আমাকে চিঠির মাধ্যমে জানানো হয় আমাকে ওই বছরসহ আগামী দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে পরে আমি শাস্তি মওকুফের আবেদন করেছিলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মানবিক দিক বিবেচনা করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আমার শাস্তি মওকুফ করেছেবিশেষ বিবেচনায় সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতার শাস্তি মওকুফ করে পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এমএ বারী স্পষ্ট করে কিছু বলেননি ২৪ অক্টোবর তার দফতরের লে দফতরের উপ রেজিস্ট্রার মো মখলেছুর রহমান বলেন রেজিস্ট্রার স্যার ঢাকায় আছেন পরে মুঠোফোনে অধ্যাপক এমএ বারী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন আমি এখন ঢাকায় আছি বিষয়টি এ মুহূর্তে কিছু বলতে পারছি না দেখে বলতে হবে পরে ২৭ অক্টোবর সকালে তার দফতরে লে তিনি জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন দেখে বলতে পারবেন এবং দুরের পরে আসার জন্য বলেন বিকাল ৩টার দিকে লে দফতরের এক কর্মকর্তা জানান রেজিস্ট্রার স্যার দফতরে নেই পরে সোয়া ৩টার দিকে আবারও গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে অধ্যাপক বারী বলেন ক্যালেন্ডার দিয়ে যেতে বলেছিলাম কিন্তু এখনও পাইনি আসলে দেখে বলতে পারবো এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের মন্তব্য জানতে ২৪ অক্টোবর তার দফতরে লে সহকারী রেজিস্ট্রার নারায়ণ চন্দ্র বর্মণ জানান উপাচার্য ঢাকায় আছেন পরে ২৭ অক্টোবর বিকালে তার দফতরে গিয়ে এক ঘণ্টারও বেশি সময় অপেক্ষা করেও সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি পরে মুঠোফোনে কল দিলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান |
অধ্যাদেশে আরপিও সংশোধন হতে পারে জাতীয় ২৫ অক্টোবর ২০১৮ ১৭১৩ রাষ্ট্রপতির জারি করা অধ্যাদেশের মাধ্যমে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ আরপিও সংশোের সম্ভাবনার কথা জানিয়ে নির্বাচন কমিশন ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে বৃহস্পতিবার দুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সচিব তিনি কথা বলেনআরপিও সংশোের বিষয়ে তিনি বলেন চলতি সংসদে আরপিও না উঠলে অধ্যাদেশের মাধ্যমেও এটি পাস করা হতে পারে পরে পরবর্তী সংসদের প্রথম অধিবেশনে এটি পাস করা হবে তবে আমরা আশাবাদী চলতি সংসদেই এটি উঠবেজাতীয় নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ইভিএম কিভাবে ব্যবহার করা হবে বা আদৌ হবে কি না তা এই অধ্যাদেশের সংশোীর মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যাবে একইসঙ্গে নির্বাচনি ম্যানুয়াল তৈরির দিকনির্দেশনাও থাকবে এই সংশোীতেনির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা ছে জাতীয় নির্বাচনের অন্যান্য প্রস্তুতি এগিয়ে নেওয়া হলেও আরপিও সংশো না হওয়ায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ইভিএম ব্যবহার সংক্রান্ত বিধিা চূড়ান্ত ও নির্বাচনি ম্যানুয়াল তৈরি করতে পারছে না সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি ফলে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছেআরপিও সংশোের চিন্তা থেকে সরে এসে গত জুনের দিকে নির্বাচন কমিশন সংসদ নির্বাচনের সীমানা নির্ধারণ ভোটার তালিকা হালনাগাদ নির্বাচনি সামগ্রী ক্রয়সহ যাবতীয় কাজ ছিয়ে এনেছিল কিন্তু গত আগস্টে ইসির অবস্থানে বড় ধরনের পরিবর্তন দেখা যায় হঠাৎ করে ইসি সিদ্ধান্ত নেয় আরপিও সংশো করে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিধান যুক্ত করার সে অনুযায়ী একজন কমিশনার আপত্তি জানালেও গত ৩০ আগস্ট ইভিএম যুক্ত করে আরপিও এর সংশোী অনুমোদন করে ইসি তা ভেটিংসহ আইনে পরিণত করতে আইন মন্ত্রণালয়েও পাঠানো হয়েছে গত ৩ সেপ্টেম্বর আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর মন্ত্রিসভার তিনটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও এখনও তা মন্ত্রিসভায় ওঠেনি ফলে সংসদের ২২তম অধিবেশনে এটা উত্থাপন বা পাস করা সম্ভব হয়নিতবে ইসি আশাবাদী জাতীয় সংসদের চলতি মেয়াদের শেষ অর্থাৎ ২৩তম অধিবেশনেই আরপিও সংশোের বিলটি উত্থাপন করা হবে এই মেয়াদে এটি পাস করা সম্ভব না হলে সংসদের জন্য অপেক্ষা না করে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে করারও সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়ে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ |
অধ্যাপক আকমল হোসেনের ৩৭ বছরের পাঠদান সিলেবাস খতিয়ে দেখবে ঢাবি শিক্ষক সমিতি অন্যান্য ২৫ জুলাই ২০১৮ ১৭১৩ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আকমল হোসেন তার ৩৭ বছরের অধ্যাপনাকালে শ্রেণিকক্ষে যে সিলেবাস পড়িয়ে তা খতিয়ে দেখবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বুধবার ২৫ জুলাই সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করার প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ে শিক্ষক নেতারা এ কথা জানানশিক্ষক সমিতির দাবি অধ্যাপক আকমল হোসেন গত ১৯ জুলাই বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে যে বিতর্কিত কথা বলে তা মুক্তিযুদ্ধকে অবমাননার শামিল একইসঙ্গে তিনি শ্রেণিকক্ষে ৩৭ বছর ধরে কী পড়িয়ে এবং তিনি শিক্ষার্থীদেরকে মুক্তিযুদ্ধে সম্পর্কে কোনও ধরনের বিতর্কিত তথ্য পরিবেশন করে কী না তা খতিয়ে দেখবে শিক্ষক সমিতিমানববন্ থেকে শিক্ষকরা আকমল হোসেনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানান ব্যবস্থা না নিলে শিক্ষক সমিতি কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়ে এছাড়াও তারা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করে বক্তব্য দেওয়ার জন্য অধ্যাপক আকমল হোসেনকে নিঃশর্তভাবে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ে বক্তব্য রাখেন সমাজবিজ্ঞান বিভার অধ্যাপক আ ক ম জা উদ্দীন তিনি বলেন একজন সিনিয়র অধ্যাপক হিসেবে তার এধরনের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই এই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ঢাবি প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি তিনি কোটা আন্দোলনের জন্য সরকারের পলিসিকে দায়ী করে আরও বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে বিনয়ের সঙ্গে প্রজ্ঞার সঙ্গে বলতে চাই আপনার সরকারের পলিসিও কিন্তু কোটা আন্দোলনের জন্য দায়ী ফরাস উদ্দীন কমিশনের কোনও প্রয়োজন ছিল না অতিরিক্ত আমলা ষণের কারণে আমাদের শিক্ষার্থীরা আজকে একাডেমিক পড়া না পড়ে বিসিএস পড়ছে আপনি লক্ষ্য করলে দেখবেন প্রতিদিন সকালে শাহবাগ থেকে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা দাঁড়িয়ে থাকে যার কারণে এধরনের পলিসির চাপ কোটা আন্দোলনের ওপর এসে পড়েছেশিক্ষক সমিতির সভাপতি এ এস এম মাকসুদ কা বলেন অধ্যাপক আকমল হোসেন যে ধরনের বক্তব্য দিয়ে তার মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধকে অবমাননা করা হয়েছে ৩৭ বছরের শিক্ষকতায় তিনি কী পড়িয়ে তা খতিয়ে দেখবে শিক্ষক সমিতি আমরা আকমল হোসেনকে তার দেওয়া বক্তব্যের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলবো এবং তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি তা না হলে শিক্ষক সমিতি কঠোর আন্দোলনে যাবেএতে আরও বক্তব্য রাখেন কবি সুফিয়া কা হলের প্রাধ্যক্ষ সাবিতা রেজওয়ানা রহমান গণিত বিভার অধ্যাপক ড সামাদ প্রমুখউল্লেখ্য গত ১৯ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতাদের মুক্তি শিক্ষক লাঞ্ছনা এবং নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিপীড়নবিরোধী শিক্ষকদের ব্যানারে আয়োজিত সংহতি সমাবেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আকমল হোসেন বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করে বক্তব্য দিয়ে বলে ঢাবি আওয়ামীপন্থী শিক্ষকরা অভিযোগ করেআরও পড়ুন বক্তব্য খণ্ডিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে দাবি আকমল হোসেনের |
অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বাংলা সাহিত্যের বাতিঘর জাতির বিবেক অন্যান্য ১০ মার্চ ২০১৮ ২২৩৯ আনিসুজ্জামান বাংলা সাহিত্যের বাতিঘর তিনি শুধু বাতিঘরই নন জাতির বিবেকও আমার কাছে গ্রহণযোগ্য হচ্ছে তিনি জাতির বিবেক তার চিন্তা চেতনা বাঙালি জাতিকে সমৃদ্ধ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাবি ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের ৮১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবর্া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল আবদুল মুহিত একথা বলেনশনিবার ১০ মার্চ বিকালে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি এবং বাংলাদেশ স্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি এ আয়োজন করে গত ১৮ ফেব্রুয়ারিতে ৮২ বছরে পা রাখেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামানসংবর্া অনুষ্ঠানে ফুল ও বই দিয়ে আনিসুজ্জামানকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান বিশিষ্ট নাগরিকরা বিভিন্ন সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাসহ তার ণমুগ্ধরা বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন সরকার যেন এ ণী শিক্ষককে জাতীয় অধ্যাপক ঘোষণা করে সে আবেদন জানাইবক্তারা বলেন আনিসুজ্জামান এ সময়ের বাতিঘর তার মতো ব্যক্তির আরও অনেকদিন বেঁচে থাকা দরকার তরুণ প্রজন্মের জন্য তিনি এক প্রেরণার নাম কেউ কেউ বললেন ভাষা আন্দোলনে অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের অগ্রগণ্য অবদান ছিল কিন্তু সে অবদানের কথা সেভাবে উঠে আসছে না তিনি নিজেও সেটিকে স্বউদ্যোগী হয়ে প্রকাশ করছেন না এটা তুলে ধরা উচিতসভাপতির বক্তব্যে কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান স্যার সরাসরি আমার শিক্ষক ছিলেন না কিন্তু তার লেখনি ও সাহিত্যের মাধ্যমে আমি যা জেনেছি তা শিক্ষকের চেয়ে ঢের বেশি জাতির ক্রান্তিকালে তিনি এ জাতিকে পথ দেখিয়ে তিনি একজন পাবলিক ইন্টেলেকচুয়ালমঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আনিসুজ্জামানের স্ত্রী সিদ্দিকা জামান আয়োজক দুই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মাজহারুল ইসলাম ও মো আরিফ হোসেনজন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত ছিলেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন শিল্পী হাশেম খান সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ মুনায়েম খানসহ সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা |
অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের জন্মদিনে শিক্ষামন্ত্রীর শুভেচ্ছা জাতীয় ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১৭৫৩ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড আনিসুজ্জামানের ৮০তম জন্মদিন উপলক্ষে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শনিবার ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছেবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ শনিবার সাক্ষাৎ করে তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান মন্ত্রী এসময় তার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করেনঅধ্যাপক ড আনিসুজ্জামানকে সমাজের আলোকবর্তিকা উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন তিনি আমাদের প্রজন্মের একজন আদর্শ ব্যক্তিত্বআরও পড়ুনসুনির্দিষ্ট সুপারিশ পেলে শিক্ষকদের দাবি বিবেচনা করা হবে শিক্ষামন্ত্রীসাংবাদিক সুরক্ষায় দেশে বিশেষ কোনও আইন নেই তথ্যমন্ত্রীএসএমএটিআর |
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদকে গুম করার হুমকিতে আইনসালিশের উদ্বেগ আইন ও অপরাধ ১৭ জুলাই ২০১৯ ১৮০৫ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভার অধ্যাপক আনু মুহাম্মদকে সপরিবারে ম করার হুমকিতে উদ্বেগ জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র আসক হুমকিদাতাকে দ্রুত শনাক্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়াসহ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ ও তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করারও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগ জানায় সংগঠনটিসংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় নিজেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন পরিচয় দিয়ে ১৬ জুলাই ২০১৯ সকাল ১০টায় অধ্যাপক আনু মুহাম্মদকে ফোন করে চাঁদা দাবি চাওয়া হয় টাকা না দিলে পরিবারের সদস্যদের ম করারও হুমকি দেওয়া হয় এ ঘটনায় অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ খিলগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি জিডি করেফোনে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি তার ও তার পরিবারের ক্ষতি করার হুমকি দেওয়ার এ ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক আইন ও সালিশ কেন্দ্র দ্রুত সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হুমকিদাতাকে শনাক্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানায়একইদিন বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো আরেক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় বরগুনায় রিফাত হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে সর্বোচ্চ সংবেদনশীল থেকে জিজ্ঞাসাবাদের আহ্বান জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র রিফাত হত্যাকাণ্ডের স্পর্শকাতরতা বিবেচনায় নিয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটন করারও আহ্বান জানায় সংগঠনটিআসকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয় মিন্নিকে গ্রেফতারের মাধ্যমে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত স্থানীয় প্রভাবশালীরা যেন আড়ালে চলে না যায় সে ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখার প্রয়োজন রয়েছে একইসঙ্গে মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার প্রতি যেন সর্বোচ্চ সংবেদনশীল আচরণ করা হয় এছাড়া তাকে যেন কোনও ধরনের হয়রানির শিকার হতে না হয় তাও নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি |
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদকে হত্যার হুমকি আইন ও অপরাধ ১৩ অক্টোবর ২০১৬ ১৪৪৯ তেলগ্যাসখনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদকে মোবাইলে এসএমএসর মাধ্যমে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বুধবার রাত ১ টার দিকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেআনু মুহাম্মদ বলেন একটি এয়ারটেল নম্বর থেকে আমার ব্যবহৃত নম্বরে ম্যাসেজ পাঠিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে ইংরেজিতে লেখা দুটি বাক্য রয়েছে এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নেবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক বলেন আমার ইচ্ছা নেই তবে সবাই যেভাবে চাপ প্রোয়োগ করছে তাতে মনেহচ্ছে জিডি করতে হবেতিনি আরও বলেন আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইতোমধ্যে নম্বরটি লিখে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছি জিডি করলে জানাবোএআরআরএআর |
অধ্যাপক আবু সাইয়িদের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলার প্রতিবেদন ১ এপ্রিল অন্যান্য ০৪ মার্চ ২০১৯ ১৬৪৯ অধ্যাপক না হয়েও নিজের নামের আগে অধ্যাপক শব্দটি ব্যবহার করেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীর সাবেক নেতা অধ্যাপক আবু সাইয়িদ এ কারণে তার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুর ছেলে ড এসএম নাফিস শামস সেই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য আগামী ১ এপ্রিল দিন ধার্য করছেন আদালতসোমবার ৪ মার্চ মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল কিন্তু এদিন শেরেবাংলা নগর থানা লিশ প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুনন তারিখ ধার্য করেনগত ১০ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক তোফাজ্জল হোসেনের আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন এরপর বিচারক শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেনমামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয় অধ্যাপক আবু সাইয়িদ কোনও কলেজে কখনও অধ্যাপনা করে বলে সমাজের মানুষের জানা নেই তবে আসামি খণ্ডকালীন প্রভাষক হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অল্প সময়ের জন্য কর্মরত ছিলেন আসামি অধ্যাপক না হয়েও বিভিন্ন জায়গায় বইয়ে এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের হলফনামায় অধ্যাপক পদবি ব্যবহার করেন তিনি সমাজের মানুষের কাছে নিজেকে অধ্যাপক পরিচয়ে প্রচার করে ভোট পাওয়ার পাঁয়তারাসহ জনগণকে বিভ্রান্ত করে আসছেনবাদী অভিযোগ নিয়মিত ১৫ বছর কোনও কলেজে অধ্যাপনা না করলে অধ্যাপক হওয়া যায় না আসামি বর্তমানে গণফোরামের নেতা এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে ধানের শীষে সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী হয়ে এমপি পদে নির্বাচন করতে হলে তিন বছর পূর্বে চাকরি ছেড়ে দিতে হয় তাহলে প্রার্থী হওয়া যায় আসামি বিভিন্ন বই লিখে কিন্তু কোনও বইয়ে কোন কলেজে তিনি অধ্যাপনা করে এমন কোনও টাইটেল লেখকের পরিচয় হিসেবে লেখা নাইআসামি অধ্যাপক না হয়েও অধ্যাপকের পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে আসছেন এবং ভুল তথ্য প্রচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন এর মধ্যদিয়ে আসামি বাংলাদেশ দণ্ডবিধি ৪১৯৪২০ ধারায় অপরাধ করে |
অধ্যাপক আবু সাইয়িদের বিরুদ্ধে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী টুকুর ছেলের মামলা অন্যান্য ১০ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৭১১ সাবেক মন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ নিজ নামের আগে অধ্যাপক ব্যবহার করায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুর ছেলে ড এস এম নাসিফ শামস প্রতারণার মামলা দায়ের করেসোমবার ১০ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন জবানবন্দি গ্রহণ শেষে বিচারক শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মামলার অভিযোর বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েমামলার অভিযোগ থেকে জানা যায় অধ্যাপক আবু সাইয়িদ কোনও কলেজে কখনও অধ্যাপনা করে বলে জানা নেই তবে খণ্ডকালীন প্রভাষক হিসেবে আসামি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অল্প সময়ের জন্য কর্মরত ছিলেন আসামি অধ্যাপক না হয়েও বিভিন্ন জায়গায় বইস্তকে এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের হলফনামায় অধ্যাপক পদবি ব্যবহার করেন এর মাধ্যমে সমাজের মানুষের কাছে ভোট পাওয়ার পাঁয়তারাসহ সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত করে আসছেনবাদী অভিযোগে বলেন নিয়মিতভাবে ১৫ বছর কোনও কলেজে অধ্যাপনা না করলে অধ্যাপক হওয়া যায় না আসামি বর্তমানে গণফোরামের নেতা ঐক্যফ্রন্ট থেকে ধানের শীষে এমপি প্রার্থী হয়ে এমপি পদে নির্বাচন করতে হলে তিন বছর আগে চাকরি ছেড়ে দিতে হয় আসামি বিভিন্ন বই লিখে কোনও বইয়ে কোন কলেজে অধ্যাপনা করে এমন কোনও পরিচয় সুনির্দিষ্ট নেইআসামি অধ্যাপক না হয়ে অধ্যাপকের পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে আসছেন এবং জনগণের কাছে ভুল তথ্য প্রচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন এর মাধ্যমে আসামি বাংলাদেশ দণ্ডবিধি ৪১৯৪২০ ধারায় অপরাধ করেপ্রসঙ্গত অধ্যাপক আবু সাইয়িদ সম্প্রতি ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিয়ে পাবনার বেড়া থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেনআরও পড়ুন ৩০০ আসনে প্রধান দুই জোটের প্রার্থী যারা |
অধ্যাপক ছদরুদ্দিন আহমদের মৃত্যুতে রাবি উপাচার্যের শোক দেশ ২৪ জুলাই ২০১৬ ১৬৫০ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভার সাবেক অধ্যাপক ও বিশিষ্ট ভাষা সংগ্রামী অধ্যাপক ড ছদরুদ্দিন আহমদ চৌধুরীর ৮৬ মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন ও উপউপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহানরবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এ শোক প্রকাশ করেনবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় তথা বাংলাদেশে পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় অধ্যাপক চৌধুরীর অবদান গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন উপাচার্য ও উপউপাচার্যগতকাল শনিবার বিকেলে ঢাকার একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করে ড ছদরুদ্দিন আহমদ চৌধুরী তিনি দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন মৃত্যুকালে তিনি তিন কন্যা রেখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনাকালে তিনি সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যসহ অন্যান্য কয়েকটি রুত্বপূর্ণ দায়িত্বও পালন করেন এছাড়া তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন উপাচার্য ছিলেনএসএনএইচ |
অধ্যাপক জাফর ইকবালের ওপর হামলায় চবি শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন আমার ক্যাম্পাস ০৪ মার্চ ২০১৮ ২০৫২ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ লেখক অধ্যাপক জাফর ইকবালের ওপর হামলার ঘটনায় মানবন্ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি রবিবার দুরে বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে এই মানববন্ অনুষ্ঠিত হয় এ সময় আগামীকাল সোমবার এক ঘন্টার কর্ম বিরতি ঘোষণা দেন শিক্ষক সমিতির নেতারামানবন্ে বক্তারা বলেন অধ্যাপক জাফর ইকবালের ওপর হামলা শুধু হামলা নয় এটি আমাদের স্বাধীনতার উপর হামলা মুক্তবুদ্ধির উপর হামলা জাতির বিবেকের ওপর হামলা এ হামলা কোন একার কাজ নয় একটি সংঘবদ্ধ গোষ্ঠির কাজ প্রগতিশীলতাকে ধ্বংস করার জন্য এটি প্রতিক্রিয়াশীলদের পরিকল্পিত চক্রান্ত প্রগতিশীল শিক্ষকের উপর হামলা প্রগতিশলিতাকে কখনো দমাতে পারবে নামানববন্ে বিশ্ববিদ্যালয় উপউপাচার্য অধ্যাপক ড শিরিন আখতার বলেন পেছন থেকে হামলা কারুষের মতো আক্রমণ একজন শিক্ষকের উপর এমন আক্রমণ কখনও মেনে নেওয়া যায় না যারা উগ্রবাদ মৌলবাদকে ঘৃণা করেন তাদের মধ্যে জাফর ইকবাল অন্যতম তার উপর এই পরিকল্পিত হামলার তীব্র নিন্দা জানান তিনিমানববন্ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মিহির কুমার রায়ের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মধাব দীপের সঞ্চালনায় অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড সিকান্দার চৌধুরী বিজ্ঞান অনুষদের দিন অধ্যাপক ড শাফিউল আলম জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড মাহবুবুর রহমান ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন এএফএম আওরঙ্গজেব বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড কামরুল হুদা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি বেনু কুমার দেমানববন্ে একাত্ত্বতা ষন করেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতৃবৃন্দ |
অধ্যাপক জাফর ইকবালের ওপর হামলায় জাবিতে বিক্ষোভ আমার ক্যাম্পাস ০৪ মার্চ ২০১৮ ২২২৫ বিশিষ্ট লেখকশিক্ষাবিদ এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকশিক্ষার্থীরা এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে তারাহামলার প্রতিবাদে রবিবার শহীদ মিনারের সম্মুখে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ব্যানারে মানববন্ অনুষ্ঠিত হয় মানববন্ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড ফারজানা ইসলাম বলেন এই হামলা মুক্তবুদ্ধি ও প্রগতিশীল চিন্তার চর্চাকে ব্যাহত করার একটি অপচেষ্টা কোনও অশুভ শক্তি শুভ শক্তিকে থামিয়ে দিতে পারবে না দেশ ও জাতি অধ্যাপক জাফর ইকবালের সঙ্গে আছে সন্ত্রাস ও বাদ প্রতিরোধে রাষ্ট্রের পাশাপাশি জনসাধারণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনিমানববন্ে উপউপাচার্য অধ্যাপক মো আমির হোসেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো মঞ্জরুল হকসহ শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন অনুষদের ডিন হল প্রভোস্ট শিক্ষকশিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাকর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেনএরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষকশিক্ষার্থী ঐক্য মঞ্চের ব্যানারে শহীদ মিনার থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয় মিছিলটি রুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে নরায় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয় পরে সেখানে এক সমাবেশে মিলিত হন শিক্ষকশিক্ষার্থীরাসমাবেশে সরকার ও রাজনীতি বিভার অধ্যাপক নাসিম আখতার হোসাইন নৃবিজ্ঞান বিভার সভাপতি মির্জা তাসলিমা সুলতানা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেনএছাড়া অধ্যাপক জাফর ইকবালের ওপর হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়ে |
অধ্যাপক জিয়া আন্তর্জাতিক অপরাধ বিজ্ঞান সোসাইটির পরিচালক নির্বাচিত আমার ক্যাম্পাস ০১ নভেম্বর ২০১৯ ২০১০ ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব ক্রিমিনোলজির বোর্ড অব ডিরেক্টরস নির্বাচিত হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলাজি অ্যান্ড ক্রিমিনাল জাস্টিস বিভার অধ্যাপক জিয়া রহমান আগামী পাঁচ বছরের ২০১৯২০২৪ জন্য তিনি এ পদে নির্বাচিত হয়ে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বখ্যাত এই আন্তর্জাতিক সংগঠনে অধ্যাপক জিয়া এই কমিটিতে স্থান পেলেনসম্প্রতি কাতারের রাজধানী দোহায় অপরাধ বিজ্ঞান সোসাইটির আয়োজনে আন্তর্জাতিক কনফারেন্স শেষে নতুন এই কমিটির ঘোষণা দেওয়া হয়এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অধ্যাপক এমিলো সি ভিয়ানো সংগঠনটির সভাপতি হিসেবে নরায় নির্বাচিত হয়ে আন্তর্জাতিক এই সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক হয়ে মার্কিন যুক্তরাজ্যের আরেক অধ্যাপক ড সুসান এওয়ার্ডস অধ্যাপক জিয়া ১৮ জন বোর্ড ডিরেক্টরের প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে নির্বাচিত হয়ে তিনি বাংলাদেশ সোসাইটি অব ক্রিমিনোলাজির সভাপতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানঅধ্যাপক জিয়া বলেন একজন বাংলাদেশী হিসেবে আন্তর্জাতিক এই কমিটিতে নির্বাচিত হওয়া অবশ্যই আনন্দের এটা আমি তথা বাংলাদেশের জন্য একটি গর্বের বিষয় |
অধ্যাপক ডা এ এস এম জাকারিয়া স্বপন ছিলেন উদ্যমী চিকিৎসক নেতা অন্যান্য ০৬ মার্চ ২০১৮ ২২২৬ অধ্যাপক ডা এ এস এম জাকারিয়া স্বপন ছিলেন তরুণ উদ্যমী চিকিৎসক নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে তিনি আজীবন কাজ করে পরিশ্রম করে জাকারিয়া স্বপনএর মতোই উদ্যমী হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে হবে উপমহাদেশের অন্যতম গবেষণাধর্মী মানসম্মত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে এগিয়ে নিতে হবে সবাই মিলেমিশে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে রক্ষা করতে হবে এবং ভাবমূর্তি উজ্জ্বল রাখতে হবে আজ মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএসএমএমইউর বি ব্লকের শহীদ ডা মিলন হলে সদ্য প্রয়াত উপউপাচার্য শিক্ষা ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ বিএসএমএমইউ শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা এ এস এম জাকারিয়া স্বপনএর অকাল প্রয়াণে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ স্বাচিপ বিএসএমএমইউ শাখার উদ্যোগে এ স্মরণ সভার আয়োজন করা হয় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেওয়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ ছিল তাঁর সমগ্র জীবনের শ্রেষ্ঠ ভাষণ লক্ষ লক্ষ বাঙালি সেদিন মন্ত্রমুগ্ধের মতো বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ শুনেছিলেন মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউলআলম হানিফ বলেন জাকারিয়া স্বপন আদর্শিক নেতা ছিলেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনবিএমএর সভাপতি ডা মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অধ্যাপক ডা এ এস এম জাকারিয়া স্বপন রুত্বপূর্ণ অবদান রেখে বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা কামরুল হাসান খান বলেন জাকারিয়া স্বপন দীর্ঘ দিন ধরে সন্ধানীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাঁর অকাল মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়কে যেন প্রাণহীন মনে হয় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটিএর সভাপতি অধ্যাপক ডা এম ইকবাল আর্সলান বলেন জাকারিয়া স্বপনের ছিল অসম্ভব ধরনের প্রাণশক্তি তিনি ছিলেন দৃঢ়চেতা ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তিনি ছিলেন সহজ সরল মনের অধিকারী আবার প্রয়োজনে বজ্র কঠিনও হতে পারতেন সভাপতির বক্তব্যে বিএসএমএমইউর উপউপাচার্য প্রশাসন ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ বিএসএমএমইউ শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা মো শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন জাকারিয়া স্বপন ছিলেন যোগ্য সংগঠক বাংলাদেশ আওয়ামী লীর স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা রোকেয়া সুলতানা স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকনার্সকর্মকর্তাকর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন |
অধ্যাপক ডা মনিলাল আইচ লিটুর এফআরসিএস ইএনটি ডিগ্রি লাভ স্বাস্থ্য ১৮ জুলাই ২০১৯ ২৩২৪ অধ্যাপক ডা মনিলাল আইচ লিটু সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের গ্লাসগোর রয়্যাল কলেজ অফ ফ্রিজিসিয়ান অ্যান্ড সার্জনস থেকে এফআরসিএস ইএনটি ডিগ্রি লাভ করে তিনি ১৯৯০ সালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস ও ২০০৩ সালে তদানীন্তন আইপিজিএমআর থেকে নাককানগলা ও সার্জারি বিষয়ে এমএস ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি সর্বশেষ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে নাককানগলা বিভাগে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দ্বায়িত্বরত ছিলেন নাককানগলা ও সার্জারি বিষয়ে তার লেখা তিনটি বই ও ৩৮টি গবেষণাপত্র রয়েছে রাইনোপ্লাস্টি স্লিপ অ্যানিয়া সার্জারি হেডনেক সার্জারি কানের মাইক্রইয়ার সার্জারি বিষয়ে তিনি সুইজারল্যান্ডের ফিস ফাউন্ডেশন আমেরিকার ব্রুকডেল মেডিক্যাল সেন্টার অস্ট্রেলিয়ার মনাস মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি ভারতের অল ইন্ডিয়া অব মেডিক্যাল সায়েন্স ও সিঙ্গার জেনারেল হাসপাতালে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এছাড়াও ডা মনিলাল ভারত সিঙ্গার ও মালয়েশিয়ার আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ইএনটি বিষয়ের বিভিন্ন সেমিনারে ফ্যাকাল্টি হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন তার লেখা গবেষণা ধর্মী বই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ইতিহাস তিনি অফিসার্স ক্লাব ঢাকার নির্বাহী কমিটির চারবার নির্বাচিত সদস্য ও স্বাস্থ্যসেবা কমিটির সদস্য সচিব তিনি ও রোটারি ইন্টারন্যাশনালের সন্ধানী উপদেষ্টা ছাত্রজীবনে তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ছাত্র সংসদের ঢামেকসু নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ও সন্ধানী ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন |
অধ্যাপক ফারুককে হুমকির প্রতিবাদে চবিতে মানববন্ধন আমার ক্যাম্পাস ১৮ জুলাই ২০১৯ ১৫৫৩ দুধে ভেজাল সংক্রান্ত গবেষণা প্রকাশের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড আবম ফারুককে হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চবি শিক্ষকশিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দএর ব্যানারে মানবন্ করেন তারা এ সময় নিন্দা জ্ঞাপন করেন শিক্ষার্থীররামানববন্ে অধ্যাপক ড গোলাম কবীর বলেন গবেষণা নিয়ে কথা থাকলে সেটা আলোচনা করা যেতে পারে কিন্তু সেটা নিয়ে হুমকি কেন অবশ্যই সরকারকে গবেষকদের গবেষণার স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে মানববন্ে প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভার সভাপতি অধ্যাপক ড চৌধুরী মোহাম্মদ মনিরুল হাসান বলেন একটি গবেষণালব্ধ জ্ঞান জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে সব ধরনের গবেষণায় স্বাধীনতা থাকতে হবে জোর করে একটি গবেষণার ফল পরিবর্তন করা যায় নামানববন্ে শিক্ষকের উপর কোন আমলার খবরদারি চলবে না কর্রেট প্রতিষ্ঠান নয় নাগরিকদের পাশে দাঁড়ান স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখতে পাওয়া যায় অর্থনীতি বিভার মাস্টার্সের ছাত্র দেওয়ান তাহমিদের সঞ্চালনায় বিভিন্ন বিভার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীরাও বক্তব্য রাখেন মানববন্ে |
অধ্যাপক ফারুকের পাশে কুবি শিক্ষক সমিতি আমার ক্যাম্পাস ১৯ জুলাই ২০১৯ ২০২০ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দুধের নমুনা পরীক্ষা করে অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়ার তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশ করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল রিসার্চ সেন্টারেরর সাবেক পরিচালক ও ঔষধ প্রযুক্তি বিভার অধ্যাপক ড আ ব ম ফারুকের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্নক বক্তব্য এবং মামলার হুমকির প্রতিবাদ করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড শামিমুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক কাজী ওমর সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তারা এ প্রতিবাদ জানান বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি অত্যন্ত উদ্বের সঙ্গে লক্ষ করছে বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দুধের নমুনা পরীক্ষা করে অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়ার ফলাফল প্রকাশের জের ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল রিসার্চ সেন্টারের সাবেক পরিচালক ও ঔষধ প্রযুক্তি বিভার অধ্যাপক ড আ ব ম ফারুকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মহল আক্রমণাত্নক বক্তব্য এবং মামলার হুমকি প্রদান করছেকুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এ ধরনের আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছ জনস্বার্থে এবং জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতার জায়গা থেকেই অধ্যাপক ফারুক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করে যথার্থ কাজ করে জানিয়ে শিক্ষক সমিতি এ ধরনের হুমকি সমগ্র শিক্ষক জাতির জন্য মানহানিকর বলে উল্লেখ করেন এ ধরনের পরিবেশ অব্যাহত থাকলে শিক্ষক ও গবেষকরা গবেষণার আগ্রহ হারাবেন বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফারুক স্যারের পাশে আছে জানিয়ে এধরনের গবেষণা অব্যাহত রাখা ও ফল প্রকাশের অনুরোধ করেন পাশাপাশি ভেজাল প্রতিরোধ ও খাদ্যের মান যথাযথ রাখতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন |
অধ্যাপক ফারুকের পাশে কুবি শিক্ষক সমিতি আমার ক্যাম্পাস ১৯ জুলাই ২০১৯ ২০২০ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দুধের নমুনা পরীক্ষা করে অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়ার তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশ করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল রিসার্চ সেন্টারেরর সাবেক পরিচালক ও ঔষধ প্রযুক্তি বিভার অধ্যাপক ড আ ব ম ফারুকের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্নক বক্তব্য এবং মামলার হুমকির প্রতিবাদ করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড শামিমুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক কাজী ওমর সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তারা এ প্রতিবাদ জানান বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি অত্যন্ত উদ্বের সঙ্গে লক্ষ করছে বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দুধের নমুনা পরীক্ষা করে অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়ার ফলাফল প্রকাশের জের ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল রিসার্চ সেন্টারের সাবেক পরিচালক ও ঔষধ প্রযুক্তি বিভার অধ্যাপক ড আ ব ম ফারুকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মহল আক্রমণাত্নক বক্তব্য এবং মামলার হুমকি প্রদান করছেকুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এ ধরনের আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছ জনস্বার্থে এবং জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতার জায়গা থেকেই অধ্যাপক ফারুক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করে যথার্থ কাজ করে জানিয়ে শিক্ষক সমিতি এ ধরনের হুমকি সমগ্র শিক্ষক জাতির জন্য মানহানিকর বলে উল্লেখ করেন এ ধরনের পরিবেশ অব্যাহত থাকলে শিক্ষক ও গবেষকরা গবেষণার আগ্রহ হারাবেন বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফারুক স্যারের পাশে আছে জানিয়ে এধরনের গবেষণা অব্যাহত রাখা ও ফল প্রকাশের অনুরোধ করেন পাশাপাশি ভেজাল প্রতিরোধ ও খাদ্যের মান যথাযথ রাখতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন |
অধ্যাপক ফারুকের পাশে দাঁড়ালেন সাধারণ মানুষ জাতীয় ১৪ জুলাই ২০১৯ ১৪২৩ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাবি বায়োমেডিক্যাল রিসার্স সেন্টারের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক আ ব ম ফারুকের পাশে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা রবিবার ১৪ জুলাই দুরে রাজু ভাস্কর্যের সামনে নিরাপদ খাদ্য চাই ফারুক স্যারের পাশে দাঁড়াই ব্যানারে এ মানববন্ের আয়োজন করেন ঢাবি শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণ মানববন্ থেকে তারা অধ্যাপক ফারুককে হয়রানি না করার অনুরোধ জানান এবং যারা হয়রানি করছেন তাদের বিচার দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন আমরা ১৭ কোটি বাঙালি যেখানে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়ে সোনার বাংলাদেশ গড়ার জন্য সেখানে একজন সচিব ফারুক স্যারকে সত্য প্রকাশের জন্য হুমকি দিচ্ একজন দায়িত্ববান মানুষ হিসেবে তিনি দুধে ক্ষতিকর অ্যান্টিবায়োটিক থাকার কথা জনগণকে জানিয়ে যার জন্য তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কিন্তু তার পাশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দাঁড়াচ্ছে না আমরা এই মহান মানুষটির পাশে আছি একইসঙ্গে যারা তাকে হুমকি দিচ্ছে তাদের সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি মানববন্ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাইক্রোবায়োলজি বিভার চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী চয়ন বড়ুয়া বলেন যারা সত্য প্রকাশে নির্ভীক যারা জাতির কল্যাণের কথা ভাবেন আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের পাশে আছি আর যারা সত্যকে মিথ্যা দিয়ে লুকিয়ে রাখতে চায় তাদের মানুষ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবেপ্রসঙ্গত পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধে ক্ষতিকর অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতির কথা জানিয়েছে ঢাবির একদল গবেষক এ গবেষণার মূল নেতৃত্বে ছিলেন অধ্যাপক ফারুক তিনি প্রথম পরীক্ষায় দুধে ক্ষতিকর উপাদান পান দ্বিতীয়বার নরায় পরীক্ষা করেও ক্ষতিকর অ্যান্টিবায়োটিক পেয়ে তারা এর গবেষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা |
অধ্যাপক ফারুকের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক বক্তব্যে উদ্বেগ জানিয়ে ৬৬ শিক্ষকের বিবৃতি জাতীয় ১৫ জুলাই ২০১৯ ২৩৪১ দুধ নিয়ে গবেষণার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল রিসার্স সেন্টারের সদ্য সাবেক পরিচালক অধ্যাপক আ ব ম ফারুককে বিভিন্ন মহল থেকে হুমকির প্রতিবাদ জানিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৬ জন শিক্ষক তারা অধ্যাপক ফারুকের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বিবৃতি দিয়ে বিবৃতিতে অধ্যাপক ফারুকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মহলের আক্রমণাত্মক বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন শিক্ষকরা সোমবার ১৫ জুলাই গণমাধ্যমে এই বিবৃতি পাঠান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের পক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভার অধ্যাপক ড ফাহমিদুল হক বিবৃতিতে বলা হয় আমরা অত্যন্ত উদ্বের সঙ্গে লক্ষ করেছি যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের সদ্যসাবেক পরিচালক অধ্যাপক আ ব ম ফারুকের নেতৃত্বে পরিচালিত একটি গবেষণা কার্যক্রমকে ঘিরে বিভিন্ন ধরনের হুমকিধামকি এবং অন্যায়ভাবে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে অধ্যাপক ফারুক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন স্বনামধন্য অধ্যাপক এবং গবেষক সরকারি একটি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত অনুদানের সাহায্যে অধ্যাপক ফারুক বিভিন্ন কোম্পানির বাাতকৃত দুধে অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি পাওয়ার দাবি করে জনস্বাস্থ্যের জন্য উদ্বেগজনক এই ঘটনাটি প্রচারে আসামাত্রই সংশ্লিষ্ট কোম্পানি এবং সরকারি আমলাদের কেউ কেউ অধ্যাপক ফারুকের বিরুদ্ধে অত্যন্ত আক্রমণাত্মক ভাষায় বক্তব্য দিচ্ এবং চাপ প্রয়োগ করছেন বলে সংবাদমাধ্যমসহ বিভিন্নসূত্রে আমরা জানতে পেরেছি ইতোমধ্যেই ফার্মেসি অনুষদভুক্ত চারটি বিভার চেয়ারম্যান এই গবেষণার দায়ভার থেকে নিজেদের মুক্ত করতে সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়ে এই অবস্থায় অধ্যাপক ফারুকের মতো আমরাও বিপন্ন বোধ করছিএই পরিস্থিতির মুখেও অধ্যাপক ফারুক দ্বিতীয় দফা পরীক্ষায় আবারও দুধের নমুনায় অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি পেয়ে জনস্বার্থের কথা বিবেচনায় পরীক্ষার এই ফলটি তিনি প্রকাশ করে এই পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে তিনি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে তিনি জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ সেই দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করে তিনি নৈতিকতাবিরোধী কোনও কাজ তো করেনইনি বরং তার দায়িত্ব পালন করেবিবৃতিতে আরও বলা হয় এই গবেষণার মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি যে বিএসটিআই দুধের মাননির্ণয়ে ১৭ বছর আগে যে মানদণ্ড নির্ধারণ করেছিল তা দুধের মান নির্ণয়ের জন্য যথেষ্ট নয় দুধে অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি নির্ণয়ের মতো কোনও পদ্ধতি বিএসটিআইয়ের নেই অধ্যাপক ফারুকের এই গবেষণাটি প্রচারে না এলে জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত এই বিষয়টি অজানাই থেকে যেত এ ধরনের গবেষণাকে উৎসাহিত করা যেখানে কাম্য ছিল তা না করে উল্টো অধ্যাপক ফারুককেই দোষী সাব্যস্ত করা হচ্ছে তাকে বিভিন্ন অপবাদ দেওয়া হচ্ছেবিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা বলেন অধ্যাপক ফারুকের গবেষণার ফলাফল নিয়ে সন্দেহ থাকলে সরকারি কর্তৃপক্ষ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আরও গবেষণা ও পরীক্ষানিরীক্ষা করে দুধের মান নিয়ে জনমনে সন্দেহের অবসান ঘটাতে পারতো তা না করে অধ্যাপক ফারুককে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে জনপ্রতিনিধি সরকারি আমলা ও বিভিন্ন কোম্পানির দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা যে আচরণ করছেন তা বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞানচর্চা ও গবেষণার পরিবেশের জন্য এক বিরাট হুমকি এ ধরনের আচরণ অব্যাহত থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষকেরা গবেষণার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তচিন্তা ও নতুন জ্ঞান সৃজনের ক্ষেত্রটি আরও সংকুচিত হয়ে পড়বেতারা হতাশা প্রকাশ করে বলেন স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এখানে অধ্যাপক ফারুককে কোনও সুরক্ষা ও সমর্থন তো দিচ্ছেই না বরং নানাভাবে তার ওপর আরও চাপ তৈরি করা হচ্ছেবিবৃতি দেওয়া শিক্ষকদের মধ্যে রয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক গীতি আরা নাসরীন সামিনা লুৎফা তাসনীম সিরাজ মাহবুব মোহাম্মদ মজিবুর রহমান কাবেরী গায়েন অর্পিতা শামস মিজান জাহঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আনু মুহাম্মদ রায়হান রাইন স্বাধীন সেন সাহিদ সুমন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শেহরীন আতাউর খান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সৌভিক রেজা এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মো্বার হাসান প্রমুখআরও পড়ুন অধ্যাপক ফারুকের বিরুদ্ধে আজই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে |
অধ্যাপক ফারুকের বিরুদ্ধে আজই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে অন্যান্য ১৪ জুলাই ২০১৯ ০১২৩ আজ রবিবারই ১৪ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক আ ব ম ফারুকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বলে দাবি করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন তবে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বলছে আমরা তাকে চ্যালেঞ্জ করে চিঠি দিচ্ছি না তবে তার গবেষণার বিষয়ে তথ্য চাই এর আগে সাতদিন সময় দিয়ে তথ্য চাওয়ার পরেও তিনি তা না পাঠানোয় রবিবার আবারও তাকে চিঠি দেওয়া হবেগত ২৫ জুন প্রথম দফায় ও শনিবার ১৩ জুলাই দ্বিতীয় দফায় পাঁচটি কোম্পানির সাতটি ব্র্যান্ডের গরুর দুধে অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়ার বিষয়ে গবেষণা তথ্য প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক এর মধ্যে প্রথমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদে সংবাদ সম্মেলন করে এবং দ্বিতীয় দফায় সংবাদ মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তবে প্রথমবার সংবাদ সম্মেলনের পরই তার গবেষণা তথ্য যথেষ্ট উত্তাপ ছড়ায় বিষয়টি নিয়ে সংসদেও আলোচনা হয় এরপরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদভুক্ত চারটি বিভার সভাপতিরা যৌথ বিবৃতি দিয়ে দাবি করেন এই গবেষণার সঙ্গে বিভাগগুলোর সংশ্লিষ্টতা নেই গবেষণাটি গবেষকদের নিজস্ব বিভাগগুলো দায় এড়ালেও ফার্মেসি বিভার ডিন এখনও অধ্যাপক আ ব ম ফারুকের সঙ্গে আছেন মূলত এরপরেই চাপে পড়ে যান এই অধ্যাপক গণমাধ্যমকে তিনি জানিয়ে তাকে নানা রকম হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছেবিশেষ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিনের হুমকিটি ছিল প্রকাশ্য কোনও স্বীকৃত গবেষণাপত্রে গবেষণাটি প্রকাশ না করেই তার তথ্য জনসমক্ষে জানানো ও দুধ নিয়ে জনমনে সন্দেহ সৃষ্টি করার অপরাধে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেন এই সচিবকাজী ওয়াছি উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ তার অধ্যাপক আ ব ম ফারুক কাছে তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছিল তিনি তাদেরকেও তথ্য না দেওয়ায় রবিবার তারা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আবারও চিঠি দেওয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কালকেই রবিবার জানতে পারবেন ইনশাল্লাহতবে অব্যাহত চাপেও নিজের গবেষণায় পাওয়া সিদ্ধান্ত থেকে সরে না দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে অধ্যাপক ফারুক শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি আবারও জানিয়ে তাদের গবেষণা দলটি পাঁচটি কোম্পানির ৭টি ব্র্যান্ডের দুধের নমুনা বাজার থেকে দ্বিতীয় দফায় সংগ্রহ করে আবারও গবেষণা করেছে এবার গতবারের তুলনায় দুধে অ্যান্টিবায়োটিকের পরিমাণ আরও বেশি পাওয়া ছেসংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের ৭টি ব্র্যান্ডের তরল দুধ দ্বিতীয় দফা পরীক্ষা করা হয়েছে সেই ব্র্যান্ডগুলো হলো মিল্ক ভিটা আড়ং প্রাণ ফার্ম ফ্রেশ ও ইগলু এর মধ্যে ইগলুর তরল দুধ ছাড়াও আরও দুটি ফ্লেভারের দুধ রয়েছে এর আগে ২৫ জুন যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় তাতে ৩টি করে অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়ার কথা জানানো হয়েছিল গত সপ্তাহে ওই ৭টি ব্র্যান্ডের দুধের নমুনা একই জায়গা থেকে সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয় এবার মিলেছে চার ধরনের অ্যান্টিবায়োটিকএদিকে অধ্যাপক ফারুকের গবেষণার ফলকে গ্রহণ না করে তাকে ব্যক্তিগতভাবে হুমকি বা হয়রানির বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা চলছে তার মতো একজন শিক্ষককে কেবল গবেষষণা ফল প্রকাশের জন্য হয়রানি করা অন্যায় বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা রকম স্ট দিতে দেখা ছে এই গবেষণাটির ফল সঠিক কিনা তা যাচাই করার জন্য ভিন্ন গবেষণাগারে নমুনালো আবারও পরীক্ষার দাবি তুলে বেশিরভাগ সচেতন মানুষঅধ্যাপক আ ব ম ফারুকও বলে সন্দেহ দূর করার জন্য স্বীকৃত একাধিক গবেষণাগারে দুধের নমুনা পাঠিয়ে পরীক্ষার ফল জানার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিতে পারেতবে কোনও স্বীকৃত গবেষণাপত্রে প্রকাশ না করে এই গবেষণার তথ্য প্রকাশ করতে পারেন কিনা কাজী ওয়াসি উদ্দিনের তোলা এ প্রশ্নের জবাবে এর আগে গণমাধ্যমগুলোকে অধ্যাপক আ ব ম ফারুক জানিয়ে স্বীকৃত গবেষণাপত্রে প্রকাশের জন্য তার গবেষণাটি পাঠানো হচ্ছে তবে যে কোনও গবেষণাপত্রে গবেষণা প্রকাশ সময়সাধ্য বিষয় আর বিষয়টি জনস্বার্থ সম্পর্কিত সেজন্যই জনস্বার্থে তিনি বিষয়টি প্রকাশ করেনিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য ও অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর ব্যবস্থা নেওয়া প্রসঙ্গে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন আমরা তাকে চ্যালেঞ্জ করে চিঠি দেইনি রবিবারের চিঠিটিও তেমন হবে না কিন্তু আমাদের জানতে হবে তিনি কোন ল্যাবে এই পরীক্ষাটি করে আমাদের দেশে এমন গবেষণাগার আছে আর আমরা জানি না এটি আমাদের কাছে ভীষণ আশ্চর্যের তিনি আরও বলেন আমরা তার গবেষণা প্রতিবেদন দেখে আকাশ থেকে পড়ছি আমার দেশে এমন পরীক্ষণাগার আছে অ্যান্টিবায়েটিক কিভাবে ৩টা থেকে ৫টা করে বের করছেন তিনি মাত্রাটি কী অ্যান্টিবায়োটিকের গ্রহণযোগ্য মাত্রার ওপরে নিচে নাকি সমান সে তথ্যও উনি দেননি আমরা দুদুটো পরীক্ষণাগারে পরীক্ষা করে যা পাইনি তা উনি কীভাবে পেলেন জানতে হবে না আমাদের তো এই ল্যাব দরকারঅধ্যাপক ফারুক কেন গোপন করছেন তিনি কেন লুকোচুরি খেলছেন অভিযোগ করে মাহবুব কবীর বলেন তিনি যা পেয়ে সেটা বিশাল সমস্যা জাতিগতভাবে সবাই মিলে সমাধান করতে হবে আমরা যে দুই পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করেছি সেখানে অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া যায়নি কিন্তু তাতে করে আমি বলতে পারবো না যে বাকি দুধের স্যাম্পলগুলোতে এসব নেইতিনি আরও বলেন কোনও কোম্পানি দুধে অ্যান্টিবায়োটিক মিশিয়ে দেয় না গরুকে হয়তো দেন কিছু খামারি কিন্তু সব খামারি সব গরুকে দেন না আবার যেলোকে দেন সেলোর দুধ প্রক্রিয়াজাত হয়ে বাজারে আসতে আসতে অ্যান্টিবায়োটিক নাই হয়ে যায় তাহলে উনি কোন পদ্ধতিতে কী পেলেন তা জানতে চেয়েই আমরা চিঠি দিয়ে সাত দিন সময় দিয়েছিলাম সেটি শেষ হওয়ায় রবিবার আবারও চিঠি পাঠানো হবেএ বিষয়ে টেলিফোনের অধ্যাপক আ ব ম ফারুকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন আগামী সোমবার পর্যন্ত আমি ব্যস্ত থাকবো এরপরে বিস্তারিত কথা হবেআরও পড়ুন দ্বিতীয় দফা পরীক্ষায়ও দুধে মিললো অ্যান্টিবায়োটিক |
অধ্যাপক ফারুকের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাবি শিক্ষক সমিতি অন্যান্য ২৩ জুলাই ২০১৯ ১৭১৩ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের সদ্য সাবেক পরিচালক অধ্যাপক আ ব ম ফারুকের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণে প্রতিবাদ জানিয়েছে শিক্ষক সমিতি৷ মঙ্গলবার ২৩ জুলাই সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কা এবং সাধারণ সম্পাদক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামের স্বাক্ষর করা এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে করা গণমাধ্যমে পাঠানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় সম্প্রতি আ ব ম ফারুক কর্তৃক পাস্তুরিত তরল দুধে এন্টিবায়োটিকসহ মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদানসমূহের উপস্থিতি বিষয়ক একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণার ফলাফল গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় এরপর মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব গবেষণাবিশ্লেষণকে ভুল অভিহিত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের হুমকি দিয়ে এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি একাত্তর টেলিভিশনের একটি টকশোতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব যে রূঢ় ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করে তা অপ্রত্যাশিত ও শিষ্টাচার বর্হিভূত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এ ধরনের আচরণের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছে৷ আরও বলা হয় কোনও গবেষণার ফলাফল যদি ভুল প্রমাণ করতে হয় তাহলে পাল্টা আরেকটি গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণ করতে হয় কিন্তু মন্ত্রণালয় এধরনের কোনও পদক্ষেপ না নিয়ে গবেষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়ে তা যেকোনও গবেষকের গবেষণার স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ এধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন যেকোনও গবেষককে গবেষণা করতে নিরুৎসাহিত করবে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে ও মানবকল্যাণে শিক্ষকরা সর্বদা ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে আসছে এবং তা ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে |
অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক জাতীয় ০৩ জুন ২০১৯ ০৮০৮ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রখ্যাত নাট্যকার অভিনেতা ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেরবিবার ২ জুন এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নাটক ও শিক্ষা ক্ষেত্রে মমতাজউদদীনের অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেনতিনি বলেন তার মৃত্যুতে শিক্ষা ও নাট্য জগতে অপূরণীয় ক্ষতি হলোশেখ হাসিনা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানএকুশে পদক বিজয়ী নাট্যকার মমতাজউদদীন রবিবার বিকালে অ্যালো হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন বাসস |
অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক জাতীয় ০৩ জুন ২০১৯ ০৮৩২ রাষ্ট্রপতি মো আবদুল হামিদ ভাষাসৈনিক প্রখ্যাত নাট্যকার অভিনেতা ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেরবিবার ২ জুন এক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি হামিদ একুশে পদক বিজয়ী মমতাজউদদীনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেনমমতাজউদদীন আহমেদ উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত কারণে রবিবার বিকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছররাষ্ট্রপতি শিক্ষা নাটক ও সাহিত্য ক্ষেত্রে মমতাজউদদীনের অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বলেন তার মৃত্যুতে শিক্ষা ও নাট্য জগতে অপূরণীয় ক্ষতি হলোআবদুল হামিদ প্রয়াত মমতাজউদদীনের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান বাসস |
অধ্যাপক মমতাজউদদীনের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা দাফন চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিনোদন ০৩ জুন ২০১৯ ১৫০৭ প্রয়াত ভাষাসৈনিক নাট্যকার অভিনেতা ও শিক্ষক অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমেদের দ্বিতীয় জানাজা সোমবার ৩ জুন সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় জানাজায় সমাজের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেনজানাজার পর এই কীর্তিমান সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান রাজনীতিবিদ মন্ত্রী নাট্যকার লেখক ও সাংবাদিক ও সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা পরে অধ্যাপক মমতাজউদদীনকে দাফনের জন্য তার পরিবারের সদস্যরা মরদেহ নিয়ে সকাল সাড়ে ১০টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়েজানাজার পর প্রয়াত অধ্যাপক মমতাউদদীনের ছেলে তিতাস মাহমুদ জানান সোমবার ৩ জুন রাত সাড়ে ১০টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটের শবযা উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে তৃতীয় জানাজা শেষে দাফন করা হবে পারিবারিক কবরস্থানেতিনি বলেন আমার বাবা তার কর্মের জন্য সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা পেয়ে এ জন্যে পরিবারের পক্ষ থেকে তিনি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন বাবার নির্মিত ও অভিনিত সব নাটক ও চলচ্চিত্র জাতীয় আর্কাইভে সংগ্রহ করা হলে তার কর্ম সম্পর্কে ভবিষৎ প্রজন্ম জানতে পারবেঅধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমেদের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক শোকবার্তায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে আওয়ামী লীর সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দলের কেন্দ্রীয় নেতা অসীম কুমার উকিল এমপি নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড মো আখতারুজ্জামান সংস্কৃতিজন রামেন্দু মজুমদার নাট্যজন মামুনুর রশীদ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও লেখক মফিদুল হক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা অভিনেতা খায়রুল আলম সবুজ কবি আসাদ মান্নানসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশা এবং সংস্কৃতি অঙ্গনের ব্যক্তি ও অভিনেতানাট্যকাররা জানাজায় অংশ নেন এবং শেষ শ্রদ্ধা জানানশ্রদ্ধা জ্ঞাপনের পর আওয়ামী লীর সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন অধ্যাপক মমতাজউদদীন আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামী ব্যক্তিত্ব তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে কাজ করে শুরু থেকে সংস্কৃতি জগতের এই উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব আমাদের নাটক চলচ্চিত্রসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রকে সমৃদ্ধ করে তার মৃত্যুতে অপূরণীয় ক্ষতি হলোরামেন্দ্র রামেন্দু মজুমদার বলেন অধ্যাপক মমতাজউদদীন বহুমুখী প্রতিভাধর ব্যক্তিত্ব তিনি ছিলেন শিক্ষক অভিনেতা নাট্যকার নির্দেশক ও সুবক্তা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে তার সঙ্গে আমার কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে তার অভিনীত নাটকগুলো জাতীয় আর্কাইভে সংগ্রহ করা উচিতমামুনুর রশীদ বলেন অসীম প্রভিতাধর ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক মমতাজউদদীন তার মৃত্যু আমাদের সংস্কৃতি জগতের জন্য এবং সবার জন্যই বেদনাদায়কদেশের কীর্তিমান অভিনেতা ও নাট্যকার অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমেদ দীর্ঘদিন রোগ ভোর পর রাজধানীর অ্যালো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার ২ জুন মারা যান গতরাতে মীরপুরের রূপনগরে মদিনা মসজিদে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় বাসসছবি নাসিরুল ইসলাম |
অধ্যাপক মাহবুবুরের চিকিৎসার জন্য ৫০ লাখ টাকা দিলেন প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ০৯ অক্টোবর ২০১৮ ১০০০ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর মাউশিএর মহাপরিচালক অধ্যাপক মাহবুবুর রহমানের চিকিৎসার জন্য ৫০ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসোমবার ৮ অক্টোবর বিকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে এই চেক গ্রহণ করেন অধ্যাপক মাহবুবের স্ত্রী আলেয়া ফেরদৌসীপ্রসঙ্গত অধ্যাপক মাহবুব দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসের রোগে ভুগছেন তিনি বর্তমানে সিঙ্গারের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীনসূত্র বাসস |
অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ আর নেই অন্যান্য শোক ও স্মরণ ২৩ আগস্ট ২০১৯ ২১৩০ প্রবীণ রাজনীতিক বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিন্যাপের সভাপতি অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ মারা রাজধানীর অ্যালো হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে আইসিইউ চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ২৩ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টা ৪৯ মিনিটে তিনি মারা যান প্রধানমন্ত্রীর ডেটি প্রেস সেক্রেটারি আশরাফুল আলম খোকন এ তথ্য জানিয়ে তার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনামুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের একমাত্র জীবিত সদস্য ছিলেন তিনি তার বয়স হয়েছিল ৯৭ বছরশোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে মহান স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধ ও বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ভূমিকার কথা স্মরণ করেন তিনি বলেন দেশের প্রগতিশীল রাজনীতিতে তার অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে তিনি মরহুমের পরিবারের শোকাহত সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান ও বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেনমোজাফফর আহমদ ১৯২২ সালের ১৪ এপ্রিল কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে সম্মানসহ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি আর্জন করেন তিনি বিভিন্ন কলেজে দীর্ঘদিন শিক্ষকতার পর ১৯৫২ থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে অধ্যাপনা করেন ১৯৫৪ সালে অধ্যাপনা ছেড়ে দিয়ে সম্পূর্ণভাবে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন তিনিএছাড়াও তার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান ও দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর |
অধ্যাপক মোজাফফর ও মাহমুদুর রহমানকে দেখতে হাসপাতালে মির্জা ফখরুল রাজনীতি বিএনপি ২৩ জুলাই ২০১৮ ০০৪৭ বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির ন্যাপ সভাপতি অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ ও আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে দেখতে হাসপাতালে গিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান এই তথ্য জানান অধ্যাপক মোজাফফরের শারীরিক অবস্থা দেখতে রবিবার ২২ জুলাই রাত সাড়ে ৮টার দিকে বসুন্ধরার অ্যালো হাসপাতালের আইসিউতে যান মির্জা ফখরুল এসময় তিনি চিকিৎসকদের কাছ থেকে মোজাফফরের চিকিৎসার সর্বশেষ অবস্থার খোঁজখবর নেন অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদের স্ত্রী আমিনা আহমেদ ও মেয়ে আইভি আহমেদের সঙ্ও কথা বলেন মির্জা ফখরুল এরপর মির্জা ফখরুল লশানে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে দেখতে যান কুষ্টিয়ায় ছাত্রলীর হামলায় তিনি রুতর আহত হয় বলে বিএনপির মহাসচিব সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন এসময় বিএনপির এজেডএম জাহিদ হোসেন বিএফইউজের মহাসচিব এম আবদুল্লাহ ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজুসহ পেশাজীবী নেতারা উপস্থিত ছিলেন |
অধ্যাপক মোজাফফরকে দেখতে হাসপাতালে ওবায়দুল কাদের রাজনীতি ২৭ জুলাই ২০১৮ ১৮৪৯ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির ন্যাপ সভাপতি অধ্যাপক মোজাফফর আহমদকে দেখতে রাজধানীর অ্যালো হাসপাতালে গিয়েছিলেন আওয়ামী লীর সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরশুক্রবার ২৭ জুলাই দুরে সেতুমন্ত্রীর হাসপাতালে অধ্যাপক মোজাফফরকে দেখতে যাওয়ার বিষয়টি সেতু মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ নিশ্চিত করেশেখ ওয়ালিদ জানান হাসপাতালে ওবায়দুল কাদের কিছু সময় অবস্থান করেন এবং অধ্যাপক মোজাফফরের চিকিৎসার খোঁজখবর নেনমেডিসিন বিভার অধ্যাপক বোরহান উদ্দীনের অধীনে চিকিৎসাধীন মোজাফফর আহমদ অ্যালোর আইসিইউতে ভর্তি আছেন ২১ জুলাই থেকে তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছেনঅধ্যাপক মোজাফফরের ন্যাপ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক |
অধ্যাপক মোজাফফরকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত না করার মানে তার অবদান অস্বীকার মেনন দেশ ২৬ আগস্ট ২০১৯ ১৮৩৭ মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য প্রগতিশীল আন্দোলনের পথিকৃৎ ও ন্যাপ সভাপতি অধ্যাপক মোজাফফর আহমদকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত না করায় হতাশা প্রকাশ করে বাংলাদেশ ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন তিনি বলেন অধ্যাপক মোজাফফর কেবল একটি দলের প্রধান ছিলেন না ভাষা আন্দোলন পঞ্চাশের দশকের স্বায়ত্বশাসন আন্দোলন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও সামরিক স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় শ্রমিক ইউনিয়নসহ সমাজতান্ত্রিক বিশ্বের সমর্থন আদায়ে সবচেয়ে রুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং জাতিসংঘে প্রবাসী সরকারকে প্রতিনিধিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধ যখন চূড়ান্ত রূপ নিচ্ছিলো এবং খুনি মোশতাক যখন মুক্তিযুদ্ধকে বিভ্রান্ত করে পাকিস্তানি ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছিল সেই মুহূর্তে মাওলানা ভাষানী মনি সিংহসহ মোজাফফরকে নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করেন তার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ঐক্য সংহতি প্রমাণ দিয়েছিল তিনি ছিলেন প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে সর্বশেষ জীবিত ব্যক্তি এ ধরনের একজন ব্যক্তিত্বকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত না করে মুক্তিযুদ্ধে এ সব ব্যক্তির অবদানকে অস্বীকার করা হলোসোমবার ২৬ আগস্ট দুরে বরিশাল নগরীর ফকিরবাড়ি রোডে দলীয় কার্যালয়ে কমিটির সভায় এসব কথা বলেন রাশেদ খান মেনন তিনি আরও বলেন অবশ্য তিনি অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ এ ধরনের সম্মানের জন্য কখনও লালায়িত ছিলেন না স্বাধীনতা পদকও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন কিন্তু তাকে সম্মান জানানোর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সম্মানিত এবং মুক্তিযুদ্ধ গৌরবান্বিত হতো সাম্প্রতিকালে ইতিহাসে দলীয়করণের মধ্য দিয়ে আসলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে নতুন বিকৃতি ঘটাচ্ছে মেনন আশা প্রকাশ করেন অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের মতো ব্যক্তিদের সম্মান প্রদান এবং স্মরণ রাখার মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক সমতার ধারাকে আরও এগিয়ে নেবে সরকারজেলা সভাপতি নজরুল হক নীলুর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলার সাধারণ সম্পাদক অ্যাড টিপু সুলতান শান্তি দাস টিএম শাহজাহান জাকির হোসেন ও ফায়জুল হক ফারহীন প্রমুখ |
অধ্যাপক রাজ্জাক কয়েকটি খটকা পর্ব ৯ সামন্তবাদ বিচার শেষ অংশ সাহিত্য প্রবন্ধনিবন্ধ ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৩২৯ পূর্ব প্রকাশের পরসামন্তবাদের উপস্থিতি বিষয়ে অধ্যাপক রাজ্জাকের এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়টিকে আমরা দুটি দিক দিয়ে বিচার করতে পারিক সামন্ত সমাজে বণিকবৃত্তি সম্পূর্ণ অনুপস্থিত কি নাখ চাঁদ সওদাগরের কাহিনি বাংলায় প্রচলনের সময়ে বাংলায় বাণিজ্যবৃত্তির পরিস্থিতি কেমন ছিলপ্রথম প্রশ্নটি বিষয়ে বলা যেতে পারে সামন্তবাদ পরিভাষাটিকে অধ্যাপক রাজ্জাকের প্রস্তাব অনুযায়ী কঠোরতম অর্থে ব্যবহার করা হলেও কিন্তু সেখানে বাণিজ্য অনুপস্থিত থাকবেই এমন কোনো শর্ত কোথাও নেই বরং বাণিজ্য থাকাটাই স্বাভাবিক এবং সকল সামন্ত সমাজেই কমবেশি বাণিজ্য ছিল লোহা লবণসহ বহু রুত্বপূর্ণ অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সবখানে পাওয়া যায় না সামন্ত প্রভূদের বিলাসোপকরণের একটা বড় অংশও বাইরে থেকেই আসতে হতো বাইরে থেকে আসতে হতো বহু যুদ্ধোপকরণও এগুলো বণিকরাই সরবরাহ করতো ফলে যে খাঁটি ফিউডালিজম বা সামন্তবাদ ইউরোপে মধ্যযুর শুরুতে আবির্ভূত হয়েছিল সেখানেও আমরা প্রতিটি রাষ্ট্রে ও সমাজে একটি বর্গ হিসেবেই বণিকের উপস্থিতি দেখতে পাবো এবং সামন্তবাদের সময়টা জুড়েই বণিকদের সংঘ গোষ্ঠী বা গিল্ড ধীরে ধীরে শক্তিশালী হচ্ছিল সামন্তবাদী একটা ব্যবস্থার অনড়অচলতার পরিপূরক হিসেবেই এমনকি মধ্যযুগে জার্মান বণিকদের বিখ্যাত হ্যানসিয়াটিক গিল্ড গোটা ইউরোপে ছড়িয়ে ছিল বিশাল এই বণিক সংঘের হাতে অজস্র ধরনের পণ্যের একচেটিয়া বাণিজ্যের অধিকার ছিল তো বটেই সদাপ্রস্তুত নিয়মিত সেনাবাহিনিও তারা ব্যবহার করতো স্বাধীন রাজাদের সাথেও তারা যুদ্ধবিগ্রহ করেছে তাদের স্বশাসিত বাণিজ্যকেন্দ্র ছিল সামন্তশাসিত ইংল্যান্ড ডেনমার্ক হল্যান্ড জার্মানি রাশিয়াসহ গোটা ইউরোপে তারা টিকে ছিল আধুনিক আমলের সূচনাকাল পর্যন্ত এরা ছাড়াও ছিল মধ্যযুগে ছিল জেনোয়া ভেনিসসহ বেশ কয়েকটি বাণিজ্যকেন্দ্রিক সামুদ্রিক পরাশক্তি ভরভরন্ত সামন্তযুগে যারা ইউরোপে বাণিজ্যের একটা বড় অংশ পরিচালনা করতোফলে বণিকের অনুপস্থিতি সামন্তবাদের শর্ত হবার কথা না যেটি ছফার বয়ানে অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক দাবি করছেন রোমান সাম্রাজ্যের কেন্দ্রিয় নিয়ন্ত্রণমূলক শক্তির অবসান পরবর্তীতে অনেকগুলো ক্ষুদ্র আঞ্চলিক রাজশক্তি এবং রো স্বাধীন আধা স্বাধীন কিংবা কোনো কোনো ধরনের শিথিল আনুগত্যের বন্ে আবদ্ধ সামন্ত যুদ্ধবাজ নেতাদের উদ্ভব তার পারিবারিক উত্তরাধিকার সৃষ্টি এবং নিজেদের অভ্যন্তরীণ নিরন্তর কলহ দীর্ঘস্থায়ী ইউরোপীয় সামন্তবাদের সূচনা করেছিল প্রজাদের বৃহদাংশকে কৃষক ও কারিগর হিসেবে ভূমিতে যথাসম্ভব আটক রাখার আইনী ধর্মীয় ও নৈতিক যৌক্তিকতা সামন্তবাদের টিকে থাকা ও বিকাশের পরিপূরক ছিল সামন্ত প্রভূরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে রাজার অধীনস্ত ছিলেন বটে নিজের গণ্ডীর মাঝে তার হুকুমই ছিল চূড়ান্ত এবং প্রায়ই সেই গণ্ডী বাড়িয়ে নিতে তারা চেষ্টা করতেন এরা প্রত্যেকেই নিজস্ব সামরিক শক্তির অধিকারী ছিলেন রাজা ও সম্রাটকে সামরিক সেবা দেয়াই ছিল তাদের একমাত্র বাধ্যবাধকতা বহুক্ষেত্রেই তারা নিজেদের রাজার বিরুদ্ধাচারণও করতো এমনকি বিদেশী রাজাদের সাথেও আঁতাতের অজস্র উদাহরণ পাওয়া যাবেকিন্তু এহেন সামন্তসমাজও বাণিজ্য ছাড়া টিকতে সক্ষম ছিল না শুরু থেকেই সেখানেও বাণিজ্য ছিল থাকতেই হতো তবে আগেকার দাসযুর মতো বাণিজ্য অত বেশি প্রবল ছিল না বড়জোড় এটা বলা যায় যে কেন্দ্রিয় রোমক সাম্রাজ্যশক্তির পতনের ফলে নগরগুলোর ক্ষয় ও নাগরিকতার হ্রাসের কারণে বাণিজ্যের চাহিদা পরিমাণ ও গূরুত্ব বিল হারে হ্রাস পেয়েছিল বিশেষ করে সামন্তযুর শুরুর আগে আগে জার্মান বর্বরদের আক্রমণের কালটাতে ইউরোপে নগরসভ্যতা বহুলাংশে প্রায় বিধ্বস্ত হয়েছিল হস্তশিল্প ও কৃষির রফতানি বাণিজ্য ও বিলাসপণ্যের বাণিজ্য সম্পূর্ণরূপে উধাও হয়েছিল হাজার হাজার কারিগর ও দাস এইসব উৎপাদনে যুক্ত ছিল রোমসহ বিশালকার নগরগুলো ছিল এর ক্রেতা এই নগরগুলো ধ্বংস ও শাসনপ্রণালী বিপর্যস্ত হওয়ার ফলে অধিকাংশ মানুষ নিজস্ব চাহিদা মেটাবার কৃষিকাজে ফেরত গিয়েছিল আক্রমণকারী জাতিলোর যাযাবর ও পশ্চাৎপদ জীবন যাত্রার কারণে নগর ও নগর সভ্যতার চাহিদা কিংবা একে টিকিয়ে রাখার প্রয়োজন তেমন ছিল না পরস্পরের সাথে যুদ্ধের কারণে সেটা তৈরি হতেও বেশ কয়েকটা প্রজন্ম সময়ও নিয়েছে ফলে এমনকি শুরুতে শিক্ষাব্যবস্থাও ধ্বংস হয়েছিল কেবল গির্জা প্রশাসনই সনাতনী শিক্ষার চর্চাকে খানিকটা আগলে রেখেছিল রক্ষণশীল কায়দায় ফলে বণিকরাও প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল বটে কিন্তু তখনও সামন্তবাদেরও ঠিকমতো সূচনা হয়নি দাসযুগ পরবর্তী এটা একটা মধ্যবর্তী সময় যাকে ইউরোপের ইতিহাসে বর্বর আক্রমণে রোমান সাম্রাজ্যের পতনের সময় বলে চিহ্নিত করা হয়কিন্তু সামন্তবাদ ও সামন্তশক্তিলো দানা বাধতে থাকলে যাযাবর আক্রমণকারীরা ধীরে ধীরে নিজেদের হুন গথ ভ্যান্ডাল ফ্যাঙ্ক লম্বার্ড সহ অজস্র রাজবংশ ও সামন্ত পারিবারিক শাসনে অভ্যস্ত হলে ধীরে ধীরে বণিকরা আবারও ফেরত আসতে থাকেন তবে তারা কখনোই সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়নি সামন্তবদের দীর্ঘকালটি জুড়ে তারা বিকশিত হয়ে নিজেদের আয় বৃদ্ধির জন্য সামন্ত প্রভূরা মেলার আয়োজনও করতেন বণিকদের উৎসাহিত করতেন কোনো কোনো সামন্তপ্রভূর আয়ের উৎস ছিল বণিকদের লুণ্ঠনও এবং মধ্যযুর শেষভাগে আধুনিক ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলোর উদ্ভবের সাথে সাথে সামন্তদের প্রভাব রুত্ব কমাবার পেছনে বণিকদের অদৃষ্টপূর্ব বিকাশের একটা সম্পর্কও আছে রাজাদের কতৃত্ব বৃদ্ধি করে সামন্তবাদের উচ্ছেদ বণিকদের একটা অন্যতম চাওয়া হয়ে দাঁড়ায় মধ্যযুর শেষপর্বে সামন্তদের শায়েস্তা করে তাদের আঞ্চলিক ক্ষমতা খর্ব করে কেন্দ্রিয় শাসন প্রতিষ্ঠা রাজাদেরও স্বার্থ ছিল বটে এর আগ পর্যন্ত সামন্তযুগে বণিকরা ধীরে ধীরে সমৃদ্ধই হয়েছেসংক্ষেপে সামন্ত যুর প্রধান বৈশিষ্ট্য এটা না যে সেখানে বাণিজ্য থাকতে পারবে না বরং সামন্তবাদের একটা অন্যতম শর্ত হিসেবে দেখানো হয় উৎপাদনের বৃহদাংশ কৃষকরা নিজেদের ভোর জন্যই উৎপাদন করেন একটা অংশ কর হিসেবে সামন্ত প্রভূর কাছে যায় শিল্পবাণিজ্যের চাইতে ভূমিকেন্দ্রিক উৎপাদন ও ভূমির খাজনাই রাষ্ট্রের প্রধান আয়ের উৎস শিল্পবিপ্লব পূর্ববর্তী জার্মানি রাশিয়া ফ্রান্স ইংল্যান্ডসহ অধিকাংশ ইউরোপীয় রাষ্ট্রে জমির রাজস্বই ছিল রাজাদের প্রধান আয় সামন্তপ্রভূদের তো বটেই স্পেন একটা ব্যতিক্রম ছিল কেননা তার ছিল আমেরিকা মহাদেশ জুড়ে উপনিবেশ থেকে আসা সোনা ও রূর একচেটিয়া কারবার কিন্তু সেখানেও অধিকাংশ প্রজা ভূমিদাস হিসেবেই বাস করতো সামন্তব ব্যবস্থারই অনুষঙ্গ হিসেবে সামন্ত প্রভূরা কৃষক প্রজাদের জমির সাথে বেঁধে ফেলেন তাদের ভূমিদাসে পরিণত করে আইন জারি করেন এবং তা বংশানুক্রমিক দায়ে পরিণত হয় ফলে ভূমিকে কেন্দ্র করেই অধিকাংশ মানুষের সংস্কৃতি ও জীবন নির্ধারিত হয় কিন্তু তথনও মুক্ত কৃষক যেমন ছিলেন সংখ্যায় কম হলেও তেমনি ছিলেন বণিক শ্রেণিও সামন্ত যুর পূর্ববর্তী দাস যুগে উৎপাদন পদ্ধতিটি আবর্তিত হতো দাসদের শ্রমের ওপর নির্ভর করে মোটাদাগে গ্রিক ও রোমান পর্বটিকে দাসযুগ ধরা হয় রোমান সাম্রাজ্যের পতন পরবর্তী সময়টুকু মধ্যযুগে সামন্ত প্রথার বিকাশ ও বিস্তার প্রায় স্বনির্ভর গ্রাম সমাজে প্রধানত নিজেদের ভোর জন্যই এখানে কৃষকরা উৎপাদন করতেন মেলা বাজার ও বন্দরগুলোকে কেন্দ্র করে বণিকরা স্থল ও জলপথে নানান ধরনের বাহনে তাদের পণ্যরাশি নিয়ে ঘুরে বেড়াতো একটা দীর্ঘ সময় জুড়ে এই পণ্যগুলো ছিল প্রধানত লোহা ইত্যাদির মতো বিরল অথচ প্রয়োজনীয় হাতিয়ার লবণের মতো অত্যাবশ্যক পণ্য পশমী ও হস্তশিল্পজাত দ্রব্যাদি এবং সামন্ত প্রভূদের বিলাসসামগ্রীফলে অধ্যাপক রাজ্জাককে আমরা যখন আহমদ ছফার মুখ দিয়ে বলতে শুনি রনো বাংলাপুঁথিতে দেখা যায় বাংলার বাণিজ্যবহর জাভা সুমাত্রা এই সকল অঞ্চলে যাওয়া আসা করছে যেখানে বাণিজ্য এইরকম সচল থাকে সেই সমাজটারে অন্য যা ইচ্ছা কইবার চান কন কিন্তু ফিউডালিজম বলবার পারবেন না তা অইলে চাঁদ সওদাগরের কাহিনি আপনের জানা বেবাক বাংলা সাহিত্যে এই রকম শিড়দাঁড়ার মানুষ একটাও দেখছেন চাঁদ সওদাগর চরিত্রের এই যে ঋজুতা এইডা অইল সমুদ্র বাণিজ্য শক্তির প্রতীক তখন আমাদের স্মরণ না হয়ে পারে না যে ইউরোপের সামন্তযুর প্রায় রোটা জুড়েই দুঃসাহসী দূরগামী বণিকরা ছিলেন সমুদ্রে তারা আধিপত্য করতেন ছোট ছোট নৌকা করে দূর গ্রাম পর্যন্ত তারা মেলায় যেতেন দলবেধে স্থলপথেও জার্মান বণিকদের দীর্ঘ সারি ইউরোপের প্রান্তিক নগরগুলো পর্যন্ত যেতেন এবং তাদের হাত ধরেই ইউরোপে খৃস্টানধর্ম ও জার্মান সংস্কৃতির একটা বিকাশ ঘটেছিল কেননা বণিকদের ছাড়া সামন্তযুগে যেটুকু বাণিজ্যের চাহিদা সৃষ্টি হয়েছিল তা মেটানো সম্ভব ছিল না কিন্তু সামন্তযুর একটা দীর্ঘকাল ধরে তাদের আইনী অধিকার সামাজিক মর্যাদা ও রাজননৈতিক ক্ষমতা ছিল তুলনামূলকভাবে খুবই কম ৩ভারতে সামন্ত সমাজ আদৌ ছিল কি না থাকলেও ভারতের সামন্তবাদের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যগুলো কি না থাকলে তার বদলে যা ছিল তাকে কোন নামে ডাকা যাবে সেটা একদমই ভিন্ন প্রশ্ন আমরা এখানে সেই অনুসন্ধানে আদৌ যাচ্ছি না আমাদের একমাত্র আগ্রহের বিষয় সামন্তবাদ নামক উৎপাদন ব্যবস্থায় বণিকের উপস্থিতি এবং তৎপরতা সম্ভব কি না সেটা এবং সে দিক দিয়ে বলা যায় যে ইউরোপে আমাদের চেনা ধ্রুপদী সামন্তবাদের উদ্ভব বিকাশ ও লয় ঘটেছিল সেই মধ্যযুর ইউরোপেও বণিকরা সর্বদাই ছিলেন ফলে ভারতবর্ষে অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক কথিত চাঁদ সওদাগর নামের বণিকের উপস্থিতি সামন্তবাদের সম্ভাবনাকে খারিজ করার জন্য যথেষ্ট নাএবার আমরা আসি দ্বিতীয়ত প্রশ্নটাতে বাংলার বণিক ও চাঁদ সওদাগরের কাহিনিটি কখন লেখা হচ্ছে চাঁদ সওদাগরের কাহিনিটি এসেছে দেবী মনসার প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে মনসামঙ্গল কাব্যের সবচে বড় লেখকগণ বাংলায় মুসলমান শাসন প্রতিষ্ঠার পরেকার যুর১ বাংলার বাণিজ্য ইতিহাসের বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ একটা দিক হলো এই যে মুসলমান শাসনের অব্যবহিত পূর্বের পাল ও সেন এই দুই আমলের আগেই ব্যবসা বাণিজ্য বিশেষভাবে লয় পেয়েছিল বঙ্গে প্তযুগে ৩০০৫৫০ খ্রিস্টাব্দ সাধারণ গৃহস্থরাও স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা ব্যবহার করতেন২ এই যুর প্রায় প্রত্যেকটি লিপিতেই দেখিতেছি স্থানীয় রাষ্ট্রাধিকরণ যে পাঁচটি লোক লইয়া গঠিত তাহার মধ্যে দুইজন বোধ হয় রাজপুরুষ বাকি তিনজনই শিল্পীবণিক ও ব্যবসায়ী সমাজের প্রতিনিধি নগরশ্রেষ্ঠী প্রথম সার্থবাহ এবং প্রথম কুলিন ব্যবসা বাণিজ্যের সমৃদ্ধি ছিল বলিয়াই এই সমৃদ্ধির পশ্চাতে রাষ্ট্রের সজ্ঞান একটা চেষ্টা ছিল শশাঙ্কের আমল থেকে এই পরিস্থিতির অবনতি দৃশ্যমান রাষ্ট্র আমলাতন্ত্র নির্ভর এবং নকল স্বর্ণমুদ্রা দেখা দিয়েছে রৌপ্যমুদ্রা বিলুপ্ত৩ দেখা যায় কি নীহাররঞ্জন থেকে খানিকটা উদ্ধৃতি দেয়া যাকশশাঙ্কজয়নার কালে রৌপ্যমুদ্রা ছিল না কিন্তু যত অপকৃষট বা নকলই হউক না কেনো সুবর্ণমুদ্রা তো ছিল বাঙলাদেশের মুদ্রাজগৎ হইতে সুবর্ণমুদ্রা এই যে অন্তর্হিত হইলো মুসলমান আমলের আগে তাহা ফিরিয়া আসে নাই আর একটি পরোক্ষ প্রমাণ পাইতেছি তাম্রলিপ্তির ইতিহাসের মধ্যে সপ্তম শতকের শেষ েও ইৎসিঙ তাম্রলিপ্ত বন্দরের উল্লেখ করিতে অষ্টম শতকেও সাক্ষ্যেও যেমন দুধপানি পাহারের লিপিতে ২১বার তাম্রলিপ্তির উল্লেখ পাইতেছি কিন্তু এই সব উল্লেখ হয় প্রাচীনতর স্মৃতিবহ অথবা শুধু উল্লেখই মাত্র তাম্রলিপ্তির সেই সম্পদসমৃদ্ধির কথা আর কেউ বলিতে না অষ্টম শতকের শেষার্ধ হইতে এ উল্লেখও আর পাওয়া যাইতেছে না এবং চতুর্দশ শতকের আগে সমগ্র বাঙলাদেশে আর কোথাও বৈদেশিক সামুদ্রিক বাণিজ্যের আর কোনো বন্দরই গড়িয়ে উঠিল না৪এই বাণিজ্যের পতনের সাথে বৈশ্বিক ঘটনাবলীরও একটা সম্পর্ক আছে বিশেষভাবে সম্পর্ক আছে ইউরোপের কেন্দ্রিয় রোমান সাম্রাজ্যের আনুষ্ঠানিক পতন ও সামন্তবাদের উদ্ভবের সূচনারই সাথে জার্মান বর্বর জাতিলোর আক্রমণে পশ্চিম রোম সাম্রাজ্যের পতন ঘটে শেষ রোমান সম্রাট নিহত হন বিপর্যস্ত ৪৭৫ খ্রিস্টাব্দে ফলে সারা দুনিয়ার সমুদ্র বাণিজ্যের ক্ষেত্রে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে তারপরও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র যে রাষ্ট্রগুলো রোম সাম্রাজ্য থেকে জন্ম নেয় তার চাহিদার কারণেও এই সমুদ্র বাণিজ্য আরও কিছুকাল দুর্বল আকারে টিকে থাকে আরও কয়েক শতাব্দীর জন্য টিকে থাকে পূর্ব রোমান সাম্রাজ্যও ইউরোপের সামন্তযুর উদ্ভবের আদি কারণ এটাই ধীরে ধীরে কয়েক শতক ধরে এরপর সামন্তবাদ শক্তিশালী ও দানা বাধতে থাকে এর একটা প্রত্যক্ষ ফল ছিল সমুদ্র বাণিজ্য খুব বিরাট আকারে হ্রাস পাওয়া যার ফলে সমুদ্রবাণিজ্য নির্ভর এডেন বন্দরের অধীশ্বর ইয়েমেনের বাদশা আবরাহার বাণিজ্য বিপর্যয় ঘটে তার মন্দিরে তীর্থযাত্রীর সংখ্যাও হ্রাস পায় খেয়াল করুন এই সময়েই উটের কাফেলা রুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে থাকে স্থলপথে নতুন বাণিজ্যপথ জমজমাট হয় চলার পথে একটা উল্লেখযোগ্য কেন্দ্র ছিল মক্কা সে অন্য আলোচনানীহাররঞ্জনকে দিয়েই আলোচ্য সময়ের বাংলার অবস্থা বোঝাবার চেষ্টা করা যাক এই সব কারণে সমাজে কৃষিনির্ভরতা বাড়িয়া যাওয়া খুবই স্বাভাবিক এবং অষ্টম শতক হইতে দেখা যাইবে গাঙ্য় ভারতে বিশেষত বাঙলাদেশে ঐকান্তিক কৃষিনির্ভরতা ক্রমবর্ধমান এবং আদিপর্বের শেষ অধ্যায়ে অর্থাৎ অষ্টম হইতে ত্রয়োদশ শতকের বাঙলাদেশ একান্তই কৃষিনির্ভর অর্থাৎ কৃষিই োৎপাদনের প্রথম ও প্রধান উপায় শিল্প ও ব্যবসাবাণিজ্য অন্যতম উপায় হইলেও তেমন লাভবান নয় অর্থাৎ বাণিজ্যসমতা দেশের স্বপক্ষে আর নাই পূর্বদক্ষিণ দ্বীপ ও দেশগুলির সঙ্গে কিছু কিছু ব্যবসাবাণিজ্য থাকা সত্ত্বেও নাইএই অধ্যাপক রাজ্জাক কথিত এই ঋজু চাঁদ সওদাগরের ব্যক্তিত্বটি যখন নির্মিত হচ্ছে তখন বাংলায় বাণিজ্য সংস্কৃতির রীতিমত ধস নেমেছে কৃষি হয়েছে সম্পদের উৎস বিদেশী পর্যটকেরা এই কৃষিরই প্রশংসা করছেন বণিকদের ক্ষমতা ও মর্যাদা হ্রাস পেয়েছে বণিকবৃত্তি নামমে নামতে শেষ পর্যন্ত বর্ণবিচারে তাদের অবনমন ঘটিয়ে সেন রাজারাএটা অদ্ভুদ যে চাঁদ সওদাগরের কাহিনিটা যখন বাঙলা ভাষায় লেখা হচ্ছে তার কয়েকশ বছর আগেই সওদাগরি বস্তুটাই তার বিনিময় মাধ্যম আস্ত মুদ্রাসহ উধাও হয়ে ছে বাংলা থেকে মুদ্রার বদলে কড়ির প্রচলন ঘটেছে বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে পাল এবং সেন বাংলার এই দুদুটো বিখ্যাত রাজবংশের আমলেই বণিক শ্রেণি বিপর্যস্ত হয়েছে এটা কেবল শাসকের ব্যবসাবিদ্বেষী মনোভাবের জন্য না বরং রোমান সাম্রাজ্য ধ্বংস পরবর্তী আন্তর্জাতিক প্রেক্ষিতটা মাথায় রাখলে এটাকে অবসম্ভাবী বলেই মনে হবে ভূমিকেন্দ্রিক এই কালের অবশিষ্ট বণিকরা সামাজিকভাবেও আর সম্মানিত ছিলেন না বল্লাল চরিতের সাক্ষ্য প্রামাণিক হইলে স্বীকার করিতে হয় বণিক ও বিশেষভাবে সুবর্ণবণিকদের তিনি সমাজে পতিত করিয়া দিয়াছিলেন৫ লক্ষণ সেনের অন্যতম সভাপতি গোবর্ আচার্যের কবিতা উদ্ধৃত করে নীহাররঞ্জন আরও দেখিয়ে যে শ্রেষ্ঠীরা একদা শত্রুধ্বজোত্থান জা করতেন দ্বাদশ শতকেও সেই জা অব্যাহত থাকলেও শ্রেষ্ঠীরাই আর নেই শত্রুধ্বজ নিয়ে তাই তার কবিতাহে শত্রুধ্বজ যে শ্রেষ্ঠীরা তোমাকে উন্নত করিয়া গিয়াছিলেন সেই শ্রেষ্ঠীরা কোথায় ইদানীংকালের লোকেরা তোমাকে লাঙলের ঈষ অথবা গরু বাঁধিবার মেঢ়ি করিতে চাহিতেছেএই একটি শ্লোকে ব্যবসা বাণিজ্যের অবনতিতে এবং একান্ত কৃষিনির্ভরতায় বাঙালী সমাজের আক্ষেপ গোবর্ আচার্যের কণ্ঠে যেন বাণীমূর্তি লাভ করিয়াছে একটু প্রচ্ছন্ন শ্লেষও কি নাইফলে এই অধ্যাপক রাজ্জাক কথিত এই ঋজু চাঁদ সওদাগরের ব্যক্তিত্বটি যখন নির্মিত হচ্ছে তখন বাংলায় বাণিজ্য সংস্কৃতির রীতিমত ধস নেমেছে কৃষি হয়েছে সম্পদের উৎস বিদেশী পর্যটকেরা এই কৃষিরই প্রশংসা করছেন বণিকদের ক্ষমতা ও মর্যাদা হ্রাস পেয়েছে বণিকবৃত্তি নামমে নামতে শেষ পর্যন্ত বর্ণবিচারে তাদের অবনমন ঘটিয়ে সেন রাজারা অবশেষে সমুদ্রপথে আরব নাবিকদের কর্তৃত্ব সমুদ্রপথকে আবারও কিছুটা নিরাপদ করে বাংলায় মুদ্রা সংস্কৃতি ফেরত আসে মুসলমান দখলের পর খুবই সম্ভাবনা আছে যে অধ্যাপক রাজ্জাক সামন্তবাদ নিয়ে যা বলেছিলেন আহমদ ছফার বর্ণনায় তার অংশবিশেষই এসেছে তবে বণিকদের এই ভাবপ্রবণ ইতিহাস নির্মাণ একদা চল ছিল বটেই তবে আবারও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি বাংলায় কিংবা ভারতে সামন্তবাদের অনুপস্থিতি আবিষ্কার এই রচনার লক্ষ নয় বরং বণিকের উপস্থিতি যে সামন্তবাদের সাথে রোরি অসামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এবং উপরন্তু কোনো এক অদ্ভুদ সামাজিক কারণে বাংলার প্রধানতম বণিকের চরিত্র চাঁদ সওদাগর এমন একটা সময়ে নির্মিত হলো যখন বাংলা থেকে বাণিজ্যের প্রধানাংশে অবলোপন ঘটে কৃষিভিত্তিক সমাজ প্রাধাণ্যে এসেছে চলবেআগের পর্ব পড়তে ক্লিক করুনঅধ্যাপক রাজ্জাক কয়েকটি খটকা পর্ব৮ প্রসঙ্গ সামন্তবাদ টীকা১ বাংলা মঙ্গলকাব্যের ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় মনসামঙ্গল কাব্য দ্রষ্টব্য২বাঙ্গালীর ইতিহাস নীহাররঞ্জন রায় পৃষ্ঠা ৩৬১৩বাঙ্গালীর ইতিহাস নীহাররঞ্জন রায় পৃষ্ঠা ৩৭৩৪বাঙ্গালীর ইতিহাস নীহাররঞ্জন রায় পৃষ্ঠা ৩৮১৫নীহাররঞ্জন ২৭৫ পৃষ্ঠা |
অধ্যাপক রাজ্জাক কয়েকটি খটকা পর্ব১ সাহিত্য প্রবন্ধনিবন্ধ ১৭ জুলাই ২০১৬ ১৫৩৬ তাকে রহস্যময় এবং গোপন ক্ষমতার অধিকারী মনে করেন এমন মানুষও কম ছিল না হেনরি কিসিঞ্জারের সাথে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে মুখরোচক বহু গল্প যেমন আছে তেমনি আছে শেখ মুজিবুর রহমানের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রীদের সাথে তার যোগাযোগ নিয়ে প্রচলিত গল্প ও ধারণা বহু মানুষই বিশ্বাস করতেন তার কাছে কিছু চাইলেই পাওয়া যায় ৬ দফার প্রণেতা হিসেবে তার নাম আসে রাজ্জাক সাহেব ছিলেন প্রকৃতির মতো বলেছিলেন বদরুদ্দীন উমর তাঁর স্মরণসভায় কেননা প্রকৃতিতে ঝড়ঝঞ্ঝা বৃষ্টি বন্যা ভূমিকম্প যেমন ভালোমন্দ ীদরিদ্র নির্বিশেষে সকলের ক্ষেত্রেই পক্ষপাতহীন তেমনি তিনি নিজের স্নেহ পক্ষপাতহীনভাবে তাঁর চারপাশের সকলের ওপর বর্ষণ করতেন তাঁর কাছে কেউ যা কিছু সে যাই হোক চাইতেন তিনি সাধ্যমত পূরণ করতেন তাঁর সংস্পর্শে যাঁরাই এসে ও তাঁর স্নেহ লাভ করে তাঁদের সকলের কাছেই তিনি অবিস্মরণীয়১ তাঁর কোনো বাছবিচার ছিল না তিনি সাজ্জাদ হোসেনরে ভালোবাসতেন মুনীর চৌধুরী রবি হ ও সরদার ফজলুল করিমকেও ভালোবাসতেন আনিস বলেছে রাজ্জাক স্যারের স্নেহ সূর্যের মতো সবখানেই পড়ে যেখানে পড়া উচিত সেখানে পড়ে যেখানে পড়া উচিত নয় সেখানেও পড়ে তাঁর চরিত্রের মেইন দিক হচ্ছে জ্ঞান তাঁর কাছে খুব প্রিয় ছিল জ্ঞানীকে নানানভাবে সমাদর করতেন তাঁর জীবনে আর কোনো কাজ ছিল না তিনি এসব নিয়েই থাকতেন২ সাক্ষাতকারে বলেছিলেন সরদার ফজলুল করিমতাকে ঘিরে যে বলয়টি গড়ে উঠেছিল সেখানে যেমন ছিলেন মুনীর চৌধুরী অধ্যাপক আনিসুজ্জামান অধ্যাপক রেহমান সোবহান আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ কা হোসেন লেখক আহমদ ছফা অধ্যাপক আহমেদ কা সরদার ফজলুল করিম মানবাধিকারকর্মী হামিদা হোসেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী রওনক জাহান বুদ্ধিজীবী সলিমুল্লাহ খানসহ কয়েকটি দশক ধরে উল্লেখযোগ্য প্রায় সকল জ্যোতিষ্কই কমবেশি আবর্তিত হয়ে যারা ধূমকেতুর মতো দূর লক্ষ্য পানে সরে গিয়ে তারাও তাঁর আবেশের ফলে নিজ গতিপথে সূক্ষ্ম অথচ দৃশ্যমান ছাপ ধারণ করেতাকে রহস্যময় এবং গোপন ক্ষমতার অধিকারী মনে করেন এমন মানুষও কম ছিল না হেনরি কিসিঞ্জারের সাথে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে মুখরোচক বহু গল্প যেমন আছে তেমনি আছে শেখ মুজিবুর রহমানের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রীদের সাথে তার যোগাযোগ নিয়ে প্রচলিত গল্প ও ধারণা বহু মানুষই বিশ্বাস করতেন তার কাছে কিছু চাইলেই পাওয়া যায় ৬ দফার প্রণেতা হিসেবে তার নাম আসে মুসলিম লীগ ও জিন্নাহর প্রতি তাঁর ভালোবাসা তিনি কখনোই লুকোবার চেষ্টা করেননি ফলে সাম্প্রদায়িক তকমাও জুটেছে কখনো কখনো তাঁর শাস্তি চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিল করেছে ছাত্রলীগ আবার বঙ্গবন্ধু তাকে দিয়ে জাতীয় অধ্যাপকের সম্মান এমন একটি মানুষের পূর্ণাঙ্গ মূল্যায়ন হাজির করা কঠিন অথবা অন্য বিচারে জগতের সকল মূল্যায়নেই নতুন একটি ব্যক্তি নির্মিত হনএকঅধ্যাপক রাজ্জাকের অল্প কটি রচনা৩ পরিমাণের দিক দিয়ে ওই তালিকা অতি অকিঞ্চিৎকর সন্দেহ নেই এগুলোর বাইরে অধ্যাপক রাজ্জাকের পরিচয় বেশ কিছুটা পাওয়া যাবে তার সমকালীন ব্যক্তিদের স্মৃতিচারণেসেলোতে অধ্যাপক রাজ্জাকের মতামত বিশ্বাস কিংবা বিশ্লেষণ প্রতিফলিত বা হয়তো প্রতিসরিত হয়েছে এ ধরনের প্রতিটি রচনায় এক একজন পৃথক ও নতুন অধ্যাপক রাজ্জাক নির্মিত হয়ে প্রতিবার বর্ণনাকারীরাই স্বয়ং ভাস্করের ভূমিকায় অবতীর্ণ এই সূত্রগুলোর ওপর ভর করে অধ্যাপক রাজ্জাকের কোনো চিন্তাকে বুঝতে যাওয়াটা সম্পূর্ণরূপে কার্যকর কি না এটা বলা মুশকিলবর্ণনাকারী নিজেও বুদ্ধিবৃত্তির জগতে শক্তিমান হলে বর্ণনার সারবত্তার কতটা হ্রাসবৃদ্ধি হয় তাতে তাতে বিপদ কখনো বাড়তেও পারে যেমন প্লেটোর সক্রেটিস চিত্রণকে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ধরে নেয়া হলেও বিপরীত মতও এসেছে সক্রেটিসের জীবনোৎসর্গ প্লেটোর কাছে এতই মহৎ একটি কার্য বলে মনে হয়েছিলো যে তাঁর রচনায় তিনি এক মহিমাময় বিরাট সক্রেটিস নির্মাণ করে থাকতে পারেন কল্পনাসৃষ্ট এই সক্রেটিসের সাথে প্রকৃত সক্রেটিসের পার্থক্য থাকা আদৌ ত্র নয় কারণ বিশাল ব্যক্তিত্ব সৃজনের কল্পনাশক্তি প্লেটোর ছিল৪ এভাবে প্লেটো যে সক্রেটিসের চিত্র এঁকে তা হয়তো লেখকের নিজের স্বাতন্ত্রের ণেই হয়ে উঠেছে এক নিজস্ব এবং নতুন এক সক্রেটিস অন্যদিকে স্থুলচিত্তের সৈনিক জেনোফেন সক্রেটিসকে অপবাদ থেকে রক্ষা করতে গিয়ে প্রতিভাহীনতার ণেই হয়তো অন্তত কোনো কোনো ক্ষেত্রে সক্রেটিসকে যথাযথত উপস্থাপন করতে পেরে এমন যুক্তি দিয়ে অনেকেই আবার বিপরীত সম্ভাবনা ও যুক্তির কথাও বলা হয়েছে বুদ্ধির স্থুলতার কারণে তিনি হয়তো রুকে সামান্যই বুঝে ফলে নিজের সাধ্যমত সংকীর্ণ চিন্তার খোপে আঁটাতে গিয়ে রুর চিন্তাকে বিকৃত কিংবা কাঁটছাট করে অন্যদিকে প্লেটোর উপস্থাপনায় নিজের সৃজনশীলতার ছোঁয়া থাকলেও হয়তো ব্যক্তিত্ব ও চিন্তার উপস্থাপনা যথাযথ হয়েছেএই সব বিতর্কের বাইরেও এই প্রতিফলিত বা প্রতিসরিত প্রতিটি চিন্তারও তো নিজস্ব একটা দাবি আছে একটা সত্তা আছে অধ্যাপকের তো অভাব ছিল না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার আগেপড়ে অমন পরশমণি ছিলেন বলেই অধ্যাপক রাজ্জাকের সান্নিধ্যে আসা বক্তিত্বরাও উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজস্ব আয়নায় অধ্যাপক রাজ্জাকের এক একটি ভাস্কর্য নির্মাণে অজস্র স্মৃতিকথা পড়লে বোঝা যায় নানান বৈচিত্রের এবং প্রবণতার মানুষের মননে নির্মিত রাজ্জাক সাহেব আসলে তাদের নিজেদেরই স্ব স্ব ব্যক্তিত্বের বিকাশের ইতিহাসের একটা রুত্বপূর্ণ অংশ অধ্যাপক রাজ্জাকের মুগ্ধ তিন অনুরাগীর আলোচনা ও সাক্ষাতকার থেকে জন্ম নেয়া কিছু অনুভূতি কিছু মূল্যায়ন ও কয়েকটি খটকা প্রসঙ্ই আজকের এই রচনা১ প্রাকব্রিটিশ সাম্প্রদায়িকতা বিষয়ে অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের মূল্যায়ন প্রসঙ্বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী সলিমুল্লাহ খান অধ্যাপক রাজ্জাকের বিশেষ ণগ্রাহীদের একজন রাজ্জাক সাহেবকে নিয়ে তিনি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে লিখে সাক্ষাতকার দিয়ে বক্তৃতা করে জীবিত এবং বুদ্ধিবৃত্তির জগতে সক্রিয় যে কজন ব্যক্তির অধিকার ও কর্তৃত্ব আছে অধ্যাপক রাজ্জাকের স্মৃতিচারণ করবার মতো তিনি নিঃসন্দেহে সেই সংখ্যাল্পদের একজন অধ্যাপক রাজ্জাকের ভাবনার নানা দিকের ওপর আলোকপাতের জন্য আমরা তার কাছে বিশেষভাবে ঋণীসলিমুল্লাহ খানের একটি লেখাতে ভারতবর্ষের ইতিহাসের একটি দিক নিয়ে অধ্যাপক রাজ্জাকের এই ভাবনার সাক্ষাতটি আমরা পেয়েছি অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক সব সময় বলিতেন ইংরেজরা আসার ৫০০ বছর আগে পর্যন্ত ভারতবর্ষে যুদ্ধবিগ্রহ ঢের হয়েছে মাগার একটিও সাম্প্রদায়িক যুদ্ধ হয় নাই মানে হিন্দু বনাম মুসলমান যুদ্ধ হয় নাই একটিও মুসলমান বাহিনিতে হিন্দু সেনাপতি আর হিন্দু বাহিনিতে মুসলিম সেনাপতি থাকাই ছিল প্রায় নিয়ম সেই সময় যাহারা বিদেশ হইতে আক্রমণ করিতে আসিয়াছিলেন তাঁহারা বিদেশি পরিচয়েই আসিয়াছিলেন বিদেশ হইতে আসিয়া তাঁহারা এই দেশেই থিতু হইয়াছিলেন৫ইংরেজরা আসার আগে ৫০০ বছরের মাঝে ১২৫৭১৭৫৭ সাম্প্রদায়িক যুদ্ধের অনুপস্থিতির এই দাবিটি কৌতুহল উদ্রেক করে আরেকটি সাক্ষাতকারে সলিমুল্লাহ খান আবারো অধ্যাপক রাজ্জাকের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এই বিষয়ে তাঁর স্মৃতিকে নর্ব্যক্ত করেন অধ্যাপক রাজ্জাক বই পড়ার ক্ষেত্রে আরেকটা বই পড়ার কথা বললেন সিয়ারউলমুতাখখিরিন বাংলাদেশের ইতিহাস যদি জানতে চান তাহলে এই বইটা পড়বেন ৫০০ বছরের ইতিহাস লেখা আছে বৃটিশরা যে বছর ভারতের ক্ষমতা দখল করেছে তার আগের ৫০০ বছরের ইতিহাস লেখা আছে একটা জিনিস লক্ষ্য করবেন ব্রিটিশরা যেটাকে সাম্প্রদায়িকতা বলছে হিন্দুমুসলমান বিভেদ বলছে যার ভিত্তিতে ভারত ভাগ হলো সেই জিনিসটা কিন্তু ব্রিটিশ আসার আগে এ দেশে ছিল না প্রমাণ কি সিয়ারউলমুতাখখিরিন বইটা পড়বেন৬ প্রসঙ্গক্রমে বলে রাখা ভালো এই ধারণকৃত সাক্ষাতকারটিতেও অধ্যাপক রাজ্জাকের সেই মহৎ ব্যক্তিত্বটি ধরা পড়বে যিনি একজন প্রায় অচেনা অথচ উৎসাহী ছাত্রাবাস নিবাসী শিক্ষার্থীকে মূল্যবান গ্রন্থ পড়তে দিয়েও উদ্বেগহীন থাকতে পারেন সলিমুল্লাহ খানের এই সাক্ষাতকারটিতে এই শ্রদ্ধা ও ভালবাসার স্বীকৃতিটুকু যথাযথভাবেই এসেছে এবং এই নতুন নতুন বইয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার ও বই ধার দেয়ার ণটুকুর সকৃতজ্ঞচিত্তে উল্লেখ সরদার ফজলুল করিমসহ তার নিকটবর্তী হওয়া অনেকের রচনায় পাওয়া যাবে আমরা প্রাকব্রিটিশ আমলে সাম্প্রদায়িকতার অনুপস্থিতি বিষয়ে অধ্যাপক রাজ্জাকের মতামত বিবেচনা করার সুযাগও এই সাক্ষাতকারটির সৌজন্যে পেলাম এই কারণেই এই সাক্ষাতকারটি বিশেষ মূল্যবান হয়ে থাকবেচলবেটিকা১ অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের স্মৃতি বদরুদ্দীন উমর আবদুর রাজ্জাক স্মারকগ্রন্থ পৃষ্ঠা ৮৫ ২ মোহাম্মদ আলীর নেয়া সাক্ষাৎকারে সরদার ফজলুল করিম বিষয় অধ্যাপক আবুদর রাজ্জাক বিডিআর্টস ১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ উল্লেখিত আনিস হলেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ৩ অধ্যাপক আনিসুজ্জামান সম্িত স্মারকগ্রন্থে এই অল্পকটি রচনা ও বক্তৃতারও নাম এবং সময় যথাযথভাবে তালিকাবদ্ধ করা হয়নি এই কাজগুলোর মাঝে আছে তাঁর অসম্পূর্ণ পিএইচডি থিসিস পলিটিক্যাল পার্টিজ ইন ইন্ডিয়া অল্প কজনের সৌভাগ্য হয়েছে সেটির অনুলিপি পাঠ করার অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান ডেইলি স্টারে প্রকাশিত প্রফেসর আবদুর রাজ্জাক অন ইন্ডিয়াস পার্টিশন অ্যান্ড ইন্ডিপেন্ডেনস শীর্ষক প্রকাশকাল ৮ মার্চ ২০১৫ একটি প্রবন্ধে জানিয়ে তিনি সেই ভাগ্যবানদের একজন একটি প্রবন্ধের নাম দি মাইন্ড অব দি এডুকেটেড মিডল ক্লাস ইন দি নাইনটিনথ সেঞ্চুরি প্রকাশিত হয়েছিল নিউ ভ্যালুজ ৯ম ভল্যুম সংখ্যায় ১৯৫৭ একটি প্রবন্ধের নাম মিলিটারি ইন পাকিস্তান এটি তিনি পাঠ করেছিলেন হার্ভাডে ১৯৬০ সালে অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের স্মৃতিচারণা থেকে জানা যায় যে প্রবন্ধটি সাথে না নিয়েই তিনি দেশে ফিরে আসেন এটি আর উদ্ধার করা যায়নি স্মারকগ্রন্থে ১১৯ পৃষ্ঠায় স্মৃতিচারণে আনিসুজ্জামান জানিয়ে তাঁর মূল বক্তব্য নাকি ছিল এই যে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বৃদ্ধি হলে উন্নয়নশীল দেশে সামরিক শাসনের সম্ভাবনা বেড়ে যায় এবং প্রতিরক্ষাবরাদ্দ একেটা মাত্রা অতিক্রম করলে সামরিক শাসন অবশ্যই প্রবর্তিত হবে বলে ধরে নেওয়া যায় এর বাইরে আরেকটি বক্তৃতার কথা উল্লেখিত আছে সরদার ফজলুল করিমের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও পূর্ববঙ্গীয় সমাজ অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের আলাপচারিতা নামের তাঁর সাক্ষাতকারের গ্রন্থটির ১০৫ পৃষ্ঠায় এই বক্তৃতাটি দেয়া হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশনএর সম্মেলনে ১৯৭০ সালে বক্তৃতাটির নামটি গ্রন্থটিতে উল্লেখ নেই তবে বিষয়বস্তু সম্পর্কে রাজ্জাক সাহেব ওই সাক্ষাতকারটিতে জানিয়ে সামরিক বাহিনির ক্রমবর্ধমান শক্তি অনুন্নত দেশগুলোতে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকাকে যেভাবে সীমাবদ্ধতার মাঝে ফেলে তাই নিয়ে ওইদিন তিনি আলোচনা করেছিলেন এর বাইরে স্মারকগ্রন্থে প্রকাশের তারিখ ছাড়া উল্লেখ আছে এ নোট অন ডেভলপমেন্ট প্লানিং ইন পাকিস্তান নামের আরেকটি রচনা এর বিষয়বস্তুও একই সামরিক বাহিনি ও রাষ্ট্র ও পরিকল্পনা এছাড়া আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ১৯৮৫ সালে প্রধান অতিথির বক্তৃতা ১৯৮৫ সালে বাংলা একাডেমিতে প্রদত্ত ভাষা শ্রেণি ও সমাজ নামে একটি বক্তৃতা এবং ১৯৮৬ সালে সেলিনা হোসেন ও অন্যান্য সম্িত বাংলা একাডেমি কর্তৃক প্রকাশিত একুশের স্মারকগ্রন্থে অন্তর্ভূক্ত একুশের আলোচনাসভায় সভাপতির ভাষণ ৪ সক্রেটিসের সকল জীবনীকারই এই সমস্যাটি নিয়ে আলোচনা করে বাংলায় এই বিষয়ক আলোচনার জন্য দেখুন হাসান আজিজুল হক রচনাসমগ্র তৃতীয় খণ্ডভুক্ত সক্রেটিস গ্রন্থটি সাধারণভাবে বলতে লে সৈনিক জেনোফেন সক্রেটিসকে অপবাদ মুক্ত করতে চেয়ে নিজের বিচারবুদ্ধি মোতাবেক এবং রুত্ব দিয়ে মানুষ হিসেবে সক্রেটিসের পরোপকার বুদ্ধিমত্তা ও পরামর্শদাতা এই বৈশিষ্ট্যগুলোর ওপর অন্যদিকে দার্শনিক প্লেটো তাঁর রচনায় চেয়ে চিন্তার সক্রেটিসীয় পদ্ধতিটিকে ফুটিয়ে তুলতে হতেও পারে সেটা প্লেটোর নিজ কল্পনার সক্রেটিস৫ সলিমুল্লাহ খান সাম্প্রদায়িকতা শীর্ষক প্রবন্ধ দৈনিক বণিক বার্তা শনিবার অক্টোবর ২০ ২০১২ কার্তিক ৫ ১৪১৯ সংখ্যা পাঠকের কাছে এই প্রবন্ধটি হয়তো সলিমুল্লাহ খানের মানের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ঠেকবে কেননা এই প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথের উক্তি হিসেবে উদ্ধৃতচিহ্নযুক্ত এমন কিছু বাক্য রয়েছে যা রবীন্দ্রসমগ্রে পাওয়া দুষ্কর হবে যেমন প্রথমেই দেখা যাউক ভারতবর্ষের ইতিহাসকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কিভাবে দেখিয়া ইংরেজি বিশ শতকের গোড়ার দিকে লিখিতে বসিয়া ভারতবর্ষের ইতিহাসের অব্যবহিত আগেকার সাতশত বছরকে ঠাকুর বিদেশি শাসন বলিয়া রায় দিয়া ব্রিটিশ মহাজনেরা ততদিনে প্রায় দেড়শত বছর এই উপমহাদেশ শাসন করিয়া অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যখানে শুরু ধরিলে হিসাব তাহাই দাঁড়ায় বৈ কি এর আগের সাড়ে পাঁচশত বছরের মুসলিম শাসনকেও রবীন্দ্রনাথ বিদেশি শাসন বলিতে সমস্যার গোড়া এই জায়গায় ভারতবর্ষ যে মুসলমানদের শাসনাধীন ছিল বিদেশাগত হইলেও তাহারা মনেপ্রাণে ভারতবর্ষীয় হইয়া গিয়াছিলেন ব্রিটিশ শাসকশ্রেণি এই সত্য অস্বীকার করিতেন ভারতে ব্রিটিশ প্রবর্তিত সাম্প্রদায়িকতার মূলে ছিল সরকারের এই নীতি সাম্প্রদায়িকতা শব্দটিও ঔপনিবেশিক শাসনের জের প্রমাণস্বরূপ দুইটি কথা উল্লেখ করা যায় এখন ভারতের ইতিহাস ব্যবসায়ীদের মধ্যে রবীন্দ্রনাথের সংখ্যাই বেশি তাঁহারা সাড়ে পাঁচশত বৎসরের মুসলিম শাসনকে বিদেশি শাসনই মনে করেন সাম্প্রদায়িকতার গোড়া এই জায়গায় আমাদের প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীরা রবীন্দ্রনাথকে ছুঁইয়া কথা বলিবেন না সত্যকে স্বীকার করিবেন না ঘটনার মূলে যাইবেন না তাঁহারা ভারতের ইতিহাস সাম্প্রদায়িকভাবে পড়িবেন ও লিখিবেন সাম্প্রদায়িকতা জিইয়ে থাকার মূল কারণ এইখানেই পাওয়া যায় অথচ যে কোনো সন্ধানী পাঠক রবীন্দ্রসাহিত্য পাঠে দেখতে পাবেন রবীন্দ্রনাথ মোঘলদের বারংবার এদেশীয় বলেই উল্লেখ করে ফলে এই প্রবন্ধে উত্থাপিত অভিযোগটি অসার ও ভিত্তিহীন সেটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায় ৬ ব্রাত্য রাইসুর নেয়া ১৬ ২০১৪ তারিখে ইউটিউবে প্রকাশিত সলিমুল্লাহ খানের সাক্ষাতকার বর্তমানে এটি ইউটিউবে প্রদর্শিত না হলেও বর্তমান লেখক ব্রাত্য রাইসুর কাছ থেকে সাক্ষাতকারটি সংগ্রহ করে সাক্ষাতকারটিতে সিয়ারউলমুতাখখিরিনএর লেখকের নামও অসাবধানে ভুল করে গোলাম হোসায়ন সলিম বলা হয়েছে গ্রন্থটির লেখক আদতে সৈয়দ গোলাম হুসায়ন খান তাবতাবায়ীঅলঙ্করণ মোস্তাফিজ কারিগর |
অধ্যাপক রাজ্জাক কয়েকটি খটকা পর্ব২ সাহিত্য প্রবন্ধনিবন্ধ ২৪ জুলাই ২০১৬ ১৫০১ যদি কাফের ও মুশরেক হিন্িগকে সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন করা না যায় তাহা হইলেও এতটুকু করিতে হইবে যাহাতে আল্লাহ ও আল্লাহর রসুলের এই সকল জঘন্য শত্রু অসম্মান ও অভাবের মধ্যে জীবন যাপন করিতে বাধ্য হয় বাদশাহদের ধর্মভীরুতার লক্ষণ এই যে যখনই তাহাদের দৃষ্টি এই হিন্ের উপর পড়িবে তখন ক্রোধে মুখমণ্ডল অগ্নিবর্ণ ধারণ করিবে এবং ইহাদিগকে জেন্দা গোর দিবার কথা বারংবার মনে উদয় হইবেপূর্ব প্রকাশের পরপ্রাকব্রিটিশ ভারতে সাম্প্রদায়িকতা ছিল নাসলিমুল্লাহ খানের সূত্রে পাওয়া অধ্যাপক রাজ্জাকের এই বক্তব্য নিয়ে ভারতবর্ষের ইতিহাসের সাথে যারা পরিচিত তাদের সংশয় জাগতেই পারে এক অর্থে দেখলে পৃথিবীর সকল সাম্প্রদায়িক যুদ্ধের পেছনেই পার্থিব কারণসমূহ উপস্থিত ক্রুসেড নামে খ্যাত মুসলমানখ্রিস্টান ধর্মযুদ্ধগুলোরও এমনকি মধ্যযুর অন্তিমপর্ব জুড়ে ইউরোপে ক্যাথলিকপ্রটেস্টান্ট ধর্মযুদ্ধগুলোও কি একেবারে পার্থিব বৈশিষ্ট্যহীন বিবাদমান পক্ষদ্বয় তাদের পার্থিব স্বার্থকে ধর্মের মোড়কেই হাসিল করার চেষ্টা করেছে সকল যুদ্ধের চিত্রণেই এই সত্যটিকে আড়াল করার চেষ্টা হয়েছে কখনো কখনো এই আড়াল করাটি গৌণও হয়েছে যোদ্ধারা ধর্মরক্ষার অপার্থিব পূণ্যের পাশাপাশি পার্থিব জমিজমাব্যবসারাজত্ব দখলের বাসনা গোপন রাখেননি এমনকি বহু ক্ষেত্রে ধর্মযুদ্ধের পার্থিব স্বার্থ এতটাই প্রবলভাবে দেখা দিয়েছে যে রাজনৈতিকঅর্থনৈতিকসমরনৈতিক স্বার্থ ধর্মীয় নিকটত্বকে ছাপিয়ে ভিন্ন শিবিরের মাঝে মিত্রতা খুঁজে পেয়েছে ধর্মযুদ্ধের ডামাডোলের মাঝেই৭তাই সবচেয়ে ভাল হতো সত্যিকারের যাকে বলা যায় বিশুদ্ধনির্ভেজাল এবং আদর্শ কিছু সাম্প্রদায়িক যুদ্ধের নমুনানিদর্শনআকারপ্রকারবিবরণ পাওয়া লে যেটার নিরিখে আমরা ভারতবর্ষীয় সমরগুলোতে সাম্প্রদায়িকতা নামের উপাদার উপস্থিতি কিংবা অনুপস্থিতি বিচার করতে পারতাম অনেক লেখকই ভারতবর্ষের আধুনিক সাম্প্রদায়িকতার সূচনার সাথে আধুনিক মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিকাশের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করে রাজনীতিতে যখন সাম্প্রদায়িক পরিচয় নির্ধারক হয়ে দাঁড়ালো কিন্তু অধ্যাপক রাজ্জাকের ওই বিচ্ছিন্ন মন্তব্যটি আধুনিক মধ্যবিত্ত স্বার্থজাত সাম্প্রদায়িকতা বিষয়ক আলোচনা নয় এটি রাজারাজড়াদের যুদ্ধকাণ্ডের মাঝেও সাম্প্রদায়িক মনে বৃত্তির উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি প্রশ্নে একটি ইতিহাস বিচার সংক্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশঅধ্যাপক রাজ্জাক কথিত পাঁচশত বছরের ব্যাপ্তির মাঝে অপেক্ষাকৃত উদার হয়ে ওঠা মোঘলরা নয় শুধু মোঘলদের আগেকার সুলতানী আমলও অন্তর্ভূক্ত এবং এই সুলতানী আমলের বেলায় এই বক্তব্যটি মান্য করা কঠিন তুর্কী শ্রেষ্ঠত্বের ধারণার ওপর প্রতিষ্ঠিত এই শাসনামলের বড় অংশ জুড়েই প্রজাদেরকে প্রধানত প্রতিকূল বির্ধমী হিসেবেই ভাবা হতো খুব সম্ভবত তখনও পর্যন্ত ভারতে মুসলমান শাসকদের যথেষ্ট শেকড় নাগাড়তে পারা বহিরাগতদের ওপর সামরিক ও প্রশাসনিক দায়িত্বগুলোতে অতিমাত্রায় কিংবা বলা যায় প্রায় পূর্ণমাত্রায় নির্ভরশীল থাকা এবং মিশ্রিত সংস্কৃতি ও যোগাযোগ গড়ে ওঠার যথেষ্ট সময় ও সুযোগ সৃষ্টি নাহওয়াই এর কারণ এই সময়ের জনপ্রিয় একটি ইতিহাস গ্রন্থ তারিখ ই ফিরুজ শাহী দিল্লীর ছয় জন সুলতানের শাসনামলের ঘটনা নিয়ে রচিত এই শাসকদের অধিকাংশের সততা দক্ষতা এবং প্রবল বুদ্ধিমত্তা ও সাহসের পরিচয় বিল হলেও পরধর্মসহিষ্ণুতা সম্পর্কে যে দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় গ্রন্থটিতে আমরা পাই তা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির খুব অনুকূল না ইতিহাসকার জিয়াউদ্দীন বারানী স্বয়ং নিজেও অবশ্য ভিন্ন ধর্ম সম্প্রদায় এমনকি তার বিবেচনায় কলুষিত এবং স্থানীয়জাত ও নিম্নবর্ণের ধর্মান্তরিত মুসলমানদের প্রতি বিদ্বেষ ৮ গোপন করার কোন চেষ্টাই করেননিতারিখ ই ফিরুজ শাহী বর্ণিত সুলতানদের মাঝে প্রথমজন হলেন গিয়াসউদ্দীন বলবন শাসক হিসেবে তাকে তুলনামূলকভাবে যোগ্য বিচক্ষণ ও ন্যায়পরায়ণ হিসেবে চিহ্নিত করেও বারানি তার প্রসঙ্গে বলে তিনি সবার আগে সালতানাতের স্বার্থ দেখতেন এবং সেরকম কোন স্বার্থের দ্বন্দ্ব উপস্থিত হলে তিনি ধর্মের বিধিনিষেধেরও ধার ধারতেন না তিনি রাজকীয় কোন পদেই নীচু বংশোদ্ভুত কোন ব্যক্তিকে কিছুতেই নিয়োগ দিতেন না সে রকম সুপারিশ কেউ করলে অতিশয় রুষ্ট হতেন হিন্দু সম্প্রদায় সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গি বিষয়ক একটা উদাহরণ আলোচনা করেই সুলতানী আমলের একটি প্রাধান্যশীল ভাবনার পরিচয় দেয়া যেতে পারেযদি কাফের ও মুশরেক হিন্িগকে সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন করা না যায় তাহা হইলেও এতটুকু করিতে হইবে যাহাতে আল্লাহ ও আল্লাহর রসুলের এই সকল জঘন্য শত্রু অসম্মান ও অভাবের মধ্যে জীবন যাপন করিতে বাধ্য হয় বাদশাহদের ধর্মভীরুতার লক্ষণ এই যে যখনই তাহাদের দৃষ্টি এই হিন্ের উপর পড়িবে তখন ক্রোধে মুখমণ্ডল অগ্নিবর্ণ ধারণ করিবে এবং ইহাদিগকে জেন্দা গোর দিবার কথা বারংবার মনে উদয় হইবে বিশেষ করিয়া এই সকল কাফেরের নেতৃবৃন্দ ব্রাহ্মণদিগকে সমূলে বিনাশ করিতে হইবে কারণ ইহাদের দ্বারাই অধর্ম ও কুফুরীর প্রসার লাভ ঘটিয়া থাকে ইসলাম তথা সত্য ধর্মের ইজ্জত রক্ষার জন্যই কোন মুশরেক বা কাফেরকে এমন কোন সুযোগ দেওয়া যাইবে না যাহাতে সে সসম্মানে জীবন যাপন করিয়া সুমলমানদের মধ্যে বিশিষ্টতা লাভ করিতে পারে এবং নানাবিধ সুখ ভোগ করিতে সমর্থ হয় কোন রাজকীয় পদ বা দায়িত্বপূর্ণ কাজেও ইহাদিগকে বহাল করা যাইবে না বস্তুত ইহাদিগকে আরাম আয়েশে থাকা এমনকি নির্ভয়ে সুনিদ্রা ভোগ করিবার সুযোগ দেওয়াও মুসলমান বাদশাহদের উচিত কার্য নহে৯পাঠক খেয়াল না করে পারবেন না যে বলবনের ধর্মীয় নিয়মনিষ্ঠাকে জিয়াউদ্দীন বারানি যথেষ্ঠ উৎসাহের সাথে উল্লেখ করছেন রাজধর্ম আর ধর্মের মাঝে সংঘর্ষের বেলায় তিনি অস্বস্তি মিশ্রিত অনুভূতি নিয়ে ঘটনার বর্ণনা করছেন সুলতানের যে কাজগুলোকে তিনি ধর্মবিরোধী অথচ রাজত্বের জন্য প্রয়োজনীয় বিবেচনা করে সেলোকে নীরবে সমর্থন দিয়ে অন্ততপক্ষে ব্যতিক্রম ছাড়া সাধারণত বিরোধিতা করনেনি কিন্তু গিয়াসউদ্দীন বলবনের সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও শরাফতির প্রতি অন্ধ পক্ষপাতের একজন উৎসাহী সমর্থক হিসেবেই পাঠক বারানীকে আবিষ্কার করবেন অথবা কিছুটা সম্ভাবনা তো থাকেই যে এই উগ্রভাষণ স্বয়ং বারানীর কল্পনাপ্রসূত গিয়াসউদ্দীন ততটা চড়া ছিলেন না বারানীর চিত্রিত সুলতানেরা হয়তো বারানীরই নির্মিত ভাস্কর্য যেমন অধ্যাপক রাজ্জাক নির্মিত হয়ে ভিন্ন ভিন্ন খে যাই হয়ে থাকুক বারানির মতো শক্তিশালী আমীর ও বুদ্ধিজীবীর উপস্থিতিও সুলতানী আমলের বাস্তবতা সম্পর্কে আমাদের কিছুটা ধারণা দেয় উদাহরণে পাতা আরও ভারী করা সম্ভব আশা করি প্রবণতাটা বোঝাতে এটুকুই যথেষ্ট হবেএরপরও পাঠক দয়া করে ভুল বুঝবেন না মুসলমানী শাসনের একেবারে শুরু থেকেই একদিকে কঠোরভাবে শরিয়ত মানতে চাওয়া এই শরিয়ত মানার বিষয়টিও খুবই আপেক্ষিক প্রধান আগ্রহের বিষয় আসলে ছিল সেই প্রসঙ্গগুলোই যেলো নানান কারণে ধর্মীয় প্রতীক হয়ে উঠেছে দৈনন্দিন জীবনে অল্পকিছু শাসক বাদ দিলে অধিকাংশ শাসক আমীর ওমরাহবৃন্দ রীতিমত বেশরাই ছিলেন তা ইতিহাস গ্রন্থগুলোতে যথেষ্টই পষ্ট শাসক ও ধর্মীয় নেতা এবং সুফীগণ ছিলেন অন্যদিকে ছিলেন ভারতীয় ভাবধারার সাথে মিশে যাওয়ার চেষ্টারত সুফী সাধক ও কবিগায়কগণ সংস্কৃতির এই মিশ্রণ ঘটছিল এবং সেটা যেমন প্রায়ই উত্তেজক বিতর্কের বিষয় হয়ে দাঁড়াত তেমনি জনগণের একটা বড় অংশ বাস্তব প্রয়োজনেই এই মিশ্র সংস্কৃতির১০ কিন্তু ধীরে ধীরে একটি মিশ্র সংস্কৃতিও পরিসরও গড়ে ওঠে যেখানে ভারতীয় মুসলমানরা তুরস্ক ও পারসিক এবং আরবীয় মুসলমানদের থেকে খুবই আলাদা এই যৌথ পরিসরটুকুর বাইরে সকল ধর্ম সম্প্রদায় ও জাত এবং বর্ণের ছিল নিজস্ব সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল পরবর্তীকালগুলোতে তাই শাসকদের অন্যতম প্রধান কাজ ছিল এই ভারসাম্যটি বজায় রাখা কিন্তু কোন গোলমালে এই ভারসাম্য নড়ে উঠলেই সাম্প্র্রদায়িক কাঠামোটিকে ঠিকঠাক চেনা যেতো এখনো যেটা ভারতবাংলাদেশ উভয় রাষ্ট্রেই দেখা যাবে স্থায়ী গোলমালের দেশ পাকিস্তানে গোলমাল খানিকটা বেশিই স্থায়ী বলে বেশ কিছুদূর আইনী চেহারাও পেয়েছে সুলতানী আমলের অর্জনগুলো মাথায় রাখলে বোঝা যাবে যে তুর্কী সুলতানদের হটিয়ে ক্ষমতায় আসা মোঘল আমলে রাষ্ট্র অতটা সাম্প্রদায়িক চেহারা আর নেবে না কিন্তু সাম্প্রদায়িক বিভক্তি যতক্ষণ আছে যে কোন রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়ে তা ঠিকই বিভাজন আকারে দেখা দিতেই পারে মোঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের দাক্ষিণ্যাত্য অভিযানের শুধু ধর্মীয় কারণ ছিল না সাম্রাজ্য বিস্তারই লক্ষ্য ছিল ভিন্ন মাজহাবের নাঙ্গা দরবেশকে হত্যা ১১ কিংবা ভিন্ন ধর্মের নাগরিকদের জন্য অবমাননাকর অথবা নির্দিষ্ট বর্ণের শাক পড়তে বাধ্য করা কিংবা অশ্ব ইত্যাদি বাহন ব্যবহার নিষিদ্ধ করার চেষ্টার মাঝেও ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ও অসাম্প্রদায়িকতা যে সাম্রাজ্যে কোন নিশ্চয়তাপ্রাপ্ত আচরণ ছিল না ব্যক্তি সম্রাটের খেয়ালের ওপরও নির্ভর করতো তারই নিদর্শন পাইসিয়ারউলমুতাখখিরিন পাঠ করে ব্রিটিশ আসার আগে এদেশে সাম্প্রদায়িকতা ছিল না এই সত্যটি কিভাবে জানা সম্ভব সেটা আমাদের বোধগম্য হয় না ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে এই গ্রন্থটি রুত্বপূর্ণ তাতে অবশ্যই সন্দেহ নেই কিন্তু এর লেখকের বিশেষ সামাজিক মর্যাদা ও আগ্রহ এবং গ্রন্থটি রচনার কাল ইত্যাদি অনেকগুলো কারণেই সামাজিক ইতিহাসের দলিল হিসেবে এটির নির্দিষ্ট কিছু সীমাবদ্ধতা আছে আওরঙ্গজেব পরবর্তী সম্রাট আর রাজপুত্রদের যুদ্ধবিগ্রহের দরুণ সংঘটিত ঘটনাপ্রবাহের বর্ণনাই এর প্রধান দিক কে কোন কৌশলে লড়াইতে জিতলেন আর কে কেন হারলেন কার বীরত্বব্যাঞ্জক কি ভূমিকা ছিল কার কূটকৌশল কিংবা বিচক্ষণতা ও মর্যাদার বোধ কতখানি রুত্ব রেখেছে উচ্চমহলের আস্কারায় হঠাৎ বেয়ারা হয়ে ওঠা নর্তকীর সমুচিত শাস্তিপ্রাপ্তি রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ পাঠকরা রুদ্ধশ্বাসে জানতে পারবেন বইটি থেকেসাম্প্রদায়িকতার ইতিহাস অনুসন্ধানের চেষ্টাটিকে এই একটিমাত্র গ্রন্থে সীমিত রাখা হলে কিংবা এই গ্রন্থকে একমাত্র বা প্রধান দলিল হিসেবে ধরে নিলে সলিমুল্লাহ খানের বরাতে পাওয়া অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের এই মতটি গ্রহণযোগ্য মনে হলেও হতে পারে কিন্তু আমরা আগেই যেটা দেখলাম সাম্প্রদায়িকতা কিংবা হিন্দুমুসলমান বিভেদের রাজনৈতিকঅর্থনৈতিকসামাজিক কারণগুলো তো ব্রিটিশদের আগমনের আগেই যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল ফলে কোন গভীরতর অনুসন্ধানের আগেই কাণ্ডজ্ঞানও আমাদের বলবে সাম্প্রদায়িকতার অনুভূতির উপস্থিতির কথা যদি না আমরা কোন আত্মবিশ্বাস বা আপ্তবাক্য দ্বারা পরিচালিত হতে থাকি প্রাকবৃটিশ সাম্প্রদায়িকতার যথাযথ নির্ভুল সাক্ষ্যও রেখে গিয়েছিলেন সমকালের মানুষেরা সিয়ারউলমুতাখখিরীনে তাই খ আটকে থাকলে চলবে না সেই সাক্ষ্য আমাদের খুঁজতে আমাদের নজরটিকে আরও কিছুটা ছড়িয়ে দিতে হবেশায়খ জালালউদ্দীন তাব্রীজের মতোই শাহ্ জালালকে উপস্থাপন করা হয় বাঙলার হিন্দু অতীত ও মুসলিম ভবিষ্যতের মাঝে একটি ছেদ আনয়নকারী হিসেবে সুদূরপ্রান্তে অভিযানএর উল্লেখ যেখানে শাহ্ জালালের যোদ্ধাঅনুগামীদের বেঁচে থাকার কোন রসদও ছিল না গণিমতের ছাড়া ইঙ্গিত করে এই তুর্কি অভিযাত্রীদের যাযাবর উৎসের এবং এভাবে শাহ্ জালালএর বাঙলায় আগমনের প্রধান লক্ষ্য ছিল ধর্মীয় প্রকৃতির এই দাবিটাকে নাকচ করেএকই আলোচনা বাংলার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবার কথামগর একটিও সাম্প্রদায়িক যুদ্ধ হয় নাই বাক্যটির সুনিশ্চয়তার মাঝে কি হযরত শাহ্ জালাল মৃত্যু ১৩৪৬ বনাম গৌড় গোবিন্দের যুদ্ধটিও অন্তর্ভূক্ত বিজয়ীরা কিন্তু এই যুদ্ধটিকে মিথ্যা ধর্মের ওপর সত্য ধর্মের বিজয় হিসেবেই গণ্য করে আসছেন এটিকে গোনায় ধরা হচ্ছে না কি সিলেটের ক্ষুদ্র পরিসরে ছোট্ট এক স্থানীয় রাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধলিপ্তদের সংখ্যার স্বল্পতার কারণে ১২সাম্প্রতিককালে রিচার্ড এম ইটন হযরত শাহ্ জালালগৌড় গোবিন্দের মাঝে অনুষ্ঠিত এই ধর্মযুদ্ধটিরও একটি নতুন ভাষ্য জানিয়ে যেখানে মধ্য এশীয় যাযাবর তুর্কি ভাগ্যান্বেষীর রাজ্য অর্জনের প্রয়াস হিসেবেই এই যুদ্ধটিকে দেখা হয়েছে১৩ হযরত শাহ্ জালাল মধ্য এশীয় বিখ্যাত একটি সুফী তরিকার অনুসারী ছিলেন তুর্কী গোত্রগুলি কোন না কোন সুফী তরিকার অনুবর্তী হতো শাহ্ জালালের কয়েকশ বছর আগে থেকেই মধ্য এশিয়া একদিকে সংঘাতে জর্জরিত ছিল অন্যদিকে এখান থেকে বহির্গত তুর্কি ও অন্যান্য জাতির ভাগ্যান্বেষীরা পৃথিবীর নানা প্রান্তে ছোট বড় রাজবংশ গঠন করেছে ভূমিকা রেখেছে যোদ্ধা হিসেবে নতুন বসতি স্থাপন করেছে অজস্র হযরত শাহ্ জালাল প্রসঙ্গে ইটন জানিয়ে হযরত শাহ্ জালালের প্রথম জীবনীটি লেখেন তার এক সঙ্গীর বংশধর শায়খ আলী মৃ ১৫৬৩ শাহ্ জালালের সাথে তার মৃত্যুকালের ব্যবধান ২১৭ বছর এই জীবনীকার একদিকে যেমন মধ্য এশিয়ায় তুর্কিস্তানে জন্ম নেয়া হজরত শাহ্ জালালের সুফি তরিকায় প্রশিক্ষণ এবং বিরান দেশে ধর্মপ্রচারের আগ্রহে তার পীর কর্তৃক আদিষ্ট হবার কথা উল্লেখ করে তেমনি কয়েকশ সঙ্গীসাথীসহ সিলেটের দূরতম প্রান্তে অভিযানের কথাও বলে যেখানে গণিমতের মালপত্র ছাড়া টিকে থাকারও উপায় ছিল না অচেনা জনপদে অজানা মানুষদের সাথে এই গণিমত সংগ্রহের জন্য যুদ্ধ ভিন্ন আর কি উপায় থাকতে পারে অশ্ব উন্নততর অস্ত্র ও সমর প্রশিক্ষণের কল্যাণে এই বিজয়লদ্ধ গণিমতের প্রাপ্তিটাও সম্ভব ছিল রো অঞ্চলটি পার্থিব ও আধ্যাত্মিক জগতের বিজয়ীর হস্তগত হলে শায়খ মুজাররাদ সকলের জন্য এক একটি ভাগ নির্মাণ করেন এবং সেটিকে তাদের পরিতোষি হিসেবে প্রদান এবং তাদেরকে বিয়ে করার অনুমতি দেনইটনের ভাষায় শায়খ জালালউদ্দীন তাব্রীজের মতোই শাহ্ জালালকে উপস্থাপন করা হয় বাঙলার হিন্দু অতীত ও মুসলিম ভবিষ্যতের মাঝে একটি ছেদ আনয়নকারী হিসেবে সুদূরপ্রান্তে অভিযানএর উল্লেখ যেখানে শাহ্ জালালের যোদ্ধাঅনুগামীদের বেঁচে থাকার কোন রসদও ছিল না গণিমতের ছাড়া ইঙ্গিত করে এই তুর্কি অভিযাত্রীদের যাযাবর উৎসের এবং এভাবে শাহ্ জালালএর বাঙলায় আগমনের প্রধান লক্ষ্য ছিল ধর্মীয় প্রকৃতির এই দাবিটাকে নাকচ করে কিন্তু এই যে ইটন ভাবছেন লক্ষটি ধর্মীয় নয় অথচ যুদ্ধজয়ী হযরত শাহ্ জালাল এবং এবং তার পরের প্রজন্মের কাছে এর ধর্মীয় তাৎপর্যের বিশালতা থেকে আমরা অপার্থিব ও পার্থিব আকাঙ্ক্ষার বোঝাপড়া ইতিহাসের ব্যাখ্যায় যেভাবে জড়িয়ে থাকে সেই সম্পর্কে একটা ধারণা পাবোএভাবে তীর্থে আসা সাধুদের হাতে দখলের শিকার হয়ে ময়মনসিংহে যেমন স্থানীয় একটি গারো রাজ্য পরিণত হলো সুসঙ্গ রাজ্যে সৎসঙ্গ অর্থাৎ ধার্মিকদের রাজ্যে সিলেটে কিন্তু সেভাবে রাজপরিবার গড়ে ওঠেনি সিলেটে বরং মধ্য এশীয় গোত্রপতির আদলে গণিমতের ভাগ ও করায়ত্ত জমি বণ্টনের চিত্রটি দেখা যায় মধ্য এশীয়ায় তখনকার অস্থিরতা বহুসংখ্যক তুর্কি জাতিগোষ্ঠীর এশিয়া ও ইউরোপব্যাপী ভূমির জন্য অভিযান এবং রাজবংশ ও বসতি গড়ে তোলার প্রেক্ষিতে বিবেচনা করলে হজরত শাহ্ জালালের এই কাহিনির তাৎপর্য বোঝা সম্ভব ধর্মীয় প্রেরণা এই অভিযানগুলোকে সদর্থক তাৎপর্য দিতে পারে এমনকি তা অধর্মের রাজত্বকে ধর্মের রাজত্বে নিয়ে আসার নৈতিক বৈধতা ও প্রদান করতে সক্ষমএদিক দিয়ে বিবেচনা করলে কোন যুদ্ধই প্রকৃত ধর্মযুদ্ধ নয় আদৌ পার্থিব চাহিদাই মানুষকে দুনিয়ার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত অভিযানে টেনে এনেছে সেই হিসেবে ইংরেজরা আসার আগে কোন ধর্মযুদ্ধও নিশ্চয়ই অনুষ্ঠিত হয়নিতারপরও ভূমি প্রধান প্রণোদনা থাকলেও একথা না মেনে উপায় কি যে যুদ্ধটা দুই ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মাঝেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল ধর্মপ্রচার মূল প্রণোদনা ছিল না অথচ সাম্প্রদায়িক স্বার্থের প্রকাশ ঘটেছিল এমন সংঘাতের অভাব নেই সাম্প্রতিক কিংবা প্রাচীন ইতিহাসে এমন খাঁটি সাম্প্রদায়িক সংঘাত এই গ্রহের কোথায় পাওয়া যাবে যেখানে কোন জাগতিক তুচ্ছ বাসনা ইন্ হিসেবে ক্রিয়াশীল ছিল না একমাত্র ধর্মপ্রচারই যোদ্ধাদের পরম আরাধ্য ছিল স্বার্থ কিংবা লোভকে মহত্বের আলখাল্লা পড়ানো হয়নি এমন কোন রাজনৈতিক বিবাদ পাওয়া যাবে না রাজনীতির কাজই তো স্বার্থকে আদর্শায়িত করা চলবেপর্ব১ পড়তে ক্লিক করুন অধ্যাপক রাজ্জাক কয়েকটি খটকা পর্ব১টিকা৭ ইউরোপ বিষয়ে সাধারণ আলোচনার জন্য আগ্রহী পাঠকরা এর দেখতে পারেন ১৫৫২৫র যুদ্ধে ক্যাথলিক ফরাসি রাজার সহায়তায় ধর্মযুদ্ধের নামে পবিত্র রোমান সাম্রাজ্যের তৎকালীন অধীশ্বর স্প্যানিশ সম্রাট চতুর্থ চার্লসের রাজ্যগ্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে প্রোটেস্টান্ট সামন্ত শাসকরা ক্যাথলিক সামন্ত শাসকরা কার্যত নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করে নিজেদের রাজনৈতিক কর্তৃত্বকে রক্ষা করে এই যুদ্ধের পরিণামে হ্যাপসবুর্গরা অগসবার্র শান্তিচুক্তি মেনে নিতে বাধ্য হয়ে এমন আরেকটি বিখ্যাত ঘটনা হলো সুইডেনের রাজা স্তাফ অ্যাডলোফাসএর প্রোটেস্ট্যান্ট ক্রুসেডে ১৬১৮৪৮ ক্যাথলিক ফরাসী সরকারের বিল অঙ্কের ভর্তুকি প্রদান কেননা এই যুদ্ধ পরিচালিত হচ্ছিল অস্ট্রিয় সম্রাটের বিরুদ্ধে এটাই ইউরোপের বিখ্যাত ৩০ বছরের যুদ্ধ নামে খ্যাত ধর্মযুদ্ধ৮ জিয়াউদ্দীন বারানীর তোয়া ই জাহানদারি দ্রষ্টব্য এই রুত্বপূর্ণ গ্রন্থটির উল্লেখ সুলতানী আমল বিষয়ক অনেকগুলো গ্রন্থে মিললেও এর ইংরেজি অনুবাদটি এখানকার কোন গ্রন্থাগারে পাইনি অন্যত্র উল্লেখ থেকে জানা যাচ্ছে যে ফতোয়ার এই সংকলনটি এমনকি নব্য মুসলিমদেরও পৃথকীকরণের পক্ষে অনুকূল মত দেয় প্রধানত তুর্কি শ্রেষ্ঠত্বের ওপর প্রতিষ্ঠিত সুলতানী শাসনের একটি ধর্মীয় ন্যায্যতা প্রদানই এর রাজনৈতিক লক্ষ্য৯ গোলাম সামদানী কোরায়শী কর্তৃক অনূদিত তারিখ ই ফিরুজশাহী পৃষ্ঠা ৩২ বাংলা একাডেমী ১৯৮২১০ উভয় সংস্কৃতির এই মিশ্রণ এবং শক্তিশালী একটি সমন্বিত সংস্কৃতি গড়ে ওঠা বিষয়ক চিত্তাকর্ষক একটি আলোচনার জন্য দেখুন রচিত ১১ একজন দিগম্বর দরবেশ মুহম্মদ সাইদকে হত্যা করেন সম্রাট আওরঙ্গজেব তার মৃত্যুর কারণ সম্ভবত দারা এই ফকিরের প্রতি অনুরক্ত ছিলেন দেখুন এ শর্ট হিস্টরি অব আওরঙ্গজেব স্যার যদুনাথ সরকার অনুবাদ খসরু চৌধুরী প্রকাশক ঐতিহ্য ২০১২ পৃষ্ঠা ৯৩ এই হত্যার ধর্মীয় বৈধতাও প্রতিপাদন খুব কঠিন সব মিলিয়ে অসহিষ্ণুতা সাম্প্রদায়িকতা আর ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহারের যে প্রকটতা এই সময়ে দেখা গিয়েছিল তাতে সন্দেহ নেই এই আচরণগুলোর আর্থসামাজিক তাৎপর্য বা ব্যাখ্যা যাই থাকুক এদের অস্তিত্ব অনস্বীকার্য১২ কৌতূহলী পাঠক জেনে রাখবেন অধিকাংশ প্রান্তিক রাজ্যের কোন একটি বিকাশমান সভ্যতার প্রতিভূস্বরুপ ভাগ্যান্বেষীদের অধিনস্ত হওয়ার বা যুক্ততার যে কয়টি সম্ভাব্য ব্যাখ্যা পাওয়া যায় হজরত শাহ্ জালালের গৌড় গোবিন্দকে পরাজিত করার কাহিনির ভাবনাটি তার মাঝে একটি অত্যাচারী রাজা বহিরাগত সিদ্ধপুরুষ প্রজাদের নালিশ এবং অবশেষে সত্যের জয় হুবহু হজরত শাহ্ জালালের ছকে নির্মিত আর একটি রাজ্য হলো সুসং রাজপরিবার যেটি সময়ের দিক দিয়ে বেশ খানিকটা আগে প্রতিষ্ঠিত হলেও এই সামন্ত পরিবারটি টিকে ছিল ১৯৪৭ পর্যন্ত এটাও প্রাণিধানযোগ্য যে গৌড় গোবিন্দের উত্তরসূরী স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং গারো জাতিগোষ্ঠী উভয়ের মাঝেই ওই যুদ্ধের একটা বিকল্প ব্যাখ্যাও আছে ক্ষমতাগত ভারসাম্যের কারণেই তাদের কাহিনির প্রচার বোধগম্যভাবেই কম সুসং রাজপরিবারের প্রতিষ্ঠার সর্বজনবিদিত কাহিনিটি এখানে তুলে দেয়া হলো সুসং দূর্গারওআরজি নামের অন্তর্জালিক ঠিকানা থেকে অনেককাল আগে ১২৮০ খ্রিস্টাব্দের মাঝামাঝি সময়ে মাঘ মাসের শীতকালীন অবসরে ভারতের কান্যকুব্জ থেকে একদল সাধু বেরিয়েছিলেন তীর্থ ভ্রমণে বিভিন্ন তীর্থস্থান ঘুড়তে ঘুড়তে একসময় তারা উপস্থিত হন গৌহাটির নিকটস্থ পাহাড়ে অবস্থিত কামাখ্যা মন্দিরের পূণ্যপীঠে কিছুদিন সেখানে অবস্থানের পর নদীর তীরে বিগ্রহলক্ষ্মী নারায়ণজীর আবাসে আশ্রয়গ্রহণ করেন এবং সেখানে মগ্ন হন ঈশ্বর আরাায় এভাবেই কেটে যাচ্ছিল দিন নীরব পাহাড়ি পরিবেশ তাদেরকে বেশ প্রশান্তি দিচ্ছিল হঠাৎ একদিন একদল দরিদ্র ধীবর সেখানে উপস্থিত হয়ে সাধুদের জানালেন যে পাহাড় মুল্লুকে বৈশ্যগারো নামে এক দুর্ধর্ষ ও অত্যাচারী রাজা তাদের উপরে ক্রমাগত নির্যাতন করে চলেছে এ হেন অবস্থা থেকে তারা পরিত্রাণ চায় ধীবরদের মুখে এ নির্যাতনের কাহিনি শুনে এক প্রবীণ সাধুর মনে দয়ার উদ্রেক হয় তিনি তার কনিষ্ঠ সাধু সোমেশ্বর পাঠককে বলেন সোমেশ্বর তুমি এই অরণ্যভূমি অধিকার করে এখানে একটি রাজ্য স্থাপন কর তাতে তোমার অভীষ্ট সিদ্ধি ও ধীবরদের মঙ্গল হবে জ্যেষ্ঠ সাধুর নির্দেশকে শিরোধার্য ভেবে আরও কয়েকজন সন্ন্যাসীকে নিয়ে সোমেশ্বর পাঠক থেকে লেন নিবিড় পাহাড়ি অরণ্য এ জনপদে আর বাকি সাধুরা চলে লেন পূর্বের গন্তব্যে তারপর সোমেশ্বর পাঠক অন্যান্য সহচর ও ধীবরদের নিয়ে একটি দল সংগঠন করেন এবং অত্যাচারী বৈশ্যগারো রাজাকে পরাজিত করে তিনি নতুনভাবে প্রতিষ্ঠা করলেন নতুন এক রাজ্য যার নাম দেন সুসং রাজ্য রাজ্য প্রতিষ্ঠার পর রাজ্যের পাশ দিয়ে বয়ে চলা স্বচ্ছ জলধারায় প্রবাহিত পাহাড়ি নদীটির নাম দেন সোমেশ্বরী ৩৩৫৯ বর্গমাইল এলাকা ও প্রায় সাড়ে নয়শত গ্রাম নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় সুসং রাজ্য সুসং রাজ্যের কেন্দ্রবিন্দু এক বিরানভূমিকে করা হয় রাজধানী রাজধানীর নাম রাখা হয় দূর্গার বর্তমানে সেই দূর্গার জনপদটিই নেত্রকোণা জেলার সুসঙ্গ দূর্গার উপজেলা নামে পরিচিত ১৩ অলঙ্করণ মোস্তাফিজ কারিগর |
অধ্যাপক রাজ্জাক কয়েকটি খটকা পর্ব৩ সাহিত্য প্রবন্ধনিবন্ধ ৩১ জুলাই ২০১৬ ১৩০৪ তাত্ত্বিকভাবে এইটুকু মেনে নিলে বৃটিশ আমলের আগে সাম্প্রদায়িকতা ছিল কি না তা অনুধাবনের জন্য প্রাকবৃটিশ আমলে স্বার্থের বিরোধ ছিল কি না সেটা সমঝে রাখলেই চলবে বৃটিশ আমলে যা ছিল চাকরি আর ক্ষমতার জন্য মুসলমান আর হিন্দুর মাঝে প্রতিযোগিতা একাদশ শতকের পর একটা পর্বে তাই ছিল ভাগ্যান্বেষী মধ্য এশিয় সমরপুরুষদের রাজ্য দখলের এবং তা প্রতিরোধের লড়াইপূর্ব প্রকাশের পরদুই তারপরও যুদ্ধ তো রাজারাজরাদের গদি দখলের বিষয় প্রাত্যহিক রাজনৈতিক সাম্প্রদায়িকতা বৃটিশপূর্ব দৈনন্দিন জীবন ও রাজনীতিতে কতটুকু ছিল১৪ এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে লেও আমাদের মনে রাখতে হবে ভারতবর্ষীয় সাম্প্রদায়িকতার ইতিহাস যখন প্রবলতম বিংশ শতকের সেই প্রথম দশকগুলোতেও পরমার্থিক ধর্ম প্রচার নয় সম্প্রদায়ের মহিমা কীর্তন নয় নিজ বিশ্বাসের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিপাদনও নয় বরং একেবারে নিছক নিজ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্য চাকরিব্যবসাক্ষমতার বন্দোবস্তই ছিল সংঘাতের মূল প্রেরণা১৫ ধর্ম নয় জাগতিক স্বার্থ নিয়ে বিবাদই যে সকল সাম্প্রদায়িকতার মূল উৎস স্বয়ং অধ্যাপক রাজ্জাকের মাঝেই সেই উপলদ্ধির পরিচয় পাওয়া যাবে তাকে নিয়ে এক সাবেক সহকর্মী আহরার আহমদ এর কথোপকথনের স্মৃতিচারণ থেকেঅন্য একটি ঘটনায় সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে একটা ঘরোয়া আলোচনায় আমি দুঃখ করছিলাম কিভাবে নির্বোধ এবং অশিক্ষিত লোকজন ভয়াবহ ধর্মান্ধতার বশবর্তী হয়ে অন্যদের প্রতি তাদের ঘৃণা লালন ও প্রকাশ করে তিনি আমাকে থামিয়ে দিলেন আর দেখিয়ে দিলেন যে সত্যিকারার্থে গরিব আর অশিক্ষিত লোকজন নয় যারা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অন্যরা কি বিশ্বাস করে তার সামান্যই পরোয়া করে বরং শিক্ষিত আর বুদ্ধিমান লোকজনই এই সব সংঘাত আর সহিংসতার অধিকাংশগুলোর জন্য দায়ী তিনি দেখিয়ে দিলেন বৃটিশ শাসনে মধ্যবিত্তের বিকাশ এবং চাকরি আর ক্ষমতার জন্য প্রতিযোগিতাই দেশে সাম্প্রদায়িক ভাগাভাগির জ্ানি হিসেবে কাজ করেছে১৬রাষ্ট্রবিজ্ঞানের দিক থেকে বিবেচনা করলে বিবাদে জড়িত ব্যক্তিদের সাম্প্রদায়িক পরিচয় থাকাটাই সাম্প্রদায়িকতার অনুভূতির উৎস তাত্ত্বিকভাবে এইটুকু মেনে নিলে বৃটিশ আমলের আগে সাম্প্রদায়িকতা ছিল কি না তা অনুধাবনের জন্য প্রাকবৃটিশ আমলে স্বার্থের বিরোধ ছিল কি না সেটা সমঝে রাখলেই চলবে বৃটিশ আমলে যা ছিল চাকরি আর ক্ষমতার জন্য মুসলমান আর হিন্দুর মাঝে প্রতিযোগিতা একাদশ শতকের পর একটা পর্বে তাই ছিল ভাগ্যান্বেষী মধ্য এশিয় সমরপুরুষদের রাজ্য দখলের এবং তা প্রতিরোধের লড়াই পরবর্তীতে স্থানীয় বনাম বহিরাগতদের মাঝে চাকরি ও প্রতিপত্তি দখল কিংবা রক্ষার লড়াইতিনমধ্যযুর বাংলার রাজনীতিতে এই সাম্প্রদায়িক ভারসাম্য কি কি শর্তের ওপর নির্ভর করতো সেটাও এই আলোচনায় আমাদের জন্য শিক্ষণীয় হতে পারে নগরবাসী মুসলিম সামাজিক অভিজাতদের কাছে শাসককে মুসলিম হতেই হবে সম্ভবত এটাই ছিল সবচে বড় শর্ত এরপরে মুসলমান পরিবারগুলো কিংবা বহিরাগতরা নিজেদের মাঝে এই সিংহাসন নিয়ে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়ে নিজেদের যোগ্যতার পরীক্ষা দিতে পারতো যেমন বাংলায় ইলিয়াস শাহী রাজবংশ উচ্ছেদ করে গণেশ নামের একজন স্থানীয় জমিদার নতুন রাজবংশের ১৪১৪ খৃষ্টাব্দ পত্তন করেন ইলিয়াস শাহী বংশের পৃষ্ঠপোষকতা্য চিশতিয়া তরিকার সুফীদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগে চিশতিয়া তরিকার প্রধান নূর ই কুতুব ই আলম মৃত্যু ১৪৫৯ জৌনপুরের সুলতান ইব্রাহিম শর্কিকে বাংলা আক্রমণের আমন্ত্রণ জানান নূর কুতুব ই আলম ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে অত্যন্ত সম্মানিত ছিলেন মানুষ হিসেবেও ছিলেন অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য ও সদাশয় মেহমানদারির প্রায় সকল তুচ্ছ ও নিচু কাজ তিনি নিজের হাতে সম্পন্ন করতেন তাঁর দরবারে আসা সকল ফকির ও অতিথির কাপড় তিনি নিজে পরিষ্কার করতেন জ্ানি কাঠ সংগ্রহ করতেন তাঁর ্র নিজে মাংস না খেলেও মেহমানদের জন্য ভেড়া মোটাতাজা করার কাজটি করতেন শর্কিকে লেখা তাঁর পত্রে তিনি তিনশ বছর ধরে ইসলামী শাসনে থাকা দেশটি বিধর্মীদের অন্ধকার এবং অবিশ্বাসীদের শক্তির হাতে চলে যাওয়ার কথা লেখেন এবং আহবান করেনবিশ্বাসের ঘরের যখন পতন হয়েছে ইসলাম যখন এমন দুর্ভোগে নিপতিত হয়েছে কেন তুমি সিংহাসনে মহানন্দে বসে আছো জাগো অগ্রসর হও এবং ধর্মকে রক্ষা করো কেননা এটা তোমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব১৭এই পত্রে আমরা ধর্মবিশ্বাস স্বাজাত্যবোধ এবং রাজনীতিকে জটিল এক প্রক্রিয়ায় একাকার হয়ে যেতে দেখবো সাম্প্রদায়িকতা তখনই থাকবে না যখন ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে ক্ষমতার মাপকাঠি নির্ধারিত হবে না লড়াইয়ের পক্ষ বিপক্ষও নয় এবং বলা যায় মধ্যযুর ওই বিশেষ পরিস্থিতিতে যখন ধর্মীয় পরিচয় গোত্রীয় পরিচয় এত রুত্বপূর্ণ তাৎপর্য বহন করে সাম্প্রদায়িকতা তখন বরং সমাজিক সম্পর্কের একটা অন্যতম ভিত্তি একে ক্ষমতার কেন্দ্র বা ভিত্তিস্বরূপ ধরেই বাকি সব সম্পর্ক অগ্রসর হয়এই পত্র পেয়ে ধর্ম রক্ষার তাগিদে কিংবা হয়তো বাংলাকে জৌনপুরের সাথে যুক্ত করার দীর্ঘদিনের বাসনা পূরণের আশায় কিংবা অধিকতর সম্ভাবনা হলো উভয় কারণই যৌথভাবে ভূমিকা রেখেছে ইব্রাহিম শর্কি রাজা গণেশকে সিংহাসনচ্যুত করতে অগ্রসর হন বাংলার সাথে জৌনপুরের আন্তঃসম্পর্কে কিংবা বাংলা ও জৌনপুর উভয়টির সাথেই দিল্লীর আন্তঃসম্পর্কে গ্রাস করার নীতি এর আগে থেকেই প্রবল ছিল এখানে কেবল একটা নতুন শর্তের উপস্থিতি আমরা দেখতে পাচ্ছি সেটা সাম্প্রদায়িকতা এটা অভিযাকে আর সব কিছুর পাশাপাশি একটা ধর্মীয় বৈধতা ও তাৎপর্যও উপহার দিচ্ছে শর্কিকে যুদ্ধে আহবান এবং শর্কির তাতে সাড়া দেয়ার প্রক্রিয়াটির ভেতর দিয়ে সাম্প্রদায়িক স্বার্থ রক্ষার আকাঙ্ক্ষাকে আমরা নজর এড়িয়ে থাকতে পারি না আরও বেশ কয়েকজন সমকালীন সুফীর কথা পাওয়া যায় যারা ইব্রাহিম শর্কিকে বাঙলা আক্রমণের তাগিদ দিয়েছিলেন যেমন মীর সৈয়দ আশরাফ জাহাঙ্গীর সীমানিশর্কি এক অর্থে তার দায়িত্ব পালনে সফল হননি ঠিক কি ঘটেছিল তা সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন উৎস থেকে এর বহুতর ব্যাখ্যা পাওয়া যায় ইটন উল্লেখ করে দুটি কৌতূহলোদ্দীপক উৎসের কথা হেরাতের তৈমুর বংশীয় শাহ রুখ মির্জার এক কূটনীতিবিদের রচনায় দাবি করা হয়েছে মির্জা বাংলাজৌনপুর বিবাদে হস্তক্ষেপ করেন এবং শর্কিকে এর ফল ভোগ করতে হবে এই মর্মে সতর্ক করেন১৮ এর ফলে তিনি এই হামলা থেকে বিরত হন আরকানী একটি উৎসের কথাও ইটন বলে যেখানে দাবি করা হয়েছে ইব্রাহিম শর্কি যুদ্ধে পরাজিত হয়ে বার্মার রাজার আগ্রাসনে আরাকী রাজ গণেশের আশ্রয়ে ছিলেন তিনিই গণেশকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করেন এর দাবি এমনটি১৯ আগ্রহী পাঠক বাংলাপিডিয়ায় আবু তাহের লিখিত ভুক্তিতে পাবেন ভিন্নতর একটি আখ্যান এই সংস্করণে ভীত গণেশ নূর কুতুব ই আলমেরই শরণ নেন এবং নিজ ্রকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করিয়ে তাকেই সিংহাসনে অধিষ্ঠিত করেন মধ্যযুর ঐতিহাসিক ফিরিশতা ১৫৬০১৮২০ গণেশকে সুশাসক হিসেবে উল্লেখ করে কিন্তু হালের বাংলাপিডিয়ার রাজা গণেশ শীর্ষক ভুক্তিটি বলছে তিনি মুসলমানদের ওপর অত্যাচার করে বাংলাপিডিয়ায় আরও দাবি করা হয়েছে যে তিনি ্রের হাতে নিহতও হন ২০ধর্মীয় সংঘর্ষ হিসেবে সবচে বিখ্যাত মুসলমানখ্রিস্টান ধর্মযুদ্ধগুলোর পেছনেও পার্থিব কারণ বিদ্যমান কিন্তু শত্রুতার অজুহাত হিসেবে যখনই ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক পরিচয়কে ব্যবহার করা হয় ধরে নিতে হবে যে এই ব্যবহারের কোন না কোন গ্রহণযোগ্যতা ব্যবহারকারী খুঁজে পানঅধিকাংশ ইতিহাসবিদের কাছে গ্রহণযোগ্য তথ্য এটুকুই যে ভারতব্যাপী মুসলিম শাসনের ক্রমপ্রাবল্য বিষয়ে সচেতন গণেশ একটা কৌশল অবলম্বন করেন ্র যদুকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করিয়ে কার্যত নিজের শাসন অব্যাহত রাখেন২১ জালালুদ্দীন নামে ধর্মান্তরিত ্রও সুশাসক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করে জনপ্রিয় আরেকটি ভাষ্যে বলা হয়েছে নূর কুতুব আলম মৃত্যুবরণ করার পর গণেশ তার ্রকে নানান শুদ্ধিক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায় হিন্দু ধর্মে ফেরত আনেন২২ ্র অবশ্য নিজে রাজা হয়ে আবারও ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এর কারণ হিসেবে গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা হতে পারে এটাই যে শুদ্ধিক্রিয়ার পরও সম্ভবত একদিকে রক্ষণশীল হিন্দু সমাজে তার গ্রহণযোগ্যতার ঘাটতি ছিল অন্যদিকে মুসলমানদের ক্রমবর্ধমান প্রভাবকে উপেক্ষা করা তার মতো বুদ্ধিমান ব্যক্তির পক্ষে কঠিন ছিল২৩ আসল ঘটনা যাই হোক এই ঘটনাপ্রবাহ ও তার ভাষ্যগুলোর নির্মাণে ধর্মীয় মর্যাদাবোধের অনুভূতি ও সাম্প্রদায়িক পরিচয় যে রুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল তা বিস্মরিত হওয়া কঠিনধর্মীয় সংঘর্ষ হিসেবে সবচে বিখ্যাত মুসলমানখ্রিস্টান ধর্মযুদ্ধগুলোর পেছনেও পার্থিব কারণ বিদ্যমান কিন্তু শত্রুতার অজুহাত হিসেবে যখনই ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক পরিচয়কে ব্যবহার করা হয় ধরে নিতে হবে যে এই ব্যবহারের কোন না কোন গ্রহণযোগ্যতা ব্যবহারকারী খুঁজে পান ইতিহাসবিদের কর্তব্য সেটাকে চিহ্নিতও করাপ্রাকবৃটিশ সাম্প্রদায়িকতার অস্তিত্বের সম্ভাবনা বিষয়ে সাহিত্য কি সাক্ষ্য দেয়মধ্যযুগে মুসলিমদের বাংলায় আসার পর বাংলা ভাষায় মঙ্গলকাব্যের ধারাটির সূত্রপাত মঙ্গলকাব্যের প্রধানতম বৈশিষ্ট্য হল স্থানীয় এবং অসংস্কৃত লৌকিক দেবদেবীর অধিষ্ঠানের সংগ্রাম তাদের প্রতিপক্ষ ইতিমধ্যে আর্য সভ্যতার আত্মীকৃত দেবদেবীগণ ব্যাখ্যা হিসেবে বলা হয় এটি সম্ভব হয়েছিল মুসলমানদের ক্ষমতায় আরোহনের ফলশ্রুতিতে ব্রাহ্মণ্য সংস্কৃতির বিস্তার বাধাগ্রস্ত হবার ফলে মঙ্গলকাব্য তাই সামাজিক ইতিহাসের সাহিত্যিক সাক্ষ্য হিসেবে রুত্বপূর্ণ এই মঙ্গলকাব্যের বহু লেখকই হিন্দুমুসলমান সম্প্রদায়ের সংঘর্ষ সম্পর্কে একটি সম্পূর্ণ পরিচ্ছেদ রাখতেন২৪ মঙ্গলকাব্য ছাড়াও অন্য সূত্রগুলোতেও এমন নিদর্শন ঢের আছে২৫ অধ্যাপক রাজ্জাকেরই স্নেহধন্য ইতিহাসবিদ মমতাজুর রহমান তরফদারের হোসেন শাহী বেঙ্গল গ্রন্থেই এই বিষয়ে বিশদ আলোচনা আছেক্রমশপড়ুনঅধ্যাপক রাজ্জাক কয়েকটি খটকা পর্ব২অধ্যাপক রাজ্জাক কয়েকটি খটকা পর্ব১ টিকা১৪ অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের এই মতটির সাথে তুলনীয় বদরুদ্দীন উমরএর মতামতও প্রাকবৃটিশ যুগে সাম্প্রদায়িকতা প্রসঙ্গে বদরুদ্দীন উমরের চিত্তাকর্ষক অথচ সংক্ষিপ্ত মূল্যায়নের জন্য দেখুন সাম্প্রদায়িকতা পৃষ্ঠা ১০ আমাদের দেশে হিন্দুমুসলমানের ধর্মীয় এবং সামাজিক চিন্তার ব্যবধান অনেক এই ব্যবধানের ফলে এ দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সামাজিক পর্যায়ে যে পরিমাণ লেনদেন হওয়ার কথা কোন দিনই তা হয়নি সামাজিক লেনদেন এবং বিবেচনাই ব্যক্তি ও সম্প্রদায়ের মধ্যে সৌহার্দ্র্য প্রীতি এবং মিলন সংস্থাপনের অন্যতম পথ সে পথ বিভিন্ন কারণে সন্তোষজনকভাবে উন্মুক্ত না থাকাই অন্যতম কারণ যার জন্য ভারতবর্ষে হিন্দুমুসলমান শত শত বছর পাশাপাশি থাকা সত্ত্বেও তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়নি হিন্দুমুসলমানের এ ব্যবধান জনসাধারণের ক্ষেত্রে গোড়াতেই সক্রিয় বিরোধে পরিণত না হলেও ইংরেজদের আবির্ভাবের পূর্বেই পার্থক্যের একটা অস্বাস্থ্যকার চেতনা উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যেই বর্তমান ছিল এই ভেদজ্ঞানকে তাই রোরি ইংরেজদের সৃষ্ট বলা চলে না সম্ভবত এখানে প্রাকবৃটিশ সাম্প্রদায়িকতার উপস্থিতিকে কিছুটা লঘু করা হয়েছে তবে এটা সর্বক্ষেত্রেইে সত্যি যে সাম্প্রদায়িকতার অনুভূতি বৃটিশ আমলের মতো এবং বিশেষ করে ২০ এর দশকে শুরু হয়ে ৪০ এর দশকের তীব্রতম পর্যায়ে আগে কখনোই ছিল না সাম্প্রদায়িকতা বিষয়ে বদরুদ্দীন উমরের পরবর্তীকালের বিখ্যাত গ্রন্থ সাংস্কৃতিক সাম্প্রদায়িকতাতে তিনি আরেক ধাপ এগিয়ে মন্তব্য করে যে ইংরেজঅধিকৃত ভারতবর্ষে মধ্যবিত্ত স্বার্থ সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণের সংঘর্ষ থেকেই হিন্দুমুসলিম সাম্প্রদায়িক মনোবৃত্তির জন্ম এবং বিকাশ সাংস্কৃতিক সাম্প্রদায়িকতা গ্রন্থভুক্ত সাংস্কৃতিক সাম্প্রদায়িকতার শ্রেণীগত ভূমিকা শীর্ষক প্রবন্ধের প্রথম বাক্য এটি মুক্তধারা ১৯৮০১৫ বিস্তারিত আলোচনার জন্য দেখুন সাম্প্রদায়িকতা পৃষ্ঠা ১৪১৮ বদরুদ্দীন উমর আরও দ্রষ্টব্য একই লেখকের বাঙলাদেশে ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহার১৬ ১৭ দি হিস্টরি অব ইন্ডিয়ানস টোলড বাই ইটস ওউন হিস্টরিয়ানস থেকে ইটন কর্তৃক উদ্ধৃত পৃষ্ঠা ৫৩ ১৮ দি হিস্টরি অব ইন্ডিয়ানস টোলড বাই ইটস ওউন হিস্টরিয়ানস থেকে ইটন কর্তৃক উদ্ধৃত পৃষ্ঠা ৫৪১৯ দানি রচিত হাউজ এবং এ পি ফাইরে রচিত হিস্টরি অব বার্মা থেকে থেকে ইটন কর্তৃক উদ্ধৃত পৃষ্ঠা ৫৪ ২০ দেখুন বাংলাপিডিয়া রাজা গণেশ ভুক্তি কৌতূহলোদ্দীপক এই যে স্পেনের আগ্রাসনের মুখোমুখি হয়ে বিখ্যাত একজন ফরাসী রাজা চতুর্থ হেনরিও প্যারিসের প্রজাদের ক্যাথলিক ধর্মের প্রতি নিষ্ঠার নিকট নতি স্বীকার করে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন ১৫৯৩ সালে এর আগ পর্যন্ত তিনি ছিলেন প্রটেস্ট্যান্ট পক্ষের একজন অন্যতম নেতা২১ যেমন মমতাজুর রহমান তরফদার হোসেন শাহী আমলে বাংলা পৃষ্ঠা ১৭২২ জনপ্রিয় আরেকটি ভাষ্য রিয়াজ উস তিনে বলা হয়েছে নূর কুতুব আলম মৃত্যুবরণ করার পর গণেশ তার ্রকে নানান শুদ্ধিক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায় হিন্দু ধর্মে ফেরত আনেন মধ্যযুর ঐতিহাসিক ফিরিশতা ১৫৬০১৮২০ গণেশকে সুশাসক হিসেবে উল্লেখ করে কিন্তু হালের বাংলাপিডিয়ার রাজা গণেশ শীর্ষক ভুক্তিটি বলছে তিনি মুসলমানদের ওপর অত্যাচার করেআবদুল করিম বাংলার ইতিহাস পৃষ্ঠা ২৭২ রিয়াজ উস তিন থেকে উদ্ধৃত তাহার মিথ্যা ধর্মের অনুশাসন অনুসারে কয়েকটি গাভী তৈয়ার করেন জালালউদ্দীনকে তাহাদের সম্মুখভাগে ঢুকাইয়া পশ্চাৎ দিকে বাহির করিয়া আনেন এবং পরে স্বর্ণগুলি ব্রাহ্মণদিগকে দান করিয়া দেন এইভাবে তাহার ছেলেকে স্বধর্মে নরায় দীক্ষিত করেন জলালউদ্দীন দরবেশ কুতুব আলম কর্তৃক দীক্ষিত হওয়ায় ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করিলেন না এবং বিধর্মীদের প্ররোচনা তাহার অন্তরে কোন প্রভাব বিস্তার করিতে পারে নাই২৩ মধ্যযুর বাংলা ও বাঙালী অনিল চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় পাঠককে জানিয়ে রাখি বইটি নিজেও সাম্প্রদায়িক ও একচোখা দৃষ্টিশক্তির অধিকারী কিন্তু সেই কারণেই মুসলমানদের সাম্প্রদায়িক আচরণের প্রায় সকল উপাদান এই গ্রন্থে একত্রে পাওয়া যাবে অন্যদিকে সমন্বয়বাদী কিংবা সহিষ্ণু যে ধারা গড়ে উঠছে তার উপলদ্ধি এখানে প্রায় মিলবে না ২৪ হোসেন শাহী বেঙ্গল পৃষ্ঠা ২৬৮ মমতাজুর রহমান তরফদার মুসলমান আমলে মঙ্গলকাব্যের উৎপত্তির মনস্তত্ব বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাবনা ভিন্ন বর্তমান লেখক এ প্রসঙ্গে তার সঙ্গে সহমত নন কিন্তু সে ভিন্ন আলোচনা ২৫ চৈতন্য চরিতামৃত মঙ্গলকাব্য ইত্যাদি সমকালীন সাহিত্যে কাজী ও রাজকর্মচারীদের নির্যাতনের ধর্মীয় মাত্রার বিষয়ে বহু উল্লেখ আছেঅলঙ্করণ মোস্তাফিজ কারিগর |
অধ্যাপক রাজ্জাক কয়েকটি খটকা পর্ব৪ সাহিত্য প্রবন্ধনিবন্ধ ০৭ আগস্ট ২০১৬ ১০০২ কাজী আর মোল্লার মধ্যে ফারাকটি তাৎপর্যপূর্ণ কাজী প্রত্যক্ষভাবে রাজক্ষমতাকে প্রতিনিধিত্ব করছেন মোল্লা মুসলমান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নেতা হিসেবে জনগণের একটা সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করছেন সুলতানের লক্ষ্য কর আদায় ক্ষমতার বিকাশ ও স্থায়িত্ব সা তাই প্রয়োজন যথাসম্ভব সাম্প্রদায়িক স্থিতাবস্থা বজায় রাখা এসবের স্বার্থেই কাজী সাধ্যানুযায়ী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসকে অধিকাংশ সময়ে নিরুৎসাহিত করবেন কিন্তু নিজ ধর্মের লোকদের কাছে ধার্মিক সাজারও যথাসম্ভব চেষ্টা করে যাবেনপূর্ব প্রকাশের পরমঙ্গলকাব্য বিষয়ে ইতিহাসবিদদের একটা বড় অংশ মনে করেন এটা মুসলিম শাসন যে ব্রাহ্মণ্যতন্ত্র থেকে সমাজকে মুক্ত করেছিল তার প্রত্যক্ষ ফলাফল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অবশ্য মঙ্গলকাব্যের জন্ম রহস্য সম্পর্কে সম্পূর্ণ বিপরীত মত ষণ করে কিন্তু শ্রী আশুতোষ ভট্টাচার্য আমাদের জানিয়ে যে রবীন্দ্রনাথ মুকুন্দরামের চণ্ডীমঙ্গল এবং ভারতচন্দ্রের অন্নদামঙ্গল ব্যতীত আর কোন মঙ্গলকাব্যেরই মূলগ্রন্থ পাঠ করিয়াছিলেন বলিয়া মনে হয় না ২৬ এবং তার এই ধারণা অর্জিত হয়েছিল দীনেশচন্দ্র সেনের বঙ্গভাষা ও সাহিত্য গ্রন্থ থেকে এই গ্রন্থখানি হইতেই তিনি প্রধানতঃ মঙ্গলকাব্যের বিভিন্ন বিভাগ এবং বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানিতে পারিয়াছিলেন বলিয়া মনে হয় তখন পর্যন্তও ভারতচন্দ্রের অন্নদামঙ্গল ব্যতীত অন্য কোন মঙ্গলকাব্যের গ্রন্থ মুদ্রিত করিয়া প্রকাশিত হয় নাই ২৭ মঙ্গলকাব্য বিষয়ক গবেষণার একেবারে প্রাথমিক স্তরের সময়টিতে এর ঐতিহাসিক ও সামাজিক তাৎপর্য নির্ধারণ তাই আকাঙ্ক্ষা করাটাও সমীচীন হবে না রবীন্দ্রনাথ ধর্মমঙ্গল বা মনসামঙ্গল কাব্য পাঠ করিয়াছিলেন তাহার কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না সুতরাং মঙ্গলকাব্য সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের অধ্যয়ন আংশিক ছিল সে যুগে মুদ্রিত মঙ্গলকাব্যের অভাব ইহার অন্যতম প্রধান কারণ হইয়া থাকিবে ২৮ মঙ্গলকাব্য সমাজের নিচুকোটির মানুষের সাহিত্য এটা স্মরণ রেখেও রবীন্দ্রনাথ প্রধানত মনে করেছিলেন যে তখন সমাজের মধ্যে যে উপদ্রবউৎপীড়ন আকস্মিক উৎপাত যে অনিশ্চয়তা ছিল মঙ্গলকাব্য তাহাকেই দেব মর্যাদা দিয়া সমস্ত দুঃখঅবমাননাকে ভীষণ দেবতার অনিয়ন্ত্রিত ইচ্ছার সহিত সংযুক্ত করিয়া কথঞ্চিৎ সান্ত্বনা লাভ করিতেছিল এবং দুঃখক্লেশকে ভাঙাইয়া ভক্তির স্বর্ণমুদ্রা গড়িতেছিল ২৯ এভাবে রবীন্দ্রনাথের কাছে মঙ্গলকাব্য বাংলার একটা ঐতিহাসিক পর্বে নিয়তির শিকার মানুষের সান্ত্বনা কাব্যমাত্রযা হোক অন্য ইতিহাসবিদরা বরং মনে করেন মঙ্গলকাব্য নিম্ন শ্রেণির মানুষের শক্তি ও সংস্কৃতির একটা বিষ্ফোরণ যেটা সম্ভব হয়েছিল তাদের ওপর চেপে বসে থাকা ব্রাহ্মণ্যতন্ত্রের অবসানের ফলে মুসলমান শাসনের ফলেই এটা সম্ভব হয়েছিল মমতাজুর রহমান যেমন বলেন মঙ্গলকাব্যের উৎস সম্পর্কেহিন্দু সমাজের উঁচু ও নিচু শ্রেণির মধ্যে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় যার পরিণতিস্বরূপ ব্রাহ্মণদের সামাজিক বিচ্ছিন্নতা নিচু শ্রেণির মানুষকে বিকাশমান বাংলা ভাষায় তাদরে ধারণা ও বিশ্বাসগুলি অকপটে প্রকাশের কিছুটা স্বাধীনতা দিয়েছিল বলে মনে হয় সেনরা ছিলেন ব্রাহ্মণ্যবাদ ঘেঁষা এবং সংস্কৃত সংস্কৃতির সমর্থক এখন তাদের রাজনৈতিক ক্ষমতা বিলুপ্ত হবার পর অনার্যদের দেবদেবী ও ধারণালির উপস্থিতি সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অনুভব করা যাচ্ছিল এভাবে পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতাব্দীতে মনসা চণ্ডী গোরখনাথ এবং সত্যপীরকে নিয়ে বেশকিছু কাব্য রচিত হয়েছিল ৩০মঙ্গলকাব্যের সামাজিক পাটাতনটি সম্ভব হয়েছিল ব্রাহ্মণ্যতন্ত্রের দুর্বল হয়ে পড়া এবং লৌকিক ও অবৈদিক দেবদেবীর অধিষ্ঠিত হওয়ার সামাজিক শর্ত সৃষ্টির ফলে এই কারণেই সাহিত্যিক মূল্যের পাশাপাশি মঙ্গলকাব্যের সামাজিক ও ঐতিহাসিক মূল্যও বিশাল শাসক মুসলমান ধর্মীয় দ্বন্দ্বে লিপ্ত ব্রাহ্মণ্যতন্ত্র এবং লৌকিক দেবদেবীর পূজারী এই তিনপক্ষের সম্পর্কের বেশ খানিকটা মূল্যায়ন তাই মঙ্গলকাব্য থেকেই হতে পারেবাংলায় সুলতানি আমলে লিখিত বিজয়গুপ্তের আনুমানিক ১৪৯৪ সালের দিকে রচনার কাজ শুরু করেন মনসামঙ্গলের বর্ণনায় মুসলমান কাজী হিন্দুর আচারাদি পালনে কোনো আপত্তি করেননি মোল্লা কিন্তু সর্পদেবীর পূজানুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়ায় কাজীকে ভৎর্সনা করেন৩১কাজী আর মোল্লার মধ্যে ফারাকটি তাৎপর্যপূর্ণ কাজী প্রত্যক্ষভাবে রাজক্ষমতাকে প্রতিনিধিত্ব করছেন মোল্লা মুসলমান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নেতা হিসেবে জনগণের একটা সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করছেন সুলতানের লক্ষ্য কর আদায় ক্ষমতার বিকাশ ও স্থায়িত্ব সা তাই প্রয়োজন যথাসম্ভব সাম্প্রদায়িক স্থিতাবস্থা বজায় রাখা এসবের স্বার্থেই কাজী সাধ্যানুযায়ী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসকে অধিকাংশ সময়ে নিরুৎসাহিত করবেন কিন্তু নিজ ধর্মের লোকদের কাছে ধার্মিক সাজারও যথাসম্ভব চেষ্টা করে যাবেন বাংলার মতো অঞ্চলে সুলতানের অবস্থানের এই হলো জটিলতা একদিকে সংখ্যারু ভিন্ন ধর্মাবলম্বী প্রজাকে ক্ষিপ্ত করতে সাহস না করা অন্যদিকে তাঁর শেষ ভরসা ও ক্ষমতার ভিত্তি নিজ ধর্মাবলম্বীদের সমর্থন হারানোর আশঙ্কাএই জটিলতা উত্তর ভারতেও নিশ্চয়ই আরেকভাবে ছিল সেখানেও সংখ্যারু জনগোষ্ঠীর সাথে আগে কিংবা পরে একটা সমন্বয়ের ধারায় রাজনৈতিকভাবেই শাসকদের আসতে হয়েছে সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সমন্বয়ের কাজটি অবশ্য গোড়া থেকেই শুরু হয়েছিল তার বহু নিদর্শন ইতিহাসে পাওয়া যাবে সমন্বয় বিরোধী ধারাও সর্বদাই শক্তিশালী ছিল সেটাও আমরা দেখিয়েছি কিন্তু রাজনীতিতে কোন ধারা কখন প্রাধান্য করতে পারছে সেটা খুব রুত্বপূর্ণ মুসলমান ভারতে অভিবাসীদের যে বিল স্রোত সুলতানী ও মোঘল আমলে আমলাতন্ত্র সেনাবাহিনী ও অভিজাত অংশটি গঠন করতো ও পরিষ্ট করতো সেটাই মিলনের প্রক্রিয়াটিকে কিছুটা হলেও ধীরগতির করে দিয়েছিল কিন্তু স্বাধীন সুলতানী বাংলায় উত্তর ভারতের সাথে বিচ্ছিন্নতা ফলে অভিবাসী মুসলমানের স্রোতে মন্দগতি ৩২ স্থানীয় জনসাধারণের সাথে শাসকদের সমন্বয় স্থানীয় সাহিত্যে তুলনামূলক বেশি উৎসাহ প্রদান ও স্থানীকিকরণের কাজটি করেএই বিচ্ছিন্নতার ওপর বিশেষ রুত্ব আরোপ করে মমতাজুর রহমান তরফদারের মতো ঐতিহাসিক তার বিবেচনায় উত্তর ভারত ও মধ্য এশিয়া থেকে বিচ্ছিন্নতার ফলে বাংলা সাংস্কৃতিকভাবেও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এই বিচ্ছিন্নতাই মনে হয় বাংলার স্থানীয় সংস্কৃতির বিকাশ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করেছিল ৩৩ সেই অর্থে সুলতানী বাংলায় সমন্বয়ের কাজটি বাকি ভারতের চেয়ে প্রবলতর থাকার কথা অন্যদিকে বাংলা যখন আবারও দিল্লীর অধীনস্ত হলো ততদিনে উত্তর ভারতেও মুসলমানদের শক্তিশালী অবস্থান সংহত রাষ্ট্রযন্ত্র বিকাশের সূত্রে বাকি ভারতেও এই সমন্বয়ের কাজটি যথেষ্ট অগ্রসর হয়ে গিয়েছে বলে মোঘলদখল পরবর্তী বাংলাতে সমন্বয়ের ধারা অব্যাহতই থেকেছে যদিও বাংলা সাহিত্যে স্থানীয় মুসলমানদের অংশগ্রহণ ও চর্চা যথেষ্টই বাধাগ্রস্ত হয়েছে সাহিত্যে বিচ্ছিন্নতার এই রুত্বপূর্ণ তাৎপর্যটি উল্লেখ করে মমতাজুর রহমান তরফদার আরও বলেনবাংলা ভাষাভাষী একটি মুসলমান মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিবর্তনের প্রথম পর্যায় আমরা প্রাকমোঘল বাংলাতেই পাই ষোড়শ ও সপ্তদশ শতাব্দীতে জীবিত সৈয়দ সুলতান শেখ ফয়জুল্লাহ দৌলত কাজী এবং আলাওল প্রধানত এ বিবর্তনেরই ফসল মোগল শাসন তাদেরকে মুসলিম সংস্কৃতির অন্ধকার অজ্ঞাত অবস্থার দিকে ঠেলে দিয়েছিল যার ফলে তাদেরকে আধুনিক গবেষকদের খুঁজে বের করতে হয়েছে ৩৪আবার মোগল সাম্রাজ্যেও একটা প্রকাশ্য সম্প্রীতির ভাব থাকলেও পারিবারিক দ্বন্দ্বে মোঘল সাম্রাজ্যের ভিত্তিটা নড়বড়ে হওয়ায় আওরঙ্গজেবের আমলে ধর্মীয় চিহ্নগুলোই যে প্রধান হয়ে উঠল তার কারণ তার অসাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিটা মোঘল সাম্রাজ্যের একটা নির্দিষ্ট ধরনের ওপরই নির্ভরশীল ছিল সেটি বিপন্ন হবার পর সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিটাও নড়বড়ে হয়ে পড়লোভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা কাজী কিংবা সুলতানের যতই থাকুক না কেন রাজনীতি সর্বদা ক্ষমতার বাঁধা নিয়মে ভারসাম্য রক্ষা করে চলে না দাঙ্গাটা হঠাৎ হঠাৎই লাগত বিল সংখ্যারু হলেও রাজক্ষমতারহিত হিন্দু জনগোষ্ঠীই এই দাঙ্গার শিকার হতো এবং তাদের জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতো এই সময়টিতে কিন্তু রাষ্ট্রক্ষমতার প্রতিনিধি কাজী তার সম্প্রদায়েরই পক্ষে অবস্থান নিতেন কবি বিজয়গুপ্তের বর্ণনায়যাহার মস্তকে দেখে তুলসীর পাতহাতে গলায় বাঁধি লয় কাজির সাক্ষাতকক্ষতলে মাথা থুইয়া বজ্র মারে কিলপাথর প্রমাণ যেন ঝড়ে পড়ে শিলপরের তে পরের কিবা লাগে ব্যথা ৩৫এই পর তো শুধু ব্যক্তিগতভাবেই পর না তুলসীধারণকারী সম্প্রদায়গত পরও বটে কিন্তু এরপরও রাজক্ষমতা দাঙ্গা এড়িয়ে চলতে চাইত চৈতন্যদেবের প্রতি বিদ্বিষ্ট কাজীও মহাসঙ্কীর্তন রুদ্ধ করতে এসে শেষ পর্যন্ত তার প্রেমভাবে মুগ্ধ হয়ে তাকে আলিঙ্গন করেন ৩৬ এমন বর্ণনাও পাওয়া যাবে চৈতন্যের জীবনীতে আবার মোগল সাম্রাজ্যেও একটা প্রকাশ্য সম্প্রীতির ভাব থাকলেও পারিবারিক দ্বন্দ্বে মোঘল সাম্রাজ্রের ভিত্তিটা নড়বড়ে হওয়ায় আওরঙ্গজেবের আমলে ধর্মীয় চিহ্নগুলোই যে প্রধান হয়ে উঠল তার কারণ তার অসাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিটা মোঘল সাম্রাজ্যের একটা নির্দিষ্ট ধরনের ওপরই নির্ভরশীল ছিল সেটি বিপন্ন হবার পর সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিটাও নড়বড়ে হয়ে পড়লোঅধিকাংশ ইতিহাসবিদের মোটামুটি গ্রহণযোগ্য মত হলো সুলতানী আমলে সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি সাধারণভাবে শান্তিপূর্ণই ছিল এমনকি হিন্দুমুসলিম মিলন পরস্পরের সংস্কৃতি সম্পর্কে শ্রদ্ধা ও উপভোর অজস্র দৃষ্টান্তও ইতিহাসে পাওয়া যায় মমতাজুর রহমান তরফদার ভাষায়যদিও সতর্কতার সঙ্গে এসব গ্রন্থ পড়লে মনে হয় যে কিছু কিছু মুসলমান কর্মকর্তার ব্যক্তিগত খেয়াল ও ধর্মান্ধতা এসব সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের জন্য দায়ী ছিল আবার সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক হাঙ্গামার ঘটনাও ঘটেছিল উপরের একটি পরিচ্ছেদে আলোচিত মুসলমান ও ব্রাহ্মণদের মধ্যে বিরোধগুলির কিছু সামাজিকরাজনৈতিক কারণ ছিল এগুলি সম্ভবত নিম্নবর্ণের হিন্ের সঙ্গে মুসলমানদের সামাজিক সম্পর্ককে প্রভাবিত করেনি তাছাড়া সমকালীন দেশীয় সাহিত্যে আমরা যেসব ধর্মীয় দাঙ্গার ঘটনার বিবরণ দেখতে পাই সেলিকে বড় করে দেখার কোন কারণ নেই কারণ এগুলি সমাজতাত্ত্বিক বিবর্তনের সমগ্র ধারাকে প্রভাবিত করেছিল বলে মনে হয় না ৩৭ অর্থাৎ ব্রিটিশপূর্ব আমলে সাম্প্রদায়িক সংঘাতের তুলনায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিই প্রধান প্রবণতা ছিল এই মতটি একভাবে মেনে নেওয়া যায় কিন্তু জিনিসটা ব্রিটিশরা আসার আগে এ দেশে ছিল না এই মতটি মেনে নেওয়ার মতো না ক্রমশপড়ুনঅধ্যাপক রাজ্জাক কয়েকটি খটকা পর্ব৩অধ্যাপক রাজ্জাক কয়েকটি খটকা পর্ব২অধ্যাপক রাজ্জাক কয়েকটি খটকা পর্ব১ টিকা২৬ শ্রী আশুতোষ ভট্টাচার্য বাংলা মঙ্গলকাব্যের ইতিহাস পৃষ্ঠা ১৩৫২৭ শ্রী আশুতোষ ভট্টাচার্য বাংলা মঙ্গলকাব্যের ইতিহাস পৃষ্ঠা ১৩৬২৮ শ্রী আশুতোষ ভট্টাচার্য বাংলা মঙ্গলকাব্যের ইতিহাস পৃষ্ঠা ১৩৬২৯ রবীন্দ্রনাথ বঙ্গভাষা ও সাহিত্য৩০ হোসেন শাহী আমলে বাংলা অনুবাদ মোকাদ্দেসুর রহমান বাংলা একাডেমি পৃষ্ঠা ২৩৩১ হোসেন শাহী বেঙ্গল মমতাজুর রহমান তরফদার৩২ কিন্তু ১৩৪২ থেকে ১৫৭৪ এর মাঝের সময়টুকুতে পরপর কতগুলো স্বাধীন মুসলিম রাজবংশের অধীনস্ত বাংলায় বাংলা উত্তর ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং ওই স্থানগুলো থেকে অভিবাসন বিল হারে হ্রাস পায় রিচার্ড এম ইটন হু আর দি বেঙ্গল মুসলিমস এসেইস অন ইসলাম অ্যান্ড ইনডিয়ান হিস্ট্রি পৃষ্ঠা ২৪৯ চকিত অনুবাদ বর্তমান লেখকের৩৩ হোসেন শাহী আমলে বাংলা অনুবাদ মোকাদ্দেসুর রহমান বাংলা একাডেমি পৃষ্ঠা ২০৩৪ হোসেন শাহী আমলে বাংলা অনুবাদ মোকাদ্দেসুর রহমান বাংলা একাডেমি পৃষ্ঠা ২১৩৫ বিজয়গুপ্তের মনসামঙ্গলের এই অংশটি উদ্ধৃত করা হয়েছে অনিল চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়এর মধ্যযুগে বাংলা ও বাঙালী গ্রন্থ থেকে কে পি বাগচী এন্ড কোম্পানি দ্বিতীয় মুদ্রণ ১৯৯৯ পৃষ্ঠা ৫৩ মনসা পূজায় নিযুক্ত রাখাল বালকদের উপর অত্যাচারের বর্ণনায় একই পৃষ্ঠায় আরেকটি উদ্ধৃতিহারামজাদ হিন্দুর এত বড় প্রাণআমার গ্রামেতে বেটা করে হিন্দুয়ানগোটে গোটে ধরিব গিয়া যতেক ছেমরাএড়া রুটি খাওয়াইয়া করিব জাত মারা৩৬ হোসেনশাহী বেঙ্গল জীবনচর্যা ২৬৮৩৭ হোসেনশাহী বেঙ্গল পৃষ্ঠা ২৬৮ |
অধ্যাপক রাজ্জাক কয়েকটি খটকা পর্ব৫ সাহিত্য প্রবন্ধনিবন্ধ ১৪ আগস্ট ২০১৬ ১৪০৬ তারপরও সাম্প্রদায়িকতা প্রশ্নে অধ্যাপক রাজ্জাকের বক্তব্যটির সারকথাটুকু গ্রহণ না করে উপায় থাকে না কেননা আমাদের চেনা সাম্প্রদায়িক রাজনীতির জন্ম ও বিকাশ ঔপনিবেশিক শাসকদের আশ্রয়ে ও মদদে হিন্দু মধ্যবিত্তের বিকাশের আদিপর্বে আধুনিক সাম্প্রদায়িকতার সূচনা ও তারই প্রতিক্রিয়াস্বরূপ পরবর্তী সময়ে বিকশিত মুসলমান মধ্যবিত্তের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তার রমরমাপূর্ব প্রকাশের পরসুলতানী আমল পরবর্তী মোগল আমলেও রাষ্ট্রক্ষমতা ও সম্প্রদায়ের প্রতি পক্ষপাত প্রদর্শন করা নাকরার এই প্রচেষ্টার আভাস পাওয়া যাবে ১৬৪০ সালের একটি বিচারের ঘটনার বর্ণনায় যেখানে আধুনিক মেদেনীর জেলায় একজন বাঙালি মুসলিমের বিচার করছিলেন আরেকজন বাঙালি মুসলিম কাজী অপরাধ ছিল হিন্দুগ্রামে এক জোড়া ময়ূর হত্যা ও ভক্ষণ কাজী অভিযুক্তকে চাবকানোর হুকুম দিয়ে রায়ের ব্যাখ্যায় বলেন ৬৬ বছর আগে বঙ্গবিজয়ের সময় সম্রাট আকবর কথা দিয়েছিলেন যে বাঙালিদের তাদের প্রথা আর আইন অনুসরণ করতে দেওয়া হবে ফলে হিন্দুগ্রামে প্রাণী হত্যা করে মুসলমান প্রজাটি আইন ভঙ্গ করেছে৩৮আমাদের তাই স্মরণ রাখতে হবে সাম্প্রদায়িকতার পরিস্থিতি মোঘল আমলে তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল যে ছিল সেটা ছিল তাদের শাসনের তুলনামূলক স্থিতিশীলতারই প্রতিফলন মোঘল শাসনের একটা বড় বৈশিষ্ট্য হলো অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই রাজবংশটি শুধু বহিরাগত যোদ্ধা ও আমলাদের সেবার ওপর নির্ভরশীল ছিল না বরঞ্চ স্থানীয় বহু প্রথাকে আয়ত্ত করে তারা ভারতীয় চেহারা গ্রহণ করেছিল যেটা এর আগের দিল্লীর সুলতানী আমলের প্রায় সোয়া তিনশ বছরে ১২০৬১৫২৬ প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল না এই স্থিতি ও সংহতি যখন বিপর্যস্ত হলো জ্ঞানী বুদ্ধিমান ও সমন্বয়বাদী দারার বদলে ক্ষমতায় এলেন জ্ঞানী বুদ্ধিমান প্রতিশোধপরায়ন সাহসী এবং সাম্প্রদায়িক ভাবধারায় আচ্ছন্ন আওরঙ্গজেব ভাতৃঘাতী যুদ্ধে তার ক্ষমতারোহন খুব সম্ভবত মোঘল সাম্রাজ্যের অন্তর্গত ঐক্য বিনষ্টির প্রতীক জিজিয় কর আরোপ এবং নানাবিধ অপমানকর নিয়ম তিনি চাপিয়ে দেন ভিন্নধর্মের মানুষদের ওপর নতুন মন্দির নির্মাণ বা রনোলোর সংস্কার করার অনুমতি না দেয়া নানান অজুহাতে বেশ কিছু মন্দির ধ্বংস রাজপুত ছাড়া অন্য ভারতীয় হিন্দু জনগোষ্ঠীর ওপর পালকি হাতি বা ঘোড়ায় চড়া ও অস্ত্র বহন নিষিদ্ধ করার আইন জারিসহ যে অজস্র সাম্প্রদায়িক পীড়নের মনোবৃত্তি তিনি তার শাসনকালে রেখে তার একটা বাস্তব ভিত্তিও ভারতবর্ষীয় রাষ্ট্রকাঠামোর মাঝেই উপস্থিত ছিলপাঁচপ্রায়শই আমরা দেখি বুদ্ধিমান আশু সমস্যার সমাধানে চেষ্টা করেন কিন্তু প্রজ্ঞাবান সমস্যার প্রকৃতি বোঝার ওপর রুত্ব দেন হিন্দুমুসলিম সাম্প্রদায়িক বিভাজনের এই যে সমস্যার বহু রকম সমাধান শুরু থেকেই চেষ্টা করা হয়েছে বিশেষ করে ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ ও তার প্রেক্ষিতে বঙ্গভঙ্গ রদের আন্দোলনের সুদূরপ্রসারী ফল নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলার সমাজের এই গভীর বিভাজন নিয়ে ভাবিত হন অন্যদের মতো তিনি কোন ধামাচাপা দেয়ার আপোষরফায় এর স্থায়ী সমাধান দেখেননি বঙ্গবিভার পরপরই নাড়া খাওয়া মন নিয়ে সম্ভবত প্রথমবারের মতো সাম্প্রদায়িকতার সমস্যার গভীরতম খাদে আলো ফেলেন হিন্দুমুসলিম সমস্যা যে শুধুই ইংরেজের কারসাজি অন্যদের এই মতটি তিনি মোটেই মেনে নেননিএই তো দেখিতেছি যুদ্ধের আরম্ভে আমরা বিপক্ষকে ভুল বুঝিয়াছিলাম তার পরে আত্মপক্ষকে যে ঠিক বুঝি নাই সে কথাও স্বীকার করিতে হইবেআজ আমরা সকলেই এই কথা বলিয়া আক্ষেপ করিতেছি যে ইংরেজ মুসলমানদিগকে গোপনে হিন্দুর বিরুদ্ধে উত্তেজিত করিয়া দিতেছে কথাটা যদি সত্যই হয় তবে ইংরেজের বিরুদ্ধে রাগ করিব কেন দেশের মধ্যে যতগুলি সুযোগ আছে ইংরেজ তাহা নিজের দিকে টানিবে না ইংরেজকে আমরা এতবড়ো নির্বোধ বলিয়া নিশ্চিন্ত হইয়া থাকিব এমন কী কারণ ঘটিয়াছেমুসলমানকে যে হিন্দুর বিরুদ্ধে লাগানো যাইতে পারে এই তথ্যটাই ভাবিয়া দেখিবার বিষয় কে লাগাইল সেটা তত রুতর বিষয় নয় শনি তো ছিদ্র না পাইলে প্রবেশ করিতে পারে না অতএব শনির চেয়ে ছিদ্র সম্বন্ধেই সাবধান হইতে হইবে আমাদের মধ্যে যেখানে পাপ আছে শক্রু সেখানে জোর করিবেই আজ যদি না করে তো কাল করিবে এক শত্রু যদি না করে তো অন্য শত্রু করিবে অতএব শত্রুকে দোষ না দিয়া পাপকেই ধিক্কার দিতে হইবেহিন্দুমুসলমানের সম্বন্ধ লইয়া আমাদের দেশের একটা পাপ আছে এ পাপ অনেক দিন হইতে চলিয়া আসিতেছে ইহার যা ফল তাহা না ভোগ করিয়া আমাদের কোনোমতেই নিষ্কৃতি নাই৩৯ রবীন্দ্র সাহিত্যে এরপর বহুবার এই পৃথকতাকে মর্যাদা দেয়ার কথা এসেছে কথা এসেছে তার স্বাতন্ত্রকে স্বীকৃতি দেয়ার এবং সামাজিক জীবনে মুসলমানকে যে অপাঙতেয় করে রাখা হয় তার উপলদ্ধি কিন্তু ভারতীয় রাজনীতি বিপরীত পথেই অগ্রসর হয়েছিল কংগ্রেস তার সংখ্যারুত্বের শক্তিতে সমাজে ভিত্তি ড়ে থাকা অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক এবং সামাজিক জীবনের বৈষম্যকে লুকিয়ে রেখে নামমাত্র অসাম্প্রদায়িকতার মুখোশের আড়ালে সঙ্কটের সমাধান প্রস্তাব করে প্রতিক্রিয়ায় মুসলিম লীগ খোলাখুলি দ্বিজাতিতত্ত্বের সাম্প্রদায়িক সমাধানের পথ গ্রহণ করে সাম্প্রদায়িক বিভাজন প্রশ্নে রবীন্দ্রনাথের তিক্ত অথচ গভীর অন্তদৃর্ষ্টি সম্পন্ন এই মূল্যায়নের প্রায় হুবহু প্রতিধ্বনি পাওয়া যাবে কয়েক দশক পরে পাকিস্তান রাষ্ট্রে অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের নিজের জীবনেরই একটি অতুলনীয় কাহিনীতে গল্পটি একই সাথে বৈষম্য গোপন করার একই ধরনের ধামাচাপা দেয়ার রাজনীতির বিপদ নিয়েও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হিসেবে তিনি কতটা বড় মাপের ছিলেন কোন সংবেদন তার বুদ্ধিবৃত্তিকে জাগ্রত রাখতো সেটা সরদার ফজলুল করিমকে বলা তার এই গল্পটাতে বোঝা যাবে পাকিস্তানের উৎসাহী সমর্থক হিসেবে যে রাজ্জাককে চিত্রিত করা হয় সেই আদর্শ থেকে কখনোই সরে না এসেই কি করে একই রাজ্জাকই অনেকের খেই চিহ্নিত৪০ হন বাংলাদেশেরও স্বাধিকার আন্দোলনের পূর্বসূরী হিসেবে তারও বেশ খানিকটা আভাস পূর্ব পাকিস্তানের গর্ভনরের সাথে তার মোলাকাতের এই দৃষ্টান্তটাতে মিলবেঅধ্যাপক রাজ্জাক রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হিসেবে কত উঁচু মাপের ছিলেন তার আভাস বেশ খানিকটা পাওয়া যাবে আইয়ুব খানের সামরিক শাসনামলে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর জাকির হোসেনের সঙ্গে তার আলাপচারিতায় তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক আবদুর রাজ্জাক পূর্ব পাকিস্তানের পরিকল্পনা বোর্ডের সদস্য এই দায়িত্বের সুবাদেই ৫৯ বা ৬০ সালের কোন এক সময়ে জাকির হোসেনের সাথে তার সাক্ষাৎ হয় দীর্ঘ এই মোলাকাতের একদম শেষ পর্যায়ে আব্দুর রাজ্জাক অযাচিতভাবেই পাকিস্তান রাষ্ট্রের একটা মৌলিক সঙ্কট উত্থাপন করেনজাকির হোসেনকে তিনি যা বলেন সংক্ষেপে তা এই আব্দুর রাজ্জাক যখন ১৯৩৬ সালে শিক্ষকতা শুরু করেন তখন আরবিফার্সি ছাড়া ২০০২৫০ জন শিক্ষকের মাঝে ৩৪ জন মুসলমান শিক্ষক রাজ্জাক সাহেবের মতে এরা সকলেই তার চেয়ে যোগ্যতর হলেও এবং তখনও পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে অজস্র জিনিস শিখলেও একটা বিষয়ে রাজ্জাক সাহেব তাদের সাথে ভিন্নমত ষণ করতেন এবং তাঁর মতে তিনিই সঠিক ছিলেন তিনি মনে করতেন দেশের মধ্যে হিন্দুমুসলিম হিসেবে একটা সমস্যা আছে এই সমস্যাটার মুখোমুখি হতে হবে এবং সেটা সমাধান করতে হবে তার সহকর্মীরা সকলেই মনে করতেন আসলে সমস্যাটা নাই এটা তৃতীয় পক্ষের ষড়যন্ত্রের ফলে সৃষ্ট একটা বিভ্রম রাজ্জাক মনে করেন এই সমস্যাকে স্বীকার করতে রাজি না হওয়ার কারণেই ৪৭ সংঘটিত হয়েছে কংগ্রেস এই সমস্যা স্বীকার করতে বা হিন্ের সংখ্যারু অংশ সত্যের মুখোমুখি হতে রাজি না হলে দেশভাগ অনিবার্য হতো না ১৯৪৭ সালের পরও কিছু মানুষ বোঝার চেষ্টা করছেন পূর্ব পাকিস্তান আর পশ্চিম পাকিস্তানের বৈরিতার একটি সমস্যা দেশে আছে কথাটা উল্লেখ করলেই এই মানুষগুলোকে বলা হয় তারা ভারত বা এমন কোন তৃতীয় পক্ষের ঘুটি এটা ৪৭এর আগেকার রনো দিনগুলোতে যে যুক্তিলো শোনা যেতো তার প্রায় হুবহু প্রতিলিপি এবং এই মনোভঙ্গির কারণে ১৯৪৭ সালে যে ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল খুব সম্ভবত অদূর ভবিষ্যতে সেই পরিস্থিতির আবারো মুখোমুখি হতে হবে৪১মঙ্গলকাব্যে সাম্প্রদায়িকতার বিবরণ ছিল এটা যেমন সত্যি মুসলমানরাও মঙ্গলকাব্য রচনা করছেন দুই ধর্মের মানুষই পরস্পরের উৎসবগুলো উপভোগ করছেন এমন বাস্তবতাও নির্মিত হয় দর্শন ধর্মতত্ত্ব ও সাংস্কৃতিক জীবনে তার ছাপসমৃদ্ধ অজস্র কীর্তি আজ পর্যন্ত বহমানছয়তারপরও সাম্প্রদায়িকতা প্রশ্নে অধ্যাপক রাজ্জাকের বক্তব্যটির সারকথাটুকু গ্রহণ না করে উপায় থাকে না কেননা আমাদের চেনা সাম্প্রদায়িক রাজনীতির জন্ম ও বিকাশ ঔপনিবেশিক শাসকদের আশ্রয়ে ও মদদে হিন্দু মধ্যবিত্তের বিকাশের আদিপর্বে আধুনিক সাম্প্রদায়িকতার সূচনা ও তারই প্রতিক্রিয়াস্বরূপ পরবর্তী সময়ে বিকশিত মুসলমান মধ্যবিত্তের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তার রমরমা বিশেষ করে ব্রিটিশ আমলের শেষ পর্বটি এক রকম সাম্প্রদায়িক সংঘাতেরই ইতিহাসে পরিণত হয় সাম্প্রদায়িকতার রাজনৈতিক ব্যবহার পরিণত হয় নৈমিত্তিক চর্চায়ফলে সাম্প্রদায়িকতার অস্তিত্বের ওপর গূরুত্ব আরোপই বর্তমান পর্যালোচনার লক্ষ্য তার প্রাবল্যের মাত্রা নির্ণয় এর লক্ষ্য নয় আর সব সামাজিক সম্পর্কের মতো সাম্প্রদায়িকতাও কতগুলো প্রেক্ষিত ছাড়া জন্ম নিতে সক্ষম না কতগুলো বাস্তবতা ছাড়া তার প্রবল হয়ে ওঠা হয়ে ওঠে না কতগুলো নির্দিষ্ট বাস্তবতায় তার প্রশমনও ঘটে ইতিহাসের কাজ ধামাচাপা দিয়ে অতীতের রক্তক্ষরণকে আড়াল করা নয় ইতিহাসবিদ বরং ঘৃণার জন্মের কার্যকারণ খুঁজবেন ঘৃণার শক্তির ক্ষমতাশালী হয়ে ওঠা বা ক্ষমতা দখলের প্রেক্ষিতটা আজকের পাঠকের সামনে তুলে ধরবেনব্রিটিশপূর্ব ভারতের পাঁচশত বছরে তাই সাম্প্রদায়িকতার বিচ্ছেদবীজ ছিল না সাম্প্রদায়িক যুদ্ধ বা দৈনন্দিন জীবনে তা ছিল না এটা বলা মুশকিল অন্যদিকে একই সময়ে বিপরীত প্রক্রিয়াটিও শক্তিশালীভাবেই জারি ছিল ওই একই কালপর্বে ভারতের সকল অঞ্চলে স্থানীয় মুসলমান জনগোষ্ঠীও তো গড়ে ওঠে মঙ্গলকাব্যে সাম্প্রদায়িকতার বিবরণ ছিল এটা যেমন সত্যি মুসলমানরাও মঙ্গলকাব্য রচনা করছেন দুই ধর্মের মানুষই পরস্পরের উৎসবগুলো উপভোগ করছেন এমন বাস্তবতাও নির্মিত হয় দর্শন ধর্মতত্ত্ব ও সাংস্কৃতিক জীবনে তার ছাপসমৃদ্ধ অজস্র কীর্তি আজ পর্যন্ত বহমান বিভাজন তাই একমাত্র সত্যি ছিল না বিভাজনঅতিক্রমী শক্তিলোও ক্রমশ মূর্ত হয়েছে উপমহাদেশের ঐতিহ্যে যদিও তা ভিন্ন আলোচনার বিষয় শেষ করা যেতে পারে এই গৌণ তথ্যটি দিয়ে যে যে সিয়ার উল মোতাখখিরীনএর প্রসঙ্গে এই দীর্ঘ আলাপের সূত্রপাত সেই গ্রন্থটিতেও সাম্প্রদায়িক দৃষ্টান্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কখনো তা জরাটে একই উঠানে হিন্দু প্রতিবেশীর ি পালন ও মুসলমান প্রতিবেশীর গরু জবাইকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী দাঙ্গা কখনো তা কাশ্মীরে উগ্রপন্থী প্রচারকের উস্কানিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা কখনো তা হিন্দু সমাজের ওপর জিজিয়া কর আরোপ কিংবা রদ অশ্বারোহন বা শাকের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ কখনো তা রদের ইতিহাসচ্ছলে এসেছে কোন সন্দেহ নেই সামগ্রিক ঘটনাপ্রবাহে এটি অত্যন্ত গৌণ ও তুচ্ছ অংশমাত্র বরং আওরঙ্গজেবের মৃত্যু থেকে সিয়ার লেখক গোলাম হোসায়ন তাবতাবায়ীর সমকাল পর্যন্ত যে কালপর্ব এই গ্রন্থটির বিষয় ততদিনে সমাজের ভিন্ন একটি পরিগঠন সম্ভব হয়েছে যা প্রধানত ধর্মীয় চরিত্রের দিক থেকে সমন্বয়বাদী তারপরও বিভাজন যে অটুট ছিল তাতে কোন সন্দেহ থাকবে না গ্রন্থটি পাঠ করা যে কোন সতর্ক পাঠকের সিয়ার গ্রন্থটিতে এই সাম্প্রদায়িক ঘটনালোর উল্লেখ থাকাটাও রাজনৈতিকঐতিহাসিক তত্ত্ব হিসেবে অধ্যাপক রাজ্জাকের প্রাকব্রিটিশ সাম্প্রদায়িকতা বিষয়ক তত্ত্বটির রুত্ব লঘু করে না বরং মূলধারার প্রতিনিধিত্বশীল বিশ্বাস হিসেবে এটাই আধিপত্য করে এসেছে যুর পর যুগচলবেআরো পড়ুনঅধ্যাপক রাজ্জাক কয়েকটি খটকা পর্ব৪অধ্যাপক রাজ্জাক কয়েকটি খটকা পর্ব৩অধ্যাপক রাজ্জাক কয়েকটি খটকা পর্ব২অধ্যাপক রাজ্জাক কয়েকটি খটকা পর্ব১ টিকা৩৮ ইটন এসেইজ অন ইসলাম অ্যান্ড ইনডিয়ান হিস্টরি পৃষ্ঠা ২৫৬৩৯ ব্যাধি ও প্রতিকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বর্তমান উদ্ধৃতিটি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি বিভার রবীন্দ্র রচনাবলী থেকে নেয়া৪০ রওনক জাহান আহমদ ছফা ইত্যাদি৪১ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও পূর্ববঙ্গীয় সমাজ অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকএর আলাপচারিতা সরদার ফজলুল করিম পৃষ্ঠা ১১৮১১৯ বর্তমান লেখক সংলাপটিকে বাংলায় ভাবানুবাদ এবং তৃতীয় বাচনে রূপান্তর করে অলঙ্করণ মোস্তাফিজ কারিগর |
অধ্যাপক রাজ্জাক কয়েকটি খটকা পর্ব৬ প্রসঙ্গ জিন্নাহ সাহিত্য প্রবন্ধনিবন্ধ ২১ আগস্ট ২০১৬ ১৩১৭ অধ্যাপক রাজ্জাক এবং আরও বহু মানুষ সাম্প্রদায়িক বিভাজনের ভিত্তিতে মুসলমানদের জন্য পৃথক রাষ্ট্রই চেয়েছিলেন কিন্তু সেই রাষ্ট্রটা আবার ইহজাগতিক ও অসাম্প্রদায়িক আধুনিক রাষ্ট্র হোক সেটাও চেয়েছিলেন তাদের সেই স্বপ্নের পাকিস্তানে জিন্নাহর ভূমিকা কাণ্ডারীর হুমায়ুন আজাদের সাথে এই কথোপকথনে যেমন ছফা কিংবা সরদার ফজলুল করিমের স্মৃতিচারণেও জিন্নাহর প্রতি তার এই মুগ্ধতা ও ভক্তি বারংবার অটুট দেখা যায় কিন্তু জিন্নাহর এই ভাবমূর্তি কতখানি কায়েদে আজমের অসাম্প্রদায়িক ভক্তদের নিজস্ব নির্মাণ কতটুকু সত্যি তা নিয়ে সামান্য কিছু আলোকপাতের চেষ্টা করা যাকপূর্ব প্রকাশের পরঅধ্যাপক রাজ্জাক ও জিন্নাহর মূল্যায়নরাষ্ট্রবিজ্ঞানী হিসেবে অধ্যাপক রাজ্জাক অনন্য অধ্যাপক রওনক জাহানের আবদুর রাজ্জাকের পৃষ্ঠপোষকতা ও উৎসাহে যিনি হার্ভার্ডে পড়তে গিয়েছিলেন একটি ছোট্ট স্মৃতিচারণ থেকে এ বিষয়ে কিছুটা ধারণা পাওয়া যাবে এরপর স্যারের সাথে আমার দেখা হয় ১৯৬৮ সালে আমি দেশে এসেছিলাম আমার পিএইচডি থিসিসের জন্য ডেটা কালেক্ট করতে আমি স্যারের কাছে সেই বিষয়ে ইন্টারভিউ নিতে গিয়েছিলাম তখন স্যার আমাকে একটা কথা বলেছিলেন যেটা আমার সবসময় মনে হয় তখন তো সিক্স পয়েন্টসছয় দফা নিয়ে কথা হচ্ছে সবখানে তো আমি সিক্স পয়েন্টস নিয়ে স্যারের মতামত জানতে চাইলাম স্যার বললেনদেখেন জাতি এখন অনেক আগায়ে ছে জাতি এখন আর সিক্স পয়েন্টস নিয়ে ভাবছে না জাতি এখন স্বাধীনতার কথা ভাবছে আমি কিন্তু সেই সময়ে অনেকের সাথে এই বিষয়ে কথা বলেছি কিন্তু স্যার ছাড়া অন্য কেউ আমাকে জাতির এই যে এগিয়ে যাওয়ার বিষয়টা নিয়ে বলেন নাইতাঁর প্রজন্মের আরও অনেকেরই মতো অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক তারুণ্যে ছিলেন পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মের স্বপ্নে বিভোর আবার অধ্যাপক রওনক জাহানের স্মৃতিচারণ অনুযায়ী চল্লিশের কোঠায় বয়েসে অন্য বহু ব্যক্তির আগেই অধ্যাপক রাজ্জাকই পূর্ব বাংলায় পাকিস্তানের পতনের আগাম অনুমাণ করেছিলেন আগের একটি অংশে আমরা দেখিয়েছি পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে পূর্বাংশের পার্থক্য বিষয়ে তার টনটনে সচেতনতা কিন্তু অধ্যাপক রাজ্জাক বিষয়ে একটা খটকা বাধে এই পাকিস্তান রাষ্ট্রের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা জিন্নাহর চরিত্র বিচার নিয়েই১হুমায়ুন আজাদ অধ্যাপক রাজ্জাকের একটা সাক্ষাতকার নিয়েছিলেন সাক্ষাতকারটি মূল্যবান তীক্ষ্ম অন্তর্দৃষ্টি সম্পন্ন তারও চেয়ে বড় কথা হুমায়ুন আজাদের স্পর্শগুণে গোটা সাক্ষাতকারটি একটি কবিতাপ্রায় হয়ে উঠেছে এর মাঝেও ওই খটকা ঠিকঠাকই হাজির আছে সাক্ষাতকারটি থেকে খানিকটা পাঠ করা যাক হুমায়ুন আজাদ পাকিস্তান বলতে এখন আমরা ইসলামি পাকিস্তান বুঝি আপনারাও কি ইসলামি পাকিস্তান চেয়েছিলেনআবদুর রাজ্জাক মোটেই না পাকিস্তানে ধর্মের বাড়াবাড়ি পরবর্তী ঘটনা মুহম্মদ আলি জিন্নাহকে ধার্মিক লোক বলা যায় না ইসলামের জন্য তাঁর বিশেষ মাথাব্যথা ছিলো না ১৯৪৭ সালের ১৪ই আগস্টে পাকিস্তানের স্বাধীনতা উৎসব অনুষ্ঠানটি আর ১৫ই আগস্টে ভারতের স্বাধীনতা উৎসব অনুষ্ঠানটি তুলনা করলেই ব্যাপারটা বোঝা যায় পাকিস্তানের স্বাধীনতা উৎসবের প্রোগ্রামে ধর্মের কোনো নামগন্ধও ছিলো না মওলানা আকরাম খাঁ শাব্বির আহমদ ওসমানি লিয়াকত আলিকে দিয়ে জিন্নাকে অনুরোধ জানান অনুষ্ঠানে কিছু ধর্মকর্ম রাখতে অনুষ্ঠান শুরু হলে দেখা যায় জিন্না সরদার আওরঙ্গজেব খানকে ডাকেন কোরান থেকে কিছু আবৃত্তির জন্যে আওরঙ্গজেব খান ধর্মের ধার ধারতেন না তিনি মঞ্চে এসে দুএকটা সুরাকলমা পড়েই বিদায় নেন অন্যদিকে ভারতের স্বাধীনতা অনুষ্ঠান হয়েছিলো সম্পূর্ণরূপে হিন্দুবিধিমতে পাকিস্তানে ধর্মের বাড়াবাড়ি পাকিস্তান হওয়ার পরের ঘটনা১কেন আমি পাকিস্তান চেয়েছিলাম শীর্ষক একটা বক্তৃতাও আবদুর রাজ্জাক দিয়েছিলেন ইসলামিক একাডেমীতে ক্ষুব্ধ ভক্ত আহমদ ছফা এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন বক্তৃতা একটা দিছিলাম ত আপনে চটছেন ক্যানআপনি পাকিস্তানের পক্ষে ওকালতি করবেন চটব না তো কীআমি ত পাকিস্তান চাইছিলাম হেই কথাডা বলতে দোষ কী২যদ্যপি আমার রু গ্রন্থটিতে এই বক্তৃতাটির প্রেক্ষিত বলা নেই পাঠক তাই সামান্য বিভ্রান্তির শিকারও হতে পারেন কারণ এটি প্রধানত বক্তৃতার অনুষ্ঠান ছিল না ছিল একটা বিতর্ক সভা বলা যায় বাহাস পাকিস্তান রাষ্ট্রের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং বাস্তব দশা বিষয়ে একটি বিতর্ক সভায় তিনি দ্বৈরথে ডেকেছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর মোনায়েম খাঁকে বিষয়বস্তু ছিল কেন আমি পাকিস্তান চেয়েছিলাম এই বিতর্কের আয়োজক ছিলেন আবুল হাসিম যথাসময়ে অধ্যাপক রাজ্জাক উপস্থিত হলেও মোনায়েম খাঁ অসুস্থতার অজুহাতে বিতর্কে উপস্থিত হননি৩ এই বিষয়ে সরদার ফজলুল করিমের সাথে রাজ্জাক সাহেবের কথোপকথন থেকেমোনায়েম খানের ব্যাপারটা বোধহয় ৬৮ সালে কিভাবে যেন কথাটা উঠেছিল যে ইসলামিক একাডেমীর হলে মোনেম খান আর অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের বাকযুদ্ধ হবে বিষয়বস্তু কেন আমরা পাকিস্তান চেয়েছিলাম আবুল হাশিম সাহেব তখন ইসলামিক একাডেমীর পরিচালক এককালের রাজনৈতিক নেতা তাঁর উদ্যোই ব্যাপারটা সংঘটিত হতে যাচ্ছিলো কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঘটলো না কেন ঘটলো না তার কথাও অধ্যাপক রাজ্জাক বলেছিলেন কিন্তু পরে৪সেই পরের কাহিনিটা এমনঅধ্যাপক রাজ্জাক সহাস্যে বললেন সে এক মজার ব্যাপার এটা আবুল হাশিম সাহেবের কাণ্ড তিনি ইসলামিক একাডেমীতে হোয়াই আই ওয়ানটেড পাকিস্তান বলে বক্তৃতার একটা সিরিজ করেছিলেন আমিই প্রস্তাবটা দিয়েছিলাম বলেছিলাম এটা করুন হাশিম সাহেব আমাকে বক্তৃতা দেবার দাবি করতে আমি বললাম মোনেম খান একদিকের বক্তা হলে আমি আর একদিকের বক্তা হতে রাজি আছি হাশিম সাহব বললেন আমি অ্যারেঞ্জ করবো কয়েকদিন পরে হাশিম সাহেব টেলিফোন করে বললেন মোনেম খান রাজি হয়েছে তারিখ দিয়ে বললেন অমুক তারিখ ৫টার সময়ে ইসলামিক একাডেমীর হলে বক্তৃতা হবেআমরা বললাম অধ্যাপক রাজ্জাককে হ্যাঁ আমরা কাগজে একটা এর ঘোষণা দেখেছিলাম এবং ব্যাপারটাতে বেশ কৌতুকবোধ করেছিলামঅধ্যাপক রাজ্জাক বললেন হ্যাঁ কিন্তু তারিখে দিন দুটার দিকে হাশিম সাহেব বললেন ভাই এ তো এক বিপদে পড়লাম আমি আপনার বক্তৃতা ঘোষণা করেছি এদিকে মোনেম খান বলে তাঁর অসুখ হয়েছে তিনি মিটিংএ আসবেন নাআমরা অধ্যাপক রাজ্জাককে জিজ্ঞেস করলাম তবু কি আপনি সেদিন বক্তৃতা করেছিলেন হ্যাঁ আবুল হাশিমকে বিপদ থেকে উদ্ধার করার জন্য আমার বক্তৃতা করতে হয়েছিল সে বক্তৃতার বোধহয় টেপ করা আছে ইসলামিক একাডেমীতেঅধ্যাপক রাজ্জাক এ ব্যাপারে আরো বললেন কিন্তু মজার ব্যাপার সেদিন রাতেই আমি রাজশাহী যাবার জন্য রাত এগারোটার ট্রেনে উঠেছি কিন্তু কি ব্যাপার গাড়ি আর ছাড়ে না কেন গাড়ি ছাড়ে না কারণ গভর্নর মোনেম খান যাবেন ময়মনসিংহ তিনি আসবেন তবে গাড়ি ছাড়বে আমি মনে মনে বললাম মজার ব্যাপার তো এই না দুরে মোনেম খান খবর পাঠিয়েছে যে তার অসুখ মিটিংএ বক্তৃতা দিতে পারবে না কিন্তু এখন তো বেশ সুস্থতার আলামত দেখা যাচ্ছে৫২এই যে বাহাস আয়োজনের উদ্যোগ এর দুই পক্ষের বিতর্কের বিষয় থেকেই বোঝা যায় একক কোন আকাঙ্ক্ষা থেকে সকলে পাকিস্তান আন্দোলনে যুক্ত হননি মোনায়েম খান আর অধ্যাপক রাজ্জাক হয়তো একই বৈষম্য পশ্চাৎপদতা আর স্বাতন্ত্রের অনুভূতি থেকে পৃথক রাষ্ট্র চেয়েছিলেন মুসলমানদের জন্য যেমন আর সকল কিছুর পাশাপাশি অধ্যাপক রাজ্জাক অনেকগুলো সাক্ষাতকারে বারংবার উল্লেখ করে আধুনিক বাংলা সাহিত্যে মুসলমানদের অনুপস্থিতির কথা অধ্যাপক রাজ্জাক এবং আরও বহু মানুষ সাম্প্রদায়িক বিভাজনের ভিত্তিতে মুসলমানদের জন্য পৃথক রাষ্ট্রই চেয়েছিলেন কিন্তু সেই রাষ্ট্রটা আবার ইহজাগতিক ও অসাম্প্রদায়িক আধুনিক রাষ্ট্র হোক সেটাও চেয়েছিলেন তাদের সেই স্বপ্নের পাকিস্তানে জিন্নাহর ভূমিকা কাণ্ডারীর হুমায়ুন আজাদের সাথে এই কথোপকথনে যেমন ছফা কিংবা সরদার ফজলুল করিমের স্মৃতিচারণেও জিন্নাহর প্রতি তার এই মুগ্ধতা ও ভক্তি বারংবার অটুট দেখা যায় কিন্তু জিন্নাহর এই ভাবমূর্তি কতখানি কায়েদে আজমের অসাম্প্রদায়িক ভক্তদের নিজস্ব নির্মাণ কতটুকু সত্যি তা নিয়ে সামান্য কিছু আলোকপাতের চেষ্টা করা যাক৩এটা খুবই ঠিক যে পাকিস্তান আন্দোলনের কর্মীদের অনেকেরই মাঝে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গড়ে তোলার আকুতি ছিল পাকিস্তান বা ভারত কেউই ধর্মরাষ্ট্র ছিল না দুটো দুইভাবে ধর্মকে ব্যবহার করেছিল প্রয়োজন মাফিক সত্যি বলতে কি ধর্মরাষ্ট্র প্রত্যয়টিও অলীক ধারণামাত্র রাষ্ট্রের মাঝেই কোন শ্রেণি গোষ্ঠী সম্প্রদায় বা জাতির শ্রেষ্ঠত্ব বা আধিপত্য বাকিদের ওপরে চাপিয়ে দেয়ার দরকার হলেই রাষ্ট্রীয়ভাবে ধর্মের ব্যবহারের প্রয়োজনটিও দেখা দেয় বহু আধুনিক রাষ্ট্রেই তাই এই স্ববিরোধটি দেখা যায় রাষ্ট্রের পরিচালকরা আদর্শ হিসেবে ঘোষণা করেন এক কথা কাজের বেলায় দিব্যি বিপরীতটিই চালিয়ে যানফলে অলঙ্কারিক অসাম্প্রদায়িকতার ঘোষণাতে নয় কাজের বেলাতেই প্রমাণ দিতে হয় রাষ্ট্রের চরিত্র সাম্প্রদায়িক কি না সেটার রাষ্ট্র যখন কোন সঙ্কটের মুখোমুখি হয় তখনই নেতৃত্ব সাম্প্রদায়িক কি না ধর্মকে রাজনৈতিক ব্যবহারে আগ্রহী কি না তার প্রকৃত ও যথাযথ মূল্যায়ন সম্ভব হয় ফলে অধ্যাপক রাজ্জাক যে দুটি গল্প দিয়ে নেহেরু ও জিন্নাহর পার্থক্য তৈরি করার চেষ্টা করলেন সেটা দ্বারা চালিত হওয়া ইতিহাসের শিক্ষার্থীর জন্য বিপদজনক হতে পারে মূল আলোচনায় যাবার আগে পাকিস্তানেরই অভিজ্ঞতায় পরবর্তীকালের আরেক শাসকের কথা উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে শুরুতে মধ্যবিত্ত অংশের মাঝে আধুনিক সব সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেয়া আইয়ুব খান পাকিস্তানের ৬২ সালের সংবিধানে আগেকার ৫৬ সালের সংবিধানের ইসলামী প্রজাতন্ত্র প্রত্যয়টি প্রথমে বাদ দিয়ে পরে আবার সেটি ফেরত আনেন কয়েক মাস পর আইয়ুব খান ১৪ মার্চ ১৯৬৩ শর্ষিণার পীরের উরসেও বক্তৃতা দেন৬ আইয়ুব খান কি পাকিস্তানকে ধর্মরাষ্ট্রে পরিণত করার উদ্দেশ্য নিয়ে পরিচালিত ছিলেন ওপরের উদাহরণ দুটি থেকে তাই মনে হতে পারে বস্তুত আইয়ুব খান মুসলিম পারিবারিক আইনের কিছু রুতর সংশোী করে এর আগেই মৌলবাদীদের চক্ষুশূল হয়েছিলেন কাফের আখ্যাও পেয়েছিলেন পরবর্তীতে আবার ফাতেমা জিন্নাহর সাথে নির্বাচনী দ্বৈরথে পার হবার তাড়নায় ধর্মীয় নেতৃত্বকে ব্যবহার করে নারী নেতৃত্ব হারাম এই জিগির তুলিয়েছিলেন নিজেই ফলে সংবিধানে ধর্মরাষ্ট্র ফেলে দিয়ে আবার ফেরত আনা কিংবা নির্বাচনে জেতার জন্য মোল্লা সম্প্রদায়কে ব্যবহার দিয়ে আইয়ূব খানকে ধর্মান্ধ হিসেবে চিহ্নিত করা যথাযথ হবে না বরং এটা স্বীয় স্বার্থ সিদ্ধির জন্য ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহারের প্রকৃষ্ট উদাহরণ৪আইয়ুব খান পাকিস্তানের রাজনীতিতে পরবর্তীকালেরই গল্প যে পরবর্তীকালের বাড়াবাড়ির কথা হুমায়ুন আজাদকে বলছিলেন আবদুর রাজ্জাক পাকিস্তান রাষ্ট্রে পরবর্তীকালের এই ধর্মের বাড়াবাড়ির সাথে জিন্নাহর কি কোন সম্পর্ক আছে তিনি তো এমনকি ১৯৪৭ সালের ১১ অগাস্টে পাকিস্তানের সংবিধান সভায় তার বিখ্যাত বক্তৃতায় ঘোষণায় এই নিশ্চয়তাই দিয়েছিলেন৬আপনারা বাধাহীন বাধাহীনভাবে আপনারা নিজ নিজ মন্দিরে যাবেন এই পাকিস্তান রাষ্ট্রে বাধাহীনভাবে আপনারা নিজ নিজ মসজিদ বা অন্য যে কোন প্রার্থনার স্থলে যাবেন আপনি যে কোন ধর্মের অথবা বর্ণের অথবা বিশ্বাসের অনুসারী হতে পারেন রাষ্ট্রের পরিচালনায় এর সাথে কোন সম্পর্ক নাই আপনারা জানেন ইতিহাস বলে যে ইংল্যান্ডে কিছুকাল আগে পরিস্থিতি ভারতের বর্তমান দশার চেয়েও অনেক খারাপ ছিল ঈশ্বরকে ্যবাদ আমাদের সূচনা সেইসব দিনে হচ্ছে না আমরা এমন সময়ে শুরু করছি যখন কোন বৈষম্য নাই একটা সম্প্রদায়ের সাথে আরেকটটা সম্প্রদায়ের কোন পার্থক্য নেই একটা বর্ণ বা বিশ্বাসের অনুসারীর সাথে আরেকজনের কোন বৈষম্য নেই আমরা শুরু করছি এই প্রাথমিক মূলনীতি থেকে একটি রাষ্ট্রের আমরা সকলেই নাগরিক সমান নাগরিক আমি মনে করি আমাদের উচিত হবে এটিকে আমাদের সামনে আমাদের আদর্শ হিসেবে রাখা এবং আপনারা দেখবেন সময়ের আবর্তনে হিন্দুরা আর হিন্দু থাকবে না মুসলিমরা আর মুসলমান থাকবে না ধর্মীয় অর্থে নয় কেননা সেটা প্রতিটি ব্যক্তির ব্যক্তিগত বিশ্বাস বরং রাজনৈতিক অর্থে রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে এটা ঘটবে৭তার এই অতি চমৎকার ঘোষণার প্রতি পরবর্তীকালের পাকিস্তানে জিন্নাহ নিজেই কতটা সৎ থাকতে পারতেন তার পরীক্ষা নেয়াটা যথেষ্ট কঠিন কেননা মাত্র এক বছর পর ১৯৪৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে তার মৃত্যু হয় এর মাঝেই জিন্নাহ একবার ঢাকা এসেছিলেন সেই সফরে পূর্ব বাংলার রাজনীতির গতিমুখ নির্ধারিত হয়েছিল অনেকটাই এই সফরের সংক্ষিপ্ত সময়টুকুতে জিন্নাহর কয়েকটি কাজে এই অসাম্প্রদায়িক বৈষম্যহীনতার নীতি তিনি কতখানি পালন করতে পারছিলেন তার সামান্য যে পরিচয় পাওয়া যায় তা হয়তো অধ্যাপক রাজ্জাকের কাহিনিটিকে খারিজ করে দেবে সেই কাহিনি আমরা শুনবো বদরুদ্দীন উমরের পূর্ব বাঙলার ভাষা আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি নামের সুবিখ্যাত গ্রন্থটিতে ঠাঁই পাওয়া মোহাম্মদ তোয়াহার স্মৃতিচারণে চলবেআগের পর্বে যেতেঅধ্যাপক রাজ্জাক কয়েকটি খটকা পর্ব৫ টিকা১ আবদুর রাজ্জাক এই সময়ের জ্ঞানতাপস হুমায়ুন আজাদের সাথে সাক্ষাতকার২ যদ্যপি আমার রু আহমদ ছফা ৩ সরদার ফজলুল করিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয ও পূর্ববঙ্গীয় সমাজ৪ ১১৬ পৃষ্ঠা সরদার ফজলুল করিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয ও পূর্ববঙ্গীয় সমাজ মোনেম খান যে রাজ্জাক সাহেবের বিষয়ে অস্বস্তিতে ভূগতেন তার দৃষ্টান্তস্থানীয় একটি গল্প বলেন রাজ্জাক সাহেবের বন্ধুস্থানীয় আখতার হামিদ খান একবার ফোন করে তাকে কুমিল্লা পল্লী উন্নয়ন একাডেমীতে যেয়ে কাজ করার নিমন্ত্রণ জানান দুই বৃদ্ধ কেউ কারও মত বদলাতে পারবেন না অতএব ছমাসেই তাদের বিচ্ছেদ হবে এই বলে রাজ্জাক সাহেব তাকে নিরস্ত করতে চাইলে আখতার হামিদ খান তাকে জানান যে এবার তাকে যেতেই হবে কারণ এই প্রস্তাব খোদ লাট সাহেবের হঠাৎ সেদিন গভর্নর মোনেম নিজে আমাকে ফোন করে আমি তো ফোন পেয়েই আশ্চর্য ভাবলাম আমি আবার কি অপরাধ করলাম কিন্তু তিনি ফোন ধরেই জিগ্যেস করলেন আমাকে আপনি ঢাকা ইউনিভার্সিটির আবদুর রাজ্জাককে চিনেন আমি বললাম হ্যাঁ চিনি গভর্নর বললেন আপনি তাকে আপনার একাডেমীতে নিয়ে নেন আমি চাই না সে ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে থাকে এই কাহিনী স্মরণ করে অধ্যাপক রাজ্জাক হাসতে হাসতে বললেন এমনি মজার লোক ছিলেন মোনেম খান৫ আবদুল হক লেখকের রোজনামচা চার দশকের রাজনীতি পরিক্রমা প্রেক্ষিত বাংলাদেশ ১৯৫৩৯৩ পৃষ্ঠা ৭৮ ১৫ মার্চের ভুক্তিটিতে এ সম্পর্কিত বিশ্লেষণ দ্রষ্টব্য তিনি নিজেও আইয়ুব খানের প্রগতিশীলতার প্রতি মোহভঙ্গ হওয়া একজন মানুষ৬ বক্তৃতাটির খণ্ডাংশের বর্তমান লেখককৃত অনুবাদ৭ পূর্ব বাঙলার ভাষা আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি বদরুদ্দীন উমর পৃষ্ঠা ৯৪ |
অধ্যাপক রাজ্জাক কয়েকটি খটকা পর্ব৭ প্রসঙ্গ জিন্নাহ সাহিত্য প্রবন্ধনিবন্ধ ২৮ আগস্ট ২০১৬ ১৭০৪ এভাবে জিন্নাহ যা আলোচনা করতে চাইছিলেন তা হিন্দু ছাত্রদের সামনে আলোচনার যোগ্য ছিল না তাই এভাবে ভদ্রতা রেখে সকলকেই বিদায় করা হলো কিংবা হিন্দু ছাত্রদের রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য বিষয়ে তার সন্দেহ ছিল অথবা রাষ্ট্রের ভবিষ্যত বিষয়ে তাদের সাথে আলোচনাকে তিনি প্রযোজনীয় মনে করেননি নীতিহীন ক্ষমতাধররা বিপদে আপদে ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহার কমবেশি করেই থাকেনপূর্ব প্রকাশের পর১৯৪৮ সালের ১৯ মার্চ জিন্নাহ ঢাকা আসেন সেদিনই তিনি রেসকোর্সে বক্তৃতায় বলেন কিছু সংখ্যক কমিউনিস্ট এবং বিদেশিদের সাহায্যপ্রাপ্ত এজেন্ট পূর্ব বাংলাকে ভারতের অন্তর্ভূক্ত করার চেষ্টা ছাড়েনি এবং তারাই প্রচার করছে যে পাকিস্তান ও পূর্ব বাংলা সরকার বাংলা ভাষাকে ধ্বংস করতে চায়১ শুধু এটুকুতে অবশ্য প্রমাণ হয় না যে জিন্নাহ ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহার করছেন কিন্তু ওই বক্তৃতারই আরেকটি অংশে ভাষা আন্দোলনকে মোকাবেলায় ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহারের সাক্ষ্যও মোটামুটি স্পষ্ট প্রাদেশিকতার উস্কানি দানের মাধ্যমেই তাদের এই প্রচেষ্টাকে তারা অব্যাহত রেখেছে যে পর্যন্ত না এই বিষয়কে আপনারা রাজনীতি থেকে বর্জন করে সে পর্যন্ত আপনারা নিজেদেরকে একটা সত্যিকার জাতি হিসেবে গঠন করতে সক্ষম হবেন না আমরা বাঙালি পাঞ্জাবি সিন্ধি বেলুচি পাঠান ইত্যাদি সম্পর্কে কিছু বলতে চাই না ইউনিট হিসাবে সেলির অবশ্য একটা অস্তিত্ব আছে কিন্তু আপনাদেরকে জিজ্ঞেস করি চৌদ্দশো বছর পূর্বে আমাদেরকে যে শিক্ষা দেওয়া হয়েছিল আমরা কি তা ভুলে ছি আমার মতো আপনারা সকলেই এখানে বহিরাগত বাঙলাদেশের আদি অধিবাসী কারা যারা এখন এদেশে বাস করছে তারা নয় কাজেই আমরা বাঙালি বা সিন্ধি বা পাঠান বা পাঞ্জাবি এ কথা বলার প্রয়োজন কি না আসলে আমরা সকলেই হলাম মুসলমান ওই বক্তৃতায় আরও বহু নিদর্শন পাওয়া যাবে ভাষা আন্দোলনের মতো রাজনৈতিক একটি প্রশ্নের মোকাবেলা করতে গিয়ে কতভাবে ধর্মীয় পরিচয়কে সামনে আনা হয়েছে মুসলমানরা সকলেই যে বহিরাগত এবং এখানকার আদি অধিবাসী নন এই ঐতিহাসিক একদেশদর্শী তত্ত্বকে সামনে আনা হয়েছে উদ্ধৃতাংশটিতে ইঙ্গিত দেয়া আছে যে এই বিরূপ দেশীয় সংস্কৃতির বিরুদ্ধে বাইরে থেকে আসা মুসলমানদের সংহত বা একজোট থাকতে হবে স্থানীয় বৈশিষ্ট্যকে বর্জন করার কথা বলা হয়েছে কেননা সেটা ছাড়া এক জাতি গঠিত হবে না এবং দাবি করা হয়েছে সেটা চৌদ্দশো বছর আগে যে শিক্ষা দেয়া হয়েছে তার সাথে সাংঘর্ষিক বলা হয়েছে মুসলমানদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই ভাষার প্রশ্ন তোলা হয়েছে একই বক্তৃতায় জিন্নাহ এমনকি সরকার শান্তি বিঘ্নিত করার জন্য রাজনৈতিক অন্তর্ঘাতক অথবা তাদের এজেন্টদের যে কোন চেষ্টাকে কঠিনভাবে দমন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় সন্তোষও প্রকাশ করেন তিনি নিজেও ঘোষণা করেন এসব যদি বন্ধ না করা হয় তাহলে আমি নিশ্চিত যে আপনাদের সরকার এবং পাকিস্তান সরকার এই বিষাক্ত শক্তিকে নির্দয়ভাবে দমন করার জন্য কঠিনতম ব্যবস্থা অবলম্বন করবে সত্যি বলতে কি ভাষা আন্দোলনের প্রশ্নটি তখনও পূর্ব বাংলার রাজনীতির মাঠে অতটা বিস্তারিত হয়নি ভাষার প্রশ্নকে কেন্দ্র করে পাকিস্তান রাষ্ট্র ভাঙার কোন কল্পনা কোন ভাবনা পূর্ব বাংলার কারও মাথায় এসেছিল তেমন নজির বিরল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর এই ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া তাঁর অসহিষ্ণু মনোবৃত্তির প্রকাশ অন্যদিকে একে মোকাবেলা করতে গিয়ে ধর্মীয় পরিচয়কে টেনে আনাটাও প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদের পরিচয় কোনভাবেই দেয় না অথবা পাকিস্তানের জাতির পিতা হিসেবে এ হয়তো তার দূরদর্শীতারই পরিচায়ক তিনি ভালরকমই বুঝতে পেরেছিলেন ভাষার প্রশ্নটি বিপদজনক এবং ভবিষ্যতের পাকিস্তানের মুসলিম উম্মাহর ধারণায় ফাটল শুরু হতে পারে ভাষার প্রশ্নটি থেকেই সত্যি বলতে কি প্রাদেশিক ভাষা অনেকগুলো জাতিকে নিয়ে গঠিত বৃহৎ জাতিকে এক সময় বিপন্ন করে ফেলবে এই আশঙ্কা ভারত ও পাকিস্তান উভয় রাষ্ট্রেই ব্যাপকভাবে অনুভূত হয়েছিল নানান ঘটনাপরিক্রমায় পূর্ব বাংলায় ভাষা প্রশ্নে যে আলোড়ন উপস্থিত হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে ততটা ঘটেনি বরং বুদ্ধিজীবীদের একটা বড় অংশ রাষ্ট্রনেতাদের সুবৃহৎ অংশ কেন্দ্রীয় স্বার্থের পক্ষেই অবস্থান নেন সুনীতিকুর মতো বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান ভাষাতাত্ত্বিকও হিন্দিকে ভারতের রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে বলে বিভাগপূর্ব আমল থেকেই তাঁর বয়ানে শোনা যাক সংযুক্তরাষ্ট্র মূলত ভারতের ভাবী স্বাধীনতার যুগে এক একটী ভাষাকে আশ্রয় করিয়া যেসকল স্বাধীন বা স্বতন্ত্র প্রান্তিক রাষ্ট্র স্থাপিত হইবে সেলির অবস্থানের দ্বারা নানা নূতন কেন্দ্রাপসারী শক্তি কার্য্য করিবে সেইসব শক্তি প্রবল হইয়া নিখিলভারতীয় একতার পক্ষে হানিকর হইবে এরূপ আশঙ্কা আছে এরূপ কেন্দ্রাপসারী শক্তির অন্যতম প্রতিষেধক হিসাবে একটী নিখিলভারতীয় সর্বজনবোধ্য রাষ্ট্রভাষার বিশেষ আবশ্যকতা সকলেই স্বীকার করিবেন ভারতের ভৌগোলিক সংস্থান ইহার প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক আবেষ্টনী ইহার একসূত্রেবদ্ধ সংস্কৃতি এই সবের সংযোগে ভারতের যে একতা গড়িয়া উঠিয়াছে তাহাকে বিখণ্ডিত ও বিচ্ছিন্ন করিয়া দিবার জন্য নানা দিক্ হইতে সজ্ঞানে বা অজ্ঞানে প্রয়াস দেখা দিবে এইরূপ প্রয়াসকে প্রতিহত করিবার জন্য ভারতে কতকগুলি কেন্দ্রীয় ও কেন্দ্রাভিমুখী শক্তি অত্যাবশ্যক হইবে এবং একটী নিখিলভারতীয় সর্বজনবোধ্য রাষ্ট্রভাষা এইরূপ শক্তির মধ্যে অন্যতম রূপে যাহাতে প্রতিষ্ঠিত হয় তাহার চেষ্টা করা উচিত২ তবে শাসনতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির দিক দিয়ে জিন্নাহ ছিলেন অনেক বেশি কর্তৃত্বপরায়ন নেহেরুর প্রতিস্পর্ধী আরও অনেক নেতা কংগ্রেসে ছিলেন অচিরেই মোটামুটি শক্তিশালী বিরোধীদলও সেখানে সৃষ্টি হল বিপরীতে জিন্নাহ কিন্তু ওই একই বক্তৃতায় বলেন আপনারা যদি পাকিস্তানের খেদমত করতে চান যদি আপনারা পাকিস্তানকে গঠন করতে চান যদি আপনারা পাকিস্তানকে সংস্কার করতে চান তাহলে আমি বলবো যে প্রতিটি মুসলমানের সামনে একটি মাত্র সৎপথই খোলা আছে তাহলো মুসলিম লীগে যোগদান করে নিজের সাধ্যমত পাকিস্তানের খেদমত করা কোন রকম বিদ্বেষ অথবা শুভেচ্ছা অভাবের জন্য নয় তাদের অতীত কার্যকলাপের জন্যই ব্যাঙের ছাতার মত যে সমস্ত পার্টিলো গজিয়ে উঠছে সেলিকে সন্দেহের খে দেখা হবে এই বাক্যরাশির মাঝে আমরা এক হৃদয়হীন গণতন্ত্রের নূন্যতম চেতনাহীন ফ্যাসিস্টেরই সাক্ষাৎ পাই পাই রাষ্ট্র বিষয়ে যে কোন বিরুদ্ধ মতের প্রতি নির্মূল করার নগ্ন হুমকি দুই ওই একই সফরে জিন্নাহ সাহেবের সাম্প্রদায়িক মনের আরও একটি পরিচয় ইতিহাসে লিপিবদ্ধ আছে সেবার ঢাকা অবস্থানকালে প্রতিনিধিস্থানীয় ছাত্রদের সাথে সাক্ষাতের জন্যে জিন্নাহ ইচ্ছে প্রকাশ করেন সেই অনুসারে বিভিন্ন ছাত্রাবাসের প্রভোস্টদের মাধ্যমে ছাত্রাবাসগুলির সহসভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদেরকে এই সাক্ষাৎকারের কথা বলা হয় কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিয়নের সহসভাপতিও এই সাক্ষাৎকারের জন্যে আমন্ত্রিত হন ২০ মার্চ জিন্নাহর সাথে এই ছাত্র প্রতিনিধি দলটি চিফ সেক্রেটারির বাসভবনে সাক্ষাৎ করেন পনেরো বিশ মিনিটকাল স্থায়ী এই সাক্ষাতকারে প্রত্যেকের সাথে পৃথক পৃথকভাবে পরিচিত হওয়ার জিন্নাহ ব্যক্তিগতভাবে সকলের কুশল জিজ্ঞাসা করেন এবং অত্যন্ত মামুলী কিছু কথাবার্তার পর তিনি চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ান অর্থৎ প্রতিনিধিদের বিদায় জানিয়ে দেন এই সময় মোহাম্মদ তোয়াহা তাকে ভাষা সমস্যা বিষয়ে একটি লিখিত স্মারকলিপি দেন জিন্নাহ সেটি হাতে নিয়ে পাশের টেবিলে রেখে দেন কোন মন্তব্য করেননি৩ সাক্ষাতকারটি এত সংক্ষিপ্ত এবং কুশলবিনিময় সর্বস্ব হওয়ার কারণটি জানা ল অচিরেই শিক্ষার্থীরা বিদায় নেয়ার সময় জিন্নাহর সামরিক সচিব হঠাৎ দৌড়ে এসে মোহাম্মদ তোয়াহা ও নজরুল ইসলামকে আবারও জিন্নাহর সাথে দেখা করবার জন্য বলেন তারা দুজন ভেতরে গিয়ে দাঁড়াতে জিন্নাহ তাদের বলেন যে সাক্ষাতকারের ব্যাপারে একটা ভুল হয়ে ছে তিনি শুধু মুসলমান ছাত্রদের সাথে দেখা করতে চেয়েছিলেন হিন্দু ছাত্রদের সাথে নয় প্রত্যেক ছাত্রাবাসের সভাপতি এবং সম্পাদককে জিন্নাহর সাথে সাক্ষাতের জন্যে আমন্ত্রণ করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ ছাত্রাবাসের দুইজন হিন্দু ছাত্র প্রতিনিধিও সেদিন অন্য ছাত্রদের সাথে গিয়েছিলেন ছাত্রদের সাথে জিন্নাহ যে সব বিষয়ে আলোচনা করতে চেয়েছিলেন সেলি তিনি হিন্দু ছাত্রদের সামনে আলোচনার জন্যে মোটেই প্রস্তুত ছিলেন না এবং তার জন্যে সাক্ষাতকারের সময় বিশেষ কোন আলোচনা না করে অল্পক্ষণ পরেই সাক্ষাৎকার তিনি শেষ করে দেন মোহাম্মদ তোয়াহা জিন্নাহর কথা শুনে তাকে বলেন যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা বিভিন্ন ছাত্রাবাসে থাকে এবং বার্ষিক নির্বাচনের মাধ্যমে নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচন করে সেই নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে হিন্দু ছাত্রদের জগন্নাথ ছাত্রাবাসের প্রতিনিধিরাও ছিলেন জিন্নাহ তখন তোয়াহাকে বলেন যে সেই জাতীয় কোন ছাত্র প্রতিনিধিদের সাথে তিনি আলোচনা করতে চান নি তিনি চান মুসলিম ছাত্র রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের সাথে ছাত্র রাজনীতি বিষয়ে কিছু আলাপ আলোচনা করতে৪ এভাবে জিন্নাহ যা আলোচনা করতে চাইছিলেন তা হিন্দু ছাত্রদের সামনে আলোচনার যোগ্য ছিল না তাই এভাবে ভদ্রতা রেখে সকলকেই বিদায় করা হলো কিংবা হিন্দু ছাত্রদের রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য বিষয়ে তার সন্দেহ ছিল অথবা রাষ্ট্রের ভবিষ্যত বিষয়ে তাদের সাথে আলোচনাকে তিনি প্রযোজনীয় মনে করেননি নীতিহীন ক্ষমতাধররা বিপদে আপদে ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহার কমবেশি করেই থাকেন জর্জ বুশ যেমন ক্রুসেডের ডাক দেন রাজীব গান্ধী রামরাজ্য প্রতিষ্ঠার আহবান জানিয়েছিলেন কত কম বিপদে কত বেশি ধর্মের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয় তাই দেখে রাষ্ট্রের শক্তিমত্ততাও টের পাওয়া যায় সেই পরীক্ষায় ভারতের মতই পাকিস্তানও একদম শুরু থেকেই অকৃতকার্য হয়ে আসছে জিন্নাহ খুব সম্ভবত তার ব্যতিক্রম নন প্রাসঙ্গিকভাবেই অন্য একটি বিষয় এখানে আলোচনা করা যায় ভাষা আন্দোলনের রো সময়টি জুড়েই হিন্দু কমুনিস্ট বা ভারতের ওপর আন্দোলনের দায় চাপানোর চেষ্টাটি পাকিস্তান রাষ্ট্র বা জিন্নাহ করছিলেন ভাষার এই রুতর সমস্যাটিকে আড়াল করার জন্যই সঙ্কটের গণতান্ত্রিক মীমাংসার বদলে তাকে বল প্রয়োগে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা যে যে শুভ পরিণতি ডেকে আনে না সে প্রসঙ্গে পূর্ব পাকিস্তানের এক সামরিক গভর্নর জাকির হোসেনের সাথে তার বৈঠকে যে প্রজ্ঞার পরিচয় রাজ্জাক সাহেব দিয়েছিলেন সেটিকেই আমরা তৃতীয় বারের মত স্মরণ করছি৫ পূর্ব বাঙলার ভাষা আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি নামের যে গ্রন্থটি থেকে জিন্নাহ প্রসঙ্গে স্মৃতিচারণটুকু এখানে তুলে ধরা হলো অধ্যাপক রাজ্জাক সেটির ভূয়সী প্রশংসাই করে বলে উমর যদি পূর্ববাংলার ভাষা আন্দোলন এবং তৎকালীন রাজনীতি কেবল এই একটা বইই লিখতেন তা অইলেই পস্টারিটি তার নাম স্মরণ করার জন্য যথেষ্ট সে ত আরও অনেক কাম করছে উমরের একটা ঋজু খাড়া চরিত্র আছে বিশ্বাস অনুসারে চলার চেষ্টা করে আমাগো সমাজে এই রকম মানুষ কজন আছে৬ এটা খুবই সম্ভব যে বদরুদ্দীন উমরের গ্রন্থটিতে উল্লেখিত প্রতিটি স্মৃতিচারণ তিনি যথাযথভাবে পাঠ করার সময় পাননি অথবা স্মরণে রাখেননি যদি ধরে নেয়া যায় যে গ্রন্থটি তিনি খুঁটিয়ে পাঠ করে তাহলেও এটি সেই রকম একটা দৃষ্টান্ত হিসেবেই টিকে থাকবে যখন ইতিমধ্যেই নির্মিত ধারণা বা বিশ্বাস নিয়েই আমরা কোন গ্রন্থ পাঠ করি পরিচালিত হই এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণও করে ফেলি তখন সাধারণত ওই গ্রন্থেই থাকা বিরুদ্ধ দৃষ্টান্ত আমাদের প্রত্যয়ে কোন পরিবর্তন ঘটায় না একই প্রসঙ্গে এই উদাহরণটি পূর্ব বাঙলার ভাষা আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি গ্রন্থটির লেখক স্বয়ং বদরুদ্দীন উমরসহ পাকিস্তান আন্দোলনে অংশ নেয়া উদার ও রাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে অসাম্প্রদায়িক চিন্তার অধিকারী অংশটির জন্যও প্রযোজ্য এরা সকলেই জিন্নাহর চরিত্রের অসাম্প্রদায়িক বৈশিষ্ট্যে রুত্ব দিয়ে ভাষা আন্দোলনকে মোকাবেলায় জিন্নাহর বাস্তবে আচরিত কৌশলের চেয়েও তারা রুত্ব দিয়ে সংবিধান সভার বৈঠকে জিন্নাহর আশ্বাসের ওপর পাকিস্তান রাষ্ট্রে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে প্রবলতম আলোড়ন সৃষ্টিকারী গ্রন্থ বদরুদ্দীন উমর রচিত সাম্প্রদায়িকতাতেও জিন্নাহর এই অসাম্প্রদায়িক চরিত্রের ওপরই রুত্ব আরোপ করা হয়েছে জাতিগত শ্রেষ্ঠত্ব সাম্প্রদায়িকতা এবং ধর্মীয় ঐক্যের মত আদতে গভীরতর বিভাজন সৃষ্টিকারী আহবান দিয়ে সাধারণত সুবিধাজনক অবস্থানে থাকা শাসকরা রাষ্ট্রনীতি নির্ধারণ করেন না কিন্তু রাষ্ট্রে যদি শ্রেণিগত নিপীড়নের পাশাপাশি জাতিগত বর্ণগত ও ধর্মীয় শ্রেষ্টত্বও প্রবল প্রতাপে থাকে অসাম্প্রদায়িকতা তখন শাসকের বিলাসে পরিণত হয় জিন্নাহ যতই অসাম্প্রাদিয়ক হবার বাসনা করুন জাতিগত ও সাংস্কৃতিকভাবে বিভক্ত যে পাকিস্তান রাষ্ট্রটি তিনি কায়েম করেছিলেন সেটার পক্ষে সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মীয় পরিচয়ের দোহাইয়ের উর্ধে ওঠা খুবই কঠিন ছিল জিন্নাহ সম্পর্কে অধ্যাপক রাজ্জাকের মত দিয়েই অবশ্য ব্যক্তি আবদুর রাজ্জাককে সাম্প্রদায়িকতা সম্পর্কে তার অবস্থানকে বিচার করা যথাযথ হবে না এই প্রসঙ্গটি শেষ করা যাক আহমেদ ছফাকে উদ্ধৃত করেই প্রফেসর আবদুর রাজ্জাক পাকিস্তান আন্দোলনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছিলেন তিনি কি কারণে পাকিস্তান দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন তার একটা কৈফিয়ত তিনি দিয়ে এটা গ্রহণযোগ্য কৈফিয়ত কি না বিচারের ভার অন্যদের সেই পরিবেশ পরিস্থিতিতে তিনি মনে করেছিলেন পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হলেই বাংলার মুসলমান সমাজের উপকার হবে বাংলাদেশকে পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন করে আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার ধারণাটিও রাজ্জাক সাহেবের মস্তক থেকে এসেছিল এই ঐতিহাসিক পরিবর্তন রূপান্তরের মধ্যে রাজ্জাক সাহেব যে অবস্থানটি গ্রহণ করেছিলেন তা সঠিক কি বেঠিক ছিল সে বিতর্কেও আমি প্রবৃত্ত হবো না আমি শুধু একটি কথাই জোর দিয়ে বলবো রাজ্জাক সাহবে মনে প্রাণে খাঁটি সেকুল্যার মানুষ৭চলবেআরো পড়ুন অধ্যাপক রাজ্জাক কয়েকটি খটকা পর্ব৬ প্রসঙ্গ জিন্নাহ টীকা ১ পূর্ব বাঙলার ভাষা আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি বদরুদ্দীন উমর পৃষ্ঠা ৯৪ ২ ভারতের ভাষা ও ভাষাসমস্যা প্রথম প্রকাশ পৌষ ১৩৫১ রূপা এন্ড কোম্পানি মুদ্রিত ১৯৯২ সালের সংস্করণ থেকে বর্তমান উদ্ধৃতিটি নেয়া হয়েছে পৃষ্ঠা ৪০ ৩ একই স্মারকলিপি তাকে আবারও দেয়া হয়েছিল রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদের পক্ষ থেকে ২৪ মার্চ পৃষ্ঠা ১০২ বদরুদ্দীন উমর ভাষা আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি প্রথম খণ্ড ৪ পূর্ব বাঙলার ভাষা আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি বদরুদ্দীন উমর পৃষ্ঠা ১০২ কাহিনীটির উৎস মোহাম্মদ তোয়াহা সৈয়দ নজরুল ইসলামও বদরুদ্দীন উমরকে প্রদত্ত সাক্ষাৎকারে শুধু এইটুকু স্মরণ করতে পারেন যে দ্বিতীয়বার তাঁদের দুজনকে ভিতরে ডেকে নেওয়া হয়েছিল ৫ সরদার ফজলুল করিম পৃষ্ঠা ১১৮ বর্তমান রচনার টীকা ৪৪ দ্রষ্টব্য ৬ আহমদ ছফা যদ্যপি আমার রু পৃষ্ঠা ৮০ ৭ আহমদ ছফা যদ্যপি আমার রু পৃষ্ঠা ১০৯ |
অধ্যাপক রাজ্জাক কয়েকটি খটকা পর্ব৮ প্রসঙ্গ সামন্তবাদ সাহিত্য প্রবন্ধনিবন্ধ ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১০৩৬ তিনি আহমদ ছফারে বললেন আহেন মৌলবী ছফা বহেন ছফা ভাই কিছুক্ষণ ছটফট করে বের হয়ে লেন আমি হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম তো ছবিটবি তোলা শেষ আমি বের হব স্যার বললেন এহন যায়েন নাবসেন বইটই দ্যাখেন আমি তখন তার কথা বুঝি নাই আমি তাড়াতাড়ি ম টালাম দিয়ে বের হয়ে আসলাম বের হয়ে দেখি টের মধ্যে বসা ঐ ভদ্রলোক আহমদ ছফা হাতে আঁখ হাত দিয়ে কচলাইতে আমারে দেখে বললেন দাঁড়ান আপনারে কি রাজ্জাক স্যার কোনো বই দিছে আমি বললাম না দেয় নাই উনি আমার ব্যাগ চেক করা শুরু করলেনপূর্ব প্রকাশের পরঅধ্যাপক রাজ্জাকের সামন্তবাদ বিচারঅধ্যাপক রাজ্জাককে নিয়ে শ্রেষ্ঠতম রচনাটি আহমদ ছফার যদ্যপি আমার রু সম্ভবত বাংলা জীবনী সাহিত্যেই তুলনাহীন একটা গ্রন্থ অধ্যাপক রাজ্জাকের চিন্তার বৈচিত্র গভীরতা আর স্বাতন্ত্র্যের পরিচয় আমরা গ্রন্থটিতে বারংবার পাবো কিন্তু পাণ্ডিত্য নয় আবদুর রাজ্জাক নামের একটি মানুষকে রক্তমাংসে যেভাবে ফুটিয়ে তুলে তার সাহিত্যগুণ অনন্য ভবিষ্যতের পাঠকদের আবদুর রাজ্জাককে চেনার প্রধানতম সূত্র এরপর থেকে যদ্যপি আমার রু গ্রন্থটির এই আবদুর রাজ্জাক কিন্তু এই রাজ্জাক ছফার সৃষ্টি বাস্তবের সাথে তার মিলঅমিল যাই থাকুক গভীর প্রেম কখনো কখনো অভিমান আর সর্বদা প্রশ্নাতুর মন নিয়ে শিষ্যরূপী আহমদ ছফা যে রুকে এঁকে আবের প্রাবল্য তার শিল্পমানকে সামান্যও ক্ষুণ্ন করেনি বরং আবদুর রাজ্জাকের একটা প্রধান বৈশিষ্ট্য আহমদ ছফা তার রুর চিত্রণে সম্ভবত সবচে সার্থকভাবে প্রকট করে তুলতে পেরেছিলেন সেটা শিক্ষক হিসেবে আবদুর রাজ্জাকের স্বাতন্ত্র্য ও অনন্যতা আহরার আহমেদ তার স্মৃতিচারণে শিক্ষক হিসেবে অন্য অধ্যাপকদের বিপরীতে আবদুর রাজ্জাকের বৈশিষ্ট্যকে মূল্যায়ন করে নিজেকে তিনি স্থাপন করেছিলেন প্রাচীনতর ভারতীয় বুদ্ধিবৃত্তিক রীতি আর অনুশীলনে সেটি হলো পরম্পরা যা রু আর শিষ্যকে এক বন্ে আবদ্ধ করে১ ত্রিশের দশকের আরও কয়েকজন অধ্যাপক সম্পর্কিত স্মৃতিচারণে এই বৈশিষ্ট্যটির কমবেশি উল্লেখ পাওয়া যাবে হয়তো আধুনিক পাশ্চাত্য জ্ঞানকাণ্ডকে তারা অসাধারণরূপে আয়ত্ব করলেও আশ্রমের পরম্পরা সংস্কৃতির ঐতিহ্যও তারা লালন করে একই সাথে অধ্যাপক রাজ্জাকের বিষয়টি শুধু অবশ্য সেখানেই সীমাবদ্ধ নয় শ্রেণিকক্ষে বক্তৃতা দিতে তিনি নিতান্তই অপরাগ ছিলেন এমনকি মুখস্ত করেও ফিরে এসে তিনি সহাস্যে বলে সরদার ফজলুল করিমের সাথে সাক্ষাতকারে রওনক জাহান রু শব্দটি ব্যবহার করে তার বিশেষণ হিসেবে তার আরেকজন ছাত্র খালিদ শামস অধ্যাপক রাজ্জাকের পড়াবার পদ্ধতি নিয়ে যে আলোচনা করে আজকের শিক্ষার্থীরা তা শুনলে নিশ্চয়ই অবাস্তব ভাববেন অধ্যাপক রাজ্জাকের যে টিউটোরিয়াল ক্লাসগুলো নেয়ার কথা সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি স্বভাবজাত অট্টহাসির সাথে রোববার সকালে তার বাড়ি চলে আসতে বলেন হাসির কারণ ছিল অধিকাংশ শিক্ষার্থীই তার এই ক্লাসটি এড়িয়ে যেতে পছন্দ করে রোববার মানে সাপ্তাহিক ছুটির দিতে সকাল বেলা বইপত্রের স্তুপে ঠাসা কেদারাহীন সেই ঘরে শতরঞ্জির ওপর শুরু হলো পাঁচ শিক্ষার্থীর টিউটোরিয়াল সাথে মিলতো মাখানো রুটি আর লেবু চা খালিদ শামস বলেন সেই ছিল আমাদের টিউটোরিয়ালের শুরু শুরু এমন একটা বিদ্যায়তনিক সম্পর্কেরও যার ভিত্তি ছিল উষ্ণ ব্যক্তিগত অন্তরঙ্গতা যার সাথে তুলনীয় কোন কিছুই দেশে কিংবা প্রবাসে কোন স্থানে কিংবা কোন শিক্ষকের সাথেই আমার হয়নি২ আহমদ ছফার সাথে অধ্যাপক রাজ্জাকের সম্পর্ক শিক্ষক ছাত্র হিসেবে ছিল গভীরতম তাদের অন্তরঙ্গতা নিযে সরদার ফজলুল করিম বলে মোহাম্মদ আলীর সাথে তার সাক্ষাতকারে৩ নাসির আলী মামুনও আহমদ ছফা তার রুর প্রতি কী রকম অধিকার বোধ করতেন ও তার প্রকাশ ঘটাতেন তার সরস বর্ণনা করে অধ্যাপক রাজ্জাকের স্মৃতিচারণে৪নাসির আলী মামুনের স্মৃতিচারণে রুর প্রতি আহমদ ছফার দখলের বোধ ও প্রেমানুভূতির যে চিত্রটি এঁকে তাতে আহরার সাহেবের ভারতীয় রু পরম্পরা অভিধাটির মাজেজা বেশ খানিকটা বোঝা যাবে পাঠকের মনে পড়ে যেতে পারে মহাভারতে কুরুপাণ্ডবের অস্ত্রগুরু দ্রোণাচার্যের ওপর অর্জুনের অধিকারবোধের কথা নিষাদপুত্র একলব্যের প্রতি অর্জুনের প্রবল ঈর্ষার আধুনিক রূপটি যেন আহমদ ছফা দেখালেন বিখ্যাত ব্যক্তিদের আলোকচিত্র তোলার নেশাকে পেশা বানিয়ে ফেলা নাসির আলী মামুনের প্রতি তার সরল হিংসার প্রকাশে১৯৭৬ সালের ঘটনা এটি নাসির আলী মামুন গিয়ে অধ্যাপক রাজ্জাকের বাড়িতে তার ছবি তুলতে হঠাৎ এর মধ্যে আহমদ ছফা আসলেনউল্টাপাল্টা শাকপায়ে ধুলা উসকো খুসকো চুলবিস্ফোরিত খ হাতে একটা বই আর এক টুকরা আঁখ আহমদ ছফা রুমে আসলেন আমি স্যারের চেয়ারে হাতে ক্যামেরাএগুলা দেখে আহমদ ছফা বললেন এই যে আপনি আপনার আইডেন্টিটি কার্ড আছে আপনি কোন পত্রিকায় কাজ করেন নানান রকম জেড়া করতে কিন্তু আমি যার বাসায় বসা রাজ্জাক স্যার তিনি আমারে প্রটেক্ট করতে না তিনি মিটমিট করে হাসতে আমি থতমত খেয়ে লাম তিনি আহমদ ছফারে বললেন আহেন মৌলবী ছফা বহেন ছফা ভাই কিছুক্ষণ ছটফট করে বের হয়ে লেন আমি হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম তো ছবিটবি তোলা শেষ আমি বের হব স্যার বললেন এহন যায়েন নাবসেন বইটই দ্যাখেন আমি তখন তার কথা বুঝি নাই আমি তাড়াতাড়ি ম টালাম দিয়ে বের হয়ে আসলাম বের হয়ে দেখি টের মধ্যে বসা ঐ ভদ্রলোক আহমদ ছফা হাতে আঁখ হাত দিয়ে কচলাইতে আমারে দেখে বললেন দাঁড়ান আপনারে কি রাজ্জাক স্যার কোনো বই দিছে আমি বললাম না দেয় নাই উনি আমার ব্যাগ চেক করা শুরু করলেন ব্যাগে বই না দেখে আমারে সেদিন ছেড়ে দিছিলেন আমার তো তখন কাঁদোকাঁদো অবস্থা থাপ্পড়টাপ্পড় দেয় কিনা না আঁখ দিয়ে বারি মারে এই চিন্তায় ছফার প্রায় শিশুসুলভ পাহারাদারির দিকটি বাদ দিলেও সম্পর্কের এই দিকটি রুত্বপূর্ণ শিক্ষকশিক্ষার্থীর আমাদের চেনা সম্পর্কে শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে সাধারণ একটা বক্তৃতা দেন সকলের জন্য শিক্ষার্থীরা সাধ্যমত গ্রহণ করেন বক্তৃতাটিকে উৎপন্ন হিসেবে বিবেচনায় নিলে সকলের জন্যই তা একই বাজারের মোড়কজাত পণ্যের মতো তাতে সাধারণ একটি মান বজায় রাখার নিশ্চয়তা থাকে কিন্তু রুবাদী শিক্ষায় সকল শিক্ষার্থী একই গূঢ় জ্ঞানের অধিকারী হবেন না যোগ্যতা আগ্রহ ও বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী কেউ শরনিক্ষেপের রহস্য জানবেন কেউ অসিচালনায় দক্ষতা পাবেন কেউ গদাধারী হবেন সতীর্থরা তাই কী পাচ্ সে বিষয়ে সজাগ ও ইর্ষাতুর কখনো অভিমানভরা দৃষ্টি রাখাটা তাই কখনো কখনো স্বাভাবিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া২ভারতবর্ষের উৎপাদন পদ্ধতি বিতর্ক বিষয়ে তার অভিমত জানতে চেয়ে আবদুর রাজ্জাককে ছফা প্রশ্ন করেছিলেন প্রখ্যাত কমুনিস্ট নেতা আবদুল হক রচিত একটি গ্রন্থকে উপলক্ষ করে যদিও ছফার গ্রন্থটিতে কাল বিষয়ে সামান্য তথ্যগত বিভ্রান্তির সুযোগ রয়েছে বলা হয়েছে রো ষাটের দশক এমনকি সত্তরের দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত এই স্তিকাটি রাজনৈতিক নেতা এবং বুদ্ধিজীবীদের কিছুটা প্রভাবিত করেছিল আবদুল হক রচিত এই গ্রন্থটি ৬৯ সালে প্রকাশিত হয়েছিল ফলে রো ষাটের দশক জুড়ে এর প্রভাব বিস্তারের সম্ভাবনা নেই সামন্তবাদের মতো তখনকার দিনের একটা আলোচিত বিষয়ে ছফাচিত্রিত রাজ্জাক সাহেবের চিন্তা ভাবনার খোঁজ আমরা এই প্রসঙ্ই পাই উদ্ধৃতির দীর্ঘতা পরিহারে কিছুটা সংক্ষিপ্ত আকারেই উপস্থাপন করা লোইন দা স্ট্রিকটেস্ট সেন্স অব দা টার্ম ইন্ডিয়াতে কোন ফিউডালিজম আছিল না বেঙ্গলের কথা তো এক্কেরে আলাদা ফিউডালিজম অইল একটা ক্লোজড সিস্টেম বংশপরস্পরা একটা পরিবার স্থায়ী অইয়া একটা জায়গায় বসা করব তার ধোপা নাপিত কামার কুমার সব আলাদা এক জায়গার মানুষ অন্য জায়গায় যাইবার পারব না আর যদি বেঙ্গলের কথায় আইয়েন তাইলে এক্কেরে অন্যকথা বলতে অয় রনো বাংলাপুঁথিতে দেখা যায় বাংলার বাণিজ্যবহর জাভা সুমাত্রা এই সকল অঞ্চলে যাওয়া আসা করছে যেখানে বাণিজ্য এই রকম সচল থাকে সেই সমাজটারে অন্য যা ইচ্ছা কইবার চান কন কিন্তু ফিউডালিজম বলবার পারবেন না তা অইলে চাঁদ সওদাগরের কাহিনী আপনের জানা বেবাক বাংলা সাহিত্যে এই রকম শিড়দাঁড়ার মানুষ একটাও দেখছেন চাঁদ সওদাগর চরিত্রের এই যে ঋজুতা এইডা অইল সমুদ্র বাণিজ্য শক্তির প্রতীকআমি আমার মূল প্রশ্নে ফিরে লাম উনারা যে বলছেন পূর্ববাংলা আধাসামন্তবাদী আধাউপনিবেশবাদীস্যার ঈষৎ বিরক্ত হয়ে বললেন ওরা যদি গায়ের জোরে কইবার চায় আপনে কী করবেন মারি করবেন নিহি৫এটা খুবই স্বাভাবিক যে সামন্তবাদের বিতর্ক আজকাল মানুষ ভুলেই ছে প্রায় তরুণেরা বলতে লে জানেনই না বাংলাদেশের উৎপাদন পদ্ধতি কি পুঁজিবাদী না সামন্ততান্ত্রিক না আধাসামন্ততান্ত্রিক সেটা এক বিস্তর বিতর্কের বিষয় ছিল ষাটের দশক থেকেই বামপন্থীদের প্রধান দুটো ভাগ মস্কোপন্থীদের রোটা এবং পিকিংপন্থীদের একাংশ মনে করতো পূর্ব পাকিস্তানের উৎপাদন পদ্ধতি আধাসামন্তবাদী৬ ১৯৬৪ সালে রায়পুরার কৃষক সম্মেলন আবদুল মতিন আলাউদ্দিন ও আবদুস সামাদ পূর্ব পাকিস্তানের কৃষিতে ধনতন্ত্র প্রধান বলে তত্ত্ব হাজির করেন তার বিরোধিতা করে ১৯৬৯ সালে পূর্ববাংলার তখনকার অন্যতম প্রধান কমিউনিস্ট নেতা এবং একই পার্টিভুক্ত আবদুল হক রচনা করেন তার পূর্ব বাংলা আধা ঔপনিবেশিক আধা সামন্তবাদী স্তিকাটি আবদুল হকের ব্যাখ্যার সমর্থন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত অধ্যাপক আবু আহমেদ যিনি সর্বপ্রথম দুই পাকিস্তানের অর্থনীতির বৈষম্য বিষয়টি আলোচনায় এনে আলোড়ন তৈরি করেছিলেন এনএসএফের ণ্ডাদের শারিরীক রুতর হামলা শুধু নয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিও খুইয়েছিলেন ৭১ পরবর্তীতে বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিতে ধনবাদ প্রধান বক্তব্য দিয়ে আবারও একটি স্তিকা রচনা করেছিলেন অর্থনীতিবিদ আখলাকুর রহমান সেটার সমালোচনা করে আবদুল হক আবারও লেখেন কৃষি ব্যবস্থা আধা সামন্ততান্ত্রিক গ্রন্থটি৭অজস্র রচনা তখন এসেছে এ বিষয়ে অজস্র ভাতৃঘাতী খুনও ঝরেছে এই বিতর্কে বিপ্লবী রাজনীতির সাথে যুক্ত অধিকাংশ তাত্ত্বিক এ বিষয়ে নিজ নিজ অবস্থান ব্যক্ত করে কিছু না কিছু লিখেঅর্থনীতিতে সামন্তবাদের উপস্থিতি বিষয়ে সম্ভবত ৯০ দশকে শেষ জোরালো বক্তব্য দেন ফরহাদ মজহার ব্রাত্য রাইসু রাজু আলাউদ্দিন ও মশিউল আলমকে দেয়া একটা সাক্ষাতকারে রাজু আলাউদ্দিনের প্রশ্নের উত্তরে তিনি শুধু যে সামন্তবাদ কিংবা আধা সামন্তবাদ আছে তাই না এনজিওর উচ্চসুদের কারবার গ্রামাঞ্চলে সেটাকে আরও শক্তিশালী করছে এমন মত প্রকাশ করে বলেন৮রাজু উচ্চহারে সুদ দেওয়ার কারণে ফিউডালিজম ধ্বংসপ্রাপ্ত হচ্ছেফরহাদ আপনি তো জমিদারদেরও সুদ দিচ্ খালি গরীব কৃষকদেরই সুদ দিচ্ না জমিদারও কুসীদজীবীর কাছ থেকে সুদ নিচ্ছে মহাজনের কাছ থেকে এবং বড় জমির িকরা সুদ নিচ্ছে নিয়ে তার কাছে সে কিন্তু বন্ধক থাকছে থাকার কারণে সে জমি হারাচ্ছে এবং উৎপাদন ব্যবস্থা এতে কিন্তু ক্ষয় লাভ করছে ক্ষয়িষ্ণু হচ্ছে এখান থেকে মার্ক্স কী সিদ্ধান্ত টানলো জানেন বললো যে এটা প্রগতিশীল এটাতে ভীত হওয়ার কোনো কারণ নেই এটাই হিস্ট্রির প্রসেস আমি পছন্দ করি আর না করি ক্যাপিটালিজম একটা বর্বর জিনিস দিস উইল হ্যাপেন ইউ ক্যাননট স্টপ ইট এখানে মর্যালিজম করে লাভ নেই কাজেই আমি যেহেতু এখনও পর্যন্ত আমার বন্ধু ছফা আমাকে যতই গালিগালাজ করেন মার্ক্সের ছাত্র হওয়াটা আমি ছেড়ে দেই নাই আমি মর্যাল ক্রিটিসিজমের জায়গায় যাই না আমি প্রসেসটা বোঝার চেষ্টা করি তা হলে আমরা দেখবো যে ড ইউনূসের এই যে ব্যবস্থাটা এটা কী করছে আমাদের সমাজকে কি এটা আসলে ভাঙছে নাকি সমাজে আসলে রিইনফোর্স করছে ফিউডালিজম ফিউডালিজম ধারণাটার মুশকিল থাকা সত্ত্বেও ভালো কিছু হাতের কাছে নেই বলে এটাই বললাম রাজু আপনার কি ধারণা রিইনফোর্স করছেফরহাদ রিইনফোর্স করছে রাজু ফিউডালিজমকেফরহাদ যে নামেই বলুন রোনো পশ্চাৎপদ ও প্রতিক্রিয়াশীল উৎপাদন সম্পর্ক তো গ্রামে বহাল তবিয়তেই আছে বিলুপ্ত হয়নি তো আমাদের রাজনীতি আর সংস্কৃতির দিকে তাকান কী দেখেন মাস্তানিভারতবর্ষে সামন্তবাদের উপস্থিতি কিংবা অনুপস্থিতি বিষয়ে পণ্ডিতরা একমত নন এর একটা প্রধান কারণ বিতর্কের বিষয়বস্তু আর তার সংজ্ঞার অনির্দিষ্টতা কিন্তু আহমদ ছফার বয়ানের অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক যে যুক্তি ও সাক্ষ্যের ওপর ভিত্তি করে সামন্তবাদের উপস্থিতি অপ্রমাণ করতে চেয়ে সেটাই ইতিহাস বিচারে আরও একটি খটকার জন্ম দেয় চলবেপড়ুনঅধ্যাপক রাজ্জাক কয়েকটি খটকা পর্ব৭ প্রসঙ্গ জিন্নাহ টীকা১ ডেইলি স্টার জুলাই ৬ ২০১৫২ আ রা স্মা গ্র পৃষ্ঠা ২৭০ ৩ তুমি জানলা কেমন করে আমরা গিয়ে দেখতাম তিনি ছফার সঙ্গে আলাপআলোচনা করছেন ইয়ার্কিঠাট্টা করছেন তখন আমরা কাইটা পড়তাম কারণ ছফার সঙ্গে তাঁর আড্ডা ছিল ভিন্ন ধরনের ছফার সঙ্গে প্রফেসর রাজ্জাক খুব ইন্টিমেট ছিলেন ছফা তাঁর সাথে ইয়ার্কিঠাট্টা করত হ্যাঁ ছফা তো প্রফেসর রাজ্জাককে ছাড়ত না ও মুখের ওপর কিছু বলতে পরোয়া করত না প্রফেসর রাজ্জাকের সাথে আমরা তেমনভাবে মিশতাম না ছফা দরকার হলে টাকা চাইত বলত আমার এত টাকা লাগবে আমাদের সাথে এ ধরনের সম্পর্ক ছিল না আমরা যাইতাম তাঁর কাছে জ্ঞানের কথাটথা শুনতে দেশবিদেশের বিভিন্ন বিষয়ে আলাপআলোচনা করতে৪ অধ্যাপক রাজ্জাকের সাথে আহমদ ছফার এই রুশিষ্য সম্পর্ক বাকি সতীর্থদের প্রতি কতটা ঈর্ষার পর্যায়ে গিয়েছিল সেটা বোঝা যাবে বর্ণনাটি নেয়া হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রিডিং ক্লাবের আয়োজনে ২৪ মার্চ ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত নাসির আলী মামুনের একটি স্মৃতিচারণে৫ যদ্যপি আমার রু পৃষ্ঠা ৪৮৬ জানাঅজানা ভাষা মতিন ড মাহবুব উল্লাহ্ ১৪ অক্টোবর ২০১৪ দৈনিক যুগান্তর ৭ ডা এম এ করিম সাপ্তাহিক সেবা৩৩ বর্ষ সংখ্যা ১১রোববার২৪ নভেম্বর ২০১৩৮ খুবই অন্যায় করেছে উন্নত বিশ্ব ডঃ ইউনূসকে নোবেল প্রাইজ না দিয়ে এটা বর্ণবাদের অংশ ফরহাদ মজহার আদাবর শ্যামলী ২১১৯৯৬ ব্রাত্য রাইসুর সৌজন্যে পাওয়া এত রনো একটা সাক্ষাতকার তার ব্যক্তিগত সংগ্রহ থেকে ব্যবহার করতে দেয়ার জন্য তাকে ্যবাদ |
অধ্যাপক রেজাউল হত্যা আটজনকে আসামি করে চার্জশিট দেশ রাজশাহী ০৬ নভেম্বর ২০১৬ ১৮০১ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাবি ইংরেজি বিভার অধ্যাপক রেজাউল হত্যার চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি লিশের পরিদর্শক রেজাউস সাদিক রবিবার আটজনকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন হত্যাকাণ্ডের প্রায় সাড়ে ছয় মাস পর লিশ চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের চার্জশিট জমা দিলোরাজশাহী মহানগর লিশের মুখপত্র ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার ইফতেখায়ের আলম এ তথ্য নিশ্চিত করে সিনিয়র সহকারী কমিশনার ইফতেখায়ের আলম জানান মোট আটজনকে আসামি করে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে এদের মধ্যে লিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ইতোমধ্যেই তিনজন নিহত হয়েছে এরা হলো খাইরুল ইসলাম বাদল উসমান ও নজরুল ইসলাম এই মামলার এক নম্বর আসামি শরিফুল ইসলাম তক এছাড়া রিপন আবদুস সাত্তার রহমতুল্লাহ ও মাসকাওয়াত ওরফে আবদুল্লাহ কারাগারে আছে তারা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেতিনি আরও জানান রাজশাহী আদালতে লিশের পক্ষ থেকে চার্জশিট মেট্রো কোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে সেখান থেকে কোন আদালতে মামলাটি দেওয়া হবে তা নির্ধারণ করা হবেএদিকে রবিবার বিকালে এই মামলার বাদী ও নিহত শিক্ষকের ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ সৌরভ বলেন আমরা ফাইনাল চার্জশিটের ব্যাপারে জানি না তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আজ রাতে আমাদের সঙ্গে দেখা করবেনএর আগে ড রেজাউল করিম হত্যার বিচার দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকশিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন মহল আন্দোলন করে আসছিলঅধ্যাপক রেজাউল হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি লিশের পরিদর্শক রেজাউস সাদিক বলেন বিষয়টি অনেক রুত্বপূর্ণ তাই সঠিক যাচাইবাছাই করতে তদন্তে দেরি হয়েছেউল্লেখ্য চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল রাজশাহী মহানগরীর শালবাগান এলাকায় নিজ বাড়ির অদূরে অধ্যাপক রেজাউল করিমকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা এ ঘটনায় নিহত শিক্ষকের ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ সৌরভ বাদী হয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা করেনবিটি |
অধ্যাপক রেজাউল হত্যা ছয় মাসেও জমা পড়েনি অভিযোগপত্র দেশ রাজশাহী ২৩ অক্টোবর ২০১৬ ১৯০১ একাধিক মন্ত্রী ও লিশের মহাপরিদর্শকের দেওয়া দ্রুত বিচারের প্রতিশ্রুতির পর ছয় মাস পেরিয়ে লেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাবি ইংরেজি বিভার অধ্যাপক এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যা মামলার অভিযোগপত্র জমা দিতে পারেনি লিশ এমনটাই অভিযোগ শিক্ষকের পরিবারসহ সহকর্মী ও শিক্ষার্থীদেরঅধ্যাপক রেজাউলের মেয়ে রেজওয়ানা হাসিন শতভি বলেন শুনেছি মূল আসামি নাকি দেশে নেই ভারতে পালিয়েছে ছয় মাসেও অভিযোগপত্র জমা না দেওয়ায় আমি ও আমার পরিবার হতাশ হয়ে পড়ছিওই বিভার শিক্ষক ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো শহীদুল্লাহ্ বলেন হত্যাকাণ্ডের ছয়মাস পরও তদন্তে তেমন কোনও সন্তোষজনক অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি না প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি দ্রুত অভিযোগপত্র জমা দিয়ে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা হোক আমরা আর কোনও শিক্ষককে হারাতে চাইনাইংরেজি বিভার সভাপতি অধ্যাপক মাসউদ আখতার বলেন রেজাউল স্যারের হত্যাকাণ্ডের ছয়মাস পেরিয়ে যাচ্ছে এই ছয়মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভার শিক্ষকশিক্ষার্থী ও দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আন্দোলন করেছেলিশ বলছে তদন্তে ভালো অগ্রগতি হয়েছে যথাসময়ে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে উল্লেখ্য হত্যার ঘটনার পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এসে দ্রুত বিচারের আশ্বাস দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রী স্বাস্থ্যমন্ত্রী পররাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী ও লিশের মহাপরিদর্শকএদিকে এ হত্যায় চারজন আসামি বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়ে বলে বিভিন্ন সময় লিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় এদের মধ্যে রাজশাহীতে বন্দুকযুদ্ধে নিহত নজরুল ইসলাম ওরফে বাইক হাসান ঢাকার কাশলীতে তারেক হাসান নিলু ওরফে ওসমান ও সুলতান মাহমুদ ওরফে কা এবং বগুড়ার শেরপুরে রিপন এছাড়া ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়এদের মধ্যে হাফিজুর নামে এক শিবিরকর্মী লিশ হেফাজতে অসুস্থ হয়ে মারা যায় গ্রেফতারকৃতদের চারজন অভিযোগ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে বলেও জানা যায় ১৬ মে জেএমবি সদস্য মাসকাওয়াত হাসান সাকিব এবং ২২ মে আব্দুস সাত্তার ও তার ছেলে রিপন আলী জবানবন্দি দেয় অন্য একজনের নাম জানা যায়নিমামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজশাহী মহানগর ডিবি লিশের পরিদর্শক রেজাউস সাদিক বলেন আমরা প্রায় শতভাগ কাজ শেষ করে ফেলেছি খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমরা অভিযোগপত্র জমা দিতে পারবোমহানগর গোয়েন্দা লিশের মুখপাত্র ইফতে খায়ের আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন তদন্তে ভালো উন্নতি হয়েছে ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এদের মধ্যে চারজন অভিযোগ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে এছাড়া চারজন আসামি বিভিন্ন সময় বন্দুকযুদ্ধে মারা ছে তবে মূল পরিকল্পনাকারী ইংরেজি বিভার শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম তক আছে আমরা তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছি আশা করছি খুব দ্রুতই অভিযোগপত্র দিতে পারবোমৌন মিছিলঅধ্যাপক রেজাউল হত্যার ছয় মাস পূর্তিতে ক্যাম্পাসে মৌন মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিভার শিক্ষকশিক্ষার্থীরা রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহীদুল্লাহ কলাভবনের সামনে থেকে একটি মিছিল বের করে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে মুকুল প্রতিবাদ ও সংহতি মঞ্চে এসে সমাবেশে মিলিত হয় সমাবেশে বক্তারা অভিযোগপত্র না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেনপ্রসঙ্গত ২৩ এপ্রিল অধ্যাপক রেজাউলকে নিজ বাসার পাশেই ধারালো অস্ত্রে হত্যা করা হয় ওই দিন বিকেলে অধ্যাপকের ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ সৌরভ বাদী হয়ে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন পরদিন ২৪ এপ্রিল মামলা ডিবিতে স্থানান্তর করা হয় এরপর বিভিন্ন সময় এ ঘটনায় জেএমবি সদস্যরা সরাসরি জড়িত বলে মহানগর লিশের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয়এমডিপিএইচকে |
অধ্যাপক রেজাউল হত্যা দুই জেএমবি সদস্যের ফাঁসি তিনজনের যাবজ্জীবন দেশ রাজশাহী ০৮ মে ২০১৮ ১৪২৫ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাবি অধ্যাপক এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যা মামলায় দুই জেএমবি সদস্যের ফাঁসি ও তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে আদালত মঙ্গলবার ৮ মে দুরে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শিরিন কবিতা আক্তার এই রায় দেন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলো অধ্যাপক রেজাউল হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী তক রাবির ইংরেজি বিভার শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম ও বগুড়ার শিবগঞ্জের মাসকাওয়াত হাসান ওরফে আব্দুল্লাহ ওরফে সাকিব তারা জেএমবির সদস্য যাবজ্জীবন পাওয়া তিন আসামি হলেন নীলফামারীর মিয়াপাড়ার রহমতউল্লাহ রাজশাহী মহানগরীর নারকেলবাড়িয়া এলাকার আব্দুস সাত্তার ও তার ছেলে রিপন আলীঅধ্যাপক রেজাউল করিমের মেয়ে রিজওয়ানা হাসিন শতভি বলেন এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট এই রায়ই যেন উচ্চ আদালতে বহাল থাকে এবং দ্রুত কার্যকর হয় তক শরিফুলকে আমরা দেখতে চাই তাকে যেন দ্রুত গ্রেফতার করা হয়রাষ্ট্রপক্ষের পিপি অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু বলেন অধ্যাপক রেজাউল অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার চিন্তাভাবনা করতেন শিক্ষকতার পাশাপাশি তার এলাকায় তিনি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন তিনি মুক্তমনা হওয়ায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তার গ্রহণযোগ্যতা অন্যরকম ছিল তিনি আরও বলেন অধ্যাপক রেজাউল হত্যার মূল পরিকল্পনা করা হয় রাজশাহীর বাগমারা থেকে আসামিদের মধ্যে দুই জেএমবি মাসকাওয়াত হাসান ও শরিফুলএই হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা ছিলউল্লেখ্য ২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল সকালে রাজশাহী নগরীর শালবাগান এলাকায় নিজের বাড়ি থেকে মাত্র ৫০ গজ দূরে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয় রাবির ইংরেজি বিভার অধ্যাপক ড এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে তিনি কোমলগান্ধার নামে একটি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করতেন সুন্দরম নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনেরও উপদেষ্টা ছিলেন অধ্যাপক রেজাউল ভালো সেতার বাজাতেন তিনি একটি গানের স্কুল প্রতিষ্ঠারও চেষ্টা করছিলেনএরপর ২০১৭ সালের ৬ নভেম্বর আটজনকে আসামি করে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা রাজশাহী মহানগর লিশের গোয়েন্দা শাখার ডিবি পরিদর্শক রেজাউস সাদিক চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার অভিযুক্ত আট আসামির মধ্যে খায়রুল ইসলাম বাঁ নজরুল ইসলাম ওরফে হাসান ওরফে বাইক হাসান ও তারেক হাসান ওরফে নিলু ওরফে ওসমান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েঅভিযুক্ত অন্যরা হলেন বগুড়ার শিবগঞ্জের মাসকাওয়াত হাসান ওরফে আব্দুল্লাহ ওরফে সাকিব নীলফার মিয়াপাড়ার রহমতউল্লাহ রাজশাহী মহানগরীর নারিকেলবাড়িয়া এলাকার আবদুস সাত্তার ও তার ছেলে রিপন আলী রাবির ইংরেজি বিভার শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী শরিফুল এখনও তক আবদুস সাত্তার রয়ে জামিনে আর বাকি আসামিরা রয়ে কারাগারেরাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু বলেন এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জীবিত ও মৃত আসামিদের সম্পৃক্ততা প্রমাণ করতে পেরেছি রায়ে জীবিত আসামিদের সবার সর্বোচ্চ শাস্তি হবে বলে আশা করছিতবে এ মামলার আসামি জেএমবির শরিফুল এখনও গ্রেফতার না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে নিহত শিক্ষক রেজাউল করিমের মেয়ে রিজওয়ানা হাসিন শতভি তিনি বলেন শরিফুল বাবাকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী সে এখনও গ্রেফতার হলো না এই বিষয়টা আমাদের খুব পীড়া দেয় আমরা তো তার বিচারই আগে দেখতে চাইশরিফুল অধ্যাপক রেজাউলের ছাত্র ছিল রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় তার বাড়ি অধ্যাপক রেজাউলের গ্রামের বাড়িও বাগমারায় তাই তাদের মধ্যে বেশ ভালো সম্পর্ক ছিল এই হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই শরিফুল তকঅধ্যাপক রেজাউল হত্যার পর ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আটক এক আইএস র সঙ্গে শরিফুলের সম্পৃক্ততা পেয়েছে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ তাই শরিফুল ভারতেই পালিয়ে আছে বলে ধারণা করে রাজশাহীর লিশ শরিফুলকে ধরিয়ে দিতে রাজশাহী মহানগর লিশ দুই লাখ টাকা রস্কার ঘোষণা করেছিল কিন্তু তার হদিস পাওয়া যায়নি |
অধ্যাপক রেজাউল হত্যা প্রদীপ জ্বালিয়ে বিচার দাবি দেশ রাজশাহী ০৩ মে ২০১৬ ২১০২ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভার অধ্যাপক এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যার প্রতিবাদে ও জড়িতের শাস্তির দাবিতে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি পালিত হয়েছে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা টে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এ কর্মসূচির আয়োজন করে এতে সমিতির সভাপতি অধ্যাপক শহীদুল্লাহ সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শাহ আজম সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহাসহ বিভিন্ন বিভার শিক্ষক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেনউল্লেখ্য গত ২৩ এপ্রিল রাজশাহী নগরীর শালবাগান এলাকায় অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে গলাকেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরাবিটিআপএআর |
অধ্যাপক রেজাউল হত্যা প্রদীপ প্রজ্বালন কর্মসূচিতে প্রক্টরের বাধা দেশ রাজশাহী ২৩ এপ্রিল ২০১৮ ২২৪২ প্রক্টরের বাধায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভার অধ্যাপক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী স্মরণে প্রদীপ প্রজ্বালন কর্মসূচি আয়োজন করতে পারেনি বিভার শিক্ষার্থীরা সোমবার ২৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে প্রদীপ প্রজ্বালনের প্রস্তুতিকালে প্রক্টর অধ্যাপক ড লুৎফর রহমান বাধা দেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা তবে প্রক্টরের দাবি ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কার্যক্রম চলছিল তাই শিক্ষার্থীদের নির্বাচন শেষে কর্মসূচি পালনের কথা বলা হয়েছিল শিক্ষার্থীদের অভিযোগ শিক্ষক রেজাউল করিম হত্যাকাণ্ডের দুই বছর পার হওয়ায় দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্বালন কর্মসূচির আয়োজন করে ইংরেজি বিভাগ এজন্য প্রক্টরের অনুমতিও নেন শিক্ষার্থীরা পরে সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে একপাশে সড়ক বন্ধ করে মোমবাতি প্রজ্বালনের প্রস্তুতি এবং আলপনা তৈরির কাজ করছিলেন শিক্ষার্থীরা এ সময় হঠাৎই প্রক্টর এসে রাস্তায় চলাচলে সমস্যা হচ্ছে বলে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি বাদ দিয়ে চলে যেতে বলেন শিক্ষার্থীরা প্রক্টরকে বার বার অনুরোধ করলেও তাদেরকে চলে যেতে বাধ্য করা হয়জানতে চাইলে প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন শিক্ষার্থীরা যখন কর্মসূচির প্রস্তুতি নিচ্ছিল তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কার্যক্রম চলছিল তারা রাস্তার একপাশ বন্ধ করে দেওয়ায় শিক্ষকদের চলাচলে সমস্যা হচ্ছিল তাই আমি তাদের নির্বাচন কার্যক্রম শেষে কর্মসূচি পালন করতে বলি এ ব্যাপারে ইংরেজি বিভার সভাপতি অধ্যাপক মাসউদ আখতার বলেন শিক্ষার্থীরা আমাকে এ ব্যাপারে জানিয়েছে আমি পরবর্তীতে প্রক্টরের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবোএর আগে সকাল ১০টায় হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মৌন মানববন্ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরাউল্লেখ্য ২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল রাজশাহীর শালবাগান এলাকায় অধ্যাপক রেজাউলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ৬ নভেম্বর আট জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজশাহী মহানগর লিশের গোয়েন্দা শাখার ডিবি পরিদর্শক রেজাউস সাদিক যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শিরীন কবিতা আখতার আগামী ৮ মে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন |
অধ্যাপক রেজাউল হত্যা মামলায় গ্রেফতার শিবির নেতার মৃত্যু দেশ রাজশাহী ১৯ মে ২০১৬ ০৮৩৭ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভার অধ্যাপক ড এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত শিবির নেতা হাফিজুর রহমান ২১ মারা বৃহস্পতিবার ১৯ মে ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে তিনি মারা যান রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রামেক চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছেহাফিজুর রহমান রক্ত স্বল্পতাজনিত জন্মগত সমস্যায় ভুগছিলেন বলে জানান রামেকের উপপরিচালক ডা গাজী সাইফুল আলম চৌধুরী এই সমস্যার সূত্র ধরেই তার শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা দেখা দেয় ও হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়এর আগে কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়ায় গত ১৭ মে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল রামেকের ওয়ার্ড মাস্টার মোশাররফ হোসেন জানান হাফিজুর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেনমত্যুর পর হাফিজুরের লাশ রামেক মর্গে রাখা হয়েছে ময়না তদন্তের পর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হতে পারেউল্লেখ্য রাবি শিক্ষক অধ্যাপক রেজাউল হত্যা মামলায় গত ২৩ এপ্রিল রাতে নগরীর ছোট বনগ্রাম এলাকা থেকে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের শিবির সেক্রেটারি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভার ছাত্র হাফিজুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয় গত ২৮ এপ্রিল আদালত তাকে চারদিনের রিমান্ডে পাঠান রিমান্ড শেষে তিনি কারাগারে ছিলেন ১৭ মে তাকে রামেক হাসপতালে পাঠানোর পর থেকে তিনি হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন ছিলেনগত ২৩ এপ্রিল রাজশাহীর শালবাগান এলাকায় নিজ বাসা থেকে একটু দূরে অধ্যাপক রেজাউল করিমকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে নিহতের ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ সৌরভ বাদী হয়ে মহানগরীর বোয়ালিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন মামলাটি সর্বোচ্চ রুত্ব দিয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য ওই দিনই মহানগর ডিবি লিশের কাছে স্থানান্তর করা হয় এই ঘটনায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন জামায়াতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশ বা জেএমবির সদস্যরা সরাসরি জড়িত বলে জানিয়েছে লিশ আরও পড়ুন সংবাদ সম্মেলনে কী বলবেন সেলিম ওসমানএফএস |
অধ্যাপক রেজাউল হত্যাকাণ্ড বিচার দাবিতে ছুটিতেও ক্যাম্পাসে আন্দোলন অব্যাহত দেশ ১২ জুন ২০১৬ ০০৪৩ অধ্যাপক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটির ঘোষণার পরেও আন্দোলন অব্যাহত রেখে ইংরেজি বিভার শিক্ষকশিক্ষার্থীরা শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ্ কলাভবনের সামনে থেকে একটি মিছিল বের করেন শিক্ষকশিক্ষার্থীরা মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে মুকুল প্রতিবাদ ও সংহতি মঞ্চে গিয়ে শেষ হয় সেখানে তারা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেনআরও পড়তে পারেন বিএনপির ইফতারে বিদিশাসমাবেশে ইংরেজি বিভার সভাপতি এ এফ এম মাসউদ আখতার বলেন দেশব্যাপী হত্যা বন্ধ করতে আমাদের সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে কিন্তু সেটা দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া তাই অধ্যাপক রেজাউল হত্যার প্রকৃত খুনিদের শাস্তির দাবিতে আমরা আন্দোলন অব্যাহত রাখছি এছাড়া ঈদের ছুটির পূর্ব পর্যন্ত প্রত্যেক শনিবার কর্মসূচি চলবে বলে জানান তিনিগত ২৩ এপ্রিল রাজশাহীর শালবাগান এলাকায় নিজ বাসা থেকে একটু দূরে দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন অধ্যাপক রেজাউল করিম এ হত্যার ঘটনায় জেএমবি সদস্যরা সরাসরি জড়িত রয়েছে বলে দাবি করছেন রাজশাহী মহানগর লিশআরও্ পড়তে পারেন আমরা যুদ্ধ করতে চাই নাএমএসএম টিএন |
অধ্যাপক রেজাউল হত্যাকাণ্ড থেমে নেই শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দেশ রাজশাহী ০৫ মে ২০১৬ ১৫১৬ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভার অধ্যাপক এ এফ এম রেজাউল হত্যার ১৩ তম দিন আজ বৃহস্পতিবার ৫ মে ইতোমধ্যে গ্রীষ্মকালীন ছুটি শুরু হয়ে ছে ক্যাম্পাসে হাতেগোনা কয়েকজন শিক্ষার্থীর পদচারণা দেখা যাচ্ছে কিন্তু এখনও থেমে নেই প্রিয় শিক্ষক হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে চলমান আন্দোলন বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে মুকুল প্রতিবাদ ও সংহতি মঞ্চ থেকে এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবিতে মিছিল বের করেন ইংরেজি বিভার শিক্ষার্থীরা মিছিলটি ক্যাম্পাস ঘুড়ে নরায় সেখানে গিয়ে শেষ হয় এরপর তারা আন্দোলন বেগবান রাখতে নিজেদের মধ্যে মতবিনিময় করেন এ সময় শিক্ষার্থীরা সুষ্ঠু বিচার না হওয়ার পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এর আগে গত ২ মে বিভার শিক্ষকশিক্ষার্থীরা ছুটির মধ্যেও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন একজন ক্যাম্পাসে থাকলেও তারা এ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে ওই দিন ঘোষণা দেনগত ২৩ এপ্রিল রাজশাহীর শালবাগান এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে একটু দূরে অধ্যাপক রেজাউলকে গলাকেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা এরপর থেকেই বিচারের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষকশিক্ষার্থীরাআরও পড়ুননিজামীর নির্দেশেই বুদ্ধিজীবী হত্যা খের জলও শুকিয়ে ছেবিটি |
অধ্যাপক রেজাউল হত্যাকাণ্ড মন্ত্রীদের আশ্বাসে শিক্ষক সমিতির আন্দোলন স্থগিত দেশ ১৭ মে ২০১৬ ১২৪২ মন্ত্রীদের আশ্বাসে অধ্যাপক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যার বিচারের দাবিতে চলমান আন্দোলন স্থগিত করেছে শিক্ষক সমিতি গত ১৪ ও ১৫ মে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রী স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এসময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে শিক্ষক হত্যার দ্রুত বিচারের আশ্বাস দেন তারা শিক্ষকদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে ক্লাসে ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেনমঙ্গলবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলন স্থগিতের বিষয়টি জানান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শাহ আজমতিনি জানান মন্ত্রীদের উদ্যোগ আন্তরিকতা সহমর্মিতা ও অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আপাতত আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি তবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ অব্যাহত থাকবেতিনি জানান এর মধ্যে দোষীদের শনাক্তকরণে এবং শাস্তিবিধানে সরকারি দফতরগুলোর আন্তরিকতার অভাব দেখা লে শিক্ষক সমিতি আবারও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবেশিক্ষক সমিতির সদস্য অধ্যাপক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে গত ২৩ এপ্রিল থেকে শিক্ষক সমিতি বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছিল আর গত ৬ মে থেকে নিয়মিত মানববন্ করে আসছিলঅন্যদিকে ইংরেজি বিভাগও তাদের চলমান কর্মসূচি স্থাগিত করেছে গত ২৩ এপ্রিল থেকে তারা নিয়মিত হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মৌন মিছিল মানববন্ প্রতিবাদ সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছিলবিভার সভাপতি এ এফ এম মাসউদ আখতার বাংলা ট্রিবিউনকে জানান মন্ত্রীদের আশ্বাস ও অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আপাতত আন্দোলন স্থগিত করেছি এর মধ্যে মামলার অগ্রগতি না দেখলে ছুটির পর নতুন কর্মসূচি হাতে নেবোএর আগে গত ২৩ এপ্রিল রাজশাহী নগরীর শালবাগান এলাকায় নিজ বাড়ির পাশে অধ্যাপক রেজাউলকে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা সোমবার অধ্যাপক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক জেএমবি সদস্য মাসকাওয়াত হাসান সাকিব ওরফে আব্দুল্লাহ দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েআরও পড়ুন তিন শতাধিক কারখানা বন্ধের প্রক্রিয়ায় নাটক নাকি বাস্তবতা ডিএনএ রির্ট নিয়ে সন্তুষ্ট তনুর পরিবারজেবিএপিএইচ |
অধ্যাপক রেজাউল হত্যাকাণ্ড রাবিতে যাচ্ছেন চার মন্ত্রী দেশ ১১ মে ২০১৬ ১৩৩৪ আগামী ১৪ মে শনিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কা শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম পরদিন ১৫ মে রাবিতে যাচ্ স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম অধ্যাপক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যার বিচার দাবিতে চলমান আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করতে তারা রাজশাহী যাচ্ বলে জানা ছেবিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শাহ আজম বলেন আগামী ১৪ মে শনিবার বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ছাত্রশিক্ষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন এছাড়া ১৫ মে বেলা ১২টায় সিনেট ভবনে আয়োজিত সংহতি ও মনবিনিময় সভায় উপস্থিত থাকবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমআরও পড়ুন জড়িত ৫২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের খোঁজ নিচ্ছে সরকারবুধবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে আয়োজিত মানববন্ে তিনি এসব কথা জানান এসময় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি আয়োজিত মানববন্ে ব্যানার নিয়ে যোগ দেন ইংরেজি বিভার শিক্ষকশিক্ষার্থীরামানববন্ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক শহীদুল্লাহ্ বলেন আমরা বিচারের দাবিতে প্রতিদিন এখানে দাঁড়াচ্ছি যেন মানুষ গড়ার কারিগরদের ওপর এভাবে আর হামলা না হয় কিন্তু মামলার অগ্রগতি জানতে চাইলে প্রশাসন বলে কাজ চলছে বা তদন্তের স্বার্থে কিছু বলা যাচ্ছে না তবে কী কাজ চলছে তা আমরা বুঝতে পারছি না অন্যান্য হত্যাকাণ্ডের মতো এ মামলাও অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে কিনা তাও বুঝতে পারছি নাইংরেজি বিভার সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন এ হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার করতে হবে কোনও যুক্তিতেই এ হত্যাকাণ্ডগুলো গ্রহণযোগ্য নয় এমনকি যারা হত্যাকাণ্ডগুলো চালাচ্ছে তারাও এটাকে অন্যায্য বলবে সুতরাং এ আন্দোলনের মাধ্যমে হত্যাকারীদের ভঙ্গিমাটাকে চেঞ্জ করতে চাইআরও পড়ুন এসএসসির ফল প্রকাশ পাসের হার ৮৮২৯ শতাংশজীব ও ভূবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম ফারুকী বলেন শুধু এ হত্যাকাণ্ডের বিচার নয় এ আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে সব হত্যাকাণ্ড চিরদিনের জন্য বন্ধ করতে হবে আমরা চাই সরকার এ দিকে দৃষ্টি দিয়ে এ হত্যাকাণ্ডগুলোর বিচার করুকমানববন্ে আরও বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইসমাইল হোসেন ও ইংরেজি বিভার সহযোগী অধ্যাপক রুবাইদা আখতার এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সায়েন উদ্দিন আহমেদসহ তিন শতাধিক শিক্ষকশিক্ষার্থী কর্মকর্তাকর্মচারী উপস্থিত ছিলেনগত ২৩ এপ্রিল সকালে নগরীর শালবাগান এলাকায় নিজ বাসার পাশে অধ্যাপক রেজাউলকে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা ঘটনার দিন বিকেলে ওই শিক্ষকের ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ সৌরভ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নামে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা লিশ মামলাটির তদন্ত করছে এ ঘটনায় শিবির নেতা হাফিজুর রহমান ইমাম রায়হান ইসলাম ও যুবক খায়রুল ইসলামকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে লিশ তবে তারা হত্যার কথা স্বীকার করেনিএফএস এপিএইচ |
অধ্যাপক রেজাউল হত্যার দায় স্বীকার করে জেএমবি সদস্যের জবানবন্দি দেশ রাজশাহী ১৬ মে ২০১৬ ২১৩৮ অধ্যাপক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের জেএমবি এক সদস্য দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে বলে লিশ দাবি করেছেস্বীকারোক্তি দেওয়া মাসকাওয়াত হাসান সাকিব ওরফে আব্দুল্লাহ বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার সাজুরিয়া গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে তিনি রংর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র সোমাবার বিকালে রাজশাহী মহানগর মুখ্য হাকিম আদালত ২এর বিচারক খালেদ হোসেন খানের খাস কামরায় জেএমবি হিসেবে চিহ্নিত আব্দুল্লাহ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে আদালত ও লিশের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে স্বীকারোক্তির পরে আব্দুল্লাহকে কারাগারে পাঠানো হয়েছেএদিকে মঙ্গলবার দুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলন করে রাজশাহী মহানগর লিশের পক্ষ থেকে জেএমবি সদস্য আব্দুল্লাহকে গ্রেফতারের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়ে কমিশনার শামসুদ্দিনরাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা লিশের মুখপাত্র ইফতে খায়ের আলম জানান গতকাল রবিবার ১৫ মে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থেকে তাকে আটক করা হয় আজ সোমবার তাকে আদলতে পাঠানো হয়প্রসঙ্গত গত ২৩ এপ্রিল শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় রাজশাহীর শালবাগান এলাকায় নিজ বাসা থেকে ১৫০ গজ দূরে অধ্যাপক রেজাউল করিমকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় এ ঘটনায় ওইদিন নগরীর বোয়ালিয়া থানায় একটি মামলা করেন শিক্ষকের ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ সৌরভওই মামলায় এর আগে আরও তিনজনকে গ্রেফতার দেখানো হয় তারা হলেন বাগমারা দরগামাড়িয়া গ্রামের মসজিদের ইমাম রায়হান আলী শিবির নেতা হাফিজুর রহমান ও কর্মী খায়রুল ইসলামআরও পড়ুন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপউপাচার্যের বিরুদ্ধে ডিগ্রি জালিয়াতির অভিযোগ এআরটিএন |
অধ্যাপক রেজাউল হত্যার রায়ে সন্তুষ্ট রাবির শিক্ষকশিক্ষার্থীরা দেশ রাজশাহী ০৮ মে ২০১৮ ১৭২৪ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাবি ইংরেজি বিভার অধ্যাপক এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যা মামলায় রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে তার পরিবার ও শিক্ষকশিক্ষার্থীরা তবে মূল পরিকল্পনাকারী জঙ্গি শরিফুলকে গ্রেফতার ও রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানিয়ে তারাএর আগে হত্যার দুই বছর পর মঙ্গলবার দুরে ৮ মে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণা করেন রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শিরিন কবিতা আক্তার ওই রায়ে দুই মূল পরিকল্পনাকারী রাবির ইংরেজি বিভার শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম তক ও হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেওয়া বগুড়ার শিবগঞ্জের মাসকাওয়াত হাসান ওরফে আব্দুল্লাহ ওরফে সাকিবকে ফাঁসি দেওয়া হয় এছাড়া এ হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতার দায়ে নীলফামারীর মিয়াপাড়ার রহমত উল্লাহ রাজশাহী মহানগরীর নারকেলবাড়িয়া এলাকার আব্দুস সাত্তার ও তার ছেলে রিপন আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে আদালত তবে এ রায়ে দ্বিমত ষণ করে উচ্চ আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবীরারায়ের প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষক রেজাউল করিম সিদ্দিকীর মেয়ে রিজওয়ানা হাসিন শতভি বলেন আমি এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করছি তবে সাবারই যদি মৃত্যুদণ্ড হতো সেটা আরও ভালো হতো তবে উচ্চ আদালতেও যেন এ রায় বহাল থাকে তার দাবি জানাচ্ছি একই সঙ্গে রায় দ্রুত কার্যকর করতে হবে এছাড়া তক আসামি শরিফুলকে দ্রুত গ্রেফতার দেখতে চাইরাবির ইংরেজি বিভার সভাপতি অধ্যাপক এফএম মাসউদ আখতার বলেন যারা উগ্রপন্থায় বিশ্বাস করেন তারা এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে আছেন বলে বিচারক বলে এবং তাদেরকেই শাস্তি দিয়ে আমরা এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করছিইংরেজি বিভার সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন আমরা আশা করেছিলাম এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবার মৃত্যুদণ্ড হবে কিন্তু সেটা হয়নি দুইজনের হয়েছে বাকি তিনজনের যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে তবে রায়ের পর্যবেক্ষণ যখন শুনছিলাম তখন মনে হয়েছিল রহমতুল্লাহর ফাঁসি হবে কিন্তু সেটা না হয়ে যাবজ্জীবন হয়েছে তবে আমরা সন্তুষ্ট আমি আশা করছি তক শরিফুলকে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে এসে এ রায় যেন বাস্তবায়ন করা হয়ইংরেজি বিভার শিক্ষার্থীরা এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে চলমান আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক রাকিব সোহান বলেন এ পর্যায়ে যে রায় আমরা পেয়েছি তাতে সন্তুষ্ট তবে মূল পরিকল্পনাকারী যেহেতু তক তাই আংশিক অসন্তুষ্ট বলা যায় কারণ গ্রেফতার না হলে তো রায় কার্যকর হবে না আমরা শিক্ষার্থীদের এখন একটাই দাবি রায় কার্যকর যেন দ্রুত হয় ইংরেজি বিভার চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রিফাত বলেন আমি রায়ে সন্তুষ্ট এর মধ্যে দুই বছর হয়ে ছে তাই এ রায় দ্রুত কার্যকর করার মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপনের দাবি জানাচ্ছিপ্রসঙ্গত ২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল রাজশাহী নগরের শালবাগান এলাকায় নিজের বাড়ি থেকে মাত্র ৫০ গজ দূরে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করা হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভার অধ্যাপক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর আটজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রেজাউস সাদিক আট আসামির মধ্যে খায়রুল ইসলাম বাঁ নজরুল ইসলাম ওরফে বাইক হাসান ও তারেক হাসান ওরফে ওসমান অভিযোগপত্র দেওয়ার আগেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন বাকি পাঁচ জনের মধ্যে বগুড়ার শিবগঞ্জের মাসকাওয়াত হাসান ওরফে আব্দুল্লাহ ওরফে সাকিব নীলফামারীর মিয়াপাড়ার রহমত উল্লাহ রাজশাহী মহানগরীর নারকেলবাড়িয়া রিপন আলী কারাগারে ছিলেন মূল পরিকল্পনাকারী শরিফুল তক ও নারকেলবাড়িয়ার রিপর আলীর পিতা আব্দুস সাত্তার জামিনে ছিলেন |
অধ্যাপক রেজাউল হত্যায় জড়িতদের মৃত্যুদণ্ড দাবি দেশ রাজশাহী ২৩ এপ্রিল ২০১৮ ১৪৫১ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাবি ইংরেজি বিভার অধ্যাপক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকশিক্ষার্থী ও তার পরিবার সোমবার ২৩ এপ্রিল সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ্ কলাভবনের সামনে মুকুল প্রতিবাদ ও সংহতি মঞ্চএ আয়োজিত প্রতিবাদী সমাবেশ থেকে তারা এ দাবি জানানসমাবেশে ইংরেজি বিভার অধ্যাপক জহুরুল ইসলাম বলেন মামলায় অভিযুক্ত তিন আসামি ক্রসফায়ারে মারা ছে বলে আমরা শুনেছি কিন্তু তারা সত্যিই অপরাধী ছিল কি না তা জানা নেই আদালতের বিচারে যারা অপরাধী প্রমাণিত হবে শুধু তারাই যেন শাস্তি পায়সমাবেশে বিভার সভাপতি অধ্যাপক এ এফ এম মাসউদ আখতার অপরাধীদের দ্রুত শাস্তির দাবি জানান এছাড়া সমাবেশে অধ্যাপক রেজাউলের মেয়ে রিজওয়ানা হাসিন শতভি ও ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ সৌরভ উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক রেজাউল হত্যার বিচার দাবিতে চলমান আন্দোলনে পাশে থাকার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ্যবাদ জানান রিজওয়ানা হাসিন শতভিএর আগে সকাল ১০টায় বিভার সামনে থেকে এক র্যালি বের করা হয় র্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ফের সেখানে এসে সমাবেশ করে র্যালিতে উপউপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক সুলতানউলইসলাম ইংরেজি বিভার অধ্যাপক শহীদুর রহমান সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেনএছাড়া আজ সোমবার সন্ধ্যায় মুকুল প্রতিবাদ ও সংহতি মঞ্চে প্রদীপ প্রজ্বালন করা হবে বলেও ইংরেজি বিভার পক্ষ থেকে জানানো হয়প্রসঙ্গত ২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল সকালে রাজশাহী নগরীর শালবাগান এলাকায় নিজের বাড়ি থেকে ৫০ গজ দূরে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করা হয় রাবির ইংরেজি বিভার অধ্যাপক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে তিনি কোমলগান্ধার নামে একটি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করতেন সুন্দরম নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনেরও উপদেষ্টা ছিলেন অধ্যাপক রেজাউল একটি গানের স্কুল প্রতিষ্ঠারও চেষ্টা করছিলেনহত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২০১৭ সালের ৬ নভেম্বর আট জনকে আসামি করে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজশাহী মহানগর লিশের গোয়েন্দা শাখার ডিবি পরিদর্শক রেজাউস সাদিক চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার অভিযুক্ত আট আসামির মধ্যে খায়রুল ইসলাম বাঁ নজরুল ইসলাম ওরফে হাসান ওরফে বাইক হাসান ও তারেক হাসান ওরফে নিলু ওরফে ওসমান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে অভিযুক্ত অন্যরা হলোবগুড়ার শিবগঞ্জের মাসকাওয়াত হাসান ওরফে আব্দুল্লাহ ওরফে সাকিব নীলফার মিয়াপাড়ার রহমত উল্লাহ রাজশাহী মহানগরীর নারিকেলবাড়িয়া এলাকার আবদুস সাত্তার ও তার ছেলে রিপন আলী রাবির ইংরেজি বিভার শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী শরিফুল এখনও তক আবদুস সাত্তার রয়েছে জামিনে আর বাকি আসামিরা কারাগারে এদিকে আগামী ৮ মে মামলার রায় ঘোষণা হবে বলে জানা ছে |
অধ্যাপক রেজাউলের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর দেশ ২৩ এপ্রিল ২০১৬ ১৬২২ ময়নাতদন্ত শেষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকীর মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে শনিবার দুর পৌনে একটার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ হস্তান্তর করা হয় নিহত অধ্যাপক রেজাউল করিমের ভাগ্নে শরিফুল ইসলাম জানান লাশ বর্তমানে শালবাগান এলাকার বাড়িতে রাখা হয়েছে এখানে বিকেলে শালবাগান সিঅ্যান্ডবি মাঠে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে এরপর বিকেল ছয়টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় লাশ নিয়ে যাওয়া হবে সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে রাজশাহীর বাগার দরগাড়ায় গ্রামে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে গ্রামের বাড়িতে তৃতীয় জানাজা শেষে এশার নামাজের পর তার লাশ দাফন করা হবে টিএনআরও পড়তে পারেনরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে গলাকেটে হত্যা |
অধ্যাপক শফিউল হত্যা দুই বছরেও অভিযোগ গঠন হয়নি দেশ রাজশাহী ১৫ নভেম্বর ২০১৬ ১৫৩৭ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভার অধ্যাপক ড এ কে এম শফিউল ইসলাম লিলন হত্যাকাণ্ডের দুই বছর পেরিয়ে লেও অভিযোগ গঠন হয়নি আসামিরা রয়ে জামিনে হত্যার এক বছরের মাথায় ২০১৫ সালের ২৫ নভেম্বর ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় লিশ ওই বছরের ১২ ডিসেম্বর রাজশাহী মেট্রোপলিটন আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন পরে মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয় কিন্তু সেখানে এখনও অভিযোগপত্র গ্রহণ করেননি আদালতরাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি আব্দুস ম বলেন এই মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত যুবদল নেতা উজ্জ্বলসহ ১১ আসামিই উচ্চ আদালত থেকে জামিনে আছে মামলার অভিযোগপত্র আমলে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে আগামী শুনানিতে অভিযোগ গঠন করা হবে বলেও জানান তিনিখোঁজ নিয়ে জানা যায় এই হত্যাকাণ্ডের এক বছরে মাথায় ২০১৫ সালের ২৫ নভেম্বর ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা রেজাউস সাদিক অভিযোগপত্রে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাসরিন আখতার রেশমার সঙ্গে শিক্ষক শফিউল ইসলামের দ্বন্দ্বের জের ধরেই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় এছাড়া হত্যাকাণ্ডের পর ফেসবুকে দেওয়া দায় স্বীকার করে আনসার আল ইসলাম বাংলাদেশের স্ট্যাটাসের কোনও সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি বলেও জানানো হয়অভিযোগপত্রে রাজশাহী জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল আব্দুস সামাদ পিন্টু আরিফুল ইসলাম মানিক সিরাজুল ইসলাম সবুজ আল মামুন আরিফ সাগর জিন্নাত আলী ইব্রাহিম খলিল ও নাসরিন আখতার রেশমাকে আসামি করা হয় তারা সবাই গ্রেফতার হলেও বর্তমানে জামিনে আছেনপ্রসঙ্গত ২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর দুরে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন চৌদ্দপাই এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে খুন হন সমাজবিজ্ঞান বিভার অধ্যাপক ড এ কে এম শফিউল ইসলাম লিলন পরের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মুহাম্মদ এন্তাজুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মতিহার থানায় হত্যা মামলা করেন পরে নাসরিন আখতার রেশমা হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন এদিকে এ হত্যার দুই বছর পূর্তিতে দ্রুত বিচার দাবিতে মানববন্ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সমানে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয় এতে সমাজবিজ্ঞান বিভার শিক্ষকশিক্ষার্থী যোগ দেনমানববন্ে সমাজবিজ্ঞান বিভার সভাপতি অধ্যাপক ওয়ারদাতুল আকমাম বলেন দুই বছর আগে আমরা যে দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলাম আজ আবারও একই দাবি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছি স্যার আর আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন না এটা ঠিক তবে হত্যাকারীরা শাস্তি পেলে স্যারের পরিবার সহকর্মী শিক্ষার্থীরা একটু হলেও প্রশান্তি পাবেসমাজবিজ্ঞান বিভার অধ্যাপক এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন গত এক যুগে চারটি হত্যাকাণ্ডের একটিরও বিচার এখনও রোরি শেষ হয়নি তাই একসাথে সুর মিলিয়ে বলতে হবে দ্রুত বিচার চাই যাতে আমাদের ক্ষত একটু হলেও শুকায় তিনি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্য পরিচালনা করার দাবি জানানপ্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক শহীদুল্লাহ বলেন স্বজন হারানোর বেদনা কেমন সেটা আপনি ভালো করেই বোঝেন তাই আপনার কাছে দাবি জানাচ্ছি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার নিষ্পত্তি করারসমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শাহ আজমের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন সমাজকর্ম বিভার সভাপতি অধ্যাপক ছাদেকুল আরেফিন ও আইন বিভার অধ্যাপক হাসিবুল আলম প্রধান মানববন্ে প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষকশিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেনআরও পড়ুনদুই টাকার নতুন নোটের দাম পাঁচ রুপি বিটি |
অধ্যাপক সনৎকুমার সাহা স্মারক গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব দেশ রাজশাহী ০৬ জুন ২০১৬ ১৮৪৬ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সনৎকুমার সাহা সম্মাননা গ্রন্থ বাংলাদেশ ইয়েস্টারডে টুডে টুমরোএর প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে সোমবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট ভবনে বইটির মোড়ক উম্মোচন করেন কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ ও রবীন্দ্র গবেষক অধ্যাপক সুনৎকুমার সাহার জীবন ও সাাকে অবলম্বন করে সম্মাননা গ্রন্থটিতে দেশবিদেশের খ্যাতিমান সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও অর্থনীতিবিদের ১৪টি প্রবন্ধ স্থান পেয়েছে সেখানে অধ্যাপক সনৎকুমার সাহার নিজেরও দুটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছেসম্মাননা গ্রন্থটির সম্পাদকবৃন্দের অন্যতম ড মুস্তফা কা মুজেরীর সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন এতে সম্মানিত অতিথি ছিলেন অধ্যাপক সনৎকুমার সাহা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা ও উপউপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহানঅনুষ্ঠানে সম্মাননা গ্রন্থটির অন্যতম সম্পাদক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন স্বাগত বক্তব্য দেন সেখানে অর্থনীতি বিভার অধ্যাপক ইলিয়াছ হোসেন শোক প্রস্তাব ও সহকারী অধ্যাপক যিনাতুল ইসলাম অধ্যাপক সনৎকুমার সাহার জীবনপঞ্জি পাঠ করেনএতে সদর আসনের সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা বলেন এক সময় আমাদের সাংসদরা একেবারেই আপাদমস্তক রাজনীতিবিদ ছিলেন কিন্তু এখন পার্লামেন্টে সংসদে শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীরা ঢুকে পড়েছে ফলে ব্যবসায়ী ও আমলাতন্ত্রের মধ্যে একটা গভীর আঁতাত সৃষ্টি হয়েছে তাতে আমাদের রাষ্ট্রব্যবস্থায় গণতান্ত্রিক এক সংকটের জায়গা তৈরি হয়েছে এ সংকট দূর করতে অর্থনীতিবিদদের চাবুক নিয়ে রাস্তায় নামা দরকারঅনুষ্ঠানে অধ্যাপক ইসমাইল হোসেন ভাষা সৈনিক আবুল হোসেন অধ্যাপক ইমেরিটাস অরুণ কুমার বসাক অর্থনীতি বিভার সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী অধ্যাপক কায়েস উদ্দিন অধ্যাপক এম সাইদুর রহমান খান অধ্যাপক জুলফিকার মতিন অধ্যাপক তারিক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেনআরও পড়ুন অধ্যাপক রেজাউল হত্যাকাণ্ড আশ্বাস কার্যকর না করলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিএইচকে |
অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বুয়েটের নতুন উপাচার্য শিক্ষা ২৩ জুন ২০১৬ ০০৫০ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে বুয়েট উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়ে বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভার অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম তিনি আগামী চার বছর বিশ্ববিদ্যালয়টিতে উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বুধবার রাত ১১ টায় শিক্ষামন্ত্রণালয়ের উপসচিব বেগম জিনাত রেহানা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন আজ থেকে বুয়েটের উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম দায়িত্ব পালন করবেন তিনি বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দুজন উপউপাচার্যকেও নিয়োগ দিয়েছে সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আকতারুজ্জামান উপউপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়ে একই সঙ্গে অধ্যাপক নাসরীন আহমাদকে দ্বিতীয় মেয়াদে উপউপাচার্য পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে আগামী চার বছর এই দুই শিক্ষকও তাদের দায়িত্ব পালন করবেন উল্লেখ্য ২০১৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর প্রথম নারী উপাচার্য হিসেবে বুয়েটের উপাচার্যের দায়িত্ব পেয়েছিলেন অধ্যাপক খালেদা একরাম গত ২৪ মে ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরও পড়তে পারেন ডিএনসিসিডিএসসিসিতে ১৬ ইউনিয়ন অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত হলেও নির্দেশনা নেইআরএআরএমএনএইচ |
অধ্যাপক সিতারা পারভীন পুরস্কার পেলেন ঢাবির ১০ শিক্ষার্থী অন্যান্য ২৬ আগস্ট ২০১৯ ১৮৫১ স্নাতক সম্মান পরীক্ষায় ভালো ফল অর্জন করায় অধ্যাপক সিতারা পারভীন রস্কার পেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভার ১০ শিক্ষার্থী সোমবার ২৬ আগস্ট সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার মিলনায়তনে উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান শিক্ষার্থীদের হাতে রস্কার সনদ ও চেক তুলে দেনরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন আবদুর রাজ্জাক সোহেল মেহজাবিন বশির তুলি শারমিন জাহান জোহা ফায়েজ আহমেদ তন্ময় সাহা জয় নম্রতা তালুকদার অর্পা তাহমিনা আক্তার জেনি সুমাইয়া তানিম শামিমা নাসরিন এবং মেহেরুন নাহার মেঘলাগণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভার চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড কাবেরী গায়েনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অধ্যাপক সিতারা পারভীন স্মারক বক্তৃতা দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভার অধ্যাপক ও সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক ড ইমতিয়াজ আহমেদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিকতা বিভার অধ্যাপক ড আহাদুজ্জামান মোহাম্মদ আলী ও বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী মেহজাবিন বশির তুলিউপাচার্য অধ্যাপক মো আখতারুজ্জামান বলেন অধ্যাপক ড সিতারা পারভীন একজন সৎ আদর্শবান ও নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক ছিলেন প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তার ণাবলি অনুসরণ করা প্রয়োজন প্রসঙ্গত সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি শাহাবুদ্দীন আহমদের মেয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভার অধ্যাপক ড আহাদুজ্জামান মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী অধ্যাপক ড সিতারা পারভীন ২০০৫ সালের ২৩ জুন যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন তার স্মৃতির উদ্দেশ্যে পরিবারের পক্ষ থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে অধ্যাপক সিতারা পারভীন রস্কার প্রবর্তন করা হয় প্রতিবছর বিভাগটির সম্মান শ্রেণিতে ভালো ফল অর্জনকারী ১০ শিক্ষার্থীকে এই রস্কার দেওয়া হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান |
অধ্যাপক হত্যার ঘটনায় অ্যামনেস্টির নিন্দা দোষীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান আন্তর্জাতিক খবর ২৩ এপ্রিল ২০১৬ ১৮২৪ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভার অধ্যাপক ড এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল দোষীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিচালকআরও পড়ুন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে গলা কেটে খুনশনিবার সকালে রাজশাহীর শালবন এলাকায় ড এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে হত্যা করা হয় বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান শনিবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে তিনি শালবন এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন এ সময় দুর্বৃত্তরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে করে পালিয়ে যায় তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে লে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন এ ঘটনায় এখনও কেউ দায় স্বীকার না করলেও এর সঙ্গে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার আশঙ্কা করছে লিশ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকেও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ইসলামী দের স্টাইলের মিল খুঁজে পাওয়ার কথা বলা হয়েছেআরও পড়ুন রাবি অধ্যাপক হত্যার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ রবিবার ক্লাস বর্জনহত্যাকাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক চম্পা প্যাটেল বলেন রেজাউল করিম সিদ্দিকীর নৃশংস হত্যাকাণ্ড অমার্জনীয় যারা দোষী তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা উচিত এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে অসাম্প্রদায়িক লেখকব্লগারদের হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্ট ইসলামী দের হামলার ধরনে মিল পাওয়া যায় এইসব হত্যাকাণ্ড থামতে কর্তৃপক্ষের আরও বেশি কিছু করা উচিত তিনি মনে করিয়ে দেন গত বছরে এই ধরনের বিভিন্ন হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত একজনকেও বিচারের আওতায় আনা যায়নিআরও পড়ুন অধ্যাপক রেজাউলের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরউল্লেখ্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ সূত্রে জানা ছে অধ্যাপক রেজাউল করিম কোমলগান্ধ্যার নামে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত একটি সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক পত্রিকা সম্পাদনা করতেন তিনি ভালো সেতার বাজাতেন এবং সুন্দরম নামে একটি সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংগঠনের উপদেষ্টা ছিলেনবিএ |
অধ্যাপক হলেন ৪০৯ শিক্ষক অন্যান্য ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৯৫৮ সরকারি কলেজ ও মাদরাসার ৪০৯ জন সহযোগী অধ্যাপককে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার সোমবার ১০ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ফাতেমা তুল জান্নাত স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছেপ্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে অর্থনীতি বিষয়ে ৩২ জন আরবিতে ৩ ইসলাম শিক্ষায় ১০ ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে ২৮ ইংরেজিতে ৩১ ইতিহাসে ৩১ উদ্ভিদবিদ্যায় ৩০ গার্হস্থ্য অর্থনীতিতে ২ গণিতে ২৪ দর্শনে ৩৩ পদার্থবিদ্যায় ১৯ পরিসংখ্যানে ১ প্রাণিবিদ্যায় ২৪ বাংলায় ১৪ ব্যবস্থাপনায় ২৮ ভূগোলে ৩ মৃত্তিকাবিজ্ঞানে ১ মনোবিজ্ঞানে ২ রসায়নে ১৭ রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ৩০ সমাজকল্যাণে ১১ সমাজবিজ্ঞানে ৫ হিসাববিজ্ঞানে ২৪ বিজ্ঞান টিটিসি ১ শিক্ষায় টিটিসি ৪ এবং শিক্ষায় গাইডেন্স অ্যান্ড কাউন্সেলিং ১ জনকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে পদোন্নতি পাওয়া সবাই বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের |
অধ্যাপক হাবিবা খাতুন বৃত্তি পেলেন ঢাবির ৩ শিক্ষার্থী আমার ক্যাম্পাস ২৩ মার্চ ২০১৭ ১৫০২ বিএ স্নাতক সম্মান পরীক্ষায় অসাধারণ ফলাফলের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভার তিনজন শিক্ষার্থী অধ্যাপক ড হাবিবা খাতুন বৃত্তি লাভ করেবৃহস্পতিবার উপাচার্য লাউঞ্জে এক অনুষ্ঠানে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তির চেক তুলে দেন এ সময় বৃত্তিপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার্থীদের কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবেবৃত্তিপ্রাপ্তরা হলেন খান মাহবুব মোর্শেদ মো সানাউল্লাহ ও সাথী খাতুনঅনুষ্ঠানে ঢাবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড মো কা উদ্দীন সভাপতিত্ব করেন এ সময় প্রোউপাচার্য প্রশাসন অধ্যাপক ড মো আখতারুজ্জামান কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড আবু মো দেলোয়ার হোসেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভার চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো মাহফুজুল ইসলাম ট্রাস্ট ফান্ডের দাতা অধ্যাপক ড হাবিবা খাতুন ও বিভাগীয় শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেনউল্লেখ্য অধ্যাপক ড হাবিবা খাতুন ঢাবির ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকএমডিপি |
Subsets and Splits
No community queries yet
The top public SQL queries from the community will appear here once available.